সমকামিতা-- ফেসবুক এবং আম্রিকা


আম্রিকা সমকামিদের বিয়ে 'জায়েজ' ঘোষণা করার পর দেশটি 'যৌনাধিকার' স্বীকার করে নিয়েছে এ আনন্দে অনেকে উত্তেজিত। অনেকে বুঝে, না বুঝে কেউ হুজুগে মার্ক জাকারবার্গের ফেবুট্যাবলেট খেয়ে নিজের ছবিটা  সাতরঙের নিচে লুকিয়ে নিজেকে অগ্রগামি প্রমাণের চেষ্টা করেছেন--- আমাদের দেশেও।

ধারণা করি এদের অনেকের সমকামিতার অভিজ্ঞতা থেকে থাকবে, অথবা তারা সমকামিতায় ইচ্ছুক অথবা তারা সমকামিতাকে প্রশ্রয় দিতে ইচ্ছুক। সে যা-ই হোক স্বাধীন মানুষের চিন্তা জগতও স্বাধীন। তবে এ স্বাধীনতার সাথে আমার ব্যাক্তিগত দ্বিমত রয়েছে।  আমি সরাসরি এটার বিপক্ষে।

২১ জানুয়ারী ২০১৪ সালে আমি এ সংক্রান্ত একটি ব্লগ লিখেছিলাম। সেটি আপনারা আরেকবার চোখ বুলাতে পারেন। সেখানে আমরা কথা গুলো এ রকম--- 'রূপবান' বের হয়েছে। সমকামিদের কথা বার্তা নিয়ে প্রথম মলাটবদ্ধ বাংলা প্রকাশনা। আমাদের আশপাশে অনেক সমকামি আছেন, ছিলেন এবং থাকবেন। তাদের অধিকতার নিয়েও কাজবাজ হচ্ছে। হবেও। তাতে আমার বিদ্রোহ করার মত কোনো ঘটনা ঘটেনি।

অনেকে এটাকে স্বাভাবিক দৃষ্টিতে দেখছেন- দেখবেন, তবে এটাকে যদি আমরা সমস্যা মনে করি তাহলে- সমাধানটা এখনই ভাবনায় আনা দরকার।

পশ্চিমা দুনিয়ার যাপিত জীবন সম্পর্কে আমার প্রত্যক্ষ ও বিশদ ধারণা নাই। কিতাব পত্র পড়ে কিছুটা জেনেছি মাত্র। বিশ্বজুড়ে সমকামিদের অধিকার নিয়ে ব্যাপক আলোচনা। আমেরিকা সমকামি বিয়ে জায়েজ করেছে। কিন্তু কুরআনে আছে কাওমে লুতকে আল্লাহ সমকামিতার চরম শাস্তি দিয়েছিলেন।

আমাদের দেশে সমকামিতা রয়েছে, এটা স্বীকার করতেই হবে। এ ক্ষেত্রে একটি বিশেষ সম্প্রদায় যারা বোর্ডিং স্কুলে বা মাদরাসায় পড়েন, তাদের দিকে ইঙ্গিত করা হতো। এখন সে বলয় থেকে এটা বেরিয়ে বড় আকারে সামনে এসেছে।

বিব্রতকর এ বিষয়টি আমরা এখনো সামাজিকভাবে তো বটে, পারবারিক- এমনকি ব্যাক্তিগতভাবেও গ্রহণ করতে পারি না, পারার কথাও নয়। বিশ্বেবর কোথাও মনে করা হয়- এটা রোগ। এটা অপরাধ হিসাবে দেশে এখনো স্বীকৃত।


আমাদের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি সমকামিদের অধিকার বাস্তবায়নে তার সরকারের সোচ্চার থাকার কথা একখানা ঘোষণাপত্রে সই করে জানিয়েছেন। একই জায়গায় ড. ইউনূসও একমত।

তবে সরকার এখানে ধর্মীয় আবেগকে কাজে লাগিয়ে ড. ইউনূসের বিষয়ে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়েছে ২০১৩ সালে।

 নয়া আওয়ামী লীগের সরকারের হানিমুন পিরিয়ডে রূপবান প্রকাশ পেলো, এটা নিয়ে আমাদের রাজনীতির কিছু নাই। তবে উপলব্ধি:র অনেক কিছুই আছে। কারণ আমরা প্রথম সিদ্ধান্ত নিবো- সমকামিতাকে আমরা কোন চোখে দেখবো!

এটা কি অপরাধ? যদি অপরাধ হয়, তাহলে আমরা কীভাবে এর মোকাবেলা করবো। যদি অপরাধ না হয় তাহলে আমরা এটা থেকে যারা রক্ষা পেতে চায় তাদের কীভাবে সুরক্ষা করবো।

এ দুটো প্রশ্ন নিরয়ে ব্যাপক আলোচনা হতে পারে- সে জন্য বিশেষজ্ঞরা আছেন। আমি আমার ঝুলিতে থাকা অনেক ঘটনা থেকে কয়টা বলি। সাথে ছোট্ট একটা টোটকা সমাধানের কথাও বলবো।

২০০৩ সালে মানবজমিন একটা রিপোর্ট করেছিল, বিদেশি সমকামি পুরুষদের জন্য রাজধানী ঢাকায় কিছু ছেলে ভাড়া খাটেন। তার মানে নারীদের মত এ পুরুষরাও শরীর বেচেন।

একই বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ছাত্রী হলে সমকামি নিয়ে তুলকালাম হয়, খবরটি আমি, চেপে যাই, কারণ এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইজ্জতের মামলা বলে মনে করেছিলাম!

একই বছর ফরিদগপুরে এক নারী সমকামি জুটি বিয়ে করলে তোলপাড়, তা নিয়ে মানবজমিন ধারাবাহিক রিপোর্ট করেছিল। সে সময় সমকামিদের অধিকার নিয়ে তর্ক হয়েছে, এবং এটাকে অপরাধ বিবেচনা করে মামলাও হয়েছিল।

তারো আগে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের ভোটযুদ্ধের মিত্র একটি রা্জনৈতিক দলের একজন বহিষ্কৃত নেতা সম্পর্কে সমকামিতার অভিযোগ ওঠে এবং সম্ভবত সংগ্রাম পত্রিকা খবরটি প্রকাশ করেছিল।

বাংলাদেশে সমকামিতাকে অন্যকে ঘায়েল করার হাতিয়ার হিসাবে দেখা হয়, বিশেষ করে যে সব দল ইসলাম 'প্রতিষ্ঠা'র রাজনীতি করেন, তাদের থেকে কেউ বিচ্যুত হলে তার বিরুদ্ধে হয় সমকামিতা না হয় আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ অথবা দুটোই উত্থাপন করে তাকে সামাজিকভাবে জিরো করে দেয়ার চেষ্টা হয়।

মুসলিম, বৌ্দ্ধ, খ্রিস্টান এবং হিন্দু অনাথালয়ে সমকামিতা দেশের আনাচে কানাচে রয়েছে। দেশে নারীদের মধ্যে সমকামিতা তুলনামূলক কম বলে আমার ধারণা । এ ধারণা ভুলও হতে পারে।

এটা থেকে মুক্তির উপায় কি? আমার মনে হয় নৈতিক শিক্ষা। আমরা সন্তানদের ছোট বেলা থেকেই যদি সুরক্ষা করতে পারি এবং নৈতিক ভিত শক্ত করতে পারি, তার ভেতর দিয়ে এ সঙ্কট মোকাবিলা করতে পারবো। একই সাথে নিয়মিত কাউন্সিলিং এবং নারী পুরুষদের মধ্যকার সম্পর্ককে সহজ করে উপস্থাপন করাটাই শ্রেয় এবং এ বিষয়ে শিশুদের বিস্তারিত জানানো। একই সাথে কারো মধ্যে সমকামিতার প্রবণতা থাকলে সেটাকে আগেই অ্যাড্রেস করে তাকে এ সমস্যা থেকে বের হতে সহায়তা করা । তাদের ঘৃণা নয়, ভালোবাসা দিয়ে জয় করতে হবে।

একেই বলে প্রেম--- পুত্র প্রেম!


বড় ক্লান্তি ভর করে চোখের ওপর
মেঘ নেমে গেলে কুয়াশার মত নীলগিরি চূড়ায় পরীরা আসে
হাত বাড়ায়---
শরীর ছুয়ে যায় বিকালের কিশোরী বৃষ্টি-তুষারধারার মত বয়ে যায় মেঘবালিক

চোখ বন্ধ হয়ে আসে সুখে---মনের ভেতর গুমরে মরা মেঘগুলো ঝরে বৃষ্টি হয়ে--- চোখের পাতায়
 বৃষ্টির সাথে আমিও কাঁদি।।

 জল গড়িয়ে সারা বছরের শুষ্ক পাহাড় ভিজতে থাকে
 ভিজতে থাকা যৌবন, ডুবে যায় সিদ্ধান্তহীনতার ভেতর

 মৃত্তিকা খসে পড়ে; তার নীচে চাপা পড়ে কারো জীবন
 সাঙ্গু নদীর জল উপচে পড়ে, পাহাড়ে এ ধার ও ধার থেকে গড়ানো জলে ছোট ছোট ঝরণা

 এত উৎসব কিসের, কিসের এত উচ্ছ্বাস

শৈশবে যা চেয়েছি; পেয়েছি তার সবই!
তারুণ্যে যা সঠিক বলেছি
যৌবনে সেটাকে ভুল মনে হচ্ছে।

 যদি বৃদ্ধ হবার ভাগ্য হয়--- তাহলে তাকে কী বলবো

বড় ক্লান্তি ভর করেছে চোখের পাতায়, শরীরটা টেনে নিয়ে অরণ্যে রাখি,
পাহাড়ের চূড়ায় রাখি---
 অপরাধ আমাকে পুড়িয়ে যায়।
প্রতিটা বিকালে ভাবি--- এ জীবনজুড়ে--- এখানেই আনন্দ উৎসবের কথা ছিল

বহু রঙ্গের ভেতর নিজেকে মেলাতে গিয়ে নিজের রঙই হারিয়ে গেছে
বহুজনের কষ্ট ধরতে গিয়ে নিজের প্রত্যাশার কথাটাই ভুলে গেছি

তবুও দুই জোড়া  চোখ
একবার তাকালে---চোখের তারায় একবার ভাসলে
পৃথিবীর সব কষ্ট মুহুর্তে উড়ে যায়।
ঝকঝকে রোদে হেসে ওঠে একটা জীবন।
একেই বলে প্রেম--- পুত্র প্রেম।  

লালবাগ কেল্লা লইয়া প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের তেলেসমাতি



লালবাগ কেল্লার ভিত্রে রোজা উপলক্ষে যে ভিআইপিদের ইফতারির হাট বসায়নি প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ সেটাও ভাগ্যের ব্যাপার। আশা করি সামনের কুরবানির ঈদে তারা সেখানে কুরবানী হাট বসাবেন। যাতে ভিআইপিরা গাড়ি পার্ক করে  আরাম করে গরু কিনে ফিরতে পারেন। আর গরুর পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য কেল্লার ভিত্রের যে জল প্রবাহের  ক্যানেল আছে তার ভালো ব্যবহার  হবে। এ সব অকেজো রেখে কী লাভ।

 দেশে অনেক বেকার  তাদের সেখানে পুনর্বাসনও সোয়াবের কাজ । প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ লালবাগ কেল্লার অভ্যন্তরে পর্যটকদের জন্য একটা কেনাগার বা বিক্রয়াগার কিম্বা সুভিনির শপ নামে কয়েকটা দোকান খুলে ব্যবসাও পাততে পারেন। ভোজন রসিক ভিআইপিদের জন্য কেল্লার অভ্যন্তরে কয়েকটা ঐতিহ্যবাহি খাবারের দোকান খুলতে পারেন--- যেমন হাজির বিরিয়ানি, রাজ্জাকের  মাঠা  আর পাঠা মহা পরিচালকের  বউয়ের কোনো রসেপিতে রান্ধা  রসগোল্লা।

এ সবে কেল্লার আয় বাড়বে। মহাপরিচালকের আয় বাড়বে। তার মাথার উপ্রে ছাতি ধরে রাখা লোকেরও খোশ দিল থাকবে। তা ভাইসাব আসেন লালবাগ কেল্লার ভিত্রে খালি ঘরে  প্রত্নতত্ত্ব মহাপরিচালকের বাসস্থান করাও যেতে পারে। এতেও কিন্তু কেল্লার মূল নকশার কোনো পরিবর্তন হবে না।

কেল্লার দেয়াল ভেঙ্গে ভিআইপিদের জন্য গাড়ি পার্কিংয়ের কাজ শুরু করে মহাপরিচালক আলতাফ হোসেন বলেছেন, 'এই দেয়াল ভাঙার কারণে লালবাগের কেল্লার মূল নকশার খুব একটা ক্ষতি হবে না।'

সাহিত্যিক মইনুল আহসান সাবের  ফেসবুকে তার প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন--- '  যথাযথ উদাহরণ দিতে গিয়ে মহাপরিচালক নিজের হাঁটু থেকে দু পা কেটে ফেলে বলতে পারতেন, দেখুন তো, আমার মূল নকশার কোনো ক্ষতি হয়েছে?'

 আমারো তাই মনে লয়। 

পর্যটকদের যে কোনো জায়গায় যাবার আগে কিছু জরুরী বিষয়ে জেনে নেয়া দরকার-


১. লোকাল নিরাপত্তা, ২. পর্যটন স্পটের নিরাপত্তা, ৩. খাবার দাবার, ৪.থাকার ব্যবস্থা, ৫.যানবাহন,৬. পর্যটকের জন্য স্বাস্থ্য সুিবিধা ৭. সাইট সিয়িংএর ঝুঁকি এবং ৮. প্রযুক্তি ও সময় সমন্বয়।
এ সব না জেনে হুট করে কোথাও যাওয়াটা ঠিক নয়। আমরা ভ্রমন করি আনন্দের জন্য। রবীন্দ্রনাথ তার শেষের কবিতায় স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য হাওয়া বদলের কথা বলেছেন।
হাওয়া বদল বা ভ্রমণ আমাদের স্বাস্থ্য, প্রতিদিনকার জীবন এবং বন্ধু-বান্ধব-আত্মীয়-স্বজন-পরিবারের সাথে সম্পর্ককে মজবুত করে। একই সাথে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের মাধ্যমে নিজের মনে প্রাণে অসাধাররণ অনুভূতি ও অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের সুযোগ করে দিয়ে থাকে।
একই সাথে ভিন্ন সংস্কৃতি, লোকজ মেলা-পরিবার ও স্পটের সাথে পরিচয়ের সুযোগ ঘটে থাকে।

এবার মাঠ ছেড়ে সীমান্তে নজর দিন বঙ্গবাসী

নায়েক রাজ্জাক কে ফেরত না পাবার নবম দিন । এবার মাঠ ছেড়ে সীমান্তে নজর দিন বঙ্গবাসী।
গত সপ্তাহের বুধবার রাজ্জাককে অপহরণ করে মিয়ানমার বর্ডার পুলিশ- বিজিপি।
হতাশার কথা হলো পতাকা বৈঠক হবে শুনছি। এখনো হয়নি ।
রক্তাক্ত রাজ্জাককে গাছের সাথে বেছে রাখার মৃদু প্রতিবাদ সংসদে হয়েছে। এটা একটা ভালো খবর ।
সবাই নিশ্চিতভাবে একমত হবেন --- মিয়ানমারের খোয়াড়ে রাজ্জাক নয়। পুরো বাংলাদেশ ।
রাজ্জাক এখানে প্রতীক মাত্র । দল আপনার যা-ই হোক ; মত আপনার ভিন্ন হোক --- সীমান্ত কিন্তু একটা ।
তাই সীমান্ত সন্ত্রাস বন্ধে আমাদের উদ্যোগ দরকার ।

'বাইরে না পারলে ঘরে এসে বউ কিলাও'

কথাও কাজে মিল থাকলে বিজিবি প্রধানের বয়ান শুনেও শান্তি লাগতো। ৬ দিন ধইরা নায়েক রাজ্জাক মিয়ানমারের বন্দী। মেরে তার নাক ফাটিয়ে দেবার পরেও বিজিবি প্রধানের ১৫ জানুয়ারী ২০১৫ দেয়া বক্তব্যের প্রতিফলন দেখলাম না। গ্রাম অঞ্চলে একটা কথা আছে 'ঘরেই সব পারে; বাইরে পারো না। wink emoticon'--- 'বাইরে না পারলে ঘরে এসে বউ কিলা্ও।' এটা হলো বাইরে কোনো মুরদ ফলাতে ব্যর্থ পুরুষের জন্য ব্যবহৃত বা অতি ব্যবহৃত কথা। বিজিবি কর্তাদের জন্য এ কথটা ব্যবহার করবেন না---- প্লিজ।

''সাংবাদিক সম্মেলনে বর্তমান পরিস্থিতি ছাড়াও বিজিবি’র গত বছরের কর্মকাণ্ডের একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরেন মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ। তিনি বলেন, বর্তমানে মিয়ানমার সীমান্তে কোনো সমস্যা হলে তা তাত্ক্ষণিক যোগাযোগে সমাধান করা যায়। গত জুন ও ডিসেম্বরে দুই দেশের প্রতিনিধিদের বৈঠকের পর তাত্ক্ষণিক যোগাযোগ সম্ভব হয়েছে। আগে মিয়ানমার কোনো ইয়াবা ব্যবসায়িকে ধরতো না। আলোচনার পর তারা একবার দুই লাখ, আরেকবার চার লাখ ইয়াবা উদ্ধার করেছে। তবে মাদক মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর চোরাকারবারীদের অনেকেই জামিনে বেরিয়ে যায় বলে হতাশা প্রকাশ করেন তিনি।''

১৬ জানুয়ারী ইত্তেফাকে প্রকাশিত খবর।

খবরের লিঙ্ক http://www.ittefaq.com.bd/national/2015/01/16/11781.html

পিৎজা খোরদের জন্য দুঃ সংবাদ

আমার মত পিৎজা খোরদের জন্য দুঃ সংবাদ।  পিৎজা হাট মেয়াদোত্তীর্ণ মাল ব্যবহার করে। ব্যবহার করে ক্যামিকেল। যেইটা বিএসটিআই অনুমোদনও করে না। আহা তুমি এমন ক্যারে পিৎজা হাট। এমুন ক্যারে কেএফসি। তুমরা চিকেন বইলা কয়দনি আগে ইঁন্দুর দিছো।  


 বিএসএস এর খব্বর

KFC, Pizza Hut fined
Mobile court finds date-expired items, adulterated oil, unauthorised chemicals

A mobile court of the Dhaka Metropolitan Police (DMP) yesterday realised Taka one lakh each from three branches of popular eateries KFC, Pizza Hut, Boomers in fines at Baily Road, reports BSS.The mobile court headed by executive magistrate Md Moshiur Rahman fined KFC on charges of selling date expired goods and using adulterated oil in different food items while Pizza Hutt was fined for using two chemicals, bolognaise sauce seasoning and extreme seasoning, which have no BSTI approval and license, an official release said.It also fined Boomers on charges of keeping rotten meat and adulterated food items in refrigerator, it also said.
The eateries gave the fine soon after the court order.DMP has vowed to continue the drive during the holy month of Ramadan.Transcom Foods Limited operates the international food chain restaurant Pizza Hut in Bangladesh under a franchisee license, and introduced the brand in the country 2003. The company, later in 2006, also became the franchisee of Kentucky Fried Chicken (KFC).Pizza Hut is an American restaurant chain and international franchise that offers different styles of pizza and are famous for their high quality and delicious food items. It was founded on June 15, 1958 by brothers Dan and Frank Carney in their hometown of Wichita, Kansas. KFC (Kentucky Fried Chicken) is a fast food restaurant chain headquartered in Louisville, Kentucky, United States, which specializes in fried chicken. The brand has a large presence in Asia with over 640 KFC franchisee restaurants in Malaysia, Singapore, Cambodia, India and Bangladesh. 

 ছাপছে দ্য ইনডিপনেডেন্ট ; মূল নিউজের লিঙ্ক http://www.theindependentbd.com/post/4663

রাষ্ট্রের অস্ত্র রোজা পালন করে

রাষ্ট্র যে গরিব মানুষের ট্যাকা খরচা কইরা অস্ত্র কিনে সেটা ক্যান কিনে । রাজ্জাকদের নাক দিয়া রক্ত পড়ে । রাষ্ট্রের অস্ত্র রোজা পালন করে ।
এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে না কো তুমি :(

বাবা দিবসে নায়েক রাজ্জাকের জন্য সহানুভূতি। নিজেদের জন্য করুণা

আজ বাবা দিবসে বাংলাদেশের  বর্ডার গার্ড নায়েক রাজ্জাকের জন্য সহানুভূতি। নিজেদের আমরা করুণা করি। ৫ দিনেও অপহৃত নায়েক রাজ্জাককে আমরা উদ্ধার করতে পারিনি। 

মায়নামারে সন্ত্রাসী বর্ডার গার্ড পুলিশ--- বিজিপি  তাকে অপহরণের পর মারধর করেছে। সে ছবি তারা প্রকাশও করেছে।  তাকে ফেরৎ পেতে  আমাদের পতাকা বৈঠকের ডাকে সাড়া  দেয়নি মায়নমার।  দুইটা রোজা চলে গেছে--- রাজ্জাক কি রোজা রাখতে পেরেছেন। তার সেহরী, ইফতারের ব্যবস্থা হয়েছে। নাকি তিনি ৫ দিন ধরেই রোজা রাখছেন--- তাকে পানি খাবার দিচ্ছে কিনা সন্দেহ। যেভাবে তাকে হেনস্তা করছে মায়ানমার--- স্বভাবতই প্রশ্নটা মনে আসছে।

আমাদের সীমান্ত প্রহরীদের অনেক পুরনো ঐতিহ্য ছিল। ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে স্বাধীনতা যুদ্ধে যে মহান ভূমিকা রেখেছে সেটি আমাদের সবারই জানা। কিন্তু ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস– ইপিআর'র ভূমিকা হয়তো আমরা মনে রাখিনি সেভাবে; যার জন্য তাদের দুর্দশা আমাদের ছূঁয়ে যায় না সব সময়।  বন্ধু-রূপী শত্রু  ইনডিয়া আমাদের ভূমি দখল নিতে চাইলে বরইবাড়িতে যে প্রতিরোধ যুদ্ধ হয়েছিল--- তাতে অত্যন্ত সফল আমাদের বিডিআর। 

 ২০০৯ সালে নতুন সরকার আসার পর --- পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহ আমাদের সীমান্তরক্ষীদের বিজিবিতে রূপান্তর ঘটার পর কেবল তারা মার খাচ্ছে। এ মায়নমারই গত বছর আমাদের একাধিক বিজিব সদস্যকে খুন করেছিল। আমরা কিছুই করতে পারিনি। 

 আমাদের এ অক্ষমতা মানসিক নাকি রাজনৈতিক। জানতে খুব ইচ্ছে করে।

আহা কী নিদারুন আমাদের মুখোশ

মায়ানমারের খোয়াডে রাজ্জাক নয় পুরো বাংলাদেশ । নায়েক রাজ্জাক এখানে প্রতীক মাত্র ।
মায়ানমার রাজ্জাককে হাত কডা লাগিয়ে পরিত্যক্ত সন্ত্রাসী আস্তানার মত একটা ঘরে ছবি তুলে ফেসবুকে দিয়েছে।
আমরা ক্রিকেট আফিমে অবশ । আহা কী নিদারুন আমাদের মুখোশ ।
রাজনীতি সমরনীতি পররাষ্ট্র নীতি বলতে কী কিছু অবশিষ্ট আছে ! নাকি সবই খোয়াড়ে ।
এত এত মানুষ অকাতরে তাদের জীবন দিয়ে একটা স্বাধীন দেশ দিয়ে গেলো আমাদের । আমরা অথর্বরা তাদের জীবনের প্রতিদান এ ভাবে দিচ্ছি !
লজ্জিত। আমাদের ক্ষমা করো।

তোমাদের এ 'ব্যাম্বো অন' চেতনা লইয়া আমরা কী করিব!

তোমরা ইনডিয়াকে হারিয়ে তালি বাজাও। ধবল ধোলাইয়ের ভাবনায় উত্তেজিত ।
আর নায়েক রাজ্জাক পাঁচটা দিন মায়ানমারের খোয়াডে।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কইছে ভুল বোঝাবুঝি। কিন্তু এর অবসান এখনো হয়নি।
বর্ডার গার্ডের অনুনয়ে মন গলছে না মায়ানমারের । পাত্তাই পাচ্ছে না বিজিবি এমন খবরও এখন প্রকাশিত । পতাকা বৈঠকের জন্য সাড়া নাই। কী অমানবিক। তারপরও আমরা নিশ্চুপ -নিদ্রাতুর ।
এ ক্যামন বাংলাদেশ আমার ।
মায়ানমারের খোয়াড়ে রাজ্জাক নয় ১৬ কোটি মধ্যম আয়ের দ্যাশ হবার স্বপ্নে বিভোর বাংলাদেশী।
তোমাদের এ 'ব্যাম্বো অন' চেতনা লইয়া আমরা কী করিব ।

অনুমোদন নেই; তারপরেও Transmission Network লিজ দিচ্ছে গ্রামীণফোন

লাইসেন্সিং গাইড লাইন লঙ্গন করে গ্রামীণফোন Transmission Network লিজ দিচ্ছে। ২০১২ সালে মোবাইলফোন অপারেটরদের  লাইসেন্স নবায়নের আগেই তাদের অনুকূলে ইস্যু করা  লিজ পারমিট এর মেয়াদ বাড়ানো হবে না বলে জানিয়ে দেয় BTRC।

২০১১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ইস্যু করা চিঠি অনুসারে, শুধুমাত্র এনটিটিএন অপারেটররা ট্রান্সমিশন  নেটওয়ার্ক সার্ভিস প্রদান করবে।

হাতে আসা কাগজপত্রে দেখা যাচ্ছে, গ্রামীণফোনের Transmission Network কাস্টমারের তালিকায় আইএসপি অলওয়েজ অন,  আমরা কম, বিডিকম, মেট্রোনেট, এম অ্যান্ড এইচ, র্যাংক আইটি, গেটকো, টেলনেটকমসহ অনেক প্রায় ৫০ টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যারা ঢাকা, নারায়ণঞ্জ, রংপুর, বগুড়াসহ সারা দেশে সেবা নিচ্ছে।

Transmission Network বলতে বিটিআরসি  ই-ওয়ান, অপটিক্যাল ফাইবার, ডাক্ট অ্যান্ড এনি টেলিকম  ইন্সটলেশন্সকে বুঝিয়ে থাকে।


বিটিআরসির একজন সিনিয়র অফিসিয়াল ইনডিপেনডেন্টকে বলেন,' গ্রামীণফোন অপটিক্যাল ফাইবার, ই ওয়ান এসটিএম সহ বিভিন্ন  Transmission Network ভাড়া দিচ্ছে। তাদের বার বার চেষ্টা করেও নিবৃত্ত করা যাচ্ছে না।'

' ১১ জুন 2015 ডাক ও টেলিকম বিভাগে Transmission Network বিষয়ক এক বৈঠকেও আমরা গ্রামীণ ফোনের বিষয়টি তুলেছি।  তারা কৌশলে অপটক্যিাল ফাইবার লে আউট করছে। এ থেকে তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করলেও তারা নিবৃত্ত নয়। ' যোগ করেন বৈঠকে উপস্থিত একজন কর্মকর্তা।

ইনডিপেনডেন্টের হাতে আসা নথিতে দেখা যাচ্ছে গ্রামীণফোন একটি ই-ওয়ান এর ভাড়া বাবদ ক্লায়েন্টর জন্য প্রতিমাসে বিল করে থাকে ৫ হাজার টাকা থেকে 40 হাজার টাকা পর্যন্ত ।  

মোবাইলফোন অপারেটররা Transmission Network লিজ দিতে পারতো ২০০৯ সাল  পর্যন্ত ----৭ জুন ২০১৫ বিটিআরসি'র  সিনিয়র সহকারি পরিচালক (লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং ডিভিশন) নাফিসা মল্লিক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ২০১২ সালে মোবাইলফোন অপারেটরদের লাইসেন্স নবায়ন করা হলেও তাদের অনুকুলে ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক লিজ দেবার পারমিট রিনিউ অথবা এর মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়নি।

'এনটিটিএন লাইসেন্স এক্সিসটিং থাকার পর  বিটিআরসি'র গাইডলাইন অনুসারে কোনো টেলিকম অপারেটরই অন্য টেলিকম, আইএসপি অথবা পিএসটিএন অপারেটরের কাছে Transmission Network লিজ দিতে পারে না। ' যোগ করেন বিটটিআরসি কর্মকর্তা।

সেলুলার মোবাইলফোন অপারেটর রেগুলেটরি অ্যান্ড লাইসেন্সিং গাইডলাইন ২০১১ এর ক্লস ৬.২ এ ৭ টি সেবার বিষয় মোবাইলফোন অপারেটরদের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে।  এতে দেশে ও দেশের বাইরে ভয়েস কল, এসএমএস, ইএমএস, ভিএমএস, ইন্টারটেন সেবা ও ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিসের (ভিএএস) কথা বলা হয়েছে। ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিসও  বিটিআরসি থেকে সময় সময় অনুমতি নিতে হবে।

গ্রামীণফোন ওয়েবসাইট অনুসারে ,নরওয়ের টেলিনরের  বিনিয়োগে গড়ে ওঠা  অপারেটরটি সরকারি নিয়ম লঙ্ঘন করে দেয়া transmission নেটওয়ার্ক  সার্ভিস এর জন্য তাদের নিজস্ব ওয়েব সাইটেই হোলসেল বিজনেস নামে আলাদা বিভাগও রেখেছে।  যেখানে ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক সার্ভিসের প্রাইস লিস্ট ও প্রডাক্ট ক্যাটালগ আপলোড করা। ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রাইস লিস্টটির বিটিআরসি এপ্রুভাল ডেট ১৫ অক্টোবর ২০০৯। অর্থা এর পরে আর কোনো প্রাইস এপ্রুভাল নেই।

২০০৯ সালের জানুয়ারীতে বিটিআরসি এনটিটিএন লাইসেন্স দেবার পর  মোবাইলফোন অপারেটরদের  ট্রান্সমিশন সার্ভিস রহিত করে।  সর্বশেষ ২০১৪ সালে  বিটিআরসি  টেলিকম লাইসেন্সধারী সব প্রতিষ্ঠানকে এক চিঠিতে জানিয়েছে, টেলিকম সেবাদাতাদের এনটিটিএন লাইসেন্সধারীদের কাছ থেকেই transmission service  নিতে হবে।

এর পরেও গ্রামীণফোন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক  সার্ভিস কি ভাবে লিজ দিচ্ছে ? এমন প্রশ্নে  অপারেটরটি  হেড অব এক্সটার্নাল কমিউনিকেশন  সৈয়দ তালাত কামাল  ই মেইলে the independent কে জানান, ''Being respectful of and fully compliant with the relevant laws of Bangladesh, GP is taking and providing lease of applicable transmission capacities in line with the relevant BTRC guideline.''

মূলধনী ব্যয় কমিয়ে টেলিকম সেবাকে সাশ্রয়ী করবার জন্য বিটিআরসি এনটিটিএন লাইসেন্স প্রদান করার পর মোবাইলফোন অপাটেরদের নিজস্ব ব্যবহারের জন্যও ফাইবার লে আউট, লং হল ট্রান্সমিশন করতে পারবে না বলে জানিয়ে দেয় বিটিআরসি।

মূল ইংরেজি রিপোর্টের লিংক ::http://www.theindependentbd.com/post/4062

বিজিবি মায়ানমারের কাউরে ধইরা আনতে পারে না ক্যারে!

বর্ডার গার্ড সদস্য বিপ্লব গুলি খাইছে। নায়েক আবদুর রাজ্জাকরে ধইরা লইয়া গেছে। মায়ানমারের সীমান্ত রক্ষীরা আমাদের সীমান্ত রক্ষীদের যেখানে হয়রানি করছে সেখানে সীমান্তে বসত করা  আমাদের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তার কী হাল। নাকি সেটাও ভুল বোঝাবুলি ভিত্রেই আছে। এর আগে মায়নমার আমাদের বিডিআর জওয়ান মাইরা ফালাইছিলো। সেই সময়ও আমরা বুল বুঝাবুঝির ভিত্রে আটকে ছিলাম। হুমমম।  বিজিবি এতটা দূর্বল ক্যামনে অইলো বুঝলাম না। তারা মায়ানমারের কাউরে ধইরা আনতে পারে না ক্যারে!

অনলাইন বাংলার খবর---'আজ বুধবার ভোরে বাংলাদেশের সীমান্তে ঢুকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) টহল দলের ওপর গুলি চালিয়েছে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)। এতে বিপ্লব নামের বিজিবির জোয়ান গুলিবিদ্ধ ও নায়েক আবদুর রাজ্জাককে ধরে নিয়ে যায় মিয়ানমার সীমান্তরক্ষীরা। এই ঘটনাকে ভুল বোঝাভুঝি বলে আখ্যা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী। '

কিস্তি :: ৮৮:: ভার্জিন ড্রিংকস,পুরনো ঢাকা এবং তেহারি সমাচার


ঘোড়ার গাড়িতে করে পুরনো ঢাকার বাংলা বাজারে যেতাম। এখনো যাই। তবে কুবই কম। আগে ভাড়া ছিল ৫ টাকা। এখন ২০ টাকা। তাতে কী। এই একটা ভ্রমণ আমার কাছে উপভোগ্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর আমার প্রথম রোজগার ছির বাংলা বাজার কেন্দ্রিক।

নোট বই , গাইড বই লিখতাম। ভালোই ইনকাম ছিল। ঘটনাটা এ রকম- আমি ঘুমিয়ে আছি। পাঞ্জেরীর প্রকাশণীর নেসার ভাই আনিস ভাইয়ের সাথে ক্লাস ওয়ান থেকে ফাইভ পর্যন্ত সব ক্লাশের বইয়ের নোট তৈরির আলাপ করছিলেন। তার কথার উচ্চ স্বরে আমি মশারী ফাঁক করে দেখলাম।

আনিস ভাই পরের দিন আমাকে কিছু কাজ দিলেন। একটা বাংলা বইয়ের পুরো নোট ঘন্টা দেড়েকে বানিয়ে দিলাম। আমার লেখা তার ও নেসার ভাইয়ের পছন্দ হলো। তারপর আমি লিখতে শুরু করলাম। তবে প্রকাশনার কাজে জড়িয়ে যে সব বিষয় বেশি সঙ্কটে পড়তাম তা হলো প্যামেন্ট। এখনো স্কলার্স পাবলিকেশন্সের কাছে আমার হাজার পঞ্চাশেক টাকা বাকি পড়ে আছে।
সেই ২০০১ সাল। আর এখন ২০১৪। টাকা দেবো, দিচ্ছি করে ঘুরিয়েছেন, পরে আর যাইনি।

তবে লেখালেখির বিষয়ে আর্থিকভাবে সবচেয়ে সৎ আবদুৃল্লাহ অ্যান্ড সন্স। আমি তাদের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটো স্নাতক শ্রেণীর বই এডিট করে দিয়েছিলাম। এক হাতে কপি নিয়েছে, আরেক হাতে টাকা দিয়েছে।

টাকা নিযে গড়ি মসির  কারণে পরে আর লেখা হয়নি। সে সময় যাত্রাবাড়ি ও পরে বকশিবাজার থেকে পুরনো ঢাকার বাংলা বাজারে যেতাম ঘেড়ার গাড়ি করে। বাস চলতো- মুড়ির টিন। এক টাকায় যাওয়া যেতো গুলিস্তান থেকে সদরঘাট। এতটা কঠিন যানজপট ছিল সেই ১৯৯৯ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত, সে সময়টা বাসে গুলিস্তান থেকে সদরঘাট যেতে কমপক্ষে এক ঘণ্টা, কখনো আরো বেশি সময় লাগতো। এখন কেমন অবস্থা জানি না। কালন আমি এখন যাই শুক্রবারে!

পরে অবশ্য বকশিবাজার থেকে আরমানি টোলা হয়ে শটকাটে ২০ থেকে ২৫ টাকা রিকশা ভাড়ায় চলে যেতাম। এভাবে অনেক দিন গেছি। সেখানে যাবার সুযোগে পুরনো ঢাকার সাথে আমার একটা আত্মিক সম্পর্ক।

শাঁখারি বাজারে গেলাম ২০০০ সালরে দিকের এক বিকালে। আমাদের এলাকার এক বন্ধু পিংকুর সাথে। ওর বোন থাকতো সেখানে। ভাগ্নি নাচ শিখছে, মামাদের নাচ দেখাবে, তাই যাওয়া। একটা সরু গলি ধরে আমরা ভিতরে ঢুকছি, আর মনে হচ্ছে আমি গুহার ভেতরে হারিয়ে যাচ্ছি। আমি একটু মোটাসোটা ছিলাম, তাই সরাসরি ঢুকতে পারিনি, একটু পাথালি হয়ে ঢুকতে হলো। সেখানে আলো ছাড়া একটা মিনিটও কাটে না কারো।

অনেক্ষন ছিলম, মিষ্টি খেলাম। ভাগনির নাচ দেখলাম এবং তার সঙ্গীত প্রতিভার কিঞ্চিত দেখে ফিরে এলাম। এভাবে পুরনো ঢাকা-

সে সময় আমি ওযারীর আল আমিন কোচিংয়ে ক্লাস নিতাম। গিযে দেখি সব মেয়ে। ওই কোচিংয়ে কোনো ছেলেকে পড়ানো হতো না। আমার ক্লাস নেয়ার কথা বাংলা, ইতিহাস, অর্থনীতি ও সমাজ বিজ্ঞানে। সেটি ইন্টার থেকে ডিগ্রির মেয়েদের। কিন্তু অনেক টিচার আসতেন না। তাই আমাকে  বদলি খাটতে হতো! নাইট টেনেও পড়িয়েছি।

কোচিং চালাতে 'সায়াদাত' ভাই। তিন বললেন- আমি যাওয়ার কারণে তার শিক্ষার্থী বেড়েছে। আমার বিশ্বাস হলো না। পরে আমি যখন ছেড়ে আসি, উনি খুব মন খারাপ করেছিলেন। সায়াদাত ভাইয়ের স্ত্রী তাকে ছেড়ে গেছেন বা তিনি তাকে ছেড়ে দিয়েছেন। যাকে ভদ্র সমাজে ডিভোর্স বলে। উনার একটা সন্তান ছিল। মাঝে মাঝে তিনি ক্লাসের ফাঁকে তার কাছে ছুটে যেতেন।

কোচিংয়ের সুবাদে আমার দুজন নারীর সাথে ভালো সম্পর্ক তেরি হয়েছিল। তাদের একজন নীলা। আরেকজন ঝুনু। নীলা হালকা পাতলা। আর ঝুনু অনেক মোটা। তবে দুজনই ফর্শা- সুন্দরী। তারা আমার ক্লাশের ছাত্রী না হয়েও আমার লেকটচার শোনার জন্য আসতেন! (নিজেদের কেমন মফিজ মনে লইতাছে!)

নীলা মেয়েটা ইভটিজিংয়ের শিকার হতো, সেটি জানার পর একটা 'ব্যবস্থা' করেছিলাম। দক্ষিণ মুহসেন্দীতে ওদের বাসা। বার কয়েক দাওয়া করেছিল, কিন্তু ভভঘুরে কুদ্দুসের সময় কই! যাওয়া হয়নি।
ঋষিকেশ দাস লেনে ছিল ঝুনুদের বাসা। ওর মা বাবা বেশ কয়েকবার বলেছিল পুররো ঢাকার অতিথি আপ্যায়ন কেমন? তা দেখার সুযোগ নিতে। আমি পারিনি।

আল আমিন কোচিংয়ের চাকুরীটা ছাড়ার আগেই আমার প্রথম আলোর প্রদায়ক সংবাদদাতার কাজটা জুটেছিল। আমি সব সময় কাজের মধ্যে থাকি। নট কাম! কাজ না থাকলে ভালো লাগে না। প্রথম আলোর হয়ে কাজ করার সূচনার ফাঁকে রাজীব ভাই বললেন, আপাতত পেজ বেরুচ্ছে না। তাহলে আমার কী করণীয়!

প্রথম আলোর ৫ নম্বর পাতায় একটা বিজ্ঞাপন চোখে পড়লো- প্রিয় মুখ নামে একটি পাক্ষিক ম্যাগাজিন বের হবে। রাজীব ভাইয়ের অনুমতি নিয়ে সেখানে যোগ দিলাম। অনেক দিন সেখানে কাজ করেছি।

আমার কিছু অদ্ভূত ঘটনা আছে। তার দুটো প্রিয় মুখে থাকার সময়- আমি ভাবলাম দিনের ১০ টা থেকে রাত ১০ পর্যন্ত পানি খাবো না। দেখি কাজটা করা যায় কিনা। তাই হলো। সে সময় ইয়ুথ গ্রপ একটা পানীয় বাজারে আনে- নাম দেয় ভার্জিন। সম্ভবত আমি সেই ব্যাক্তি যে সবচেয়ে বেশি ভার্জিন ড্রিংকস খেয়েছি।

মাস চারেক ভার্জিন ড্রিংকস খাওয়ার পর কমিয়ে আনতে বাধ্য হলাম। দিনে মাত্র দুই লিটার! কারণ আমার পানীয়ের খরচ দিতো প্রিয়মুখ কর্তৃপক্ষ। আর খাবার আসতো এলিফ্যান্ট রোড়ের টেস্টি খাবার ঘর থেকে। সেখানে তারা আমার নামটা বদলে দিয়েছিল। নতুন করে রেখেছিল- ' খাইন্না ভাই'।

আরেকটা ঘটনা- আমি সে সময় আজিমপুরের নিউ পল্টনে একটা মেসে উঠলাম। সেই মেসে আমার রুমমেট হিসাবে নিলাম কায়সার ভাইকে। দেয়ালে পোস্টার লিকে তাকে পাওয়া! ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সায়েন্সের একটা সাবজেক্ট থেকে পাস করে চাকুরীর খুঁজছেন। দুজন মিলে থাকি, ভালোই কাটছে। কিন্তু কায়সার ভাই বাইরে থাকেন, ঠিকমত খাওয়া দাওয়া করেন না। আমারো একই হাল।তাই বুয়া মুক্ত মেস!

যেহেতু বাইরেই খেতে হবে তাই সিদ্ধান্ত নিলাম একমাস টানা চলবে তেহারি এবং বিরিয়ানী । নীলক্ষেতের তেহারির সুনাম আছে। চেষ্টা করলাম এবং সফল হলাম। ঠিক একমাসের শেষ দিন বাড়ি গেলাম। বিকাল ৫ টার দিকে খেতে বসলাম- এক মাস পরে ভাত! তাও আবার মায়ের হাতে! সে কী সুস্বাদু। চার প্লেট ভাত খাওয়ার পর মনে হলো- পেটে আর জায়গা হবে না। তৃপ্তিতে ডুবে আছি।

মোডি কাকুর অভিমানী মুণ্ড ও বঙ্গীয় রাজনীতি :(

 frown emoticon
মোডির প্রশ্নে কে চুপসে গ্যাছে; কে চমকে গ্যাছে ; কে থমকে গ্যাছে ; তার সাক্ষাতে কে গলে গ্যাছে; কে ভিজে গ্যাছে ---কার জল খসেছে ; কার খসেনি।
ইহা এখন মিডিয়ায় আলোচ্য বিষয় । উপাদান রাজনীতি। প্রত্যাশা ক্ষমতার সুরক্ষা কিম্বা ক্ষমতাপ্রাপ্তি।
কিন্তু সাগরে ভাসা মানুষ, মায়ানমারে বিনা অনুমতিতে ইন্ডিয়ার হামলা--- সামনে বিচ্ছন্নতাবাদী দমনে যে কোনো দেশের অভ্যন্তরে হামলার হুমকি----
তিস্তার জল , ছোট ফেনী নদীর পানি কিম্বা বিএসএফ ষণ্ডাদের প্রতিনিয়ত বাংলাদেশী খুন ---এ সবের চে এটাই এখন গুরুত্বপূর্ণ ।
কারণ আমজনতার ভয়েস কেবল শোর তোলে। হিট গণনা হয়। কত মানুষ নেমেছে দ্যাখো!
চুড়ান্ত বিচারে ইনডিয়া -আম্রিকা ক্ষমতার দাবায় গুটি ঘোরায়। আর তাই ---
মোডি কাকুর অভিমানী ফুলস্লিভ মুণ্ড চোষণ--তুষ্টি অর্জনে ব্যস্ত ---রাজনীতিক মিডিয়া--- সবাই । frown emoticon

ভেসে যাওয়ার জোছনার আলোয় ডুবে থাকবো পিতা পুত্র





বহু বারান্দায় আটকে থাকা স্বপ্নগুলো
আমার কাছে দুঃস্বপ্ন!

যা ভাবি তাই করি
না পারলে আফসোস করি না; একটা ছাড়া!

ভাবতাম কিছু পয়সা জমলে সাগরে ডুবে থাকবো
পাহাড়ের ভাঁজে শুয়ে কাটাবো একটা একটা করে দশটা রাত
নদীর জলে পা ডুবিয়ে বসে থাকবো--
তাড়া থাকবে না কোনো

ছেলেদের কাঁধে হাত রেখে নাফাখুমে ছুটন্ত বিকালরে সূর্যটাকে বলাবো কাল এসো
আমি আছি--
আমরা থাকবো আর ক'টা দিন


তারপর ইচ্ছে হলে ফিরবো
নইলে বগালেকে মাছ ধরতে বসে যাবো-- ফিরবো কখন জানি না

ভেসে যাওয়ার জোছনার আলোয় ডুবে থাকবো পিতা পুত্র
একই প্রকৃতির প্রেমে ডুবে যাবো আমরা তিন জন!

ছেলের স্কুল সময় ফুরিয়ে যাক
ফুরিয়ে যাক তার শৈশবে কাঁধে ঝোলানো ব্যাগের বিকাল
তারপর
না তারপরেও হবে কি-না সন্দেহ!

কিছু টাকা জমে পকেটে--
সে টাকা পুড়ে যায়
তারপর আমি আবার ভাবি
যাবো ---

সময় আমাকে বলে
কাজ করো! কাজ!!
কাজে ডুবে থাকি
ইচ্ছাগুলো পুড়ে যায়

আকাশ দেখবো বলে বলে দাঁড়িয়ে থাকি
বারান্দায়
নিঃশ্বাস নিতে পারি না।

ইনহেলারটা টেনে নিই
নগরে নিঃশ্বাস নিতে নিতে ভাবি
একটা দিন আসবে
রোদে পুড়বো- বৃষ্টিতে ভিজবো--
পাহাড়ে জঙ্গলে কাটাবো জীবন!

যৌন সন্ত্রাসীরা এত বে পরোয়া ক্যামনে

যৌন সন্ত্রাসীরা এত বে পরোয়া ক্যামনে । মাইক্রোবাসে গ্যাং রেপের পর খালার বাসায় বেড়াতে এসে রামপুরায় গৃহবধু গ্যাং রেপ frown emoticon
কে ব্যবস্থা নেবে? সেই পুলিশ ! যার কাছে তার সহকর্মীও নিরাপদ নয়। পুলিশ কর্মকর্তাও নারী কনস্টেবলকে রেপ করার খবর এখন প্রকাশিত।
তাহলে --- frown emoticon

বৃষ্টি : পুরনো প্রেমিকার মত আসো গোপনে

বহু সুখ বৃষ্টি ঝরে পড়ার পর তুমিও ঝরে পডো
পুরনো প্রেমিকার মত আসো গোপনে ---
আড়ালে থাকো রাজনীতির মত!
শীতল পরশ 
ঠান্ডা হাওয়া
কাজ পালানোর দুপুর বেলা
বৃষ্টি আসুক তোমার ঘরে
বৃষ্টি ভিজাক সকাল রাতে
বৃষ্টি আসুক অসময়ে !

রোমাঞ্চকর অফিস যাত্রা


বেশ রোমাঞ্চকর অফিস যাত্রা হলো আজ। সেই রক্কম। মানুষের অনেক কথা কানে এলাে; পুলিশ ভাইদের স্বভাব সুলভ হুমকি ধমকি আর রিকশাঅলার না ভাই গুলশান--! 'মরতে যামু' এ সব শুনতে শুনতে পাক্কা ৬০ টাকা সেভ করে অফিসে চলে এলাম। সময় নিলাম মাত্র মিনিট ষাটেক।
জয় পুলিশ। জয় রাষ্ট্র। শপিং আমাদের জীবনের মূল লক্ষ্য। পুলিশের সন্তুষ্ট রাখা আমাদের সাধনা। শুভ হোক পুলিশ প্লাজা কনকর্ডের নব যাত্রা। আর কেউ না গেলেও এই মার্কেটে শপিং করতে আমি যামু ইনশাআল্লাহ। যারা আজকে চেতছেন; সরকার প্রধানকে বকছেন তারাও আইসেন। দারুণ মাক্কেট ।

সুখবর--


রাষ্ট্র স্বীকৃত তৃতীয় লিঙ্গ (হিজড়া), রাখাইনসহ অন্যসব ক্ষুদ্র জাতিসত্ত্বা এবং প্রতিবন্ধীদের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা  (এসএমই) খাতের আওতায় ঋণ দেবার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক একটি সার্কুলার জারি করেছে। ৯ জুন ওই সার্কুলারে  আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে ঋণ  সুবিধা পৌঁছে  দেবার নির্দেশ দেয়া হয়। 

কাকুর বক্তৃতার ভিত্রের এত মাল লইয়া বঙ্গবাসী কি করিবে!



মোডি কাকুর বক্তৃতা লইয়া অনেক ভাই-বেরাদারের বিশ্লেষণ পড়ছি। আবেগি ফেসবুক স্টাটাসও পড়ছি।  সংবাদ বিশ্লেষণও পড়লাম।  এ সব পাঠান্তে আমার কেবলই মনে হচ্ছে আবুল মনসুর আহমদের 'জনসেবা ইউনিভার্সিটি'র কতা। কাকুর বক্তৃতার ভিত্রে অনেক মাল। এ সব মাল-- বঙ্গবাসীর কী কামে লাগলো --- এই মাল লইয়া আমরা কি করিব---সেইটা বোঝার মত ক্ষমতা  অধম আদমের নাই।

তয় আবুল মনসুর আহমদের গল্পের মত আরেকটু দ্যান। ...দিলে এই হবে। ওই হবে টাইপ। আশাবানরা স্বপ্নে বাঁচুন। আশাহীনরা বুক চাপড়ান। কিন্তু  তেল মাইরেন না। এ তেলানো এখন আমাদের জাতীয় চরিত্রে রূপান্তরিত হতে চলেছে!

ভাই বেরাদররা --- মনসুর আহমদ  ক্যাডা কেউ আবার এই প্রশ্ন কইরেন না। কারণ মনসৃর আহমদরা ছিল বইলা-- এখনো দু একটা বিষয় বুঝার জন্য কিছু উপাত্ত প্রতীক পাওয়া যায়!

জয়তু মোডি কাকু ।

মোডি কাকুর 'দিদার'ই আমাদের দুদিনের সফরের বড় অর্জন!

মোডি কাকু বিদায়; আবার আসবেন। প্রতীক্ষায় থাকবো; জানেনই তো প্রতীক্ষা বড়ই কষ্টের। কাকু কতা দ্যান আবার আসবেন। আপনি টুইট ও ফেসবুকায়াই কইছিলেন 'ভালোবাসা' লইয়া আইছেন।  আমরা সেই 'ভালোবাসা'য় ভিজে নেয়ে একাকার। আপনার 'ভালোবাসা'-ই দেড় দিনের সফরে আমাদের অর্জন। বিসর্জন বলে কিছু নাই। ' যাহা দিলাম উজাড় করিয়া দিলাম'। হিন্দি সিরিয়াল, হিন্দি সিনামার ব্যবসা এবং হলে হলে হিন্দি সিনামার দেখানোর পর ঢা্কা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আপনার হিন্দি বক্তৃতাও চ্রম অইছে।  ভালো থাকেন--- আপনি আইসেন। আপনি আসবেন বইলা আমরা কত রাজনীতি করছি। তবুও ভালো লাগছে আপনি সবাইরে দ্যাখা দিছেন। আপনার দিদারে বঙ্গজাতি ও তাদের নেতারা যদি পরের জনম পান সে জনমওে আপনাকে মাথায় তুলে রাখবেন। ক্ষমতার চরকা যে কোন দিকে ঘোরে; কারা ঘোরায়; সেটাও প্রত্যক্ষ করবার বড় সুযোগ আমরা পাবো।

 ভালো থাকেন। আপনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা। আপনি ও আপনার সরকার আমাদের চুইষ্যা খাইয়া লান। মাইরা লান। সুখের(!) মরণ লইয়া আমরা গান গাইবো--- ‌রথীন্দ্রনাথের সেই গান
' না পারিলাম বাঁচতে আমি
না পারিলাম মরতে
না পারিলাম পীরিতের ঐ
সোনার পাখি ধরতে'।

প্রার্থনায় মোডি কাকু ---

সকাল ৮ টা ৪০ এ মোডি কাকু ঐতিহ্যবাহী ঢাকেশ্বরী মন্দিরে প্রার্থনা দিয়ে দিন বাংলাদেশে তার শেষদিনের কাজ শুরু করেছেন । 

যে সব সম্বাদিক সেখানে গেছেন তাদের কেউ-ই প্রার্থনা-নামাজ দিয়ে দিন শুরু করেন নি;এটা মোটামুটি নিশ্চিত। এমন কি সাঈদ খোকন ছাড়া অন্য রাজনৈতিক নেতারাও। 

পালন বা বর্জন ব্যাক্তিগত। কিন্তু পালন না করে উল্টো পালনকারীদের উপহাস করাটা এক বিকৃত আনন্দের বিষয়। সেই তারাই মোডি কাকুর প্রার্থণা সভায় গিয়া হাজির। তাও এত সক্কালে!

মোডি কাকু; আপনার ধর্ম পালন যদি এ দেশের অল্প কিছু ব্যাতিক্রম ছাড়া  সব জান্তা সম্বাদিক এবং রাজনীতিকদের কাছে যেনো --এ বার্তা পৌঁছায় ---ধর্ম পালনের ভার কেবল পুরোহিত, কাঠমোল্লা,যাজক আর ভান্তের নয়। সবার। 

তাহলে এ বঙ্গদেশে ধর্ম পালনকারীরা 'অসভ্য ইভ টিজার' আর 'ব্যবসায়ীদের খপ্পর' থেকে বেঁচে যেতেন । 

তারা যদি জানতেন --- ধর্ম মানে মৌলবাদ নয়-সেকেলে নয় । ধর্ম পালনকারী মানে উগ্র নয়। ধর্ম পালনকারী মানে জঙ্গী নয়। তাহলে এ বঙ্গের অনেক উপকর হতো।

আপনাকে শ্রদ্ধা ।

'ভালোবাসি ভালোবাসি এই সুরে কাছে দূরে জলে স্থলে বাজায় বাজায় বাঁশি ভালোবাসি'


ভালোবাসা এখন স্বার্থ শব্দের নাম
তোমার উপের যে শব্দটা আমি স্থির করে রেখেছিলাম
 তুলে নিলাম তা

 তিস্তার জলের মত আটকে রাখতে চাই না

 যা বলি সোজা সাপ্টা

 তুমি তো বহুবার বলেছো--- ভালোবাসা হলেই চলবে-- আর কিছু না। কোনো খাবারেরও দরকার হবে না।

 সময় বদলে বিববাহিত জীবনে শুধু  ভালোবাসা হলে চলে না; আরো কিছু চাই

দ্যাখো তোমার কথা ভুল!
মোডি কাকু কিন্তু ভালোবাসা নিয়েই এসেছেন; আমরা সেই ভালোবাসায় আপ্লুত; মুগ্ধ।
 ভালোবাসনা পেলে আমরা চাইবো না আর কিছু

 নার্গিস--- কোথাকার কোন ;'অপয়া' মেয়ে গ্যাছে ইনডিয়ায়
 'সুবোধ বালকেরা' তাকে ধর্ষণ করেছে, খুনও করেছে

 ফেলানী কাঁটাতারে ঝুলে চিতকার করেছে 'পানি' 'পানি' বলে
'জল' বলতে পারত; তা না ফুটানি! 'পানি' চায়!

 সব মনে রাখতে নেই
মনে রাখতে নেই গরু চোরাকারবারী বলে গুলি করে মেরে ফেলা মানুষের কথা
ওরা 'ছোট' লোক বেপারী। ওদের কথা মনে রেখে স্বপ্ন বাস্তবায়ন সম্ভব নয়!

 আমরা ভালোবাসা চাই; প্রেম চাই। অনেক প্রেম এবং ভালোবাসা জমা হলে আমারা আসমানে উড়বো
সেখানে খাবারের দরকার নেই।  স্বপ্নরে ঘোরে কেবল গরিবরা খাবারের স্বপ্ন দ্যাখে

বড় লোকরা রোমাঞ্চে থাকে
২০২১  কিম্বা ২০৪১
আমরা তখণ মধ্যম-উত্তম আয়ের দ্যাশ।

আসো-- স্বপ্নের জন্য কাতার বন্দী হও। যে দলই তুমি করো
 যে আদর্শই তোমার থাক

 ইনডিয়ার সামিয়ানা ক্রস করলে তুমি বিপন্ন হবে- জঙ্গি হবে
 ক্ষমতা তোমার জন্য নিষিদ্ধ হবে; ঠিক যেনো পরকীয়া প্রেম হবে।

গাও ---ভালেবাসা মোরে অশেষ করেছে
 কিম্বা ভালোবাসা আমাকে ভিখারী করেছে তােমাকে করেছে রানী।

 গান শুনলে মন ভালো থাকে। শোনো গান---
'ভালোবাসি ভালোবাসি এই সুরে কাছে দূরে জলে স্থলে বাজায় বাজায় বাঁশি  ভালোবাসি'

নমস্তে মোডি কাকু


মোডি কাকুর আগমন আমাদের জাতীয় জীবনে হিরকখচিত একটি দিন । পুরো মুন্ত্রী সভা হাজির । হাজির করপোরেট সিইওগণ এবং টিভি চ্যানেলে লাইভ।
এটা বাঙালীর একটা সার্বজনীন উৎসব । আজ কাল দু'দিন এ উৎসব আকাঙ্খা ঘিরে মেতে থাকবেন সাবালক মানুষরা। নাবালকরা কার্টুনেই সন্তুষ্ট । নমস্তে মোডি কাকু।
নার্গিস ধর্ষণ পরবর্তী খুন সীমান্ত হত্যা নিয়ে কথা বলার মত অভদ্র আমরা হবো না । আপনার পদধুলিতেই বঙ্গবাসীর জন্ম স্বার্থক । আপনি এসেছেন 'রাজদুত' এ । আমরা প্রজারা লুটিয়ে পডেছি । আমাদের লুটিয়ে পড়াত অস্বস্তি বোধ করবেন না।
লজ্জা দেবেন না। আমাদের মেরুদণ্ড লুপ্ত হয়েছে বহু যুগ আগে ।
অভিনন্দন মোডি কাকু ।

তোমাকে পেলাম মিস কলে। আহা প্রিয়তমা!


আলো ঝলমলে মঞ্চে অ্যাঙ্কর
জীবনের সবচেয় গুরুত্বপূর্ণ দিন তার আজ---

শুরু করেন মাইক হাতে

হ্যাঁ জনাব

সত্যি বলছি আপনাদের মিস কলে সাড়া দিয়ে তিনি এসেছেন

এসেছেন আপনাদের  দরজায়
তার রূপোশ্বর্যে অবগাহন করুণ

বাথরুম নোংরা করার পর তা সাফ করতে ব্যবহার করুণ হারপিকে
হাত সাফ করতে ব্যবহার করুণ লাক্স --- ফিলিংস নিন

জি জনাবা তিনি এসেছেন

আপনাকে সাজাতে
আপনার রূপ মাধুর্য জাগাতে এবং আপনার প্রিয়জনে চোখে আগুন ঝরাতে


 জি জনাব ; জি জনাবা

 এখনো মনে করতে পারছেন না
তিনি ? তিনি দীপিকা; আপনাদের  স্বপ্নের রানি---
দীপিকা

 এভাবেই জমতে থাকা মঞ্চে সাবানের স্খলনে লেফটে থাকা তোমার শরীর

 সাগরে ভাসছে কিছু কুকুর--- মানুষ বল্লে ভুল হবে--- এ জনমে ওরা আর মানুষ হলো না

 নৌকা সমৃদ্ধির কথা বলে---নৌকা সুখের কথা বলে --- নৌকা আপদ বিদায়ের কথা বলে

 শালা শুয়র গুলো সেই নৌকাকে নষ্ট করলো
 নৌকা করে পাড়ি জমালো বিদেশ

 খপ্পরে পড়লো মানব পাচার কারীদের

 শালা  অমানুষ

 খবরের কাগজে এতদ্দিন ওদের পঁচা হাজামাজা গন্ধ ভরা খবর পড়তে পড়তে অসহ্য

 এখন একটু আরাম-- আরাম চাই

 নিউজ এডিটর ডেকে বলে---  টিকিট মেলেছে বাছা
 উদ্বৃত্ত থাকলে একপিস দিও আমায়। বলো দেবে তো আমায়!

 সম্বাদিক ছোটে- ফটু সম্বাদিকও

 ক্যারিয়ারে একটা অক্ষর যুক্ত হবে--- সোনালী। নাহলেও দোষ কী।  বয়সকালে নাতি পুতিরে কাছে গল্প করা যাবে

 নিউজ এডিটর ক্লান্ত

 ছবিটা আরেকটু ভালো হতে পারতো; ডিসি না থ্রি সি দেই

 মানুষ পড়বে

 অসাধারণ---
 বলি, মরি মরি

 দীপিকা তােমায়  স্বাগতম।
তোমার ছবি টাকা খরচ করে দেখলেও  তোমাকে পেলাম মিস কলে।
আহা প্রিয়তমা!

তোমরা সাজো--- তোমাদের দেখি--- চোখ জুড়িয়ে যায়

ফেসবুকের বিস্তৃত ক্যানভাসে তোমরা সাজো--- তোমাদের দেখি--- চোখ জুড়িয়ে যায়।

ডিজিটাল জুসে আসক্তি তোমাদের মত আমারো।

কিন্তু সাগরে যারা ভাসে, জঙ্গলে পলিথিনের ঘেরে যারা ঘুমায়, এক মুঠো ভাত খায় কেবল দু বেলা তাদের খবর কি রাখো

 নাকি কেবল গুনতে থাকো রিজার্ভের রেকর্ড। রেমিটেন্স আসছে; রেমিটেন্সের পাহাড় জমছে

 এর পেছনে যে মানুষ গুলো তাদের মুখ কী কখনো ভাসে নাকি তোমরা অ্যাভাটার অ্যাভেঞ্জার  সিনামায় রোমাঞ্চ খোঁজো।

কিম্বা যে মেয়েটার দিনেকের ক্লান্তি শেষে রাস্তার পাশে অপেক্ষায় থাকে

 বাস আসবে

 বাস আসে না; আসে  মাইক্রোবাস-- ষণ্ডারা তাকে তুলে নেয়--- ধর্ষণ করে নরাধম


 কিম্বা উৎসব সেলফি তুলবে
 উৎসব আনন্দ উদযাপনে তারা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে --- টিএসসি চত্বরে দাঁড়ায় ---অসংখ্য হাত খামছে ধরে  নারীর শরীর---

 তোমরা কি ভাবো তাদের নিয়ে

 নাকি চুন কালি পড়বে বলে লুকিয়ে যাওয় ক্ষনিকের প্রতিবাদ শেষে

 প্রচণ্ড গরমে তপ্ত নগরে তোমরা নারীর ওপর হামলে পড়া; সাগরে ভেসে থাকা মানুষের চেয়ে  খোঁজো

আহা বৃষ্টি; আহা বৃষ্টি ; বৃষ্টি নামো

 যে বৃষ্টি নামে আকাশ ফুঁড়ে--- সে বৃষ্টি যদি এসিড বৃষ্টি হয়

 সে বৃষ্টি যদি  রক্ত হয়ে নেমে আসে তোমার ঘরের বারান্দায়, রিকশার হুড়ে-- বাসের ছাদে
 তখনও কী বৃষ্টি চাইবে

 নাকি 'বিচ্ছিন্ন ঘটনা'সামনে রেখে  জঙ্গি হান্ট করবে
 চেকিংয়ের নামে পকেটে 'বাবা' ঢুকিয়ে চালান দেবে কোটে
অস্ত্র মামলায় ফাঁসিয়ে দেবার ভয় দেখিয়ে শেষ  সম্বল টুকুও বিক্রিতে বাধ্য করবে!

 আহা বৃষ্টি-- বও। বৃষ্টি। শান্তিরো বারিধারা!  

নৈতিকতা শেখার বিষয়--- এটা ন্যাচারাল না।

নৈতিক শিক্ষার কথা বললে কেউ কেউ কূপমণ্ডুক শব্দটা নিয়ে আসেন। ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটলে আবার হা পেত্যেশ করেন। সরকার কি করলো, পুলিশ কি ছিঁড়লো? লইয়া হাজারো প্রশ্ন করেন।
নাগরিক হিসাবে এটা করতেই পারেন। কিন্তু গোড়ার দিকে একটু তাকান। গোড়া ঠিক করেন, ডালপালাও ঠিক অইয়া যাইবো। শতভাগ না অইলে ইম্প্রুভ করবো। চোখের পড়ার মত ইম্প্রুভ।
যে পুরুষের মুখোশের আড়ালের নৈতিকতা স্ট্রং সে কখনো নারীর শরীর খামছে ধরবে না। নিশ্চিতভাবেই ধরবে না।
নৈতিকতা শেখার বিষয়--- এটা ন্যাচারাল না।
সৎ পথে আয় উপার্জন করে সংসার পরিচালনা করা মানুষের সন্তানরা দু'একটি ব্যাতিক্রম ছাড়া খ্রাপ হয়েছে; তা আমার ৩৫ বছরের জীবনে খুবই কম দেখেছি। সততা, নৈতিকতা আর আদর্শ থাকলে অনেক কিছুই ঠেকানো সম্ভব।
সব ধর্মই অনাচারের বিপক্ষে। তাই ধর্মচর্চার ভারটা 'হুজুর'- যাকে আপনারা 'কাঠমোল্লা' ডাকেন, যাজক, পুরোহিত, আর ভান্তের হাতে তুলে না দিয়ে আমরা নিজে ও নিজের সন্তানদের ধর্ম চর্চায় উৎসাহিত করে দেখি--- আশা করি ভালো ফল পাওয়া যাবে! সমাজে এ সব অনাচার নিশ্চিতভাবে কমবে।
বিজ্ঞানমনষ্ক-- যারা ধর্মকে অপ্রয়োজন মনে করেন--- তারা এ লেখা পড়ে বিরক্ত হলে দুঃখিত!

সঙ্ঘবদ্ধ ভ্রমণ চক্র:: আহা কী দারুণ

ধরে নিয়েছিলাম আগে আগে পৌঁছে ঘুমাবো। তারপর সকালে বের হবো ঘুরতে। কিন্তু আমাদের কাডির ভাইয়ের রাস্তার অবস্থা বলে সময় নষ্ট না করে বরং মমতাজের গান হুনি--- বুকটা ফাইট্টা যায়!
তার উপ্রে কামাল ভাইয়ের ডিপারমেন্ট খুবই সফলভাবে যানজট দীর্ঘায়িত করতে সক্ষম--- এ সব দেখতে দেখতে শ্রী মঙ্গল পৌছানোর নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ঘণ্টা তিনেকের বেশি হয়ে গেলো।
ফাঁকে উজান ভাটির দোতলায় বসে আছি খাবারের জন্য। গরুর গোশত, মাসকলাইয়ের ডাল সাথে একটা সবজি দিয়ে রাতের আহার শেষান্তে আমরা আমরা রমেশ কাগুর শ্যামলী পরিবহনে চেপে বসলাম--- ড্রাইভার খুবই ভদ্রোচিতভাবেই গাড়ি চালিয়েছেন---তার জন্য ধণ্যবাদ দেবার চে আমাদের দেরী হয়ে যাওয়া নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছিলাম।
রাত দু'টার কিছু পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বাসটা থামলো--- মৌলভীবাজার রোড়ে। একটা সিএনজির দেখা মিলল--- ভাড়া ৫ শটাকা। দিবসে এর ভাড়া ১২৫ টাকা। কিন্তু জঙ্গলের ভিত্রে দিয়ে নিরাপত্তা সঙ্কটের কারণে রিস্ক লইয়া যাইতে হপে বলে ভাড়া বেশি দিতে হবে; এক কথায় কবুল।
ঠান্ডা বাতাস বইছে, চা বাগানের ভেতর দিয়ে সিএনজি ছুটছে; লাউয়াছড়ার সীমানায় মেছো বাঘ, দু চারটা বানর দেখতে দেখতে পৌছে গেলাম হিডের বাঙলোয়। রাত তখন তিনটা ২০ ।
উত্তম দা লোক বসিয়ে রেখেছেন; সিএনজি থামার আগেই টর্চ লাইটের আলো এসে পড়লো--- আমরা নেমে, সোজা গেলাম ঘুমুতে। বাঙলোর আগের মত থেকেছে ঠিকই তবে এখন এসি লেগেছে।
ঠাণ্ডায় জমে যাবার জোগাড়; তাই এসি বন্ধ করে লেপ জড়িয়ে ঘুমুতে গেলাম। সকাল বেলা এসে পৌছানোর কথা--- বৃষ্টি এসে ভিজিয়ে যাচ্ছে মে মাসের প্রথম দিনের সকাল।
রীতি সাড়ে ১০ টার মধ্যে দুখান ছাতা হাতে পৌছালো বাঙলোয়। বাইরে বারান্দায় বসে সিদ্ধ রুটি, আলু ভাজি আর ডিম পোস দিয়ে সকালের নাশতা করতে করতে পিঙ্ক কলারে পুরনো আমলের একখানা জিপ এসে হাজির।
শিপু জানালো এ ধরণের জিপ কাগু এরশাদরে সময় দেশে আনা হয়েছিল। আমরা সাকুল্যে ৮ জন। তার মধ্যে আমার দুই পুত্র আছে। তারা সাধারণত শান্ত থাকার বিষয়টা মাথায় রাখতে পারে না।
ঝুম বৃষ্টি নেমে এলেও আমাদের পিঙ্ক কালারের জিপ গাড়িটা ছুটে চলে ভানু গাছ থেকে কমলগঞ্জের ন্যাশনাল টি গার্ডেনের দিকে। বছর ৭-৮ আগে আমরা (লিনা এবং আমি) যখন সেখানে যেতাম--- পুরই সুনসান নীরবতা ছিল। রাস্ত ছিল কাদামাখামাখি।
এখন সায়েবি সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। বিটুমিনের ছোঁয়া পেয়েছে ব্রিটিশ আমলে গজানো চায়ের বাগান। এর মধ্যে আমাদের গাইড হবার আগ্রহ নিয়ে এগিয়ে আসলো শঙ্কর।
ঠিক আছে চলো---
এগিয়ে যেতে যেতে শঙ্কর একটা পাতা বের করে আনলো--- থাই সুপের সাথে আমারা এ ঘাসের সাক্ষাৎ পাই। সেটা রীতির হাতে দিয়ে আমরা হাঁটছি।
এক পশলা বৃষ্টি হয়ে গেলো। তারপর কড়কড়ে রোদ্দুর। শাপলপাতা বিছিয়ে থাকা মাধবপুর লেকের উপ্রে নীল রঙের শাপলা ফুল। দৃশ্যটা অসাধারণ। সবুজের আল পথে, টিলার উপর চা বাগানের ফাঁকে দাঁড়িয়ে থেকে আমরা লেকের রূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে ছবি তোলার কাজটাও সেরে নিচ্ছিলাম।
ইশতিয়াক আর শিপুর হাতেই ছবি তোলার দায়িত্ব অর্পন করে আমরা পোস দিয়ে যাচ্ছি।
ঘন্টা দুয়েকের ভ্রমণের ফাঁকে সবাই একবার করে বলে নিলো লেকটা আসলেই সুন্দর।
বড়শি পেতে বসে থাকা কিশোরের গা ঘেঁষে লেক এলাকা ছেড়ে আসার পর ন্যাশনাল টি গার্ডেনের নিজস্ব চা পাতায় বানানো গাঢ় লিকারের চা খেয়ে ফিরছি।
অবশ্য চায়ে মন নেই রিংকির। ঠাণ্ডা কিছুর জন্য অপেক্ষা করছে লিনাও। ইশতিয়াক বরাফাচ্ছাদিত এক বোটল পানি নিয়ে আসলো!
দুপুরের খাবারের পর পিঙ্ক কালারের গাড়িতে বসার জন্য অস্থির নাকিবের ডাকে সাড়া দিয়ে আমরা ছুটলাম লাউয়াছড়া রেইন ফরেস্ট। টিকিট কাটার পর হাঁটা--- রেললাইনে এসেই ইশতিয়াক স্ত্রীর ছব্বি খিঁচা শুরু করলো। আমাদের ছবিব খিঁচার দায়িত্বটা শিপুর হাতেই ছিল।
বিকালের পড়ন্ত সূর্য়ের আলোয় লাউয়াছড়া রেইন ফরেস্ট এক কথায় অসাধারণ। রেল লাইন ধরে হাঁটা আর ছবি তোলার ফাঁকে একটা ট্রেন ছুটে এলা--- হিশ ঞিশ শব্দ তুলে বনের ভেতর ছুটে চলা ট্রেনের দৃশ্যটা বিজ্ঞাপন চিত্রে দেখাও হলেও এবারই প্রথম আমরা সবাই এক সাতৈ তা দেখলাম।
সন্ধ্যার একটু আগে আমরা চলে এলাম টি রিসার্চ ইন্সটিটিউটের কাছের টি গার্ডেনে।
সেখানে এসে আবিষ্কার হলো জোঁক চুষে নিয়েছে শিপুর রক্ত। এর ফাঁকেও আমরা ছবি তুলে, চা বাগানে খানিক সময় কাটিয়ে ছড়ার ছুটন্ত পানির শন শন আওয়াজ কানে তুলে শ্রীমঙ্গল শহরের আসলাম।
উদ্দেশ্য বৈকালিক নাশতা!
পাশে 'শশুর বাড়ি' নামীয় যে রেস্টুরেন্ট যাত্রা করেছে--- সেটা জানতাম। এর দ্বিতল ভবনের নিচে ফরেনারের সাথে দেখা। তারা নিচে বসলেন আমরা ছেলেপুলে নিয়ে দোতলায় উঠলাম--- লাচ্ছিটা দারুন, অন্থনও ছিল। দই দুটো নাজিব নাকিবের জন্য আনা হলেও একটা নষ্ট করে রেখে দিয়েছে ওরা।
সন্ধ্যার কিছু সময় পর আমরা ফের বাঙলো। একটু রেস্ট; একটু আড্ডা রাতের খাবার--- তারপর আবার ঘুমুতে যাওয়া। রাতে বৃষ্টি নেমেছিল। ভোরে ঘূম ভাঙার পর সে বৃষ্টি উপভোগের গল্প শুনলাম রিংকির কাছে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী পরের দিন মাধবকুণ্ড যাবার কথা। সেটা রদ করে আমরা সিলেটই ফিরতে চাইলাম। লক্ষ্য রাতার গুল।
ঘুমের পর সকালে নাশতার আয়োজন। সেই রুটি , ডাল আর ডিম ভাজি। চা সেরে নিয়ে আমরা গুছিয়ে বেরুতে চাইলাম। সিএনজি ভাড়া করা হলো। যথারীতি আমরা শ্রীমঙ্গল শহরে।
হবিগঞ্জ সিলেট এক্সপ্রেস আমাদের বয়ে নিচ্ছে-- বিরতিহীন এ সার্ভিসে আমরা সিলেট শহরে এসে দাঁড়ানোর পর হেরিটেজ হোটেল আমাদের গন্তব্য!
তার আগে পানসি রেস্টুরেন্টে দুপুরের খাবার--- যদিও তখণ চার টা পার হয়ে গেছে। তাতে কি লাঞ্চ তো লাঞ্চই! চিংড়ির কারি, মুরগির রোস্ট , মাছ, ভাজি ভর্তার সমাহারে খাবার শেষে হোটেলে ফিরে ফ্রেশ হবার পর আমরা সন্ধ্যার দিকে গেলাম সার্কিট হাউসে।
রীতির সিলেটি বন্ধূদের সাথে আড্ডা হলো ঘণ্টা দুয়েক। এর মধ্যে নাকিবের রেড কালারের আমব্রেলা লাগবে--- যাবার পথে রীতি টুক করে নেমে সেটিও কিনে হাতে তুলে দিলো।
পানসি--- সেই রক্কম ভিড়। সেই ভিড় ঠেলে রাতের খাবারের সাথে সাথে হাছন রাজার যাদুঘরের দ্যাখা মিলল--- বাইরে থেকে। রাতের হোটেল ফিরে লম্বা ঘুম।
সকালে কালো মাইক্রোবাসে আমরা চড়ে বসলাম--- গন্তব্য বিছানাকান্দি। গোয়াইনঘাট--- হাদার পাড় হয়ে নৗকায় চেপে বসলাম। পানি আর নাজিব দুটোরই বন্ধুত্ব পুরনো।
নাজিব বিছানাকান্দির পথে ভিজে নেয়ে একাকার। পাহাড়ের ছায়ায় নদীর জলে পাথরের সাথে জমছে আমাদের ভ্রমণ যাত্রা।
বিছানাকন্দি পৌছে নাজিবকে একবার নামানোর পর তুলে আনাটা ছিল চ্যালেঞ্জ। ঘণ্টাখানেক ভেজার পর আমরা উঠতে চাইলাম। পাহাড়ের ওপর থেকে নেমে আসা ঠাণ্ডা জলের ধারা মিশে যাচ্ছে নদীর জলে। জলের তলে জমে থাকা পাথর তুলে নিচ্ছে ব্যবসায়ীরা। সৌন্দর্য হানি হচ্ছে --- এ নিয়ে হা পিত্যেশও করলাম।
এখানে সরকার বাহাদুরের নজর পড়লে ভালো আয় ইনকাম করাও সহজ হতো্ বলে মত দিলাম।
কিন্তু এটা তো সত্যি এ রকম একটা ছোটখাটো বিছানাকান্দি নিয়া ভাবনার মত সময় সরকারের নেই। তবে বেসরকারি উদ্যোক্তারা ভাবতে পারে। ট্যাকা থাকলে নিজেই ভাবতাম!
ফিরছি--- ফিরে যেতে হয় বলে।
সন্ধ্যায় হোটেলে এসে হতে- পা ছড়িয়ে একটু বিশ্রাম নেবার পর রাত্রিকালীন দাওয়াতে আমরা।
রীতিদের বাসায় রাতের খাবারের নেমতন্ন। সাতকড়ায় পাকানো গরুর গোশত, ছোট মাছের বড়া, গোশতের কোপ্তা, মুরগির রোস্ট, মাছ ভাজি, বড়ইর আচার--- মতিচুরের লাড্ডু, মিষ্টি --- খাদ্য গ্রহণ শেষ করে উঠে দাঁড়ানো কষ্টকর হলেও উঠতে হলো।
বাস সাড়ে ১১ টা। কিন ব্রিজের উপর দিয়ে আমরা সিএনজি করে চলে এলাম শ্যামলী বাসের কাউন্টারে। ---- ছুটলো বাস উল্কার বেগে। এটাই যেন নিয়ম--- জীবন নিয়ে জুয়া।
আনন্দঘন সময়গুলো দ্রুত ফুরিয়ে যেতে থাকে--- স্মৃতির পাতায় জমতে থাকে প্রতিটি ভ্রমণ আর বয়স ড়তে থাকে। আমরা বুড়িয়ে যেতে থাকি! কী দারুন আহা কী দারুণ । আহা কী দারুণ জীবন!

নির্বাচন করে রাষ্ট্রীয় অর্থ অপচয়ের কোনো মানে হয় না

ভাই সব
আম্লীগ অত্যন্ত গণতন্ত্র-বান্ধব দল। আপনাদের ভোটের অধিকার আদায়ের জন্যতারা এতগুলোর বছর ব্যয় করেছে--- নিশ্চয় আপনাদের সেটা মনে রাখতে হবে। 
ভাই সব ---দেশের উন্নয়ন -নেতৃত্ব দেবার জন্য আমরা তাদের বেছে নিয়েছি।
তাই তাদের দলের পেশি শক্তির ব্যবহার; ক্ষমতার অপপ্রয়োগ সহ যে সব কথা-লেখা তাদের বিরুদ্ধে যায়---এমন আলোকপাত গণতন্ত্র, দেশের স্থিতি -উন্নয়ন বিরোধী । মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিনাশী।

তাই আসেন---নিজের চরকায় তেল দিই।

তারপরেও সরকার যেহেতু এখনো নাগরিকত্ব রেখেছে---তার দাবি নিয়ে বলছি---এ সব ফালতু নির্বাচন করে রাষ্ট্রীয় অর্থ অপচয়ের কোনো মানে হয় না।

যে যেখানে থাকুন নিরাপদে থাকুন। স্রষ্টার দরবারে দুর্বলের এ আকুতি থাকলো।

আম্লীগের রাজনীতির কাছে তুমরা দুগ্ধপোষ্য অপুষ্ট শিশু



কিছু আবুল আছে ঢোলের দুই পিঠে পিটায়। আহা তুমার এত মাথা ব্যথা ক্যান। বিম্পি ৫ জানুয়ারীর নিব্বাচনে যায় নাই--- এটা চ্রম ভুল ছিল।  কানে কানে তুমরাই তো কইছো।  বিশ্বাসও করছো--- ইসি কি বাল ছিঁড়তো--- নির্বাচনে গেলে ক্ষমতায় যেতো বিম্পি।  এ সব তো তোমগো ইন্টারনাল বয়ান।
আম্লীগের রাজনীতির কাছে যে তুমরা দুগ্ধপোষ্য অপুষ্ট শিশু সেইটা বোঝনের ক্ষমতা তোমাগো নাই। একবার ক্ষমতার স্বাদ পাইছিলা--- তাই ভাবছ ক্ষমতা কী মোহনীয়--- ! খালি উপভোগ করবা। ত্যাগ করতে শিখো। ত্যাগ ছাড়া আম্লীগও এত দূর আসতে পারতো না। বহু বছর ক্ষমতার বাইরে ছিল দলটি। সেইটাও ভাবো---

নগর নির্বাচনে বিম্পিকে তাড়িয়ে নেবার জন্য একজন রাষ্ট্রবিজ্ঞানীকে দোষ দ্যায় কেউ। কেউ ডিহবাহির চরম পরম আলোচিত নেতার সমালোচনা করে। বলে সরকারের বাইরে থেকেও লোকটা সরকারেই আছে।  আরেকজন বিম্পি অফিসে বসে আম্লীগের কাজ কর্ম করে বলে অভিযোগ।

আরে ভাই তোমরা কই আছিলা। তারা এ সব জায়গায় যদি যাইতে পারে--- তুমি পারো নাই ক্যান।

আম্লীগের টোপটা বোঝ নাই ক্যান। ঢাকা ও চট্টগ্রামের বাইরের সিটি নির্বাচনের  ফল তোমাগো পক্ষে না দিলেও তারা পারত। কেন দিয়েছে--- দিয়েছে বড় ফলটা তারা খাবে। সংসদ নির্বাচনটা নিজেদের অধীনে দেয়াটা জায়েজ করবার জন্য। অকাট্য প্রমাণ তখন সবার সামনে-- তাজা।
এ সব বোঝার মত তোমাদের মাথায় মালের অভাব। তাই তোমরা ফাঁদে পা দিছো।

খরবদার জণগণকে জিম্মি কইরা আর রাজনীতির  নোংরা খেলা খেলবা না। তোমরা আগে নিজেরা ঠিক হও; রাজনীাত বোঝো; দলের ভিত্রের দালাল মুক্ত করো--- আদর্শের জন্য রাজনীতি করো--- তারপর আলাপে আইসো।

 যারা আমার এ  আওয়াজে কষ্ট পাইছেন--- তারা আমারে ত্যাগ করেন। মনে রাখা ভালো--- আমি কারো সাতেও নাই পাঁচেও নাই। শান্তি চাই। তোমরা তোমাদের  রাজনৈতিক দুরদর্শিতার অভাবে--- কৌ্শল নির্ধারণে ব্যর্থ হয়ে জণগণকে জিম্মি করবা--- তা হবে না।  তা তুমি বাবা আম্লীগ হও; বিম্পি হও, জমাত -জাতীয়পার্টি--- বাম রাম যাই--- হও!

শান্তি চাই।

আমি রকিব হবো না--- মইন--ফখর হবো না

জানি প্রিয়তমা
বন্দুকের নলের সামনে টিকে থাকা মুশকিল
চেষ্টা করতে দোষ কি বলো
মৃত্যু হবেই ; তাই বলে মওদুদের মত বাঁচবো!
সব সময় সরকারি দলে থাকা তো সম্ভব না

এ ভাবে আর কত লেয়াঁজো করে চলবো--- খোকার মত।
কতবার আমি নিজের ঘাটের টাকা খরচ করে গ্রেপ্তার হয়ে
আন্দোলন থেকে দূরে থাকবো বলো!

তার চেয়ে এই ভালো-- সব মেনে নিয়ে
আমি এমাজ--রিজভী--আইভি-- জুনায়েদ সাকী হবো

অমি কখনো অস্বীকার করবো না আমার অপরাধ
কখনোই আমি মুজাহিদ হবো না। নিজামীর মত বলবো না সব মিডিয়ার সৃষ্টি


জানি প্রিয়তমা
আনিসুলের মত আমার ভাই নেই
তার সম্মোহনী ক্ষমতা আমাকে রাতারাতি নির্বাচনি টিকিট এনে দেবে!

মাহির মত আমার পেছনে--- প্রেসিডেন্ট বাবা নেই।
রাজনৈতিক পরিবার নাই।
তাবিথের মত আমার বিত্তবান পিতা নাই---
নাই আমার মেয়র হবার বাসনা


তবে আমি সাঈদ খোকনের মত সততা নিয়ে চলতে চাই
মির্জা আব্বাসের মত স্ত্রীকেও বের করে আনতে চাই চার দেয়ালের বাইরে


হাল ছেডেনো
পোষা কুকুর হতে পারিনি বলে আমি হেরে যাবো ।
হতে পারে না; মানুষ কখনো হারে না

নির্বাচন কমিশনের দুয়ারে যাবো না
আমি রকিব হবো না---  মইন--ফখর হবো না

 মাসুদ হবো না--- রেস্টুরেন্ট খুলবো না কখনোই

মানুষ হতে এসেছি। মানুষ হবার চেষ্টা করে যাচ্ছি---
মানুষের মনের কথা শুনতে এসেছি--- মানুষের কথা শুনে মিলিয়ে যাবো

জানি বন্দুকের নলের অনেক শক্তি--- তারচে বেশি শক্তি প্রকৃতির।
খেয়াল দেখো--- ধবসে গেছে দরবার হল
টিকে আছে মানবতা--- এ মানবতা জাগ্রত করতে কোনো পয়সা খরচ হয়নি।
উঁচু করতে হয়নি বন্দুক!

জয় হোক মানুষের। জয় হোক মানবতার। জয় হোক বোধ-চিন্তা-মানবিকতার!

যৌন হয়রানির জন্য সরকার ঠেইলা ফালায়া দিবেন !

আরে ভাই আপনারা কি যৌন হয়রানির জন্য সরকার ঠেইলা ফালায়া দিবেন নাকি।   অফ যান; নইলে ---যৌন হয়রানি এ ক্যাম্পাসে নতুন না।

তবে এবারের দলিলটা  শক্ত---ছাত্র ইউনিয়নের লিটন নন্দী ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। প্রভাবশালী পত্রিকায় খবর হয়েছে---তাই এ সবার কাছে বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়েছে-- ঘটনা আমলে নিয়েছে পুলিশ ।

২০১০ সালে রাজু স্মৃতি ভাস্কর্যের সামনে কুড়ি জনের মত নারী চরমভাবে লাঞ্ছিত ও আরো অনেকে যৌন হয়রানির  ঘটনার পর খবরটি একামাত্র দৈনিক নয়া দিগন্ত---প্রকাশ করেছিল। সম্ভবত বিপরীত মতের পত্রিকার খবরটির উদ্দেশ্য ধরে নেয়া হয়েছিল---' নারীরা যাতে বৈশাখের উৎসবে না বের হন; তার একটা চক্রান্ত।' হিসাবে।

এবার সোস্যাল মিডিয়া, ছাত্র সংগঠনের অংশগ্রহণ এবং প্রভাবশালী মিডিয়ার নজরে আসায় বিচারের দাবিতে সোচ্চার--- আমরা সবাই । সাধারণত এ সব ঘটনা  এড়িয়ে  যেতে এবং নারীদের ওপর দোষ চাপিয়ে বিকৃত আনন্দ পেতে পছন্দ বেশির ভাগ লোকের!  তবে এবারের এ প্রতিবাদমুখরতা--- কোনো অর্থেই কম প্রাপ্তি নয়।

তবে ২০০০, ২০১০ সালের ঘটনাকে আমলে নিলে এবারের বিপর্যয় এড়ানো যেতো বলে  মনে করি।

 যে কোনো ঘটনার পর পরই তা নিয়ে তদন্ত হওয়া উচিৎ। যদি সে খবর ভিত্তিহীন হয় তাহলে সেই গণমাধ্যমকে  অভিযুক্ত করে শাস্তিও দেয়া যেতে পারে।

 কিন্তু খবর এড়িয়ে যেতে যেতে একব সময় যখন  নিজের ঘাঁড়ে এসে পড়ে তদ্দিনে ক্যান্সার আর নিয়ন্ত্রণে থাকে না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বহিরাগত তরুণরা ডেট করে নামে যে যৌনতায় জড়িয়ে ক্যাম্পাসে সুনাম হানি করছিল--- ছাত্রীরা বিব্রত হচ্ছিল--- তারা এ নিয়ে হল প্রভোস্টদের কাছে অভিযোগ করার পর একাডেমিক কমিটি ও সিন্ডিকেট বৈঠকে আলোচনার পর একটা সিদ্ধান্তে আসে--- ক্যাম্পাসে বহিরাগত যুগলদের দেখা গেলে তুলে দেয়া হবে। এর একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিও দেয় কর্তৃপক্ষ--- সেটি  সে সময়  মানব জমিন রিপোর্ট করে। এর কাউন্টারে বিবিবি বাংলা রিপোর্ট করেছিল--- একজন ছাত্রীর মুখ দিয়ে বলিয়েছিল--- এটা মাদ্রসা না।

আসলে তো তাই এটা মাদ্রাসা না। আবার এটাও তো ঠিক এটা বহিরাগতদের  ডেটিং স্পট না। ক্যাম্পাস  তার নিজস্ব জনগোষ্ঠীর জন্য। বহিরাগতরা এখানে কেনো আড্ডা জমাবেন--- এমন আড্ডা  যা তার পরিবারও পছন্দ করছে না।

ভালো কথা--- কিন্তু স্বেচ্ছা যৌন সুখ  এবং জবর দস্তিমূলক হয়রানির মধ্যে আকাশ পাতাল তফাৎ রয়েছে--- সেটি আমরা জানি।

তাহলে আমরা কি এ যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে কঠোর অ্যাকশনের শুরুটা ২০০০ সালের শতাব্দী বরণ উৎসবে বাঁধনের কাপড় খুলে নেবার পর করতে পারতাম না। পারতাম--- আমরা করিনি। কারণ  আমরা ধরে নিয়েছি--- একটা মেয়ে রাত ১২ টার পরে টিএসসিতে আসবে কেনো--- তাই এ পরিণতি গ্রহণযোগ্য।

তার উপর এর অভিযোগের তীর ছিল সরকার দলীয় ছাত্র সংঘটনের বিরুদ্ধে। সে সময়কার পত্রিকার খবর অনুযায়ী  এটি আমাদের বিজ্ঞানের ছাত্ররা থাকেন-- সে সব হলের ছাত্রদের কাণ্ড!

২০০০ সালের সেই রাতের প্রত্যক্ষদর্শী  আমরা কয়েক বন্ধু। আমার এখনো মনে আছে নিউ ইয়ারের এ সব আয়োজনে নারী দেখলে শুকুনের মত কিভাবে  'প্রগতিশীল' পুরুষেরা হামলে পড়ে---আমরা বন্ধুরা মিলে রোকেয়া হলের এক ছাত্রীকে উদ্ধার করতে গিয়ে সেটা টের পেয়েছিলাম।

রাত সাড়ে আটটার দিকে রিকশায় করে এক ছাত্রী ক্যাম্পাসে ফিরছিলো--- উৎসব উচ্ছ্বাস সবে জমতে শুরু করেছে। মেয়েটির পেছনে ছুটছে অনেকে। রিকশার উপর দাঁড়িয়ে মেয়েটি সাহসের সাথে বলল-- 'কেউ গায়ে হাত দিবি না। আমি এ ক্যঅম্পাসের মেয়ে। আমি  রোকেয়া হলে থাকি।' ততক্ষণে তার ওড়না উড়ে গেছে।
 তার পরেও কে কার কথা শোনে--- আমরা চেলা কাঠ নিয়ে রিকশা আটকানো যুবকদের পিটাচ্ছিলাম। আমাদের সাথে আরো কয়েকজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী যোগ দিয়েছিলেন-- বলে সেই ছাত্রীর রক্ষা।

এরপর আজাদ চৌধূরী স্যার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সব ধরণের নারীর  ইংরেজি বর্ষবরণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেন।  সে রেওয়াজ এখনো আছে। নারীরা রাতে ক্যাম্পাসে বের হতে পারে না। অথচ এর বছর দুয়েকের মাথায় বিশ্ববিদ্যালয় উইমেন স্টাডিজ ডিাপর্টমেসন্ট খুললো--- নারী নিয়ে পড়ার জন্য।


 জেন্ডার নামে একটা কোর্স সোস্যাল সায়েন্স ফ্যাকালটির সবগুলো ডিপার্টমেন্টে পড়ায়--- তারপরেও এ হাল!

২০০২ সাল থেকে ক্যাম্পাসের বাইরের কেউ  ইংরেজি নববর্ষে ঢুকতে পারে না।

২০০১ সালের নারী মুক্ত থাকা ক্যাম্পাসে থার্টি ফাস্টে আমরা আড্ডা দিচ্ছি। অনেক বন্ধু মিলে। সোহরাওয়ার্দীউদ্যানের গেটে হঠাৎ মোটর বাইকে এক তরুণের দেখা মিলল--- তার লম্বা চুল- জুটি। শীত কাল মুখ ঢাকা । ছেলেরা মনে করলো---  মেয়ে। টেনে নামানো হলো। ছেলেটা চিক্কুর মেরে কইলো ভাই আমি ছেলে!

বিশ্বাস হচ্ছিলোনা বলে তার সুয়াটার টেনে খোলা হলো--- পুলিশ হাসছিল এখনো মনে আছে।

২০০২ সালে  ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে  ব্যাপক পুলিশ--- তখন আমি ক্যাম্পাস রিপোর্টার।  স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরের সামনে বসে আড্ডা দিচ্ছি।

রাত বারেটার দিকে জনা বিশেক নারী এসে দাঁড়ালেন স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরের উল্টো দিকে-- টিএসসির সামনে।

 হুড় মুড় করে ছেলেরা ছুটে আসলো--- ছেলে পুলিশ তাদের আগলে ধরে জানালো এরাও পুলিশ--- মহিলা পুলিশ। সিভিল ড্রেসে বলে চিন্তে অসুবিধা হচ্ছিলো।

মহিলা পুলশেরা পরে এসেছিল ট্র্যাকশূট।  আমরা হেসে গড়াগড়ি--- পরে মানবজমিনে এর একটা নাতিদীর্ঘ রচনা লিখেছিলাম।

দেখুন--- ২০০০ সালে নির্মম ঘটনা এবং পরের বছর সরকার বদল হবার পরেও নারীর প্রতি কোনো রকমের হয়রানির আগ্রহ কমেনি।

 পরের বছরগুলোতে আর এমন ঘটনা দেখিনি--- পয়লা বৈশাখ উৎসবটা সব সময় নারীদের ঘিরের ধরে কিছু তরুণ--- তবে বৈশাখি কনসার্টগুলোতে যৌন হয়রানির কিছু ঘটনা পরবর্তী বছরগুলোতেও ছিল; তবে সেটা সংখ্যায় কম।

২০১০ সালে এটা বড় আকারে হবার পর  বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা এর প্রতিরোধ করেছিলন--- তাই এটা কেউ  আমলে নেয়নি। না পলিটিক্যাল পার্টি; না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন--- না সরকার-- মিডিয়া!

 আমরা সাধারণত শক্তির পুজা করি--- ভালো কাজ বড় কাজ বড়রা করবে ধরে নিই। তাই এবার অন্তত সবাই নড়ে উঠেছেন--- এটাই শান্তি।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানে পড়েছিলাম-- ক্ষমতা, ক্ষমতার কাছাকাছি এবং ক্ষমতাবানদের কাছাকাছি থাকতে সবাই পছন্দ করে। এটা চরম সত্য!

আপনারা যারা মাঠে-- ফেসবুকে--- ঘরে বসে---- এর প্রতিবাদ করছেন--- সবার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি---

সাময়িক উত্তেজিত না হয়ে--- ঘটনার বিচারে সরকারকে যদি বাধ্য করতে পারেন তাহলেই সামনে এ ধরণের ঘটনা  কমবে। যারা এ সব করে তারা  সুস্থ্য হবার সুযোগ পাবে।

যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন--- ঢাবি ক্যাম্পাস তুলে কথা শুনতে চাই না

বিস্ময়ের সাথে দেখছি- কিছু লোক সুযোগ বুঝে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে আক্রমণ করছে--- তাদের আসলে হিংসা-কষ্ট-না পাওয়ার বেদনার প্রকাশ বলে আমি এটাকে ক্ষমা করতে চাই।
এ ক্যাম্পাসে যৌন হয়রানি নতুন কোনো ঘটনা নয়; এ বিশ্ববিদ্যালয় সমাজের বিচ্ছিন্ন কোনো  কিছু নয়। সমাজের ক্রমহ্রাসমান ক্ষয়িষ্ণু সঙ্কট এখানে এসেও লাগে- এতে আমি কারো দ্বিমত আছে বলে মনে করি না।

পরিবার-অভিভাবক- সমাজ-সরকার, প্রশাসন এবং বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালকদের দায়িত্ব  সমাজের অনাচর বইবার ক্ষমতা কমিয়ে আনার মত নৈতিক শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা।

 এমসিসিআইয়ের ১১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে  ঢাকায় এসেছিলেন ভারতীয় সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল কালাম। তার বক্তৃতায় শুনেছিলাম আগামীর বিশ্বের সামনে নৈতিক শিক্ষা একটা বড় চ্যালঞ্জে। আমি নিজেও তা মনে করি।

যারা না বুঝে, সাময়িক উত্তেজনার কবলে পড়ে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় তলে কথা বলছেন- - - তাদের বলছি এবার অফ যান। অনেক হয়েছে। যৌন হয়রানির বিচারে সরকারকে বাধ্য করেন--- সেটা না করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এ সব হয়, চিপায়, কানায় কোনায় এ সব আগেও ছিল বলে; যারা বৈশাখি উৎসবে  নারীদের  শরীর খামছে ধরাকে জায়েজ করার চেষ্টা করছেন--- তাদের মানসিকতা কোনোভাবে সুস্থ্য এ কথা আমি বিশ্বাস করতে পারছি না।

 বিশ্বাস করেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেনো আজ এ অবস্থা--- সেটিও আপনাদের রিয়ালাইজ করতে হবে। আপনাদের রাজনীতি, ক্ষমতার নোংরা বাসনা আর দাপুটে জীবনের জন্য আপনার অল্প দামে এখানে নিয়ে এসেছেন অস্ত্র, মাদক আর  বহু ভাষা বৈচিত্রের ভেতর বেড়ে ওঠা মানব সন্তানদের ভেতর জাগিয়ে তুলছেন আদিমতা পশুত্ব।

হিন্দি সিনামা, ইংরেজি নীল সিনোমা, রসময়গুপ্ত সিরিজ, কিম্বা সবিতাভাবি কমিক  সিরিজ দিয়ে তাদের উস্কাচ্ছেন। গুলিস্তান থেকে নীলক্ষেত , ফার্মগেট থেকে টঙ্গী, গাবতলী থেকে সায়েদাবাদ সবখানে এর প্রকাশ্য পসরা।

সামনে বলছেন--- অপরাধ। পেছনে বলছেন-- গেলো কেন। কোন ফ্যামিলি মেয়ে রে বাবা।  আপনারা মুখোশের আড়ালে পশুত্ব লালন করেন।  আপনারা সুবিধা মত সব কিছু পেতে চান--- জানবেন অনেক ত্যাগ আর জীবনের বিনিময়ে বিশ্বজুড়ে মানবিকতার আহবান।

 অনেক সম্ভ্রমের বিনিময়ে এই বাংলাদেশ।  এ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা  এই বাংলাভাষার প্রতিষ্ঠার জন্য একটা বিশ্ববিদ্যালয় একাই লড়াই করেছে--- সেটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

 আফসোস রাজনৈতিক গৃহপালিত  পশুত্বের কারণে আজ আমার প্রিয় ক্যাম্পাস আক্রান্ত।

  যে যেই দলই করুন না কেনো--- যে আদর্শই হোক না কেন--- নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ করা আপনার আমার সবারই কাজ।

 তাই নারীকে অসম্মান করে আবার আস্ফালন করা জঘন্য। আর এটাকে উপলক্ষ্য করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে আক্রমণের স্পর্ধা যারা দেখান --- তারা নিজের সাথেই প্রতারণা করেন।

 আমি আমরা সবাই জানি--- এ সমাজ রাষ্ট্র জানে--- পঁচন সমাজের সব স্তরেই ছিল। এখন বেড়েছে। সামনে হয়ত আবার বাড়বে। সে পঁচন রোধেরও তরিকা আসবে--- সেটিও এ ক্যাম্পাস থেকে।

 আসেন আমরা অপরাধীদের শনাক্ত  করে শাস্তির আওয়াজ তুলি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে ঘিরে যারা নোংরা কথা বলছেন--- ধরে নিলাম তারা আসলে অবুঝ---উত্তেজিত। তাই ক্ষমা করি এবং নারীর সম্ভ্রম রক্ষা ও নৈতিক শিক্ষায় আপনার সন্তানকে ছোট বেলা থেকে শেকান--- তাহলে সামনে আর এ রকম  নোংরামি দেখতে হবে।

 হোন আপনি বিম্পি, আম্লীগ, জমাত, জাতীয় পার্টি, বাম-রাম-মুসলিম-হিন্দু-খ্রিস্টান-বৌদ্ধ। সব কিছু চাপিয়ে আপনি-আমি যৌক্তিক মানুষ হই। সে প্রার্থনা।

যৌন হয়রানির ক্যাম্পাসটি আমার!

এ আমার ক্যাম্পাস! তব্দ হয়ে গেলাম। নিঃস্ব হয়ে গেলাম। এ ক্যাম্পাসে নোংরা মনোবৃত্তির লোকরা আসে; নির্বিঘ্নে কুকর্ম করে সরে যায়। কখনোই তারা বিচারের আওতায় আসে না।
এর দোষ--- ওর দোষ করে শেষ পর্যন্ত শুয়রের বাচ্চাগুলোর চেহারা সিনহা বাবুর এজলাসে ওঠে না। আফসোস আরেফিস স্যার- - এখন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি।
এ আমার বিশ্ববিদ্যালয়- এ আমার অহঙ্কারের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়!
আরেফিন স্যারের আমলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দু’টো নোংরা ঘটনা বিশালাকারে হয়েছে। ২০১০ রাজু স্মৃতি ভাস্কর্যের সামনে লাঞ্ছিত হয়েছিলেন কুড়িজন নারী। ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে এর অভিযোগও উঠেছিল- কিন্তু আরেফিন স্যার এখানেও ব্যর্থ। ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে এক সময়কার নৈতিকভাবে স্ট্রং শিক্ষককে দেখলাম--- কেমন যেনো মিইয়ে যাচ্ছেন।লুটিয়ে পড়ছেন ক্ষমতার পদতলে। ক্ষমতা তুমি এত মোহনীয় কেনো!
চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ আরেফিন স্যার যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে কাণ্ডারি; তখন ২০১৫ সালের বৈশাখেও সেই একই কলঙ্ক। সেই একই স্থানে ঘটলো- নারীর প্রতি সহিংসতা। ঠেকাতে গিয়ে আহত ছাত্রইউনিয়ন নেতা লিটন। কুড়ি জন নারী আবারো লাঞ্ছিত হলে পশুত্বের আদিমতার নোংরা উল্লাসের কাছে।
অথচ ক্যাম্পাসে রেকর্ড পরিমান নারীর প্রতি সহিংসতার পরেও প্রগতিশীলতার দাবিদার কিছু শিক্ষক আরেফিন স্যারের রেফারেন্স লাগিয়ে সিভি বানিয়ে নারীর প্রতি সহিংসতার মন্ত্র বেচেন, এখানে ও খানে কতখানে সেমিনারে গিয়ে আলাপ করেন; টেকি দুনিয়াতেও তাদের ব্যাপক দেখা মেলে- কিন্তু নিজের ক্যাম্পাসে নারীর সুরক্ষায় এদের কোনো ভূমিকা নেই।
এরা আসলে মানুষ নয়; পা দুটো ঠিকই আছে। জবানও আছে। বাট এ সব বিক্রি হয়ে গ্যাছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নারীর প্রতি সহিংসতার খবর নতুন নয়। যৌন হয়রানি এখানে নিত্যকার ঘটনা।
ভাবলেই ঘেন্ন লাগে। কিন্তু সেই ঘেণ্নার কথা কাউকে বলতে পারি না। এতো আমারই ক্যাম্পাস। আমার রক্তে শিরা উপশিরায় এ ক্যাম্পাসের অনুভূতি। তাই এটাকে আমি অস্বীকার করতে পারি না। আমি এটা স্বীকার করে নিয়েই বলছি এ সব শুয়রের বাচ্চাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে--- যারা নারী দেখলেই হামলে পড়ে তাদের পক্ষে কারো অবস্থান থাকতে পারে না।
নিজেকে খুব অসহায় মনে হয়--- এখানে নারীর পণ্য হিসাবে ভোগের সামগ্র বিবেচনা করে কিছু মানুষ নামের পশূ তাদের পশূত্ব ক্ষমতাকে উপভোগ করছে। আবার তারায় নাকি নারী স্বাধীনতা ঘোষণা করেছে। তবে একটা প্রশ্ন মনে আসে এ রকম ভোগের জন্যই কি এমন স্বাধীনতার ঘোষনা।
তাহলে আমি সেই স্বাধীনতার বিরোধী।
আমার দেখা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয ক্যাম্পাসে প্রথম নারী নিপীড়নের প্রকাশ্য ঘটনা--- টিএসটি চত্বরে। একুশ শতক বরণ করে নেবার প্রথম প্রহরে বাধনকে ন্যাংটা করা হলো। কারা করেছে---স সেটা নিশ্চয় কারো অজানা নয়।
বিচার?
হয়নি। হবেও না। এটা তামাদি। সে সময়কার ভিসি আজাদ চৌধূরী স্যার এখন মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান।
বিম্পির আমলে শামসুন্নাহার হলে পুলিশ ঢুকেছে- সে ঘটনায় শাস্তি হয়েছে । তবে সেটা আমার মনে হয়- আরো বেশি হতে পারতো। ভিসি, প্রক্টরের বিদায় নয়--- তাদের আরো দণ্ড দেয়া উচিৎ ছিল। কিন্তু মামলা হয়নি; তাই ট্রায়ালাও হয়নি। শাস্তি বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজস্ব যে গণ্ডি --- সেটুকু।
সেনা সমর্থিত মইন ফখরের সময়ও ক্যাম্পাসে যৌন হয়রানি হয়েছে।
তবে আম্লীগের আমলে এটা এতটা বেড়েছে- বলে বোঝানোর উপায় নেই। আম্লীগের সহযোগি সংগঠন ছাত্রলীগের একজন নেত্রী নিজেও নিপীড়নের স্বীকার হয়েছিলেন বলে খবরে পড়েছি।
বিবিসি বাংলা গত বছরের রিপোর্ট
এক বছরে অন্তত ২০ জন নারী ক্যাম্পাসে যৌন হয়রানির স্বীকার হয়েছেন।
২০১৫ সালের বৈশাখেও একই হাল।
এ সব যৌনে হয়রানি 'অপরাধ' হতো যদি বিপরীত মতের সরকার ক্ষমতায় থাকতো। যেহেতু এখন সমমনা সরকার ক্ষমতায় তাই তা অপরাধ নয়। এটা নিশ্চিতভাবে বিশ্বাস করি।

আসলে আমরা নিজেরা আক্রান্ত হবার আগ পর্য ন্ত বুঝিনা কত খ্রাপ অবস্থা।
এ লেখা কারো সংশোধনের জন্য নয়--। কয়লা ধুইলে যায় না ময়লা। এটা একজন বিক্ষুব্ধ মানুষের আওয়াজ মাত্র!

গুন্টার গ্রাসের জন্য শোক-শ্রদ্ধা



'আমার দেশ অপরাধী– কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েছে সে
বহু বহুবার– অপরাধ তার তুলনাবিহীন।
আর আজ ভাগ্যের ফেরে– হয়তো নিছক ব্যবসাজ্ঞানে
অথচ মুখে বলছে ক্ষতিপূরণ হিসাবে– ঘোষণা করেছে
ইসরায়েলকে আরো এক ডুবোজাহাজ বেচবে সে
দুনিয়া ধ্বংস করতে পারে এমন ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া যায়
জাহাজ থেকে, ছোড়া যাবে সে দেশপানে
যে দেশে প্রমাণ নাই পরমাণু বোমা আছে
শুদ্ধ আছে ভয় আর ভয়ই তো অকাট্য প্রমাণ।
তাই আমাকে বলতে হবে যে কথা না বললেই নয়।'

 গুন্টার গ্রাসের কবিতা --- যে কথা না বললেই নয়

তরজমা--সলিমুল্লাহ খান


জার্মানির বিশিষ্ট ঔপন্যাসিক গুন্টার গ্রাস জার্মানির উত্তরাঞ্চলের শহর লুইবেকের এক হাসপাতালে আজ মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।
সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য ১৯৯৯ সালে তাকে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়।
যুদ্ধ-পরবর্তী জার্মানিতে নীত-আদর্শের প্রশ্নে তার অবস্থানকে অনুসরনযোগ্য বলে ব্যাপকভাবে গ্রহণ করা হতো।
অন্যান্য সৃষ্টির মতোই তার অমর উপন্যাস ডি ব্লেশট্রোমেল (টিনের ঢোল) লেখা হয়েছিল পোল্যান্ডে তার ছেলেবেলার শহর ড্যানসিগকে ঘিরে।
এই উপন্যাসটি পরে যে ছায়াছবিতে রূপান্তর করা হয় সেটি অস্কার এবং পাম ড'অর পুরস্কার জিতেছিল।
তবে সর্বস্প্রতি তাকে নিয়ে বেশ বিতর্ক দেখা যায় যখন তিনি এই কথা বলে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি নাৎসী বাফেন এসএস বাহিনীর সদস্য ছিলেন।


সূত্র বিবিসি। 

হায় হোসেন; হায় হোসেন

বিম্পি - জমাতের সব্বাই যে এখন হায় হোসেন; হায় হোসেন করতেছেন তাদের এর ভিত্তি নিয়ে ভাবতে হবে।  এভাবে বিম্পি-জমাত জোটের ক্ষমতার বাইরে থাকা, ৫ শতাংশ ভোট পাওয়ার পরেও আম্লীগের ক্ষমতায় টিকে থাকা  এবং তাদের বন্দনা করা লোকের সংখ্যা কম না।

তাই একলা নব প্রজন্মকে  দোষারোপ করে, ব্লগারদের নাস্তিক ঘোষনা করে আর  আম্লীগকে দোষ দিলে চলবে না।

সময় অনেক বদলেছে- কিন্তু বিএনপি আর সহ রাজনৈতিক জোট সঙ্গী জামায়াত  জগদ্দল পাথরের মত ভাবনা নিয়ে বসে আছে ।  সময়ের সাথে যে অগ্রসর হবার দরকার আছে সেটা হয়ত তাদের ভাবনায় আছে--- কিন্তু তার জন্য যে পড়াশোনা এবং  বাস্তবায়নের করণীয় ঠিক করা দরকার- সেটি তারা করেননি।

তাই এক তরফাভাবে কাউরে দোষারোপ বিবেচনা প্রসূত নয়।

নিয়তই আমরা শুনি এবং অনলাইনের কল্যাণে জমাতের নেতাদের সাথে আম্লীগ নেতাদের ছবিও এর প্রমান করে- আম্লীগ জামাত সখ্যতা।

 কিন্তু সময় বুঝে তারা সে কাদা মুছে ফেলে সাফ সুতরো হতে পেরেছে।সেটাও একটা রাজনীতির দুরদর্শিতা। আপনারা কি তা করতে পেরেছেন বা করার চেষ্টা করেছেন।

ভেবে দেখুন এবং এর জবাব দিন। আত্ম সমালোচনা করুণ- উপকার পাবেন।

সময়ের সাথে মানুষের ভাবনা -আবেগ জাগিয়ে রাজনীতির চূড়ান্ত ফায়দা তুলে নিতে পেরেছে আম্লীগ। বিম্পি তা পারেনি। পারার কথাও নয়। কারণ জগদ্দল পাথরের মত বিম্পির বুকে উপ্রে চেপে থাকা  কিছু স্থবির চিন্তার মানুষ- ।

তাদের অগ্রসর চিন্তা করতে পারেন না। তারা কোনো কিছুকেই আমলে নেন না। সুবিধাবাদী, ধান্ধবাজরা দলের ভিত্রে বাইরে ঘুরছে--- আর তাদের হাত ধরেই সরকার হটানোর দুঃস্বপ্ন দেখেন তারা। এ দুঃস্বপ্ন সফল হবার কথা নয়। সব কিছুই এটা সিস্টেমে চলে-- সেই সিস্টেম ব্রেক করার মত সাহস লাগে। আম্লীগের সে সাহস ছিল বলে ৯৬ সালে বিম্পিকে তারা টেনে নামিয়েছে। সঙ্গী ছিল জমাত।

বিম্পি ভেবেছিল- তারা আম্লীগের জোট সঙ্গীকে জমাতকে নিয়ে--- সরকার হটাবে। এ হটানো শব্দটা অবৈধ। আম্লীগ একটা অবৈধ কাজ করেছিল বলে বিম্পিও তা করবে তা হতে পারে না। তবে খালেদা জিয়ার কথাটা ঠিক- একটা যৌক্তিক পরিণতি দরকার। আর এ রকম ভাবনার মানুষ দলটি হাল ধরে আছে বলে এখনো এ দলটি টিকে আছে।

জিয়াউর রহমান এ রকম দলের জন্য জীবন দিয়ে যাননি। তার ১৯ দফা আরেকবার পড়েন। ভাবেন এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবার কারিশমা সমেত নেতৃত্ব নির্বাচন করেন। তারপর কাউরে দোষারোপ কইরেন।

আল মাহমুদ :: অনলাইন এক্টিভিজম এবং তার জৈবিক চাহিদা!


এনিমেলিটি ও রেশনালিটি মিলেই মানুষ বলে পড়েছিলাম এনথনেসিটি কোর্সে- এতদিন পরে এসে এর উদহারণ দেখছি ।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানে আমাদের এ কোর্সটি পড়াতেন - আফতাব স্যার; অধ্যাপক আফতাব আহমদ।  যিনি নানা কারণে তর্কে- বিতর্কে ছিলেন । পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গুলি করে হত্যা করা হয়।

আর যাকে ঘিরে এ লেখার সূত্রপাত তিনি কবি আল মাহমুদ। তিনিও তর্কে বিতর্কে আছেন।

আফতাব স্যার আর আল মাহমুদ দু'জনেই স্বাধীনতা উত্তরকালে গণকণ্ঠের সে সময়কার আলোচিত মানূষ যাদের সম্পাদনায় কাগজটি বের হতো।

এরা দু'জনেই বামপন্থি রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন- পরে তারা ডান  এবং কেউ কেউ তারে মূল পরিচয় ঢেকে তাদের জামায়াতের রুকন হিসাবে আলোচনা করে থাকেন।

 তবে আফতাব স্যার এবং আল মাহমুদ দু'জনই রাজনৈতিক দল হিসাবে জাায়াতের সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি সরাসরি নাকচ করে দিয়েছেন।

 সেটিরও সম্ভবত যুক্তি আছে-

আল মাহমুদকে  জামায়াতি লেখক হিসাবে পরিচয় করিয়ে দেয়ার পর তিনি সাপ্তাহিক  যায়া যায় দিনের ভালবাসা দিবস সংখ্যায়-- আদম হাওয়া-- কবিতা লিখে ব্যাপক কথিতক ইসলঅমিস্টদের রোষে পড়েছিলেন। তার লেখায় শরীর, রমন-রমণীর প্রথাগত জৈবিক দিকের তুমুল আলোচনা ও শৈল্পিক বর্ণণা  সাহিত্যের  সমঝদারদের মুগ্ধ করেছে। সাধারণ পাঠককেও আলোড়িত করেছে।

 জামায়াতি লেখক হিসাবে তাকে পরিচয় করিয়ে দেবার পরেও--কাবিলের বোন--- উপন্যাসে আল মাহমুদ  বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ব্যাপক ভিত্তিক আলোচনা করেছেন; যেটাকে তিনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর প্রতি দায় শোধের চেষ্টা হিসাবে।

 তবুও তিনি জামায়াতি লেখক-
 কারণ লোকটা দাড়ি রেখেছে, নমাজ পড়ে আর  স্রষ্টা সান্নিধ্য লাভের অভিপ্রায় জানায়। তাই তিনি জমায়াত।  সেটাও  তর্কের খাতিরে মেনে নিলাম!

 কিন্তু তার সাহিত্য ক্ষমতাকে অস্বীকার হয়তো এখনই করা সম্ভব- তবে দীর্ঘ মেয়াদে সেটি করা সম্ভব হবে বলে মনে হয় না।
 দেখার বিষয় হলো প্রগতিশীল নামে কিছু লোক এবং জামায়াতিদের মধ্যে বিশেষ কোনো তফাৎ নেই। যেমন জামায়াতিরা সমম্বরে চিক্কুর মেরে বলে আহমদ শরিফ নাস্তিক। তার লেখা সমাজের কোনো কাজে আসেনি।  আবার প্রগতিশীল নামের কিছু পতঙ্গ আল মাহমুদকে চিক্কুর মেরে বলে জমায়াত। তাই তার লেখার মূল্য নেই।

তবে এ সব পতঙ্গ সূর্যের রশ্মীর নিচে পুড়ে ক্ষয়ে যাবে---আল মাহমুদরাই টিকে থাকবেন; কালের বিচারে। সাহিত্যের গুণে।

সেটিও বলা আমার উদ্দেশ্য নয়--- আমার ভ্রিতে অফুরান কৌতুহল  আল মাহমুদের বিয়ে দিয়ে--  ফেসবুকে ব্লগে আলোড়ন তোলা সে সব নিম্নমানের দায়িত্বজ্ঞানহীন প্রচারকদের  পরবর্তী কার্যক্রমের প্রতি---

যেমন আল মাহমুদের নেতিয়ে পড়া দণ্ড খাড়া করার জণ্য তিনি কি বদি ভাইয়ের  সরবরাহ করা ইয়াবা, নাকি হুমো এরশাদের পছন্দের ভায়াগ্রা নাকি হামদরদের  উত্তেজক হালুয়া সেবন করছেন-- সে সব জানানোও তাদের দায়িত্ব।

অথবা তিনি কোন  কোন ব্রান্ডের কনডম ব্যবহার করছেন; তাও জানানো তাদের কর্তব্য। যাতের করে দেশের তাবৎ 'প্রগতিশীল' সেই ব্রান্ড এড়িয়ে চলেন।

ব্যয় সাশ্রয়ের জন্য আল মাহমুদ  সরকারি রাজা কনডম ব্যবহার করছেন কিনা সে সব তথ্য জানা দরকার। তার মত একটা জামায়াতি লোক কেন সরকারের রাষ্ট্রীয় সাবসিডিতে আনা কনডম ব্যাবহার করবেন-- তা হতে পারে না। এ  বিষয়ে অনলাইন এক্টিভিস্টদের রুখে দাঁড়াতে হবে।

 যে ফেসবুকের মহান প্রচারকরা আপনারা নিশ্চয় সামনে  আল মাহমুদের বীর্যের শুক্রের উপস্থিতি, আশি বছরের একজন লোকের  দণ্ডের স্থায়ীত্ব সম্পর্কে জানাবেন।

 জাতি জানতে চায়। জাতি নাহলে আমরা আল মাহমুদের সাহিত্যের ভক্তকুল জানতে চাই!

 শুরুতেই যেটা বলেছিলাম- আফতাব স্যার ক্লাসে পড়িয়েছেন এথনেসিটি -- সেখানে রেফারেন্স জার্নালে পড়েছিলাম--- এনেমিলিটি ও রেশনালিটি মিলে মানূষ।  পশূত্ব জয় এখনো করতে পারেনি অনেক মানুষ- বহু মানূষ এবং স্বঘোষিত জাতির বিবেক--- ।