সুচিত্রা ছাড়া বাঙালির দু বছর

রূপালী পর্দায় মানুষের সাদা কালো জীবনের রঙ্গিন স্বপ্নগুলোকে অসাধারণভাবে ফুটিয়ে তোলার মহা নায়িকা সুচিত্রা সেন ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারী মারা গেছেন। জানি এটাই প্রকৃতির নিয়ম। তবুও কিছু মৃত্যু আমাদের বেশি কষ্ট দেয়। সুচিত্রা ছাড়া বাঙালি পার করছে দু বছর !

সাধারণত নায়িকারা চলচ্চিত্রে আসেন, তারপর ক্যারিয়ার গড়েন এবং বিয়ে করে সংসারী হয়ে ঘরে ফিরে যান। 

বাংলাদেশে জন্ম, বেড়ে ওঠা এবং সংসার শুরু করে পরে কলকাতায় থিতু হওয়া সুচিত্রা এখানে একেবারেই ভিন্ন। তিনি পড়াশোনা করেছেন, বিয়ে করে সংসার শুরু করে স্বামীর উৎসাহেই সিনেমায় এসেছেন, এবং বাংলা সিনেমার দর্শকদের মতন জয় করেছেন বছরের পর বছর ধরে। 

তার সিনেমার নায়ক উত্তমের জীবনাবসানের পর তিনি একাকী জীবন বেছে নেন। সিনেমা থেকে সরে যান দূরে। একেবারেই একা-রহস্যময় তার সে জীবন তার। সেখানে কারোরই প্রবেশ ছিলনা।

কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সুচিত্রা ২৬ দিন লড়েছেন, শুনছিলাম প্রার্থনা সঙ্গীত শুনছেন, এর ভেতর তিনি চলে গেলেন, না ফেরার দেশে। 

মহানায়িকার জন্য শ্রদ্ধা। বাংলা সিনেমা তার রূপালি দিনের সোনালী অতীত ফিরে পাক। জয় হোক বাংলা সিনেমার, শান্তি পাক সুচিত্রার আত্মা।

শরীর পোড়ে



কামকাতুরে শরীর নিয়ে তার যতটা মাথা ব্যথা
 তার চে বেশি তোমার-তোমাদের

শরীর পোড়ে---তড়ফায়--উপুড় হয়
এ ফোঁড় ও ফোঁড় হতে ইচ্ছে করে !

তাতে তোমার কী! তোমাদের ---

খসে পড়া সিক্ত শিশিরসম কামরস!
তোমাকে চায়নি--- তবুও তুমি-তোমরা এসেছো

 বাঁধন খুলে বলেছো--- আমি মুক্ত!
আমরা স্বাধীন !

মুক্তি আমি চেয়েছি--- গোলাপি ঠোঁটের উপর আরেকটি ঠোঁটও  প্রত্যাশিত ছিল

সেটি ভালোবাসার---

 যৌন স্বাধীনতার নামে তোমরা বেশ্যা কারবারি !

চিবিয়ে খাচ্ছো তরুণী শরীর
এখন এখানে ইরানে !

এসে পড়ছো তোমরা
আনবিক বোমার ওপর ভর করে
মুহুর্তে ঢুকে পড়ছো এ পাড়া ও পাড়া বহু পাড়ায়!

--- কম্পমান ঠোঁট ভিজিয়ে যাবে তোমাদের নোংরা থুতু...

 এরও আগে যে ঠোঁট তুমি-তোমরা চেপে ধরেছিলে
মঙ্গলীয় তরুণীর ঠোঁটে--গ্রীবায়!
স্তনের বোটা নোংরা করেছিলে---সেই একই ঠোঁট!

ভালোবাসতে তোমরা আসনি --- ভালোবাসতে পারো না তোমরা---

মায়ার জালে জড়িয়ে তুমি-তোমরা একেকটা সকাল আমার জন্য নিয়ে আসছো--- উদারতায় তোমাকে সঁপে দেবার জন্য!

 তারপর

তারপর তোমার-তোমাদের দেখা মিলবে না---

 বদলে যাবে সমাজ--- সংস্কৃতি-- জীবন

তুমি-তোমরা পালিয়ে যাবে! পালাবে নিশ্চিত!

তোমরা পালাতেই জানো! তোমরা দাঁড়াতে জানো না! ভোগই তোমাদের লক্ষ্য!

দয়া করে শিক্ষকদের কিছু দিতে না পারেন--- কটাক্ষ করবেন না

সবার জীবনের লক্ষ্য নিশ্চিতভাবে  সচিব হওয়া নয়। বিত্তবাসনা থাকলে রাজ্জাক স্যার ৯ শ টাকা মাইনের দিল্লির ভার্সিটির চাকুরীর অফার পায়ে ঠেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আড়াইশ টাকায় পড়াতে আসতেন না।

আচ্ছা এ রকম একজন সচিবের নাম কি মনে করা যাবে? যিনি কেবল দেশের আমলাতন্ত্রের আমূল পরিবর্তন করার স্বপ্নে বিত্তবাসনা ত্যাগ করেছেন। প্রশ্ন থাকল--- উত্তর জানা থাকলে আওয়াজ দিবেন। প্লিজ।

রাজ্জাক স্যারের সংখ্যা কম; কিন্তু একটি স্বাধীন সত্ত্বা যে আমরা পেয়েছি-- তার পেছনে এ মাস্টরদের অবদান কোনোভাবেই উড়িয়ে দেবার মত নয়। যাদের ঘিরে সরকার রা্জনৈতিক ফায়দাও তুলে নিয়েছে-- তাদের মধ্যেও মাস্টর অনেক।

 বুদ্ধিজীবিদের হত্যা করে শত্রুরা আমাদের মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দেবার পর স্বাধীনতা উত্তরকালে অধীন বুদ্ধিজীবি বৃত্তির যে বিকাশ সেটাকে স্বীকার করে নিয়েই বলছি--- এরপরেও কিছু শিক্ষক ও বুদ্ধিজীবি অবশিষ্ট আছেন, যারা অন্ধকারে আলো দেখাতে পারেন। পেরেছেন বলেই আমরা এখনো অন্ধকারে হাতড়ে বেড়াই সে সব আলোর পথযা্ত্রীদের।

সরদার ফজলুল করিম, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী স্যাররা এখনো আমাদের নির্লোভ আলোর পথিকৃত হয়ে আছেন। সিরাজুল ইসলাম স্যার বেঁচে আছেন। সরদার স্যার মারা গেছেন। কিন্তু আমরা হয়ত হাতে গুণি, গুণে বলি আমাদের এঁরা আছেন। আমরা কি এ রকম কোনো সচিবের নাম করতে পারি যারা মানুষকে আলোর পথ দেখিয়েছেন।

হয়ত পারবো--- সেটার জন্য সার্চ ইঞ্জিন গুগলের সহায়তা নিতে হবে।

আমার অবশ্য এ রকম একজনের নাম মনে পড়ছে--- আবুল কালাম মোহাম্মদ যাকারিয়া।  হয়ত আরো কেউ থেকে থাকবেন।  যাকারিয়া নৃ ও প্রত্নতত্ত্ব বিশ্লেষক--গবেষক।

 তবে আমলা কবি পাবেন। কিছু কবি নিশ্চয় ভালো হবে হয়ত।

শিক্ষকরা কী করেন? সমাজ-মানবিকতা ও ননন্দতত্ত্ব আর প্রযুক্তির প্রসারের  ধারণাগুলো তৈরি ও বাস্তবায়ন তো তারাই করেন বলে তারা শিক্ষক। দলান্ধ-দলকানা- লেজুড়বৃত্তির শিক্ষক সব কালেই ছিল, এখনো আছে-- সামনেও থাকবে।

সমাজের সবস্তরের ইন্সটিটিউটশনাল ভিত ভেঙ্গ দেবার পর সরকার যখন কটাক্ষ করে বলেন---'বিসিএস' দিয়ে সচিব হয়ে যান। সচিব হওয়াটা খুব কঠিন বলে ধরে নিয়েছে সরকার। ভাগ্যিস বলেনি  চাকুরী ছেড়ে মিছিলে চলে আসেন, ক্যাডার হয়ে যান-- ভালো ইকনাম হবে।

শিক্ষকরা সমাজে আলোর পথযাত্রী। এটা মহান পেশা। এমন নানাবিদ কথা বলে এ পেশার মানুষকে অনুগ্রহ দেখানোর লোকের অভাব নেই। এত সম্মান! তারপরেও টাকা চাইবার কথা নয় তাদের?--- টাকা তো কেবল  সচিবদের দরকার। পুলিশের দরকার।  রাজনীতিকের দরকার।

শিক্ষকরা রোজা রাখবে আর শিক্ষার্থী পড়াবে --- জীবনের ব্রত যেহেতু তার জ্ঞান বিতরণে করা তাই জ্ঞানের মত এত  মহান বিষয়ের মূল্য নির্ধারণ করা অত্যন্ত বাজে কাজ।  তাই এমনটা হয়।

বিম্পি সরকার যখন ২০০১ সালে সরকারে আসে। সে সময় সরকারের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে শিক্ষা বিষয়ক গোলটেবিলে--- সে সময়কার শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী  এর কাছাকাছি কথা বলেছিলেন। ' শিক্ষকদের অনেক সম্মান। সমাজের প্রতি দায়। তাই তাদের মাইনে বড় কথা নয়। '

এমাজ স্যার ছিলেন সে অনুষ্ঠানে--- তিনি বলেছিলেন--- শিক্ষকের চাহিদা নেই; বা থাকতে নেই বা থাকা উচিৎ নয় বলে সমাজ নির্ধারণ করলেও--- শিক্ষকের যে সংসার পরিবার পরিজন আছে সেটি ভুলে গেলে চলবে না। শিক্ষক ভিন গ্রহের মানূষ নয়। তার পরিবার পরিজন এ সমাজেই থাকে। সুতরাং সমাজের যে চাহিদা তৈরি হয়, তার সাথে বিস্তর ফারাক হতাশা তৈরি করতে পারে এবং করেও বটে।

 কথাটা মনে ধরেছে। আমি নিজেও তাই মনে করি।

বাংলাদেশ তো ভিয়েতনাম নয় যে, সরকারের নির্দেশে সবাই দোতলা বাড়ি বানাবে-- তার উপরের ছাদ হবে টালির। সবাই প্রায় একই রকমের মোটর বাইকে চড়বে।  এখানকার রাস্তায় জাগুয়ার চলে, নিশান চলে---সেখানে শিক্ষকরা গাড়ি চড়তে না পারেন একটা  বিআরটিসির সিটিং সার্ভিসে চড়ার মত মাইনে পাবেন না! তা কি করে হয়।

 এখানে স্কয়ার,  এ্যাপোলো , ইউনাইটেড হসপিটালে  চিকিৎসা না করান অন্তত বাংলাদেশ মেডিকেলে চিকিৎসা করানোর মত সামর্থ তার থাকা উচিৎ। রাষ্ট্র কি এটা উপলব্ধি করবে না।

রাষ্ট্র যদি কেবল কিছু প্রাইভেট পড়ানো শিক্ষকের আয় মিলিয়ে একটা সিদ্ধান্ত নেয় কিম্বা কিছু শিক্ষকের প্রাইভেট ভার্সিটি পড়ানোর  হিসাব নিকাশ করে বলেন-- জিহ্বা লম্বা হয়ে গ্যাছে। তাতে মন ভারাক্রান্ত হয়।

আম্লীগ সরকার সব সময় বলে আসছে তারা শিক্ষা বান্ধব সরকার। তারা এটাও উপলব্ধি করবেন বা করছেনও বটে যে  যারা সচিব হচ্ছে আমলা পুলিশ হচ্ছে-- তারা কিন্তু এই  সচিব হওয়ার জন্য বিসিএস পরীক্ষা দেয়ার পরামর্শপ্রাপ্ত  মানুষদের হাতেই গড়া।  ভিত গড়ার জন্য  যারা কাজ করেন তাদের  মনে কষ্ট দিয়ে তাদের কম মাইনে দিয়ে--- কখনো সুশিক্ষিত জাতি গঠন করা সম্ভব নয় বলে আমার ছোট এবং সীমিত জ্ঞানে মনে হয়।  সরকার বাহাদুর নিশ্চয় আরো ভালো বুঝবেন ।


 দয়া করে শিক্ষকদের কিছু দিতে না পারেন--- কটাক্ষ করবেন না। কারণ আপনি আমি আমরা আজ যেখানে দাঁড়িয়ে জ্ঞানের আলাপ প্রলাপ করছি সেটির ভিতও ওই শিক্ষকরাই গড়ে দিয়েছেন।       

আক্রান্ত ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর স্মৃতি এবং হাফেজ মাসুদ হত্যাকাণ্ড!

ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সাহেবের স্মৃতি চিহ্ন আক্রান্ত হওয়ায় মনটা ভীষণ ভারাক্রান্ত হয়েছে। নিরাপত্তা 'রক্ষী' ও সরকার দলীয় 'ক্যাডার'দের ওপর রাগটা সেখানে আঁচড়ে পড়েছে দেখে কষ্ট পেলাম।

ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ উপমহাদেশের অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের পুরোধা ব্যক্তিত্ব।  তার স্মৃতির ওপর আক্রমণ মানে আমােদের সংস্কৃতি উপর আক্রমণ । এটাকে বরদাশত করা যায় না। এর বিচার হতে হবে।

একই সাথে হাফেজ মাসুদকে খুন করার বিচারও। তবে হত্যার বিচারটা আগে হওয়া উচিৎ। কারণ হত্যাকাণ্ড না ঘটলে আজ দিনভর রাষ্ট্রীয় জনসংযোগ-সংবাদ মাধ্যমের খবরে প্রচারিত 'তাণ্ডব' খবরের সৃষ্টি হতো না।

নিরাপত্তা রক্ষী ও সরকার দলীয় লোকজন মিলে যেভাবে মানুষ খুন করে বিচার বিভাগের ওপর চাপ কমানোর ফর্মূলা অবলম্বন করছেন এটাকে মানবাধিকার লঙ্ঘন বলবো না, মানুষ হিসাবে তার মূল্যও তুচ্ছ করেছে।

ওস্তাদের বাড়ি হামলার পর  আমাদের দেশের সংস্কৃতির শীর্ষ সংগঠন উদীচী  বিবৃতি দিয়ে 'তীব্র নিন্দা' জানিয়ে 'তাণ্ডব'র সাথে জড়িতদের বিচার দাবি করেছে। আমি একমত তাদের সাথে। কিন্তু 'তাণ্ডব' সৃষ্টির পেছনে একজন মাসুদের হত্যাকাণ্ড এবং এর  বিচার কিম্বা তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি চাইবার মত নৈতিক অবস্থান উদীচীর থাকা দরকার ছিল। যেটি আমরা তাদের বিবৃতিতে দেখিনি।  

উদীচী কি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী বলে হাফেজ মাসুদকে হত্যা করা হালাল বলে মেনে নিল। এ রকম সঙ্কীর্ণতা উদীচীর মত মানবিক সংগঠনের কাছে অপ্রত্যাশিত।  মানুষকে মানুষ হিসাবে দেখার সংস্কৃতি যদি উদীচীর না থাকে; তাহলে এটি আমাদের সংস্কৃতির ব্যর্থতা। 

গণসঙ্গীত শির্পী কামাল লোহানি ভাই একই সাথে সম্বাদিকও --- তার নামে উদীচীর প্রচারিত বিবৃতিতে কেবল 'তাণ্ডব' ধরা পড়বে; কিন্তু তাণ্ডবের কারণ ধরা পড়বে না ---তাতো হতে পারে না। 

হাফেজ মাসুদ খুনের বিচার হলে রাষ্ট্র লাভবান হবে। দল হিসাবে আম্লীগও । কারণ আম্লীগ কোনো অপরাধ, হত্যা বরদাশত করতে পারে না। স্বজন হারানোর বেদনা আম্লীগের চেয়ে কারো বেশি বোঝার কথা নয়। সরকার যদি হাফেজ মাসুদের খুনের বিচার না করেন তাহলে তা সাধারণ মানুষের কাছে ভুল বার্তা দিবে; রাষ্ট্রের বিচারের আন্তরিকাকে প্রশ্ন বোধক চিহ্নের সামনে দাঁড় করাবে। 

একই সাথে ওস্তাদ খাঁ'র এ স্মৃতি পুড়িয়ে দেওয়াদেরও বিচার হওয়া উচিৎ।  সেটিও আম্লীগ সরকারকে করতে হবে। সংস্কৃতির প্রতি তার দায় এবং ঐতিহ্যের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধতার কারণেই এটা করা দরকার।

ক্ষমতার লেমনচুস ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভিত্রে রেল ইস্টিশন



মেট্রো রেলের একটা স্টেশন কলাভবনে করা গেলে ভালো হতো। এখানে অনেক ফাঁকা জায়গা। সারা শহরে কোনো জায়গা নাই। কলাভবন চত্বরে আইজাইরা জায়গা ফাঁকা রাখনের দরকার কি। তাছাড়া সবখান থেকে রাজনৈতিক দলে  লোকজন এখানে এসে জমায়েত অয়। তার চে একটা ইস্টিশন অইলে লাভ অইতো। সামনে বিশাল একটা বিল বোর্ড তুলে দিলে বিজ্ঞাপন বাবদ ভালো ইনকামও করা যাইতো। খ্রাপ অইতো না।

আরেকটা ইস্টিশন ভিসির বাড়ির সামনেও অইতে পারে। সেখানে রাজনৈতিক তদ্বিরে যাওয়া লোকদের সুবিধা, রাজনীতির মারপ্যাঁচ খেলার এক থিয়েটার করে যাত্রা বিরতিতে থাকা মেট্রোরেলের  যাত্রীদের বিনোদনের ব্যবস্থাও করা যাইতে পারে। টিকিট ১০ ট্যাকা। ৫ ট্যাকা সরকার সমর্থকদের। বাকি ২ টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের  ৩ টাকা সিটি কপ্পোরেশনের। তাইলে তো কোনো ফ্রবলেম দেখি নঅ।

এ রকম আপনারা আরো প্রস্তাব কইরতে পারেন --- কার্জন হল একটা ঐতিহাসিক এলাকা। পর্যটকদের জন্য সেখানে আরেকখান স্টপেজ করন দরকার। দেশের ভাব এবং মূর্তি দুইটাই উজ্জ্বল করার জন্য ইহা খুব্বই দরকারি।

এ রকম দরকার, যুক্তি পাল্টা যুক্তি উন্নয়ন নিয়ে বাহাস শেষ করা যাবে না। তবে কথা একটাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্রিতে  কোনো ইস্টিশন অইতে পারেনা।

মাননীয় আরেফিন স্যার; মাননীয় আনোয়ার স্যার; মাননীয় মনজুর স্যার--- আফনেরা কুতায়। অতীতে মত  শিক্ষার্থীদের  প্রতিবাদ মিছিলে আসেন। নাকি ক্ষমতার  লেমনচুসে আপনাদের মুখ ভারি অইয়া গেছে। খোলাসা করেন পিলিজ। 

ফেলানীকে খুন করে ঝুলিয়ে রাখার দু'দিন পরের স্মৃতিচারণ


“লাশ হয়ে ঝুলে থাকল কিশোরী ফেলানি। হবু স্বামীর জন্য ভালোবাসার কথা লিখেছিল সে। সুঁই-সুতোয় সেটা ফুটিয়ে তোলার চেষ্টাও চলছিল। সাথে একটি ফুল। হাতরুমালে নকশা করে নিজের মনে লুকিয়ে রাখা আবেগটা জানাতে চেয়েছে ফেলানি। সেটি আর হলো না। জানুয়ারির সাত তারিখে ঘন কুয়াশায় কাঁটাতারের বেড়ায় আটকে গেল স্বপ্ন”।

ফেলানীকে ভারত খুন করে ঝুলিয়ে রাখার দু'দিন পর আমি সেই সীমান্তে গেছিলাম। এখনো মনে আছে ধূ ধূ বালুর নদী পার হয়ে নৌকায় চড়ে মোটর বাইকে করে  সীমান্ত ঘেঁষা কাঁটাতারের বেড়ার কাছে গিয়েছিলাম। সেখানকার বহু মানুষের সাথে কথা হয়েছিল,  স্থানীয় মানুষের কাছে সীমান্তে বিএসএফ'র নিপীড়নের যে বর্ণনা শুনছিলাম তা কতটা ভয়ঙ্কর---ঢাকায় বসে তার কষ্ট বোঝা ভারি মুশকিল।

কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বর উপজেলা সীমান্ত। মধ্যরাত। ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি। বিএসএফের গুলি খেয়ে যে কিশোরী মেয়েটা ঝুলে থাকল কাঁটাতারে নাম তার ফেলানী। হবু স্বামীর জন্য ভালোবাসার কথা লিখেছিল সে। সুঁই সুতোয় সেটি ফুটিয়ে তোলার চেষ্টাও চলছিল। সাথে একটি ফুল। হাত রুমালে নকশা করে নিজের মনের ভেতর লুকিয়ে রাখা আবেগটা জানাতে চেয়েছে সে। সেটি আর হয়ে ওঠেনি। কুড়িগ্রামের ঘন কুয়াশায় ঢাকা রাতের আঁধারে কাঁটাতারের বেড়ায় আটকে গেলো তার স্বপ্ন। সেই সাথে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফের গুলিতে গেলো জীবন। ডান বুকে বিঁধে যাওয়া গুলির সাথে বেরিয়ে আসা রক্তের দাগটা স্পষ্ট ছিল। সাদা কাফনে জড়ানো কচি মুখের দিকে তাকিয়ে হতবিহ্বল হয়ে পড়েছিল কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বর উপজেলা দক্ষিণ রামখানার মানুষ। এমন বর্বরতা তারা আগে দেখেনি। তাই অনেকেই ছিলেন বিস্ময়ে বিমূঢ়।

দেশে ফেরার দু’দিন পর ৯ জানুয়ারি ২০১১---স্বামীর ঘরে যাওয়ার কথা ছিল ফেলানীর। নানী হাজেরা জানিয়েছিলেন, ছোটবেলায় দুই বোনের ছেলে মেয়েতে বিয়ের পাকা কথা। তার দুই ছেলে ও চার মেয়ের সংসারে ফেলানীর মা তৃতীয়। বড় মেয়ে আনজুমা বেগমের ছেলে আমজাদের কাছে ফেলানীর বিয়ের কথা ছিল। বাড়িতে সে মতে সব প্রস্তুতি চলছিল। ফেলানী এলেই বিয়ে। যে দিন তার শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার কথা সে দিন তাকে অন্তিম শয়ানে শুইয়ে দেয়া হলো দাদার পাশেই। রামখানায়, গাছের ছায়ায়। সে সময় ফেলানীর বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল ফোলানীদের ভাঙাচোরা ঘর। চারপাশে বাঁশের বেড়া। তারা থাকত না বলে হয়তো সে ভাবে মেরামত করা হয়নি।

ফেলানীর ব্যবহৃত সালোয়ার কামিজ, জুতো, পারফিউম জড়ো করে রাখা ছিল মাটিতে পাতা বিছানার এক কোনায়। এ সব কিছুর মধ্যে প্রিয়তম হবু স্বামীর জন্য নিজ হাতে তৈরি করা একটি হালকা গোলাপী রঙের সুতি রুমাল। রুমালের মাঝখানে ফুল আঁকা হয়েছে নীল রঙের কলমে। সুঁই সুতোয় তার অর্ধেক তুলেছিল ফেলানী। হৃদয় চিহ্ন আঁকা হয়েছে। তার মধ্যে কোনাকুনি করে দেয়া তীর। উপরের অংশে লেখা ইংরেজিতে ‘লাভ’ ভালোবাসা।

অকপটে ভালোবাসার সেই বার্তা চিরতরে অসম্পন্নই থেকে গেলো ফেলানীর মর্মান্তিক মৃত্যুতে। ভারতের আসামে ক্ষুদ্র ব্যবসা করতেন ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম। সেখানে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে থাকতেন। ফেলানীর বাবা বলেছিলেন ভারতীয় দালালের সহায়তায় কিতাবের কুঠি অনন্ততপুর সীমান্তের ৯৪৭ নম্বর মূল পিলারের কাছে ৩ ও ৪ এস পিলারের মধ্যবর্তী স্থানে তারা দেশে ফিরছিলেন। সে জন্য মই দিয়ে ভোরের দিকে তাদের পার করার ব্যবস্থা করা হয়। এ সময় তিনি পার হতে পারলেও মেয়ের জামা আটকে যায়। ফেলানী ভয়ে চিৎকার করায় টহলরত বিএসএফ তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এরপর সে ইন্তেকাল করে।

ফেলানীর মামা মোহাম্মদ হানিফ আলী বলেন, সকাল ৭টার দিকে তাকে বোন জামাই নুরুল ইসলাম জানান, বর্ডারে ভাগনীর লাশ ঝুলছে। বর্ডারের লোকজন তাকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবির সদস্যদের কাছে না গিয়ে লাইনম্যানদের বলতে বললো। লাইনম্যান হলো বিজিবির সহযোগী সাধারণ মানুষ। তাদের সাথে আলাপ করে তিনি তাদের ইউনিয়নের গত নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী আলীম এবং মেম্বার রশিদকে নিয়ে বিজিবির সাথে আলাপ করেন। সে দিন সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় বিএসএফ লাশ ফেরত দিলো না। পরের দিন লাশ হস্তান্তর এবং ৯ জানুয়ারি তারা লাশ পান এবং দাফন করেন।

তিনি বলেন, বোন জামাই মেয়ের গায়ে গুলি লেগেছিল কি না বলতে পারেননি। আমি গিয়ে ঝুলানো লাশ দেখলাম। সেখানকার লোকজন আমাকে বলল, ফেলানীকে মেরে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে বিএসএফ। গুলি হতে শুনেছেন পশ্চিম রামখানা মিস্ত্রিটারির বাসিন্দা মো: জমির হোসেন। তার বাড়ি থেকে সীমান্ত ৫০ গজের মতো হবে।

তিনি বলেন, ভোরেই গুলির শব্দ পাই। চিল্লাচিল্লি শুনলাম। বেরিয়ে কিছু দেখিনি। কুয়াশার কারণে কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। সকালে ৯টার দিকেও দেখলাম লাশ ঝুলে আছে। যেখানে ফেলানীর লাশ ঝুলে ছিল তার ঠিক পাশেই বাড়ি আজিরনের। তিনি বলেন, ফজরের একটু আগে গুলির শব্দ শুনলাম। সকালে দেখি লাশ ঝুলছে। ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার দিকে দেখলাম বিএসএফ লাশ নামিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ফেলানীর বড় চাচী লাইলী বেগম বলেন, ফেলানীর মতো কেউ যেন এ ভাবে মারা না যায়। ওরা (বিএসএফ) তাকে খুব কষ্ট দিয়েছে। ফেলানী নেই। এটা ভাবতেই খুব খারাপ লাগে।

তিনি বলেন, ভারত সরকার এটা কী বিচার করলো! আমরা এর সঠিক বিচার ও দোষীদের শাস্তি চাই। তার অভিযোগ ‘অত্যাচার করে’ হত্যা করা হয়েছে ফেলানীকে। একই রকম মনে করেন এলাকার অনেকে। যেমনটা বলেছেন, কাশীপুর ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সেক্রেটারি আবদুল জলিল। তিনি বলেন, তাকে ‘নির্যাতন’ করে হত্যা করা হয়েছে। তবে ‘নির্যাতন’ নয় গুলিতেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন, ফেলানীর লাশের ময়নাতদন্তের তিন সদস্যের অন্যতম ডা: অজয় কুমার রায়।


জীবনের দাম কম একটা আমরা জানি। বিশ্বজুড়েই স্বীকৃত এটা। কিন্তু গরিব মানুষের জীবন যেনো পাপ। অসুখ--- ক্যান্সার। কেটে ফেললে--- ছেঁটে ফেললেই মুক্তি। ফালানীর লাশ-রক্ত আর কষ্ট নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। একজন মানুষ তার কন্যাকে হারালেন। তারা কষ্ট পেলেন। বহু রথি মহারথী তার কাছে গেলেন-- তিনি তার সন্তান হত্যার বিচার পেলেন না।

https://soundcloud.com/rajeshdatta/felani-a-bengali-song 

Robi-Airtel merger awaits BTRC nod

Robi-Airtel merger awaits BTRC nod





The telecom regulator is yet to covey its opinion on the merger of Robi and Airtel, the country’s first ever merger in the telecom sector, even though the decision for the merger was made three months ago.
On September 30, in the 189th commission meeting, BTRC discussed the merger proposal and decided to put forward its view to the posts and telecommunications division at the quickest possible time. But, the regulator— Bangladesh Telecommunication Regulatory Commission (BTRC) is yet to forward the file to the  posts and telecommunications divison for the final approval of the merger till yesterday.
BTRC Chairman, Shahjahan Mahmood, has not denied that BTRC has approved the merger but told the Independent, they are taking time to assess the dimension of the merger proposal. “Two local organisations are carrying impact study for the merger . . . We would send the issue to the ministry after reaching a decision,” he added.
Meanwhile, the telecom regulator has decided to hear the opinion of other operators.
Replying to a query regarding the mode of hearing other operators, Mahmood said: “We will seek opinion from the operators separately, as the two operators (Robi-Airtel) are also in the Association of Mobile Telecom Operators of Bangladesh (AMTOB), the platform of the operators.”
However, telecom and company law expert Barrister Ashraful Hadi has opined “there is no scope under the BT Act to seek opinion from the operators”.  
As per the Telecommunication Act 2001, he said, the telecom regulator would only ensure whether the merged company has the eligibility or qualified of getting licence.  
BTRC sources confirmed that both the operators have submitted spectrum scheme, numbering plan, human resource management plan, and resolution of the meeting of the board of directors and other documents to comply with the decision of commission meeting for the merger.
Immediately, after the official announcement, the country’s first merger of telecom sector drew huge attention, said a senior official of BTRC.
The impact assessment study is being conducted by the teachers from IBA of Dhaka University and a private university for the Robi-Airtel merger.
Hadi said different countries globally appoint separate consultant firm to run impact study in case of merger and Bangladesh should have done it too.
Meanwhile, BTRC sources confirmed that these teachers were sent letters but yet to be provided with a Terms of Reference or instruction to go ahead with the assessment. There is no clear guidance how these assessments will be funded and whether they will follow any procurement process.   
Prime Minister’s ICT Adviser recently talked about appointing firms like KPMG for impact study before the Teletalk-BTCL merger.
About the merger, Telecom Act 2001 at its clause 37 said where the licensee is a company, society or partnership, the compulsory obligation of such licensee to take prior approval of the Commission in the following cases: any change in the ownership or share capital of the company, society or partnership, which has the effect of transferring the control over the activities under the license; or merger of the company, society or partnership with any other company or enterprise: Provided that, while giving such prior approval, the Commission shall consider whether or not the person, company or enterprise, who or which will acquire control over the licensed activities due to the proposed merger or change, is eligible for obtaining a license, and whether or not the change will affect the continuity of those activities.
As the BTRC has the legal right to see whether the two companies have licence, and whether the merged company is qualified to continue as a licensee, Barrister Ashraful Hadi, also member of Dr Kamal Associates, said: “The merger would be done following Companies Act, 1994. Court  willresolve all other issues in accordance with the proposed Scheme of Amalgamation.”
Hadi, however, said it’s all right that country’s telecom sector is witnessing its first merger, but it should not be done in a way which is not supported by the law.
Repeating that law does not provide for collecting opinion from other operators, the lawyer said no operator would want to lose market share.

GP deprives railways of Tk 81cr a year: CAG

GP deprives railways of Tk 81cr a year: CAG



Allegations have been raised against Grameenphone (GP), the country’s leading mobile phone operator, of short paying the Bangladesh Railway Tk. 81 crore every year for using the latter's optical fibre network. The issue has been raised in the audit report of the Office of the Comptroller and Auditor General (OCAG) prepared in October last year, which was recently sent to the Bangladesh Railway.


Bangladesh Railways leased out its optical fibre network to GP in 1997. Though permission had been taken from the Prime Minister for a network comprising 1,800 kms, the GP is paying rent for only 1,600 kms and thus depriving the government of revenue worth about Tk 81 crore, said the OCAG audit report.
Following the audit observation, the Bangladesh Railway formed a probe committee over the allegation and the body has already submitted its findings, said railway officials.


When contacted over the matter, GP Head of External Communications Sayed Talat Kamal said, “Grameenphone has leased its fiber network from the Bangladesh Railway on participation of an open international tender. Currently Grameenphone leases a total of 2009 km of fiber optic network, covered under the GP-BR agreement and its subsequent amendments, and pays full dues in accordance with the lease agreement signed between the company and Bangladesh Railway. Allegations of any unpaid dues on the fiber optic lease agreement are baseless.”


According to Railways Information Book, a decision was taken in 1989 to modernise the signalling system by installing optical fibre network along the country's railroads. The Norwegian government gave financial assistance to the project. The network was established to connect the existing 300 stations through optical fibre, but the network remained under-used most of the times. So, in 1997, the lease was given to Grameenphone, to monetise the asset, said Bangladesh Railway officials.


In 2014, BTRC gave NTTN licence to three state owned entities—Bangladesh Railways, Bangladesh Telecommunication Company Limited (BTCL), and Power Grid Company of Bangladesh (PGCB).



According to the policies governing NTTN and infrastructure sharing, to establish optical fibre networks, a NTTN license is a must. According to Section 40 of Bangladesh Telecommunication Law 2011, no organisation will be able to provide any telecommunication service without Bangladesh Telecommunication Regulatory Commission's permission.


GP is a joint venture between Telenor (55.8%), the largest telecommunications service provider in Norway having mobile phone operations in 12 other countries, and Grameen Telecom Corporation (34.2%), a non-profit organisation of Bangladesh. The other 10 per cent shares belong to retail and institutional investors.

পুরনো প্রেমিকারা ফিরে এসো

পুরনো প্রেমিকারা ফিরে এসো
ধানের গোছার উপর শেষ বিকালের সূর্যের নরোম আলোর মত-
মায়াবী হরিণীর চকিত চাহনি 
উল্লাসে ফেটে পড়া বুকের ভেতর---
শত কথা বলব বলে ঠিক করা! 
প্রকাশিত হয় না তার কিছু; 'বুক ফাটে তো মুখ ফােটে না'। 

প্রেমিকা---শত স্মৃতি, জীবনানন্দ---উচ্ছ্বাসে-উৎসব মুখর বেলা
রোদ গড়িয়ে যাওয়া সকালের জানালা
লুটুপুটি খাওয়া ধূলোবালির ওপর তপ্ত দুপুর বেলা
উচ্ছ্বাসে মুখর সন্ধ্যা!

দুরন্ত কিশোরীর ছুটে চলা গতির চে' থ্রিজি
তার চে' বেশি দ্রুত ঘূর্ণনে---
চলে যাচ্ছে - সময়- স্মৃতি। 

ওহ হো! সময়-- তোমাকে আর বেঁধে রাখা গেলো না; 
হাওড়ের জল তর তর করে নেমে যাওয়ার পর--- 
কই মাছের মত তড়ফানো কিছু সময়
তারপর আবার? মনযোগি সময়চক্র-ঋতুচক্র-প্রথম যৌবনবতী নারীর উজ্জ্বল মুখ

পুরনো প্রেমিকারা ফিরে এসো মনের আঙ্গিনায় গোপনে- 
!!!

'খালেদা পাকিস্তানে যা' এবং যুদ্ধ শিশুর মনোয়ারার আবেদন!

'খালেদা পাকিস্তানে যা' তে উদ্বুদ্ধ প্রজন্ম যুদ্ধ শিশু মনোয়ারাদের বিষয়টাও বিবেচনায় রেখো। মনোয়ারারা এখানে কেবল 'ভোটের অধিকার' চায়। অগুণতি দিন যারা বিদেশে 'দত্তক' নেয়া পরিবারে কাটিয়েছে,কাটাচ্ছে, কাটাবে; যাদের মা নরাধমদের ভোগে-বেয়নেটের খোঁচায় তিলে তিলে রক্ত ঝরিয়ে শহীদ হয়েছেন- কেবল একটি নতুন ভোরের জন্য; একটি স্বাধীন দেশের জন্য--- তাদের হিসাব কী তোমরা রেখেছো?  নাকি তাও হিসাব করা যাবে না। করলে আবেগে ঘাটতি হবে। দয়া করে আওয়াজ তোলো। প্রাপ্য অধিকারের জন্য যেনো কোনো মুক্তিযোদ্ধা, কোনো যুদ্ধ শিশু, কোনো বীরাঙ্গনা কিম্বা শহীদ পরিবারকে 'রাজনীতির' উপর নির্ভর করতে না হয়।  প্লিজ! তাদের অধিকার-প্রাপ্য বুঝিয়ে দাও বাংলাদেশ।  

মনোয়ারার আবেদনের খবর লিঙ্ক--http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article1078156.bdnews



'খালেদা পাকিস্তানে যা'- বাক্য সূত্র---


কিস্তি ::৮০:: মেরুদণ্ড



ট্যুরিস্ট সোসাইটিকে মেরুদণ্ড সম্পন্ন একটা সংগঠনে রূপান্তরে আমার নিরন্তর চেষ্টা ছিল এবং আমার সময়ে এটি প্রতিষ্ঠিত ছিল। যার কারণে  সংগঠনের সাধারণ সদস্য এবং এক্সিকিউটিভ বডির কেউ উপলব্ধি করতে পারেনি যে সংগঠন চালানো কতটা কঠিন হতে পারে। আমার একটা সিম্পল ব্যাক্তি ইমেজ ছিল, এখনো সম্ভবত আছে। সম্ভবত বলছি এ কারণে যে এখন ক্যাম্পাসে আমার যাওয়া হয় কম, তবে মানুষ মনে রাখছে।  তারপরও নিজের ওপর আস্থাটা কমছে , কারণ বয়স হচ্ছে। তেত্রিশ পার করে ৩৪ এ চলছে তো। তাই এখন আর বলতে পারি না- ‌'কেউ কথা রাখবে'।

আমি দায়িত্ব ছেড়ে আসি সামীমের কাছে। বাবু মৌ এর কাছে। সেই দায়িত্ব নেবার পর তারা কতটা সফল ভাবে চালিয়েছে, সেটি আমার জানার সুযোগ হয়নি, বা আমি জানতে চাইনি।
বাইরে থেকে যে টুকু দেখা তাতে মনে হয়েছে, বেশ  সমস্যা ওদের ফেস করতে হয়েছে। একটা বিষয় বলি ওরা একটা অনুষ্টানে ভিসি স্যারকে আনতে গেছে। স্যারের পিএস আমাকে ফোন করলেন, যাবেন কিনা। আমি   যাবার বিষযে স্যারকে সবিনয় অনুরোধ করতাম।
একই সাথে স্যারকে কৃতজ্ঞতা জানলাম- এ সংগঠনটির সাথে তার সহযোগিতার জন্য। যেটি অন্য কেউ হলে হয়তো করতো না। তার মানে বিষয়টা এ নয় যে আমি খুব মহান।  আমি আসলে নতুন কমিটির ওপর ক্ষিপ্ত  হতে পারিনি। এটাও আমার বদান্যতা নয়। সহজাত।
তবে আমার দায়িত্ব পালনকালে বছরে কমপক্ষে ১০ টি করে ট্যুর করানোর সুযোগ নিয়েছি। তার পরে এটি সম্ভবত আর হয়নি। হয়নি এটা জোর দিয়ে বলছি এ কারণে যে, ডাটসের ফেসবুক পেজটা আমি খেয়াল করি। সেখানে এ সংক্রান্ত  তথ্য পাওয়ার ছিল  না।

আমি যে কারণে এ প্রসঙ্গটা উত্থাপন করলাম সেটি হলো - আমি যখন দায়িত্বে- তখন অল মোস্ট সব সংগঠনের নেতারা আমার সাথে  দেখ করতে আসতেন। আড্ডায় মাততেন। কিন্তু আমি দায়িত্ব ছাড়ার  পর যে সব সংগঠনকে ডাটস খুব গুরত্ব দিচ্ছিলো। জনি মং একটা ট্যুর করিয়েছে ওর সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালনকালে, সেটি করেছে আরেকটি সংগঠনের সাথে। যেটা ডাটসের সম্মানের সাথে ঠিক যায় না।

সুন্দরবনে একটা ট্যুর  করে ওরা সমস্যায় পড়েছিল। সক্কালবেলায় ফোন করলো বাস সরবরাহকারী মফিজ। বললেন, মামা একটু আসেন। আমি বলতে পারলাম না-আমাকে ওরা মানবে না। তবুও মফিজ মামার অনুরোধে গেলাম।
অবশ্য আমাকে সবাই চিনে। তবে সেটি নেতিবাচকভাবে। কিন্তু সমস্যা সমাধানে কোনো সমস্যা হলো না। মফিজ মামা হ্যাপি। হ্যাপি ডাটসও। তারপর আর ডাটসের কোনো প্রয়োজনে আমাকে লাগেনি।

যারা ডাটস নিয়ে অনেক ভাবেন, নিজের অনেক দেবার আছে বলে জানিয়ে গেছেন- তারা আর খবর রাখেন না। টাকা পয়সা তো পরের কথা। একটা সংগঠনের অনেক ব্যয়। এ ব্যয় আমি আমার বেতনের টাকা দিয়ে মেটাতাম বলে আমার সময়টাতে সমস্যা হয়নি। একই সময় আমি ডাটসের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বরাদ্দ ৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩৫ হাজার টাকা করেছিলাম। এ জণ্য আমাকে সবচেয়ে বেশি হেল্প করেছেন  ভিসি  অধ্যাপক ফায়েজ  স্যার এবং ট্রেজারার অধ্যাপক রাশিদুল হাসান স্যার। তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।


২৬ ডিসেম্বর ২০১৩ ।।

কিস্তি ৭৯।। শেষ দৃশ্য !

কিস্তি ৭৯:  শেষ দৃশ্য!

আমার ক্যাম্পাস জীবনের বন্ধুদের মধ্যে সাংবাদিক শামীম অন্যতম। ওকে আমার বরাবরই বুদ্ধিদীপ্ত ও যৌক্তিক মনে হয়েছে। বিশ্বাস করতাম যে কোনো ক্রাইসিস উতরে যাওয়ার ক্ষেত্রে ওর  পরামর্শ আমার জণ্য সুবিধের হবে। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন।  আমিও ভুল করেছি। ভুলে গেছি প্রেম-নারী বন্ধুদের নিয়ে ভাবনা এব সময়কে ধারণ করে যৌক্তিক জায়গায় পৌছানোর সঠিক পথ থেকে মানুষকে দূরে রাখে।
মীর জাফর সাহেবদের আচরণে আমি ভেঙে পড়ার পর কি করণীয় সেটি নির্ধারণে আমি  সর্বোচ্চ নির্ভর করেছি শামীমের ওপর। কিন্তু বিষয়টা গুরুত্ব ঠিক সেভাবে উপলব্ধি করেনি শামীম, যেভাবে করা উচিৎ ছিল। বরং ওর কিছু  কিছু সিদ্ধান্ত ছিল শিশুতোষ। যেটি আমি পরে বুঝতে পেরেছি। তখন আর কিছু করার ছিল না।
শামীম তখন সাংবাদিক সমিতির সেক্রেটারি, তার অনেক ক্ষমতা। কিন্তু ক্ষমতা দিয়ে সব হয় না। আর  পেশি শক্তি প্রয়োগ করলে আমিই করতে পারি, তার জন্য ওর দরকার পড়ে না। আমি সেটি চাইলাম না বলে বিষয়টা তালগোল পাকালো।
এর একটি হলো- আমি কমিটি ভেঙ্গে দিলাম । এ সিদ্ধন্তটি আমার সঠিক ছিল না। কিন্তু  নৈতিক মানদণ্ডে এটি উত্তীর্ণ ।  কারণ আমি যখন সব ডকুমেন্ট দেখলাম, তখন  মনে হলো নির্বাচনটা প্রহসনের পর্যায়ে ছিল। বাবু কোনো  রেজুলেশনই লেখেনি।  তার ওপর  অফিস থেকে অনেক ডকুমেন্ট সরিয়ে ফেলা হয়। এটি কে সরিয়েছে আমি নিশ্চিত নই। ডাটসের সব ধরণের  নিউজ ক্লিপিং সরিয়ে ফেরা হয়।  এতে আমি ক্ষুব্ধ হই। এই ক্ষুব্ধ হওয়াটা অসঙ্গত বলে আমি মনে করিনি, এখনো করি না।
আর্থিক দিক থেকে আমার সততা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো সুযোগ আছে কিনা জানি না। টাকার স্পর্শটা আমি বাবুকে দিতাম নিজে কখনো নিযেছি বলে মনে পড়ে না। আমার সময় গ্লোরিয়াকে অর্থ সম্পাদক করেছিলাম।  ডাটসের কাজে আমি নিজে কিছু টাকা খরচ করেছিলাম, যা পাওনা ছিল আমার। কিন্তু সেটি আমি নিতাম না। আগেও নিইনি।
আমি চেয়োছলাম টাকা পয়সার সব হিসাব রেডি করে আমার কাছে বুঝিয়ে দেয়া হোক। অফিস খরচ বাদ দিয়ে বাকি  টাকা নতুন কমিটির কাছে তুলে দেবো। কিন্তু কোনো এক অজানা কারণে গ্লোরিয়া  আমার কাছে হিসাব দিতে গড়ি মসি করে। এতে আমি ভীষণ কষ্ট পাই। কারণ হলো গ্লোরিয়াকে আমি আলাদাভাবে দেখি- নিজের বোনের মতই। কিন্তু  সেই সময় ওর এ আচরণ আমার ভালো লাগেনি। একইভাবে আমার আচরণও তার ভালো লাগার কথা নয়।  আমি  নব নির্বাচিত কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে নতুন আহবায়ক কমিটি ঘোষনা করি। একই সাথে বেশ কয়েকজনকে বহিষ্কার করি। এটি একেবারেই একটা অপরিপক্ক সিদ্ধান্ত ছিল।  তবে ডাটসের সে সময়কার গঠনতন্ত্র মতে এর ভিত্তি ছিল।
অফিস ডকুমেন্ট খোয়া যাবার কারণে আমি অফিসের তালা বদল করার নির্দেশ দিই। এবং এটি জানিয়ে নোটিশ দেয়া হয়। কিন্তু এটাকে ভিন্ন চোখে দেখেছেন অনেকে। দেখতেই পারেন।  সবার দেখার অ্যাঙ্গেল একই রকম হবে না।
 তালা খোলার ব্যবস্থাও আমি করেছি।  কিন্তু তার আগে বাপ্পী বিদ্রোহ করে, এফ রহমান হল থেকে ছেলেপুলে নিয়ে মহড়া দিচ্ছে। আমার কাছে জহু হলের পুলাপাইন বলে যাই মাইরা আসি। কিন্তু আমি সে অনুমোদন দিতে পারিনি।
অথচ  বাপ্পীকে হলে তোলা এবং তার আগে তাকে এসএম হলে রাখার ব্যবস্থাটা আমার সাতৈ সম্পর্কের খাতিরে শামীমই করেছিল।

যেই মৌ ও রিমিতে আমি ডাটসে পেতামনা, নানা অজুহাতে তারা আসতো না।  তাদের সাথে নিত্য দেখা হতে লাগলো।  আমি গিয়েছি বেশ কয়েকদিন। সমস্যার সমাধানে অনেক রকম তদ্বির হয়েছে। শাহেদ নামে একজন লোক আছেন, যিনি নিজেকে  ডাটসের অনেক বড় কাণ্ডারি মনে করেন, তাকে ডেকে আনলেন  হেলাল ভাই। সাবেক সভাপতি ও সম্পাদকদের জড়ো করলেন। আলমগীর ভাইয়ের (টিএসসির পরিচালক) রুমে বসে আমরা সমস্যার সমাধানে আমি নিঃশর্তভাবে সব অন্যায়কে মেনে নিতে অনুরোধ  উপেক্ষা করতে পারিনি।  এটা আমার চরিত্রের সাথে যায় না, তবুও করতে হয়েছে, কারণ নতুন কমিটির কোনো দোষ নেই। দোষ আমার বন্ধূ বাবু ও আমার আস্তিনের নিচে লুকিয়ে থাকা মীর জাফরদের। যারা প্রকাশ্য বিরোধী তাদের আমি কোন কারণে কষ্ট দেবো।
নিজেই পরাজয় মেনে নিয়ে ডাটসের শেষ মিটিংটা করেছিলাম  মুনীর চৌধুরী কনফারেন্স হলে। সেখানে দেখি ডাটসের উপদেষ্টা আর  সহকর্র্মীর অভাব নাই। মঞ্চে লম্বা লাইন। আমি সবাইকে অভিনন্দন জানিয়ে সুন্দর ভবিষ্যত কামনা করে বক্তব্য শেষ করেছিলাম।  সাধারণ সদস্যরা তখনো বিষয়টা সম্পর্কে ক্লিয়ার কোনো পিকচার পায়নি। তাই ওরা আমাকে সহমর্মিতা প্রকাশ করতে এগিয়ে এলো। বক্তব্যের পর আমি আর সেখানে যাইনি।
ডাটস ছেড়ে যাওয়ার পর মনে হতে লাগলো আমি অক্সিজেনের অভাবে ভুগছি। আমার মন খারাপ করা রোগ হলো। সব সয়ে নিলাম, কিন্তু  নাটকের শেষ দৃশ্যটা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারলাম না। কিন্তু না মানলে কি ,যা হবার তা হয়েছে। ভাগ্য বলে মেনে নিয়ে আমি সামনে তাকালাম। ভাবলাম- এটা একটা দুর্ঘটনা। এটা কম কিসে, ডাটসের শত শত ছেলে মেয়ে আমাকে মনে রেখেছে। দেখা হলে ছুটে আসে, সে আমার বিরোধি হলেও।  আমরা খুবই ভালো লাগে। আপ্লুত হই। এখানে আমি ছিলাম। আমি আছি মানসিকভাবে। সামনেও থাকবো।


২৫ ডিসেম্বর ২০১৩।।




তোমাদের মত 'বন্ধু-সুহৃদ-স্বজন লইয়া আমি কি করিব?'

প্রকাশ করি না বলে ধরে নিওনা; আমি জানি না কিছু!

কিম্বা বুঝি না; বুঝি!
তবে বোঝাতে চাই না!

বার বার মনে হয়---
কেনো দুটো কিম্বা তারো বেশি রূপ; তোমার-তোমাদের

কী লাভ বলো
দিন শেষে তো জানো ---
আশ্রয় নিয়েছো শঠতার!

নিজেকে প্রশ্ন করলে
নিজের কাছেই হেরে যাও
তারপরও কী লাভ বলো---

তোমার-তোমাদের মত 'বন্ধু-সুহৃদ-স্বজন লইয়া আমি কি করিব?'

তবুও তো নগরে জমাত ভারি করতে লোক লাগে
লোক গোনার মত; আমিও গুনি।

হিসাব তো মিলে যায়--- সেই শৈশব থেকে যুব জীবনে কারা ছিল;
কারা আছে নির্মোহ আনন্দ-উল্লাসে-সুখে দুখে
নির্ভেজাল!

জানি- নিশ্চিত করেই

তবুও চোখ; চোখের উপরের আস্তরণ, আমাকে সব ভুলিয়ে দেয়!
লজ্জায় নত হয়ে যাই, থাকি--- বলতে পারি না।

তুমি কিম্বা তোমরা যে লুকোচুরি খেলো এটুকু জেনো, আমি তা জানি!

এও জেনো, আমি একজন ছাড়া কারো ওপর নির্ভর করি না!
করিনি কখনো!
সে আমার স্রষ্টা!
আমরই একমাত্র আপনজন!

ধন্যবাদ জেনো প্রিয় মানুষেরা।
জিতে যদি যাও, শঠতা করে
তবে আফসোস থাকবে না

হেরে গেলে কষ্ট পাবো
তোমাদের দ্বি-মুখিতায় তোমরা যদি টিকে যাও; ভালো থাকো
অখুশী হবো না!
ভালো থাক। থালো কাটুক তোমাদের!

খালেদার বক্তব্যের সাথে দ্বি-মত করার মত পরিসংখ্যান কেন আমাদের থাকবে না

খালেদার বক্তব্যের সাথে দ্বি-মত করার মত পরিসংখ্যান কেন আমাদের  থাকবে না। শুধু আবেগ দিয়ে কেন, আমরা জাতির এত বড় একটা অবদানকে তর্কের মধ্যে রেখে বিভাজন তৈরি করবো। প্রশ্নটা ঘুরপাক খাচ্ছে।

খালেদার বক্তব্যের খণ্ডিতাংশ নিয়ে তর্ক হচ্ছে।  বিডিনিউজ জানাচ্ছে--- খালেদা গতকাল বলেছেন, '“আজকে বলা হয়, এতো লক্ষ লোক শহীদ হয়েছেন। এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে যে আসলে কত লক্ষ লোক মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন। নানা বই-কিতাবে নানারকম তথ্য আছে।”

খবরটিতে আরো জানাচ্ছে, খালেদা বলেছেন,  “সরকার নানারকম মুক্তিযোদ্ধা তালিকা তৈরি করছে। যাদের অন্যায়ভাবে মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে; আমরা ক্ষমতায় আসলে সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধার তালিকা করে তাদের যথাযথ সন্মান ও সন্মাননা দেব।”

একাত্তরে আওয়ামী লীগ স্বাধীনতা নয়, ক্ষমতা চেয়েছিল দাবি করে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার জেনারেল জিয়াউর রহমানের স্ত্রী বলেন, “তিনি (জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ চাননি।”

বিস্তারিত লিঙ্কে http://bangla.bdnews24.com/politics/article1075602.bdnews

মুক্তিযুদ্ধে শহীদের পরিসংখ্যান কম বেশি হলে আমাদের স্বাধীনতা প্রশ্ন বিদ্ধ হবে না। হতে পারে না। জাতি সম্মিলিতভাবে একটা  স্বাধীন দেশ নির্মাণে ঐক্যবদ্ধ-মনোবল আর  বঙ্গবন্ধুর প্রেরণা নিয়ে যুদ্ধ করেছে।

এর পরেও সংখ্যার হিসাবটা কেন তুললেন খালেদা? এর আগে সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যান ও ভারতীয় গবেষক শর্মিলা বসুও একই রকম বলছেন। আমার ধারণা খালেদা বিষয়টি তুলেছেন, মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা, শহীদ পরিবারে ভাতার নামে হয়রানি-বঞ্চনার বিষয়টি সামনে  আনতে।  নিশ্চয় তিনি বা তার দল এটার মূল ব্যাখ্যাটা দিতে পারবেন।

একটা পরিসংখ্যান নিয়ে কথা উঠলে, আমরা সেটার যৌক্তিক প্রতিবাদ না করে 'আক্রমণ' করার সংস্কৃতি কতটা গ্রহণযোগ্য সেটা আবেগের কাছে বিবেচ্য নয়; তবে বিবেক তাড়িত মানুষ এটি বুঝতে পারবেন, নিশ্চয়!
 
তবে এ রকম প্রশ্ন সামনে আরো উঠতে পারে। সে শঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায় না।  সংখ্যা ভিত্তিক প্রশ্নের উত্তর নিশ্চয় আবেগ নয়; সংখ্যা দিয়েই দেওয়া উচিৎ।

দেশে বিদেশে যারা  গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধি অপরাধ নিয়ে গবেষণা করেছেন, করছেন এবং সামনে করবেন তাদের জন্য এটা খুবই জরুরি। যদিও  আমাদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে পড়াশোনার জন্য এখনো দেশে কোনো্ বিশেষায়িত ইন্সটিটিউট গড়ে উঠেনি; সামনে নিশ্চয় উঠবে;  তখন এ সব তথ্যের দরকার পড়বে।

মনে রাখা দরকার, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কিন্তু 'রাজাকার বান্ধব' খালেদার করা। যেটি করার কারণে সরকারি লোকজন বিদেশিদের সম্মাননা জানানোর সোনা চুরিও করতে পেরেছিলেন।  খবরের লিঙ্ক  http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/185914/%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A3%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A7%A7%E0%A7%A8-%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%87-%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%9B%E0%A7%87


খালেদা বক্তব্যটা দিয়েছেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সামনে । যারা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন, তারা যদি তার বক্তব্য অসঙ্গত মনে করতেন -তাহলে তারা প্রতিবাদ করতেন। যেহেতু সংখ্যা তত্ত্ব এখানে অচল; আবেগ তত্ত্ব হিসাব করলেও মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশ নেয়াদের বীরদের চে আমাদের আবেগ নিশ্চয় বেশি নয়। হলে , সেটাকে গ্রামবাংলার প্রবাদ---' মা'র চে মাসির দরদ বেশি' গণ্য হতে বাধ্য।

খালেদার অনুষ্ঠান থেকে কি কেউ তার বক্তব্যের প্রতিবাদ করে নীরবে চলে গেছেন? এমন কোনো তথ্য সরকারি জনসংযোগ-গণমাধ্যমেও খুঁজে পেলাম না।

খালেদা যে, একই সমাবেশে  মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাপ্য মর্যাদা ও সম্মান নিশ্চিত করার কথাও বলেছেন। সেটা নিয়ে কথা হচ্ছে না। ৪৪ বছর পরেও মুক্তিযোদ্ধারা অসহায়; তা নিয়ে কেউ ভাবছে না। খবর হলো,  ২০১৩ সালেই বিদেশে পাচার হয়েছে ৭৫ হাজার কোটি টাকা। সূত্র http://www.bonikbarta.com/2015-12-10/news/details/58878.html

কোটার দাক্ষিণ্য মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অপমানের। এ দেশ তাদের রক্ত, শ্রম- জীবন-বাজিতে স্বাধীন। সে স্বাধীনতা রক্ষার দায়িত্ব যাদের হাতে অর্পিত, তারা বিভেদ বিসম্বাদ  নিয়ে ব্যস্ত! সে বিকারগ্রস্থতার মাঠে আমরাও সরব-কিম্বা নীরব দর্শক।  

গ্যালারির দর্শখ হিসাবে আমার ব্যক্তিগত মত, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা থাকলে কিন্তু সরকারি সুবিধা থেকে সরকার ভেদে বঞ্চনার ঘটনা ঘটতো না ।

খালেদা রাজাকার বান্ধব মেনে নিলাম; কিন্তু তার বিপরীত জন? গেলো ১৬ ডিসেম্বরও ইনডিয়া ইন্দোপাকওয়ার৭১ হ্যাশ ট্যাগে বিজয় উৎসব শেয়ার করেছে, ফেসবুক ও টুইটারে । ইন্ডিয়ান সেনাবাহিনীর ভেরিফাইড পেজ থেকে । চেতনার সর্বস্ব উজাড় করা সরকার তার প্রতিবাদ করার সাহস পেলো না । আর ফেসবুকে এখন যারা হাউকাউ করছে তারা তখন কেন চুপ ছিল; কেন রে ভাই। বঙ্গীয় দালাল হও। ভারত-পাপিস্তানের নয়।

সূত্র ---

পঙ্কজ দা'র বঙ্গীয় মিশন সম্পন্ন

নায়ক পঙ্কজ দা'র বঙ্গীয় মিশন সম্পন্ন। এবার রাশিয়ায় গিয়া খাঁটি রেড ওয়াইনে মজো দাদা। অনেক খাঁটুনি গেছে গত ক'টা বছর। বঙ্গীয় রাজনীতিতে তোমার অবদান, উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দিতে  চেষ্টা,  বিরোধী মত দমনে থেরাপি, গুমের মত মহৌষধের সমর্থক, তিস্তার জল লইয়া তেলেসমাতিতে সফল পঙ্কজ দা।

যাওয়ার আগে দাদা আমাদের জন্য রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র করতে অনেক কষ্ট করেছো; সুন্দরবন পুড়িয়ে সামনে তোমরা বিরান করে আমাদের ঘর তোলার জমি বাড়ার পরিকল্পনা করেছো--- আমাদের জন্য তোমাদের এ অবদান জাতি চিরদিন স্মরণ রাখবে।

অনেক বড় অবদান রেখেছো সীমান্তে, প্রতিদিন গুলি করে 'গরু বেপারি' মেরেছো; ফালানীকে পাখির মত গুলি করে মেরে কাঁটা তারে ঝুলিয়ে রেখেছো, কুয়াশা কেটে গেলে বাঁশের সাথে ঝুলিয়ে নিয়ে গেছো। বিএসএফ'র পশুত্বকে প্রভুত্বে রূপান্তর করে ফালানী খুন থেকে দায়মুক্তির ব্যবস্থা করেছো; তোমার অবদান দাদা বলে লিখে শেষ করা যাবে? এমন সাধ্য কার!

এবার একটু  জিরিয়ে নাও। রাশান লাল পিয়ো, লাল চাখো। শান দাও নিজেকে । গণতন্ত্র ও উন্নয়ন অব্যাহত রাখার জন্য  পরবর্তী মিশন ঠিক করে ফেলো দাদা । তোমাদের বসে থাকতে নেই । তোমরা বসে থাকলে নিরীহ মানুষগুলো জঙ্গী হয়ে যাবে!  তোমরা বসে থাকলে বিশ্ব অনেক রাজনৈতিক বিনোদন থেকে বঞ্চিত হবে!

তোমার বিদায় দিবসে আজ রামপাল কানছে। কানছে বঙ্গীয় উন্নয়ন। কানছে বিএসএফ। কানছে তোমার কাছে হাঁটু গেঁড়ে বসে থাকা লোভাতুর ক্ষমতা!  তোমার দীর্ঘায়ু কামনা করি। দাদা মাঝে মাঝে আসবেন। আমাদের দেখে যাবেন। যেমন রেখে গেছেন সেখান থেকে আমরা আরো কতটা এগিয়েছি। তা না দেখলে কেমনে হবে দাদা। আপনি ছাড়া আমাদের কে আছে বলেন। ভালো থাকবেন।


বাংলা ব্লগের সাত ও মূলধারার মিডিয়া

ব্লগ নিয়ে নেতিবাচক ভাবনা; প্রচারণা এমনকি ব্লগ ঘিরে হত্যাকাণ্ড ঘটছে দেশে। সাত বছর বয়সী শিশু এ বাংলা ব্লগের দুনিয়াতে বিদ্বেষ আছে- এটা স্বীকার করে নিয়েই বলছি--- প্রচলতি সংবাদ মাধ্যম আর প্রাজ্ঞ কলামিস্টদের বন্দকী বিবেকের সময়ে ব্লগ এক অনন্য উন্মুক্ত  জনমত তৈরির ক্ষেত্র। যেখানে  গণ মানুষের গণকণ্ঠ এক সাথে উচ্চারিত হয়।

অত্যন্ত আনন্দিত যে, এ রকম একটি ব্লগিং জগতের সাথে বছর ৪ বছর ৭ মাস ধরে আছি। এবং কেবল সামুতেই লিখছি ৭৭৮ টি। অন্য সব ব্লগ মিলিয়ে এ লেখার সংখ্যা হাজার হবে। এর মধ্যে শ খানেক লেখা আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের স্মৃতিচারণ।

ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা হলো ব্লগে অনেক ভালো লেখা  পাঠকের নজরে আসে না। নির্বাচিত লেখার তালিকায়ও যায় না। তবে ইদানিং চটুল লেখা, যৌনতাপূর্ণ লেখার প্রতি ব্লগারদের আকর্ষণ বেশি।  যৌনতা সমৃদ্ধ লেখার বিপক্ষে আমি নই।  মূলত মানবজমিনে কাজ করার সময় যৌনাধিকার, যৌনাবচয় বিষয়টি আমার কাছে  গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। সেটি আমি এখনো উপলব্ধি করি। তাই বলে যৌনতা নির্ভর ব্লগিং কিংবা সবাইকে আরজ আলী মাতুব্বুর হওয়ার চেষ্টাটা আমার কাছে সঠিক বলে মনে হয় না।  এটা আমার সীমাবদ্ধতা।

ব্লগের একটা গুণগত পরিবর্তনও হয়েছে--- এখানে প্রচুর তথ্য বহুল ও মূলধারার গণমাধ্যম যে সব খবর এড়িয়ে যায় বা  দলদাসত্বের কারণে চেপে যায়, তা বেরিয়ে আসে। এটাই এর সবচে বড় সাফল্য বলে মনে মানি।

 আজ ১৯ ডিসেম্বর;বাংলা ব্লগ সাত বছরে।
সবাইকে বাংলা ব্লগ দিবসের শুভেচ্ছা।   

পরিমলের মত কুখ্যাত ধর্ষকের পক্ষেও আদালতে কেউ দাঁড়ায়!

পরিমলের মত কুখ্যাত ধর্ষকের পক্ষেও আদালতে কেউ দাঁড়ায়! তার নাম 'আইনজীবী'। তাও আবার বলে আমার 'মক্কেল' সঠিক বিচার পায়নি; উচ্চ আদালতে চ্যালেঞ্জ করবো। 


সত্যি সেলুকাস--- !

পরিমল ভিকারুননিসার যে ছাত্রীকে ধর্ষণের জন্য দণ্ডিত হয়েছে, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এ; এটা হয়ত চূড়ান্ত বিচারে টিকবে না। আমার ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ--- পরিমলের সাজার রায়টা; তাকে বন্দী জীবন থেকে অবসরে পাঠানোর ছোট্ট একটা পদক্ষেপ। 

চারদেয়ালের হাঁসফাঁস(!) থেকে জামিন নিয়ে বেরিয়ে আসবে--- পরিমল। 

বিচারক সালেহ উদ্দিন--- ত্রিশ পৃষ্ঠার রায়টা পড়ে শোনার সময় বলেছেন, মামলার তদন্তে নিয়োজিত দুই কর্মকর্তা শাহাদাত ও মাহবুব ' চরম গাফিলতি' দেখিয়েছেন। (সূত্র বিডি নিউজ)। এটা জানার পর আর বোঝার বাকি নেই মামুরা অত্যন্ত রোমান্টিক! তারা পরিমলকে 'নায়ক' হিসাবে দেখেছেন। 

নিশ্চিতভাবেই জানি--- আমাদের সমাজ ব্যবস্থা--- বল প্রয়োগে নারীর শরীর উপভোগ, সন্ত্রাস এবং খুনের বিষয়গুলো প্রশ্রয় দেয়। যারা এ সবের সমঝোতা করেন-- তারা খুব নির্বিকারভাবেই বলেন-- 'যা গেছে, তা কি আর পাবি। মেনে নাও। কিছু টাকা পয়সা রাখো।' এ মধ্যস্থতা যারা করেন, বা যারা এটাকে মেনে নিতে যুক্তিখাড়া করেন, আমি তাদের অত্যন্ত নিচু মানের নরাধম। এ রকম বহু মানুষকে আমি চিনিও! 

তাদের যুক্তি (!) সোসাইটিতে মিউচুয়াল সেক্স হচ্ছে--- অগুনতি হচ্ছে। সেটাও সমাজের চোখে অপরাধ। সে অপরাধ তো দমন করতে পারছে না কেউ। তাহলে কেউ বল প্রয়োগ করলে এমন কি হয়ে গেলো.... !! 

কিন্তু সমাজ যেহেতু আপসের লীলার রাশ টানতে পারছে না; তাই বলে ধর্ষণের রাশ টানতে পারবে না--- তা হতে পারে না। এটা কি মেনে নেয়া যায়? যায় না। কারণ--- সমাজ যদি এ সব মানতে থাকে তাহলে অনিরাপদ সমাজে নারীর শিক্ষা, চাকুরী, সংসার , সমৃদ্ধি সব তুড়িতে আটকে যাবে! 

আমাদের কেবল এ সব নিয়ে পড়াশোনা করলেই হবে না। প্রতিবাদ-প্রতিরোধ করতে হবে। 

২০০২ সালে ২৩ জুলাই শামসুন্নাহার হলে পুলিশ ঢোকা নিয়ে হাঙ্গামা হয়েছিল। সে সময় ক্যাম্পাস বন্ধ করেছিল সরকার। ক্যাম্পাসে আন্দোলনকালী, পুলিশ ও ক্যাম্পাস রিপোর্টাররাই ছিলেন। অলস সময়ে বহু পুলিশ অফিসার ও কনস্টেবলের সাথে আড্ডা দেয়ার সুযোগ হয়েছিল--- তাদের আচরণ-- মমতা--- উপরের নির্দেশ (!) থাকার পরেও নিজেদের সংযত রাখা আমাদের মুগ্ধ করেছে। --- মনে আছে, স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরের সামনে পুলিশ আন্দোলনকারীদের হটিয়ে দিতে আসছিলো--- তার আগেই আমাদের ডেকে বললো--- উনাদের কিছু সময় দূরে থাকতে বলেন--- বোঝেন তো , নির্দেশ আছে; তুলে দিতে হবে। কিন্তু 'এরা তো আমাদেরই ছেলে মেয়ে!' 

বিস্ময়ে বয়স্ক সেই পুলিশ কর্মকর্তার দিকে তাকালাম--- মানবিকতা এখনো অবশিষ্ট আছে! এ রকম স্বস্তির সাথে অস্বস্তিও ছিল। কারণ ওই ঘটনার দু'দিন আগে পুলিশ আমাদের ক' সহকর্মীকে পিটিয়েছিল। 

তবে এ কথা তো সত্যি সব-- পুলিশ এক নয়, তবে সব আইনজীবি সম্ভবত এক। টাকা হলে এদের আর কিছু লাগে না! আমি অত্যন্ত বিনয়ের সাথে কথাটা বলছি; কারণ আইন ব্যবসা যারা করেন; তারা নিজের সন্তানের মত কন্যা ধর্ষকের পক্ষে ওকালতিও করতে হয়। করেন; কিন্তু মিডিয়ায় মুখ হা করে; নিজের পেশাটাকে কলঙ্কিত করবেন না; প্লিজ। 

পরিমলরা সব স্কুলেই আছে; কলেজে আছে; বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজ চোখে দেখে এসেছি। কেউ ধরা পড়ে; কেউ পড়ে না! এই আর কি! --- বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের কাছেই শুনেছি সেক্স মামুলি। বিনা পয়সার দুগ্ধ পেলে গাই পুষবো কেনো। 


তবে কেউ জোর করলে আমরা এটা অত্যন্ত ঘৃণা ভরে প্রতিরোধ করবো--- এটাই তো হয়। হওয়ার কথা। কিন্তু সেটি কেন হলো না পরিমল জয়ধর কিম্বা পান্না মাস্টারের ক্ষেত্রে। 

পরিমলের শাস্তি উচ্চ আদালতে চ্যালেঞ্জে টিকবে না--- এটা পুরনো মামলাগুলোর অভিজ্ঞতায় বলা চলে। কেন বলছি--- কারণ ট্রাইবুনালের বিচারক কিন্তু বলেছেন--- মামলার তদন্তে চরম গাফলিতি করা হয়েছে। এ রকম গাফেল তদন্ত দিয়ে 'শাস্তি' নিশ্চিত করা সম্ভব ? মনে হয় না। তবুও আমরা হাল ছাড়ছি না। 

মজার একটা কৌতুক আদালত প্রাঙ্গনে বিডি নিউজকে পরিমল নরাধম বলেছে, 'আমি ইনোসেন্ট'! হোয়াট এ জোকস! 

ধর্ষিতার বাবার করা ২০১১ সালের মামলায় ভিকারুননিসার তৎকালীন অধ্যক্ষ হোসনে আরা এবং বসুন্ধরা শাখার প্রধান লুৎফর রহমানকেও আসামি করা হয়। ২০১৩ সালের ৭ মার্চ আদালতে অভিযোগ গঠনের সময় অধ্যক্ষ ও লুৎফর অব্যাহতি পায়।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ওই ছাত্রীকে প্রলোভন দেখিয়ে ২০১১ সালের ২৮ মে প্রথম ধর্ষণ করেন পরিমল। ওই সময় ছাত্রীর নগ্ন ভিডিও চিত্র মোবাইলে ধারণ করা হয়। এরপর ওই ভিডিও প্রকাশের ভয় দেখিয়ে ১৭ জুন আবারও ধর্ষণ করা হয়।

বিষয়টি প্রকাশ হওয়ার পর ভিকারুননিসার ছাত্রীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তখন পরিমলকে বরখাস্ত করে।

এরপর ৫ জুলাই ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এই মামলা দায়ের করেন।

২৫ নভেম্বর ২০১৫ আদালত মামলাটির রায় দিয়েছে। যেখানে তাকে যাবজ্জীবন কারদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং সেটি অনাদায়ে আরো ৬ মাসের জেল দিয়েছে আদালত।


স্বামীর বুকে মাথা রেখে জোছনা দেখতে চেয়েছিল মেয়েটি!



স্থির হয়ে থাকা চোখের পাতা নামিয়ে দেয় মেয়েটি
সলজ্জ হাসি- কুড়ি বছরের যৌবন--
পুড়িয়ে গেছে বহু পুরুষের হৃদয়---হাসি
কাম-কামনা সব একসাথে
গলে গেছে মোমের শরীর-- নুয়ে পড়েছে উন্নত বুক ---বক্ষ বন্ধনীও টেনে তুলতে পারছে না!

 ---হাসিটা তবুও বেশ টিকে আছে! সে কি সুখের? নাকি অসুখে!

বিস্ময় বালিকা চোখে----
চোখের পাতা মুড়ে পুড়তে থাকে---
লজ্জাবতী---লজ্জায় নুয়ে পড়া---গুটিয়ে নেয়া স্পর্শের সকালের মতই--- পরপুরুষের করতলে মথিত হয়---

ভিজে যায় নোংরা জলে---

কাম--কামকলা--কামজ্বালার চে' তার কাছে এখন--
নগদ টাকাটাই মুখ্য---
প্রেম? সে তো দুঃস্বপ্ন! ভালোবাসা?   লুটুপুটি খায়---টাকার উপর!

বস্ত্রবালিকা হয়ে এসেছে নগরে--- এত চাকচিক্য--- এ রূপ--- এত সুধাকর এখানে---সেখানে ---সবখানে
এত কিছু--- একজীবনে এত--- সব তার চাইত না মন--- টুপ করে দরজায় লাগিয়ে সস্তা কোনো পাউডার মেখেই
স্বামীর বুকে মাথা রেখে জোছনা দেখতে চেয়েছিল মেয়েটি!

হয়নি--
হয়নি --
হবেও না কখনো

তাই এখন ---
সূর্য ডুবে গেলে সে একটি করে দিন গোনে--- সপ্তাহে চার কিম্বা তিনদিন শোয়

কত রঙ্গের পুরুষ তাকে চেখে দেখে---

ঘেন্না? আগে হতো--- এখন হয় না--- দিন শেষে কিছু টাকা জমে

তার-তাদের শরীরের ওপর ভর করে রাজনীতিক, নিরাপত্তারক্ষী---দালাল টিকে আছে!

--- কামুক কুপুরুষ---বহুগামি বহু পুরুষের ক্সুধঅ মিটছে!

বুকের ওপর হাত বোলালে শির শির করতো গা --- এখন?
এখন আর অবশিষ্ট নেই কিছু। কবে মিলবে মুক্তি!

ভাবনা---ঘোর-- সময় দ্রুত ফুরিয়ে যেতে থাকে।
আয়নায় নিজেকে দেখে মেয়েটি ---
বহু কিছু তার পাওয়ার কথা ছিল পায়নি সে!
পাবেও না! পাবেও না কিছু আর !

মওলানার দেশপ্রেম আমাদের সবার মাঝে ছড়িয়ে পুড়ুক

মওলানার জীবন যে জাতির জন্য উৎসর্গিত সে জাতি দ্বিধাবিভক্ত। তবে তার জন্ম ও মৃত্যু বার্ষির্কী ঘিরে প্রধান দুই দলই বিবৃতি দিয়ে বলেন- মওলানার আদর্শ অনুসরণ করবার জন্য। বাস্তবে কি তারা নিজেরা মওলানার আদর্শ অনুসরণ করেন? মনে বড় প্রশ্ন জাগে। আজ তার  মৃত্যুবার্ষিকী। গণমানুষের হসপিটাল ঢাকা মেডিকেল কলেজেই তিনি ইন্তেকাল করেছিলেন। কবর হয়েছে গ্রামের বাড়ি সন্তোষের আঙ্গিনায়। 

মওলানা ব্রিটিশ বিরোধি আন্দোলন থেকে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের যে প্রেরণা যুগিয়েছেন। স্বাধীনতা উত্তর কালে সে সময় যে সঙ্কট দেশে তৈরি হয়েছিল; তিনি সাধ্য মত তার যৌক্তিক আলোচনা-সমালোচনা এবং সমাধানের পথ বাতলেছেন বলে বইয়ে পড়েছি। 

তার রাজনৈতিক আদর্শ; আধ্যাত্তিক চেতনা এবং দেশপ্রেম আমাদের নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে পুড়ুক। তাহলে তার শ্রম স্বার্থক হবে। মওলানা বেহেশতবাসি হোন। আমরা দেশের স্বার্থে এক হই। আল্লাহ আমাদের দেশের জন্য এক হওয়ার তৌফিক দিন- আমীন।

প্যারিসে মানুষ মরে সাফ আপনি আইছেন চিনি লইয়া আলাপ করতে!

দেশ প্রেম দেশি মুরগিতে--- কথাটা সত্য। চরমভাবে সত্য। নইলে দেশের চিনি কলে এত চিনি জমা থাকে।! প্রথম আলোর ১৯ অক্টোবরের খবর--- সরকারি ১৫ টি চিনি কলে ১ লাখ ৩৬  হাজার টন চিনি পড়ে আছে। অথচ এ চিনির সাথে আমাদের শ্রমজীবি মানুষের জীবিকা, আখ চাষি এবং কৃষিপণ্যের বাজার জড়িত। সেখানে  বিদেশ থেকে রাখ লাখ টন চিনি আমদানি হচ্ছে।

বিষয়টা যদি এমন হতো যে বিদেশি চিনির চে আমাদের চিনির মান খারাপ তাহলে 'স্বাস্থ্য সচেতন' বাঙালদের সাথে তর্ক করা বৃথা হতো। তা কিন্তু না। চিনির মান ভালো । লাল চিনি এবং ক্যামিক্যালমুক্ত। সহনীয় মাত্রায় ক্যামিকেল দিয়ে সা্দা ধবধেবে চিনি বাজারে ছাড়ে দেশি বিনিয়োগে গড়ে ওঠা বিদেশি চিনির আমদানিকারকরা। যারা কেবল বিদেশি পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে দিনরাত খেটে যাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন আর চিনিযুক্ত মঠেল থাকে সে সব বাজার বিদেশি পণ্যের বাজার সম্প্রসারণ করা কোম্পিনির। দেশিয় চিনির তো বিজ্ঞাপন নাই। নাই  টিকিয়ে রাখার সরকারি ভাবনা। সুতরাং নে বাবা লুটেপুটে খা। আর চিনি বিক্রি না হওয়ার দোহাই দিয়ে আঁখ চাষিদের গলা টিপে ধরা সহজ। ইংরেজ গেছে; তাদের চোষণ তোষণ করা লোকেরা তো যায়নি রে বাপ।

ব্যক্তিগতভাবে  দেশি চিনি কিনি। আমি কিনি মানে-- সবাই কিনবে তাও না। তবে কিনুন না । খারাপ কি।  দামেও বিদেশি চিনির চেয়ে কম। তাহলে কিনতে অসুবিধা কোথায়। যখন দেশের প্রায় দেড় লাখ টন চিনি গুদামে পড়ে আছে---তখন আপনার দিলে যদি একটু দয়া হয়; মন্দ কি।  

অনেকে বলবেন-- প্যারিসে মানুষ মরে সাফ আপনি আইছেন চিনি লইয়া আলাপ করতে-- ভাই প্যারিসের যারা মারা গেছে তারা একসাথেই গেছে। আর আমাদের কলকারখানায় যারা কাজ করছে; শ্রমের বিনিময়ে যারা চিনি নিতে বাধ্য হচ্ছে তারা মরছে ধুঁকে ধুঁকে ---

দেশি চিনি প্যাকেটজাত করেও বিক্রি হচ্ছে। রাজধানীর সুপারশপ আগোরায় ও স্বপ্নে পাবেন--- আখের চিনি নামে প্যাকেটে। অর্গানিক পণ্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান হারভেস্টে পাবেন --- পাবেন  কাওরানবাজান, মতিঝিলে।  দাম প্যাকেট জাত কেজিপ্রতি --- ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা। আর খোলা কেজিপ্রতি ৪০ থেকে ৪৪ টাকা।