নজরুলকে নিয়ে বিশ্বজিৎ ও গোলামের কৌশলী বিকার

যে কুতর্ক বিশ্বজিৎ খুবই কৌশলে উস্কে দেয়ার চেষ্টা করেছে এবং সুশীল পাড়ার গবেষক হিসাবে পরিচিত গোলাম মুরশিদ গত বছর বাংলা একাডেমিতে নজরুলকে নিয়ে কুকথা বলেছিলেন, তার সাথে এর এক যোগসূত্র আছে।
গোলামের বিচার হয়নি বলে বিশ্বজিৎ সাহসটা করলেন। বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে যে দেশে নজরুল জাতীয় কবির মর্যাদায় আসীন; সে দেশে এমন নোংরামি সরকার মেনে নিচ্ছে, সেটাও একটা জিজ্ঞাসা হয়ে থাকছে।
আমরা যে কোনো ব্যাক্তি সম্পর্কে জানবো, জানার অফুরন্ত আগ্রহ আমাদের আছে। কিন্তু বিশেষ কোনো এজেন্ডা এখানে হাজির দেখে আমরা ব্যথিত। এগুলো উদ্দেশ্যমূলক, বিকৃত রুচির এবং নোংরা মনোবৃত্তির বহিঃপ্রকাশ।
আমাদের বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠিত আরেকজন কবি সম্পর্কে কমবেশি বিশ্বজিৎ বা গোলামদের জানা। কিন্তু সে সম্পর্কে তারা লিখেননি বলে আমরা কৃতজ্ঞ্। কারণ কিছু মানুষ আছে তাদের কাজের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ব্যাক্তিজীবন নিয়ে উৎসাহ দেখানোটা কোনো কালেই আমার কাছে শোভন মনে হয়নি।
বিশ্বজিৎ ও গোলামরা নজরুলকে ছোট করার যে চেষ্টা করছেন এটা বৃথা। সাহিত্য তার সৃজনশীল, নান্দনিক, সামাজিক ও প্রাসঙ্গিক দিক বিবেচনা করে গৃহিত বা বর্জিত হয় বলে জেনে আসছি। রবীন্দ্র-নজরুল সাহিত্য সে বিচারে টিকে গেছে।
নিজেদের নাম ইতিহাসে রাখার অনেক উপায় থাকতে পারে, কিন্তু প্রতিষ্ঠিত প্রতিভা ও তাদের সৃনজশীল কর্মের বিষবাষ্প ছড়ানোর যে সুক্ষ কৌশল মতলবাজ মিডিয়া নিয়েছে, সেজন্য আমরা লজ্জিত, স্তম্ভিত এবং ক্ষুব্ধ।
এককালে মোল্লারা নজরুলকে বর্জন করেছিল। বলেছিল কাফির। এখন কথিত জ্ঞানীরা, যাদের পাপের চৌহদ্দির মাপতে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তা লাগবে। সে সব লোক নজরুলের মত লোককে নিয়ে কথা বলে!
নারগিসকে নিয়ে আলাপ হতেই পারে। সেটি নিয়ে আপত্তি করার কিছু নাই। কিন্তু সাধারণের বাইরের প্রতিভাতের জন্ম বা মৃত্যু দিবস ঘিরে এ নিয়ে আলোচনাটা ষড়যন্ত্রেরই অংশ।
গত বছর বাংলা একাডেমিতে গোলাম নারগিস এবং প্রমীলাকে নিয়ে নোংরা কথা বলেছে। এর কিছু অংশ প্রেস রিলিজ করে একাডেমি থেকে ছাড়াও হয়। কিন্তু সম্বাদিকরা নিজ দায়িত্বে ওই অংশটুকু ছাটাই করেন।
এবার বিশ্ব যে কথাটা বলার চেষ্টা করেছেন- নজরুল কথা দিযে কথা না রেখে আবার দরদীয় হয়ে উঠেছেন। কিন্তু স্বপক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ তিনি হাজির করেন নি।
ধরে নিলাম এ কথাটা সত্য। কিন্তু এ সত্যটা তার জন্মদিন ঘিরে উৎসব আয়োজনে কতটা প্রকাশ যোগ্য।
আমরা কী কখনো রবীন্দ্র প্রেমিকা আন্নাকে নিয়ে কোনো লেখা দেখেছি। কাজী আনোয়ার হোসেন , যিনি মাসুদ রানার জনক। তার সম্পাদিত ঐতিহাসিক প্রেমপত্র থেকে যেটি জানা সেটি হলো, আন্নার প্রেম কখনোই ভুলতেই পারেননি রবীন্দ্রনাথ। কিন্তু পিতার বন্ধুর ঘর ত্যাগের পর রবীন্দ্রনাথ কী তার খবর নিয়েছেন? তবে কাজী আনোয়ারের বইয়ের সূত্র মতে, রবীন্রদ্রনাথ বলেছিলেন , তাকে নিয়ে কোনো জাদুঘর হলে সেখানে যেনো আন্নার চিঠিটা থাকে। কিন্তু তার সাথে রবীন্দ্রনাথের সম্পর্ক কেমন ছিল এ সব আলোচনা কতটা রুচিকর।
আমার মনে হয় রবীন্দ্র নজরুল বা জীবনানন্দ; শহীদুল্লাহ কিম্বা শামসুর রাহমানদের জীবনের এ সব দিক নিয়ে আলোচনাটা পাবলিকলি হওয়ার বিষয় নয়্ এটা একাডেমিক। এটা নিয়ে একাডেমিক আলোচনা যতক্ষণ পর্যন্ত সার্বজনীন হবে ততক্ষণ এটা নিয়ে পাবলিক ডোমেইনে লেখা বা প্রচার সমর্থনযোগ্য হতে পারে না।
আমার কাছে কিছু মানুষের ব্যাক্তিগত স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে আলোচনা আপত্তিকর এবং নোংরামি বলে বিবেচিত। এটা অন্যের কাছে মনে নাও হতে পারে। আমাদের কিছু আশ্রয় থাকা দরকার। যেমন সাহিত্যে রবীন্দ্র-নজরুল। রাজনীতিতে ভাসানী-বঙ্গবন্ধু। সিনেমায় রাজ্জাক-ববিতা। এ রকম আরো। তার মানে এটা নয় যে, তারা ধোয়া তুলসি পাতা। তবে তাদের ব্যাক্তিগত স্পর্শকাতর বিষয়ের চেয়ে তাদের কর্মটাই বড়। সেটিই আলোচনার মূল জায়গা।
- See more at: http://www.priyo.com/blog/2014/05/28/71503.html#sthash.YLkytC42.dpuf
 কুতর্ক বিশ্বজিৎ খুবই কৌশলে উস্কে দেয়ার চেষ্টা করেছে এবং সুশীল পাড়ার গবেষক হিসাবে পরিচিত গোলাম মুরশিদ গত বছর বাংলা একাডেমিতে নজরুলকে নিয়ে কুকথা বলেছিলেন, তার সাথে এর এক যোগসূত্র আছে।
গোলামের বিচার হয়নি বলে বিশ্বজিৎ সাহসটা করলেন। বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে যে দেশে নজরুল জাতীয় কবির মর্যাদায় আসীন; সে দেশে এমন নোংরামি সরকার মেনে নিচ্ছে, সেটাও একটা জিজ্ঞাসা হয়ে থাকছে।
আমরা যে কোনো ব্যাক্তি সম্পর্কে জানবো, জানার অফুরন্ত আগ্রহ আমাদের আছে। কিন্তু বিশেষ কোনো এজেন্ডা এখানে হাজির দেখে আমরা ব্যথিত। এগুলো উদ্দেশ্যমূলক, বিকৃত রুচির এবং নোংরা মনোবৃত্তির বহিঃপ্রকাশ।
আমাদের বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠিত আরেকজন কবি সম্পর্কে কমবেশি বিশ্বজিৎ বা গোলামদের জানা। কিন্তু সে সম্পর্কে তারা লিখেননি বলে আমরা কৃতজ্ঞ্। কারণ কিছু মানুষ আছে তাদের কাজের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ব্যাক্তিজীবন নিয়ে উৎসাহ দেখানোটা কোনো কালেই আমার কাছে শোভন মনে হয়নি।
বিশ্বজিৎ ও গোলামরা নজরুলকে ছোট করার যে চেষ্টা করছেন এটা বৃথা। সাহিত্য তার সৃজনশীল, নান্দনিক, সামাজিক ও প্রাসঙ্গিক দিক বিবেচনা করে গৃহিত বা বর্জিত হয় বলে জেনে আসছি। রবীন্দ্র-নজরুল সাহিত্য সে বিচারে টিকে গেছে।
নিজেদের নাম ইতিহাসে রাখার অনেক উপায় থাকতে পারে, কিন্তু প্রতিষ্ঠিত প্রতিভা ও তাদের সৃনজশীল কর্মের বিষবাষ্প ছড়ানোর যে সুক্ষ কৌশল মতলবাজ মিডিয়া নিয়েছে, সেজন্য আমরা লজ্জিত, স্তম্ভিত এবং ক্ষুব্ধ।
এককালে মোল্লারা নজরুলকে বর্জন করেছিল। বলেছিল কাফির। এখন কথিত জ্ঞানীরা, যাদের পাপের চৌহদ্দির মাপতে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তা লাগবে। সে সব লোক নজরুলের মত লোককে নিয়ে কথা বলে!
নারগিসকে নিয়ে আলাপ হতেই পারে। সেটি নিয়ে আপত্তি করার কিছু নাই। কিন্তু সাধারণের বাইরের প্রতিভাতের জন্ম বা মৃত্যু দিবস ঘিরে এ নিয়ে আলোচনাটা ষড়যন্ত্রেরই অংশ।
গত বছর বাংলা একাডেমিতে গোলাম নারগিস এবং প্রমীলাকে নিয়ে নোংরা কথা বলেছে। এর কিছু অংশ প্রেস রিলিজ করে একাডেমি থেকে ছাড়াও হয়। কিন্তু সম্বাদিকরা নিজ দায়িত্বে ওই অংশটুকু ছাটাই করেন।
এবার বিশ্ব যে কথাটা বলার চেষ্টা করেছেন- নজরুল কথা দিযে কথা না রেখে আবার দরদীয় হয়ে উঠেছেন। কিন্তু স্বপক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ তিনি হাজির করেন নি।
ধরে নিলাম এ কথাটা সত্য। কিন্তু এ সত্যটা তার জন্মদিন ঘিরে উৎসব আয়োজনে কতটা প্রকাশ যোগ্য।
আমরা কী কখনো রবীন্দ্র প্রেমিকা আন্নাকে নিয়ে কোনো লেখা দেখেছি। কাজী আনোয়ার হোসেন , যিনি মাসুদ রানার জনক। তার সম্পাদিত ঐতিহাসিক প্রেমপত্র থেকে যেটি জানা সেটি হলো, আন্নার প্রেম কখনোই ভুলতেই পারেননি রবীন্দ্রনাথ। কিন্তু পিতার বন্ধুর ঘর ত্যাগের পর রবীন্দ্রনাথ কী তার খবর নিয়েছেন? তবে কাজী আনোয়ারের বইয়ের সূত্র মতে, রবীন্রদ্রনাথ বলেছিলেন , তাকে নিয়ে কোনো জাদুঘর হলে সেখানে যেনো আন্নার চিঠিটা থাকে। কিন্তু তার সাথে রবীন্দ্রনাথের সম্পর্ক কেমন ছিল এ সব আলোচনা কতটা রুচিকর।
আমার মনে হয় রবীন্দ্র নজরুল বা জীবনানন্দ; শহীদুল্লাহ কিম্বা শামসুর রাহমানদের জীবনের এ সব দিক নিয়ে আলোচনাটা পাবলিকলি হওয়ার বিষয় নয়্ এটা একাডেমিক। এটা নিয়ে একাডেমিক আলোচনা যতক্ষণ পর্যন্ত সার্বজনীন হবে ততক্ষণ এটা নিয়ে পাবলিক ডোমেইনে লেখা বা প্রচার সমর্থনযোগ্য হতে পারে না।
আমার কাছে কিছু মানুষের ব্যাক্তিগত স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে আলোচনা আপত্তিকর এবং নোংরামি বলে বিবেচিত। এটা অন্যের কাছে মনে নাও হতে পারে। আমাদের কিছু আশ্রয় থাকা দরকার। যেমন সাহিত্যে রবীন্দ্র-নজরুল। রাজনীতিতে ভাসানী-বঙ্গবন্ধু। সিনেমায় রাজ্জাক-ববিতা। এ রকম আরো। তার মানে এটা নয় যে, তারা ধোয়া তুলসি পাতা। তবে তাদের ব্যাক্তিগত স্পর্শকাতর বিষয়ের চেয়ে তাদের কর্মটাই বড়। সেটিই আলোচনার মূল জায়গা।
- See more at: http://www.priyo.com/blog/2014/05/28/71503.html#sthash.YLkytC42.dpuf
যে কুতর্ক বিশ্বজিৎ খুবই কৌশলে উস্কে দেয়ার চেষ্টা করেছে এবং সুশীল পাড়ার গবেষক হিসাবে পরিচিত গোলাম মুরশিদ গত বছর বাংলা একাডেমিতে নজরুলকে নিয়ে কুকথা বলেছিলেন, তার সাথে এর এক যোগসূত্র আছে।
গোলামের বিচার হয়নি বলে বিশ্বজিৎ সাহসটা করলেন। বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে যে দেশে নজরুল জাতীয় কবির মর্যাদায় আসীন; সে দেশে এমন নোংরামি সরকার মেনে নিচ্ছে, সেটাও একটা জিজ্ঞাসা হয়ে থাকছে।
আমরা যে কোনো ব্যাক্তি সম্পর্কে জানবো, জানার অফুরন্ত আগ্রহ আমাদের আছে। কিন্তু বিশেষ কোনো এজেন্ডা এখানে হাজির দেখে আমরা ব্যথিত। এগুলো উদ্দেশ্যমূলক, বিকৃত রুচির এবং নোংরা মনোবৃত্তির বহিঃপ্রকাশ।
আমাদের বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠিত আরেকজন কবি সম্পর্কে কমবেশি বিশ্বজিৎ বা গোলামদের জানা। কিন্তু সে সম্পর্কে তারা লিখেননি বলে আমরা কৃতজ্ঞ্। কারণ কিছু মানুষ আছে তাদের কাজের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ব্যাক্তিজীবন নিয়ে উৎসাহ দেখানোটা কোনো কালেই আমার কাছে শোভন মনে হয়নি।
বিশ্বজিৎ ও গোলামরা নজরুলকে ছোট করার যে চেষ্টা করছেন এটা বৃথা। সাহিত্য তার সৃজনশীল, নান্দনিক, সামাজিক ও প্রাসঙ্গিক দিক বিবেচনা করে গৃহিত বা বর্জিত হয় বলে জেনে আসছি। রবীন্দ্র-নজরুল সাহিত্য সে বিচারে টিকে গেছে।
নিজেদের নাম ইতিহাসে রাখার অনেক উপায় থাকতে পারে, কিন্তু প্রতিষ্ঠিত প্রতিভা ও তাদের সৃনজশীল কর্মের বিষবাষ্প ছড়ানোর যে সুক্ষ কৌশল মতলবাজ মিডিয়া নিয়েছে, সেজন্য আমরা লজ্জিত, স্তম্ভিত এবং ক্ষুব্ধ।
এককালে মোল্লারা নজরুলকে বর্জন করেছিল। বলেছিল কাফির। এখন কথিত জ্ঞানীরা, যাদের পাপের চৌহদ্দির মাপতে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তা লাগবে। সে সব লোক নজরুলের মত লোককে নিয়ে কথা বলে!
নারগিসকে নিয়ে আলাপ হতেই পারে। সেটি নিয়ে আপত্তি করার কিছু নাই। কিন্তু সাধারণের বাইরের প্রতিভাতের জন্ম বা মৃত্যু দিবস ঘিরে এ নিয়ে আলোচনাটা ষড়যন্ত্রেরই অংশ।
গত বছর বাংলা একাডেমিতে গোলাম নারগিস এবং প্রমীলাকে নিয়ে নোংরা কথা বলেছে। এর কিছু অংশ প্রেস রিলিজ করে একাডেমি থেকে ছাড়াও হয়। কিন্তু সম্বাদিকরা নিজ দায়িত্বে ওই অংশটুকু ছাটাই করেন।
এবার বিশ্ব যে কথাটা বলার চেষ্টা করেছেন- নজরুল কথা দিযে কথা না রেখে আবার দরদীয় হয়ে উঠেছেন। কিন্তু স্বপক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ তিনি হাজির করেন নি।
ধরে নিলাম এ কথাটা সত্য। কিন্তু এ সত্যটা তার জন্মদিন ঘিরে উৎসব আয়োজনে কতটা প্রকাশ যোগ্য।
আমরা কী কখনো রবীন্দ্র প্রেমিকা আন্নাকে নিয়ে কোনো লেখা দেখেছি। কাজী আনোয়ার হোসেন , যিনি মাসুদ রানার জনক। তার সম্পাদিত ঐতিহাসিক প্রেমপত্র থেকে যেটি জানা সেটি হলো, আন্নার প্রেম কখনোই ভুলতেই পারেননি রবীন্দ্রনাথ। কিন্তু পিতার বন্ধুর ঘর ত্যাগের পর রবীন্দ্রনাথ কী তার খবর নিয়েছেন? তবে কাজী আনোয়ারের বইয়ের সূত্র মতে, রবীন্রদ্রনাথ বলেছিলেন , তাকে নিয়ে কোনো জাদুঘর হলে সেখানে যেনো আন্নার চিঠিটা থাকে। কিন্তু তার সাথে রবীন্দ্রনাথের সম্পর্ক কেমন ছিল এ সব আলোচনা কতটা রুচিকর।
আমার মনে হয় রবীন্দ্র নজরুল বা জীবনানন্দ; শহীদুল্লাহ কিম্বা শামসুর রাহমানদের জীবনের এ সব দিক নিয়ে আলোচনাটা পাবলিকলি হওয়ার বিষয় নয়্ এটা একাডেমিক। এটা নিয়ে একাডেমিক আলোচনা যতক্ষণ পর্যন্ত সার্বজনীন হবে ততক্ষণ এটা নিয়ে পাবলিক ডোমেইনে লেখা বা প্রচার সমর্থনযোগ্য হতে পারে না।
আমার কাছে কিছু মানুষের ব্যাক্তিগত স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে আলোচনা আপত্তিকর এবং নোংরামি বলে বিবেচিত। এটা অন্যের কাছে মনে নাও হতে পারে। আমাদের কিছু আশ্রয় থাকা দরকার। যেমন সাহিত্যে রবীন্দ্র-নজরুল। রাজনীতিতে ভাসানী-বঙ্গবন্ধু। সিনেমায় রাজ্জাক-ববিতা। এ রকম আরো। তার মানে এটা নয় যে, তারা ধোয়া তুলসি পাতা। তবে তাদের ব্যাক্তিগত স্পর্শকাতর বিষয়ের চেয়ে তাদের কর্মটাই বড়। সেটিই আলোচনার মূল জায়গা।
- See more at: http://www.priyo.com/blog/2014/05/28/71503.html#sthash.YLkytC42.dpuf
যে কুতর্ক বিশ্বজিৎ খুবই কৌশলে উস্কে দেয়ার চেষ্টা করেছে এবং সুশীল পাড়ার গবেষক হিসাবে পরিচিত গোলাম মুরশিদ গত বছর বাংলা একাডেমিতে নজরুলকে নিয়ে কুকথা বলেছিলেন, তার সাথে এর এক যোগসূত্র আছে।
গোলামের বিচার হয়নি বলে বিশ্বজিৎ সাহসটা করলেন। বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে যে দেশে নজরুল জাতীয় কবির মর্যাদায় আসীন; সে দেশে এমন নোংরামি সরকার মেনে নিচ্ছে, সেটাও একটা জিজ্ঞাসা হয়ে থাকছে।
আমরা যে কোনো ব্যাক্তি সম্পর্কে জানবো, জানার অফুরন্ত আগ্রহ আমাদের আছে। কিন্তু বিশেষ কোনো এজেন্ডা এখানে হাজির দেখে আমরা ব্যথিত। এগুলো উদ্দেশ্যমূলক, বিকৃত রুচির এবং নোংরা মনোবৃত্তির বহিঃপ্রকাশ।
আমাদের বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠিত আরেকজন কবি সম্পর্কে কমবেশি বিশ্বজিৎ বা গোলামদের জানা। কিন্তু সে সম্পর্কে তারা লিখেননি বলে আমরা কৃতজ্ঞ্। কারণ কিছু মানুষ আছে তাদের কাজের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ব্যাক্তিজীবন নিয়ে উৎসাহ দেখানোটা কোনো কালেই আমার কাছে শোভন মনে হয়নি।
বিশ্বজিৎ ও গোলামরা নজরুলকে ছোট করার যে চেষ্টা করছেন এটা বৃথা। সাহিত্য তার সৃজনশীল, নান্দনিক, সামাজিক ও প্রাসঙ্গিক দিক বিবেচনা করে গৃহিত বা বর্জিত হয় বলে জেনে আসছি। রবীন্দ্র-নজরুল সাহিত্য সে বিচারে টিকে গেছে।
নিজেদের নাম ইতিহাসে রাখার অনেক উপায় থাকতে পারে, কিন্তু প্রতিষ্ঠিত প্রতিভা ও তাদের সৃনজশীল কর্মের বিষবাষ্প ছড়ানোর যে সুক্ষ কৌশল মতলবাজ মিডিয়া নিয়েছে, সেজন্য আমরা লজ্জিত, স্তম্ভিত এবং ক্ষুব্ধ।
এককালে মোল্লারা নজরুলকে বর্জন করেছিল। বলেছিল কাফির। এখন কথিত জ্ঞানীরা, যাদের পাপের চৌহদ্দির মাপতে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তা লাগবে। সে সব লোক নজরুলের মত লোককে নিয়ে কথা বলে!
নারগিসকে নিয়ে আলাপ হতেই পারে। সেটি নিয়ে আপত্তি করার কিছু নাই। কিন্তু সাধারণের বাইরের প্রতিভাতের জন্ম বা মৃত্যু দিবস ঘিরে এ নিয়ে আলোচনাটা ষড়যন্ত্রেরই অংশ।
গত বছর বাংলা একাডেমিতে গোলাম নারগিস এবং প্রমীলাকে নিয়ে নোংরা কথা বলেছে। এর কিছু অংশ প্রেস রিলিজ করে একাডেমি থেকে ছাড়াও হয়। কিন্তু সম্বাদিকরা নিজ দায়িত্বে ওই অংশটুকু ছাটাই করেন।
এবার বিশ্ব যে কথাটা বলার চেষ্টা করেছেন- নজরুল কথা দিযে কথা না রেখে আবার দরদীয় হয়ে উঠেছেন। কিন্তু স্বপক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ তিনি হাজির করেন নি।
ধরে নিলাম এ কথাটা সত্য। কিন্তু এ সত্যটা তার জন্মদিন ঘিরে উৎসব আয়োজনে কতটা প্রকাশ যোগ্য।
আমরা কী কখনো রবীন্দ্র প্রেমিকা আন্নাকে নিয়ে কোনো লেখা দেখেছি। কাজী আনোয়ার হোসেন , যিনি মাসুদ রানার জনক। তার সম্পাদিত ঐতিহাসিক প্রেমপত্র থেকে যেটি জানা সেটি হলো, আন্নার প্রেম কখনোই ভুলতেই পারেননি রবীন্দ্রনাথ। কিন্তু পিতার বন্ধুর ঘর ত্যাগের পর রবীন্দ্রনাথ কী তার খবর নিয়েছেন? তবে কাজী আনোয়ারের বইয়ের সূত্র মতে, রবীন্রদ্রনাথ বলেছিলেন , তাকে নিয়ে কোনো জাদুঘর হলে সেখানে যেনো আন্নার চিঠিটা থাকে। কিন্তু তার সাথে রবীন্দ্রনাথের সম্পর্ক কেমন ছিল এ সব আলোচনা কতটা রুচিকর।
আমার মনে হয় রবীন্দ্র নজরুল বা জীবনানন্দ; শহীদুল্লাহ কিম্বা শামসুর রাহমানদের জীবনের এ সব দিক নিয়ে আলোচনাটা পাবলিকলি হওয়ার বিষয় নয়্ এটা একাডেমিক। এটা নিয়ে একাডেমিক আলোচনা যতক্ষণ পর্যন্ত সার্বজনীন হবে ততক্ষণ এটা নিয়ে পাবলিক ডোমেইনে লেখা বা প্রচার সমর্থনযোগ্য হতে পারে না।
আমার কাছে কিছু মানুষের ব্যাক্তিগত স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে আলোচনা আপত্তিকর এবং নোংরামি বলে বিবেচিত। এটা অন্যের কাছে মনে নাও হতে পারে। আমাদের কিছু আশ্রয় থাকা দরকার। যেমন সাহিত্যে রবীন্দ্র-নজরুল। রাজনীতিতে ভাসানী-বঙ্গবন্ধু। সিনেমায় রাজ্জাক-ববিতা। এ রকম আরো। তার মানে এটা নয় যে, তারা ধোয়া তুলসি পাতা। তবে তাদের ব্যাক্তিগত স্পর্শকাতর বিষয়ের চেয়ে তাদের কর্মটাই বড়। সেটিই আলোচনার মূল জায়গা।
- See more at: http://www.priyo.com/blog/2014/05/28/71503.html#sthash.YLky


যে কুতর্ক বিশ্বজি খুবই কৌশলে উস্কে দেয়ার চেষ্টা করেছে এবং সুশীল পাড়ার গবেষক হিসাবে পরিচিত গোলাম মুরশিদ গত বছর বাংলা একাডেমিতে নজরুলকে নিয়ে কুকথা বলেছিলেন, তার সাথে এর এক যোগসূত্র আছে।

গোলামের বিচার হয়নি বলে বিশ্বজি সাহসটা করলেন। বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে যে দেশে নজরুল জাতীয় কবির মর্যাদায় আসীন; সে দেশে এমন নোংরামি সরকার মেনে নিচ্ছে, সেটাও একটা জিজ্ঞাসা হয়ে থাকছে।
 
আমরা যে কোনো ব্যাক্তি সম্পর্কে জানবো, জানার অফুরন্ত আগ্রহ আমাদের আছে। কিন্তু বিশ কোনো এজেন্ডা এখানে হাজির দেখে আমরা ব্যথিত। এগুলো উদ্দেশ্যমূলক, বিকৃত রুচির এবং নোংরা মনোবৃত্তির বহিঃপ্রকাশ।

আমাদের বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠিত আরেকজন কবি সম্পর্কে কমবেশি বিশ্বজি বা গোলামদের জানা। কিন্তু সে সম্পর্কে তারা লিখেননি বলে আমরা কৃতজ্ঞ্। কারণ কিছু মানুষ আছে তাদের কাজের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ব্যাক্তিজীবন নিয়ে ৎসাহ দেখানোটা কোনো কালেই আমার কাছে শোভন মনে হয়নি।
 
বিশ্বজি গোলামরা নজরুলকে ছোট করার যে চেষ্টা করছেন এটা বৃথা। সাহিত্য তার সৃজনশীল, নান্দনিক, সামাজিক প্রাসঙ্গিক দিক বিবেচনা করে গৃহিত বা বর্জিত হয় বলে জেনে আসছি। রবীন্দ্র-নজরুল সাহিত্য সে বিচারে টিকে গেছে।
 
নিজেদের নাম ইতিহাসে রাখার অনেক উপায় থাকতে পারে, কিন্তু প্রতিষ্ঠিত প্রতিভা তাদের সৃনজশীল কর্মের বিষবাষ্প ছড়ানোর যে সুক্ষ কৌশল মতলবাজ মিডিয়া নিয়েছে, সেজন্য আমরা লজ্জিত, স্তম্ভিত এবং ক্ষুব্ধ।
 
এককালে মোল্লারা নজরুলকে বর্জন করেছিল। বলেছিল কাফির। এখন কথিত জ্ঞানীরা, যাদের পাপের চৌহদ্দির মাপতে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তা লাগবে। সে সব লোক নজরুলের মত লোককে নিয়ে কথা বলে!

নারগিসকে নিয়ে আলাপ হতেই পারে। সেটি নিয়ে আপত্তি করার কিছু নাই। কিন্তু সাধারণের বাইরের প্রতিভাতের জন্ম বা মৃত্যু দিবস ঘিরে নিয়ে আলোচনাটা ষড়যন্ত্রেরই অংশ।
 
গত বছর বাংলা একাডেমিতে গোলাম নারগিস এবং প্রমীলাকে নিয়ে নোংরা কথা বলেছে। এর কিছু অংশ প্রেস রিলিজ করে একাডেমি থেকে ছাড়াও হয়। কিন্তু সম্বাদিকরা নিজ দায়িত্বে ওই অংশটুকু ছাটাই করেন।

এবার বিশ যে কথাটা বলার চেষ্টা করেছেন- নজরুল কথা দিযে কথা না রেখে আবার দরদীয় হয়ে উঠেছেন। কিন্তু স্বপক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ তিনি হাজির করেন নি।
ধরে নিলাম কথাটা সত্য। কিন্তু সত্যটা তার জন্মদিন ঘিরে ৎসব আয়োজনে কতটা প্রকাশ যোগ্য।
 
আমরা কী কখনো রবীন্দ্র প্রেমিকা আন্নাকে নিয়ে কোনো লেখা দেখেছি। কাজী আনোয়ার হোসেন , যিনি মাসুদ রানার জনক। তার সম্পাদিত ঐতিহাসিক প্রেমপত্র থেকে যেটি জানা সেটি হলো, আন্নার প্রেম কখনোই ভুলতেই পারেননি রবীন্দ্রনাথ। কিন্তু পিতার বন্ধুর ঘর ত্যাগের পর রবীন্দ্রনাথ কী তার খবর নিয়েছেন? তবে কাজী আনোয়ারের বইয়ের সূত্র মতে, রবীন্রদ্রনাথ বলেছিলেন , তাকে নিয়ে কোনো জাদুঘর হলে সেখানে যেনো আন্নার চিঠিটা থাকে। কিন্তু তার সাথে রবীন্দ্রনাথের সম্পর্ক কেমন ছিল সব আলোচনা কতটা রুচিকর।
 
আমার মনে হয় রবীন্দ্র নজরুল বা জীবনানন্দ; শহীদুল্লাহ কিম্বা শামসুর রাহমানদের জীবনের সব দিক নিয়ে আলোচনাটা পাবলিকলি হওয়ার বিষয় নয়্ এটা একাডেমিক। এটা নিয়ে একাডেমিক আলোচনা যতক্ষণ পর্যন্ত সার্বজনীন হবে ততক্ষণ এটা নিয়ে পাবলিক ডোমেইনে লেখা বা প্রচার সমর্থনযোগ্য হতে পারে না।
আমার কাছে কিছু মানুষের ব্যাক্তিগত স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে আলোচনা আপত্তিকর এবং নোংরামি বলে বিবেচিত। এটা অন্যের কাছে মনে নাও হতে পারে। আমাদের কিছু আশ্রয় থাকা দরকার। যেমন সাহিত্যে রবীন্দ্র-নজরুল। রাজনীতিতে ভাসানী-বঙ্গবন্ধু। সিনেমায় রাজ্জাক-ববিতা। রকম আরো। তার মানে এটা নয় যে, তারা ধোয়া তুলসি পাতা। তবে তাদের ব্যাক্তিগত স্পর্শকাতর বিষয়ের চেয়ে তাদের কর্মটাই বড়। সেটিই আলোচনার মূল জায়গা।

এখনো আমার কাছে প্রেম বললে সেই একই নারী


আমার কোনো অভিযোগ নেই, দাবি নেই
ছিলও না কোনো কালে।

একবারই প্রেমে পড়েছিলাম- অশীতিপর এক বৃদ্ধার, শ্যামল রঙ।
আমার পথ চেয়ে যে বসে থাকতো
খাবারটা এগিয়ে দেয়ার জন্য উদগ্রীব হতো
আদর-আশ্রয়ে ঢেকে রাখতো আমার পুরোটা সময়।।

কী সম্মোহনী শক্তি তার,  চাহনিতে কী মায়া-প্রেম-ভালোবাসা।

এমন দ্বিতীয় একজন মানুষ খুঁজিনি; আমি কখনোই।
বয়স তখন কত আমার? নয় কী দশ।

এখনো আমার কাছে প্রেম বললে সেই একই নারী
ভালোবাসা মানে আমার ছেলেদের হাসি
কষ্ট বললে আমার ছেলেদের চোখের জল
 অন্যায় বললে বাবা মা থেকে দূরে থাকা

আমার কোনো অভিযোগ নেই, কারো প্রতি
থাকার কথাও নয়।

দায়িত্ব আছে অনেক, তার কিছুটা হয়ত আমি পালন করি
অনেকটা পারি না। মানুষ সব পারে না।
অতিমানব আমি নই; হতেও চাইনি কখনো।

তোমার চোখ, মায়াবী পাখির ছানা আর শাপলা পাতার ওপর ঘাস ফড়িং

তোমার চোখ, মায়াবী পাখির ছানা আর শাপলা পাতার ওপর ঘাস ফড়িং

দখিনা বাতাস উড়িয়ে নিচ্ছে মরা পাতা
দিয়ে যাচ্ছি স্বস্তি

এমনই কোনো এক দুপুর
মেঠোপথে-তুমি আমি মুখোমুখি
চারিদিকে নির্জন


দূরে উড়ে যাচ্ছে ধানশালিক
আধো ভেজা মাঠের কোনো বসে জিরিয়ে নিচ্ছে ব্যাঙ


কী সরল সে সময়টা, কোনো ঝামেলা নেই
শঙ্কাও ছিল না।

এখন-
অস্থির সময়।
আমি হাসতে চাই, প্রাণ খুলে
হল্লা করে নিশুতি রাতে  ঘুম ভাঙিয়ে দিতে চাই
উড়ে যেতে চাই তোমার কাছে।

কী এক অদ্ভূত অসম্ভব চাওয়া

তোমার চোখ, মায়াবী পাখির ছানা আর শাপলা পাতার ওপর ঘাস ফড়িং
আমার দেখা পৃথিবীর সবচেয় বিস্ময়কর আনন্দময় ঘটনা।।

প্রিয় পুত্র; প্রিয় বাবা; প্রিয়তম আমার


প্রিয় পুত্র; প্রিয় বাবা; প্রিয়তম আমার

অনন্তকাল ধরে তোমার-তোমাদের চোখে চেয়ে আনন্দ । 

বৃদ্ধাশ্রমের ভয় নেই আমার। 
জানি নিষ্ঠুর বাস্তবতা তোমাকে আমাকে দূরে রাখবে।

দূষিত নগরে বাতাসে সীসার আস্তরণের মতই-
জানি এ ছোট্ট বিষয়টা দূরে ঠেলতে পারলে 
অসীম আকাশ

প্রভুর সান্নিধ্য-
পিতা পুত্র একসাথে আমরা
অনাবিল জোছনায় ভিজবো
তোমার হাসিতে মোহিত আমার পৃথিবী

ভালোবাসি বাবা, ভালোবাসি পুত্র; ভালবাসি প্রিয়তম আমার।

যাচ্ছি খাগড়াছড়ি :: সোনামুখ মেয়েটার গাল উজ্বল!

খাড়া রাস্তা, ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক, সন্ধ্যা নামার আগেই ঘরে। লণ্ঠন জ্বলছে। সোনামুখ মেয়েটার গাল উজ্বল। দিনের ক্লান্তি ভুলে- কাটছে বুনো শাক। রাতের খাবারের আয়োজন। এর ভেতর দিয়ে ছুটবে গাড়ি।

ফেণী নদীর তীর ছুঁয়ে রাম গড় হয়ে গাড়িটা ঢুকে যাবে খাগড়াছড়ি।  অনেক ইতিহাস আর বাংলাদেশের  বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের বাঁক ঘিরে আছে এই একটি জেলা। যেখানে জনসংহতির নেতা এমএন লারমার জন্ম। যাকে জুম্মু জণগণের অধিকার আদায়ের মহান নেতা মনে করা হয়। একই জেলায় ইউপিডিএফ নেতা প্রসীত বিকাশ খীশারও জন্ম-বেড়ে ওঠা।
এমএন লারমা এমন একজন লোক যিনি বঙ্গবন্ধু সরকারের সময় সংসদে বলেছিলেন, আমরা বাঙালি নই। আসলে জাতি বৈচিত্রের অনন্য এক  জেলা খাগড়াছড়ি। এখানকার মানুষের মন প্রকৃতির মতই নরম এবং আনন্দময়। আবার দ্রোহ বিদ্রোহের আগুনে পোড়া।

তবে প্রকৃতি অসাধারণ, অচেনা ফুলের শোভা, রমণীয়  ভঙ্গিমায় নেমে আসা ঝরণা ধারা, আর আলুটিলা গুহার গা ছম ছম করা অভিযান, যে কোনো মুহুর্তে উন্মাদনায় অস্থির করার মত।

আলু টিলা এলাকাকে থেকে পাখির চোখে দেখা যায় খাগড়াছড়ি পুরো শহর।  সেখান থেকে শহরটা দেখতে নাকি সিঙ্গাপুরের মত। সেনখানকার লোকের মত এটা।

তবে আমার কাছে বাঁশের কঞ্চির ওপর কেরোসিন ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে গুহাটা ঘুরে আসার মধ্যেই আনন্দ।  সে রকম আনন্দ। প্রথমবার যখন ঢুকেছিলাম, ভেবেছিলাম এই শেষ। আর বের হতে পারবো না। পরে দেখি আমি বাইরে। কী দারুণ, আনন্দময়।  

শহরের শাপলা চত্বরে গাড়িটা থামার কথা। তারই আগে চেঙ্গি নদী। পকেটে টাকার পরিমাণ যদি ভালো  থাকে আমরা নেমে পড়বো পর্যটন মোটেলে। অবশ্য সিটট থাকাও লাগবে। সেখানে গেলে রাতের ক্লান্তিকর ভ্রমণের কষ্টটা  মুছে যাবে। চেঙ্গি নদীর মৃদু স্বরে বয়ে যাওয়া জলের ধ্বনি আর  ঘানফুলের সুবাস মোহিত সকালটা এভাবেই কাটতে পারে।


যাচ্ছি খাগড়াছড়ি... কে কে যােবে?

বিস্তারিত পরে। 

মোদি বা মনমোহন কেউ-ই আমাদের বন্ধু নন

মনমোহনের জন্য খারাপ লাগছে। আহা বেচারা। ১০ বছরের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন বাংলাদেশের  অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে যতাটা ভেবেছেন, তার কিছু অংশ নিজের দেশ নিয়া ভাবলে হয়ত, এ  বিপর্যয় তার ও কংগ্রেসের হতো না।

তবে মনমোহন বাবুর পলিটিক্যাল জ্ঞান খুব ভালো।  তিস্তার জল নিয়া যে নাটকটা দাদা বানাইছেন, এটা একেবারেই সুপার হিট। আমির খান পর্যন্ত ফেল মারছে। এ রকম সিনেড্রামা, দ্বিতীয়টা হালনাগাদ তৈয়ার হয়েছে বলে মনে হয় না।

মনমোহন বাবু  নাকি সবজি খায়, আটা খায়। ঢাকায়  সোনারগাঁতে যখন রাত যাপন করেছেন, সে সময় তার সাথে আটার বস্তাও বাংলাদেশ এসেছিল।

আমরা বিয়ে করে নতুন জীবন শুরু করতে  মমনমোহন বাবুর দেশে যাই, আলুর দম, রুমালি রুটি, মাসালা দোসার স্বাদ নিতে।  বিয়ের আগে শপিং করি, শরীররে জং ধরলে তাদের চিকিৎসা কারখানায় যাই।

নির্বাচন মানেই পরিবর্তন।  নিশ্চিতভাবে এটা বলা যায় না।  তবে উপমহাদেশে এমনটাই রেওয়াজ।
মুখোশের আড়ালে কংগ্রেস  ভয়ঙ্কর একটা রাজনৈতিক দল। মোদি ও তার ভারতীয় জনতাপার্ট্রি কম না। তবে কংগ্রেসের জমানো ১০ বছরের পাপ আর  বাসে ট্রামে ধর্ষণ মানুষকে বিষিয়ে তুলেছে ভারতীয়দের। মোদির পাপা গুলো মানুষ ভুলে গেছে।  অনেক সময় তো- তাই হয়েছে। আমরা তো আরো বেশি  তাড়াতাড়ি ভুলে যাই।  আজকে মারলে কালই শেষ!

ভ্যাজিটিরয়ান  মনমোহন বাবুর দণ্ডায়মান হতে সময় লাগে। লাগবেই।  মোদিরও লেগে থাকতে পারে। তবে   বিপর্যয় যে সময় মানে না তার ছোট্ট উদাহরণ হয়ে থাকলো কট্টরপন্থী মোদি।

মুসলমানদের ওপর নিয়মিত  নিপীড়ন ইনডিয়ার কট্টরপন্থী হিন্দুরা করে থাকে। মুসলমানদের সংস্কৃতি, সম্পত্তি এবং জাসিতত্ত্বা সেখানে হুমকির মুখে। কাশ্মীরে ধুঁকে ধুঁকে মরছে মুসলমানরা।  মুসলিম নারীর সম্ভ্রম সেখানে  জলের দামে মিলে। গুজরাটের ফাতেমার গ্যাং র্যাপের প্রমাণ মিললেও শাস্তি হয়নি। ভারতীয় মানবাধিকার কমিশন রিপোর্টের বস্তা বানিয়েছে। কিন্তু আমল করেনি। তাই বোধ করি ধর্ষণ মাত্রা ছাড়িয়েছে, দেশটিতে। মোদি ক্ষমা চাননি তার পাপের জন্য।

কংগ্রেস, বিজেপি কেউ মুসলমানদের বন্ধু নয়। বন্ধু হতে পারে না। তবুও মুসলমানরা যে দেশ থেকে  ব্রিটিশদের তাড়িয়েছে, তাড়ানোর আন্দোলনে রক্ত দিয়েছে, সে দেশটাকে তারা নিজের দেশই মনে করে। অন্তত এক দশকেরো বেশি সময় ধরে ভারতের মানুষ সম্পর্কে যা জানি, তা থেকে  এটা নিশ্চিত।

মুসলমানদের নিরাপত্তা তাদের নিজেদেরই নিশ্চিত করতে হবে। সেটি অভ্যন্তরীন রাজনীতিতে নিজের গুরুত্ব ও সমস্যা সমাধানের য়ৌক্তিক সমাধান  খুঁজে বের করার মাধ্যমটা একটা বিবেচনা হতে পারে।
মুসলমানরা নিপীড়িত জাতি, সেটি যেখানেই হোক। যে দেশেই হোক।

মোদি বা মনমোহন কেউ-ই আসলে আমাদের বন্ধু নন। ভারত কখনোই আমাদের বন্ধু হতে পারে না। এটা কৌশলগত কারণেই হতে পারে না। তাকে নানা রকমের ফন্দি ফিকির করতে হয়। যদি বন্ধু হতো তাহলে স্বাধীনতার পর ৪৪ টি বছরের কোনো একটা সময় আমরা সেটি দেখতে পেতাম। তাহলে তিস্তায় ৪০ কিউসেক পানি গড়াতো না। পদ্মার বুকে ধুধু বালু চর থাকতো না। বাল কাটার ব্লেড আর চুল কাটার খুর, ঘুম পাড়ানোর জল আর পরকীয়ার তরিকা সমেত আফিম-সিরিজ আসতো না।
ভারতের বন্ধুত্বের নমুনা আমি  দেখতে পাইনি, হয়ত আমি কানা। আপনারা যারা দেখতে পেয়েছে, তাদের ভবিষ্যত উজ্জ্বল। ফকফকা।
 

ফুলগুলো এখন রক্ত! মৃত মানুষের মুখ!


ফুলগুলো এখন রক্ত! মৃত মানুষের মুখ!
কৃষ্ণচূড়া, রাধা চূড়ায় ভরে আছে নগর
তির্যক হাসি তার, কি কঠিন, রূঢ়

কার প্রতি এ উপহাস? কাকে তাচ্ছিল্য করছে মৃত মানুষের মুখ!

আগে ফুল দেখলে প্রেম জাগতো মনে!
জুড়িয়ে যেতো চোখ
এখন ভয়।আতঙ্ক।

মাথার পেছনে আঘাত করা মানুষ গুলো ডুবে যেতে থাকে
শীতলক্ষ্যার ঘোলা জলে।
সেই সাথে রাষ্ট্র!

মানবাধিকার ভেসে থাকে কথায়-
কমিশন চেয়ারম্যান ড.মিজান-
 নিজের শরীর সামলাতে
প্যান্টের সাথে দড়ি টানা দিয়েছেন কাঁধে!

অনেক মানুষের মস্তক-
শরীর পঁচে গেছে-
ডোবায়, নালায়, ডাস্টবিনে,বাগাড়ে

লোবান জ্বলেনি তার জন্য
সুগন্ধি ছিটায়নি কেউ!
মার্কিন কাপড় পরার সুযোগ হয়নি।
হবার কথাও নয়।
বেঁচে থাকাটাই এখন একটা মিরাকল।

ক্ষমতার যৌনতা কীভাবে চুষে নেয় নৈতিকতা !

সমাজের দু চিত্র। একটা ইতিবাচক। আরেকটা নেতিবাচক। তেমিন মানুষেরও দুটো রূপ। মুখোশ খুলে আমরা নতুন আরেকজনকে আবিষ্কার করতে পারি!

ধারণা করি এ কারণেই বাংলার প্রথম সবাক সিনেমার নাম হয়েছিল 'মুখ ও মুখোশ'। আসলেই তো আমরা সবাই মুখোশ পরে থাকি। আড়ালের ছবিটা আমরা লুকাই। ভীষনভাবে লুকাই।

দেশে যে হারে মানুষ গুম ,খুন, নিখোঁজ  হচ্ছে সেটা হালাল করার নানা রকমের বিষয়াদি আমরা হাজির করছি। অভিযুক্তরা এ সব স্বীকার করছেন না। উল্টো তাদের ক্ষমতা আর বল প্রয়োগে সাধারণ মানুষ চিড়ে চিপ্টে।

তাতে কারো কিচ্ছু যায় আসে বলে মনে হয় না।  কারণ নানা আবরণে মানুষকে ঢেকে দিয়ে হত্যাকে এক রকম জায়েজ করে দিযেছি।  এটা কোনো ভাবেই কাম্য হতে পারে না।

যাদের বলা হয় 'সিভিল সার্ভেন্ট' তারা এ শব্দটা পাল্টে 'পলিটিক্যাল সার্ভেন্টে' রূপান্তরিত হয়েছেন। কিছু ব্যাতিক্রম অবশ্যই আছে!

সময় কীভােব বদলে যায়, অবাক লাগে। একটা সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দেশের  প্রতিটি ঘটনার প্রতিক্রিয়া হতো। আজ হয় না। কেনো হয়না সেটি আমি জানি, অনেকেই জানেন। তবে সবচেয়ে ভালো যারা জানেন তারা সে সময়কার প্রতিক্রিয়া দেখানো লোকেরাও।

সে সময় মনে হতো তারা আসলেই কত মহান। এ রকম খারাব কাজের প্রতিবাদ করছেন। আজ মনে হচ্ছে কেবল দলীয় সঙ্কীর্ণতায় সে সব  ছিল লোক দেখানো।

একটা ঘটনা বলি- ২০০৩ সালের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ইভনিং শিফটে বাড়তি টাকা নিয়ে কোর্স চালু করার একটা প্রবণতা দেখা দিলে সবাই মিলে এটা রোধ করেন।  দুএকটি ব্যাতিক্রম ছাড়া অন্য ডিপার্টমেনট বাধ্য হয়, আন্দোলনের কাছে মাথা নত করতে!

কিন্তু এখন প্রায় সব ডিপার্টমেন্টরই এ রকম একটা বাণিজ্য আছে। আরো অবাক করা বিষয় হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে টিভি ও ফিল্ম নিয়ে একটা ডিপার্টমেন্ট খুলেছে, দিনে পড়ায়, তবুও যেখানে মাস্টার্স পড়তে হলে প্রায় দেড়লাখ টাকা গুনতে হচ্ছে। এ রকম নৈরাজ্যের সময় কাউকে প্রতিবাদি হতে চোখে পড়ছে না।

আনোয়ার স্যার, আরেফিন স্যার, মেসবাহউদ্দিন স্যার, সুলতানা ম্যাডাম, নাসরিন ম্যাডামরা এখন কই। কত রকমের ব্যাখ্যা নিয়েই না তারা হাজির হতেন।  রাজনীতিকে আমি রাজনীতির নিক্তিতে মাপি। কিন্তু আমার প্রিয় ক্যাম্পাসের কিছু মানুষের রাজনীতিকে আমি সেই নিক্তিতে মাপতে চাইনি।

 তবুও মনে হচ্ছে ক্ষমতার বাইরের রূপ মুখোশ। ভেতরেরটা মুখ-বা আসল রূপ! 

আবার ভিন্নভাবে দেখুন না।  সদরুল স্যাররা কি রকমের আপসকামী। ভয়ে মিইয়ে আছেন। কোনো প্রতিবাদ নেই।  ওবায়দুল স্যারকে বাধ্যতামূলক ছুটি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। কিছুই হয়নি। তিন্তু ২০০২-২০০৩ সালের দিকে শফিক স্যারের ছুটি নিয়ে কী ক্যালেঙ্কারিই না হয়েছিল। ভাবছি, আর উন্মোচন করছি ক্ষমতার যৌনতা কীভাবে চুষে নেয় নৈতিকতা।

আতঙ্ক, ভয়!



জোছনা বিছিয়ে দিলো শ্বেত-শুভ্র চাদর
ঝিঁ ঝিঁ ডাকছে। ধানের ক্ষেতজুড়ে সবুজের সমারোহ
অদ্ভূত সেই রাত; আমুদে।
দখিনা বাতাসে উড়ছে তোমার চুল।

মনে পড়ে প্রিয়তমা। সেই সব দিন।

বয়স তখন কত আমার?
১৭ কিম্বা ১৮ !
তোমারও  কাছাকাছি।
চিন্তাহীন, আতঙ্কমুক্ত সময়
হারিয়ে যাওয়ার ভয় নেই! কী দারুণ না ছিল সেই সময়টা ?

এখন আমি ৩৪। মায়াবী গ্রাম ছেড়ে নগরে!
তবুও  আতঙ্ক, ভয়!
গুম, অপহরণ, খুন- শব্দগুলো তীরের মত বিঁধছে।
নদীতে, ডোবায়, নর্দমায়, ডাস্টবিনে বনি আদমের লাশ

কী যে এক আতঙ্ক প্রিয়তমা!
এই বুঝি তুলে নিবে সাদা মাইক্রোবাস, কালো গ্লাসটা উঠে যাবে
চমশা সরিয়ে কেউ একজন বলে উঠবে, 'অনেক বেড়েছিস!'

আসলেই তো তাই?

আগে বাবা ডাকতাম, এখন আমাকেও কেউ ডাকে!
এই ডাকটা আবার কারো অসহ্য লাগতে পারে!
তবুও সন্তানের জন্য নিরাপদ একটা রাষ্ট্র কি আমি চাইতে পারি না? পারি।
কারন এই দেশ আমারো।

কার কাছে চাইবো সেটি-
কেউ কি বলতে পারেন?

আমি ভয় পেতে চাইনা, আতঙ্কগ্রস্থ হতে চাইনা।
নিরাতঙ্ক মনে পথ চলতে চাই,
ইচ্ছে হলেই হারিয়ে যেতে চাই
এখানে সেখানে
রূপসী বাংলার এ প্রান্তে ও প্রান্তে-যেখানে আমার ইচ্ছে।

আজ ভাবছি- ভালো আছি! কাল  কি হবে?
আমাকে তো তুলে নেয়নি-
অন্যকে নিয়েছে বলে যারা ঝিম মেরে আছি!
তারা কি নিশ্চিত, কাল আমাকে তুলে নেবে না,
সাদা পোশাকের কোউ লাত্থি মেরে বলবে না 'তুই শেষ!'

এখনই সময় বন্ধু-প্রিয়তম
হাতে  রাখো হাত
গড়ে তোলো প্রতিরোধ!