আত্মহত্যার জন্য তাগাদা দিয়েছে সংসদীয় কমিটি!

আত্মহত্যার জন্য তাগাদা দিয়েছে সংসদীয় কমিটি! চমকানোর কিছু নেই; ঘটনা সত্যি। রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ এগেয়ে নেয়ার জন্য  তারা এ তাগাদা দেয় বরে খবর বেরিয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনে দশম জাতীয় সংসদের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি’র ১৬তম বৈঠকে এই তাগিদ দেয়া হয়। এতে কমিটির সভাপতি মো: তাজুল ইসলামের সভাপতিত্ব করেন। (সূত্র: প্রিয় ডট কম)

রামপালে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র হলে কত রকমের ক্ষতি হবে তা নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। বার বারই বলা হচ্ছে  বিদ্যুৎ আমাদের দরকার আছে তাই বলে আমরা আত্মহত্যা করতে পারি না।

সুন্দরবন আমাদের একটাই। হাজার বছর ধরে ভাটি বাঙলার সুরক্ষা করে আসছে এই সুন্দরবন। তার কোলেই কেন এ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বানাতে হবে; তা নিয়ে আমরা কেন ভাবছি না।  এটাও একটা বিস্ময়ের ব্যাপার।

ভারত এ প্রকল্পের সহযোগি বলে কারো কারো বিরোধিতার দিকে সরকারের ইঙ্গিত আছে। তর্কের খাতিরে আমরা যদি এটাকে ঠিক বলেও মানি; তাহলেও কি প্রশ্ন আসে না---ভারত কি এমন একটা উদ্যোগ তার  সুন্দরবন অংশের কোথাও নেবে। নেবে না। নিশ্চিত করেই বলছি নেবে না।

ভারত কত ক্রিটিকালি সব কিছু চিন্তা করে--- একটা উদহারণ দেই--- নিজের দেশের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন দমাতে  তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করতে সেভেন সিস্টারে  বাংলাদেশ থেকে ব্যান্ডউইথ আমদানি করতে চুক্তি করেছে বাংলাদেশের সাথে। কিন্তু নিজ দেশের নিরাপত্তা রক্ষীদের নিরাপত্তা ছাড়পত্র না পাওয়ায় এখনো জলের দামে কেনা ব্যান্ডউইথ তারা নিতে পারছে না।

বাংলাদেশের কোনো নিরাপত্তা বাহিনী কি ব্যান্ডউইথের কারণে আমাদের নিরাপত্তা হুমকিতে পড়তে পারে এমন একটা কোশ্চেন করেছেন। করেননি। করলে হয়ত তাদের আমরা বেকুব বলাতাম!  ভারতরে নিরাপত্তা রক্ষিরা ঠিকই কিন্তু এটা নিয়ে গবেষণা করছে।

ভারতকে ফাইবার টেনে আমরা আগরতলায় ব্যান্ডউইথ দিয়ে আসবো--- তাও কম দামে। তা নিয়ে পর্যন্ত আলোচনা মানা। সেখানেও ভারত গড়িমসি করছে।

সেখানে আমাদের দক্ষিণাঞ্চলের  রক্ষাকবচ; প্রাকৃতিক দূর্যোগের কালে আমাদের সবচেয়ে বড় বন্ধু---- সুন্দরবনকে হত্যার এ কৌশল এমনি এমনি নিয়েছে ভারত? এ প্রশ্নটা  আসতে পারে।

রামপাল ছাড়া কি তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বানানোর জন্য আর জায়গা নাই। খুলনার অন্য কোথাও কি নেই। পারলে  উত্তর বঙ্গে গিয়ে আরেকটা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বানান?  ফারাক্কা বাঁধ আর গজল ডোবায় তিস্তার পানি আটকে রেখে তো পুরা উত্তরবঙ্গ মরুভূমি বানিয়ে ফেলেছেন। তো সেখানে বিদ্যুৎ কেন্দ্র হতে পারে না; তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র। হতে পারে না। কারণ হলো নদীর সব পানি আটকে নদী মেরে দিয়েছেন মনমহন, শন মহন আর মোডি কাকুরা। তা কাঁচামাল নেবেন কেমনে। রাস্তারও তেরটা বেজে আছে।

 তো রামপাল।

 ফারাক্কার প্রভাবে এমনিতেই সুন্দরবনের শিরা উপশিরার নদী গুলোর পানি নোনতা হয়ে আছে। বাড়তে আছে নোনতার আধিপত্য। তার ওপর এখানে ট্রলার চলবে, কাঁচামাল আসবে, ছাই উড়বে আর  সুন্দরবন ধীরে ধীরে আক্রান্ত হবে ক্যান্সারে। মরে যাবে চোখের সামনে। কিছু নরাধম সে জমি দখল করে ঘের বানাবে।

পরিবেশবাদিদের প্রতিবাদের মুখে সরকারের অধিদপ্তর ---ইনভায়রনমেন্টাল ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট (ইআইএ) প্রতিবেদন দিয়েছে। সে অনুযায়ী ১৩২০ মেগাওয়াটের এ প্রকল্পের জন্য বছরে ৪৭ লাখ ২০ হাজার টন কয়লা পোড়ানো হবে।

যেখানে ১ টন কয়লা পুড়লে ২ দশমিক ৮৬ টন কার্বন ডাই-অক্সাইড তৈরি হয়। সেই হিসাবে এই প্রকল্প ৮০ শতাংশ লোড ফ্যাক্টরে উৎপাদন করলেও বছরে ১ কোটি ৮ লাখ টন কার্বন ডাই-অক্সাইড উৎপন্ন হবে। যদিও সরকারের প্রতিবেদনে সুপার ক্রিটিক্যাল পদ্ধতি ব্যবহার করায় উদ্যোক্তাদের হিসাব মতেই, ৭৯ লাখ টন কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস উৎপন্ন করে বাকি কার্বন ফ্লাই অ্যাশে যোগ হবে বলে ধারণা দেয়া হয়েছে।

উদ্যোক্তাদের হিসাব সঠিক বলে ধরে নেয়া  হলেও প্রশ্ন থা্কছে--- ৭৯ লাখ টন কার্বন ডাই-অক্সাইড কী কম ক্ষতিকর! যত উঁচু চিমনিই ব্যবহার করা হোক না কেন বাতাসের চেয়ে ভারী এই গ্যাস তো এই দেশেই ফিরে আসবে, ফিরে আসবে সুন্দরবনের বুকে।

বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে প্রতিদিন প্রায় ১৪২ টন বিষাক্ত সালফার ডাই-অক্সাইড (বছরে ৫১ হাজার ৮৩০ টন) ও ৮৫ টন বিষাক্ত নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (বছরে ৩১ হাজার ২৫ টন) নির্গত হবে। বিপুল পরিমাণ বিষাক্ত গ্যাস সুন্দরবনের বাতাসে সালফার ডাই-অক্সাইড ও নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইডের ঘনত্ব বর্তমান ঘনত্বের তুলনায় কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়ে গোটা সুন্দরবন ধ্বংস করবে--- তারপরেও সন্দেহ জাগে!


হুমম । আসেন আত্মহত্যা করি।

তাজিয়া মিছিলে বোমা:: মানবতাবিরোধী এ অপরাধের বিচার হতে হবে !

ভারাক্রান্ত মন---তাজিয়ায় বোমা পড়েছে। আম্লীগ ক্ষমতায় আসলে বোমার সংস্কৃতির বিস্তৃতি--- এমন অভিযো্গ পুরনাে। ১৯৯৬ সালে ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার সহিংস আন্দোলনের মাধ্যমে দলটি ক্ষমতার দেখা পায়--- সঙ্গী গোলাম আযম;নিজামী;মুজাহিদ।  সে সময় সিনেমা হল থেকে  শ্রেণী শত্রু খতমের ডাকে সম্মিলিত মঞ্চেও বোমা পড়ে। উদিচী, রমনা বটমূল থেকে--- পল্টন--- সবখানে মুড়ি মুড়কির মত বোম ফুটে।

১৯৯৮ সালের দিকে  রাষ্ট্রের খরচায় বের হওয়া পুস্তিকায় জানান দেয়া হয়, জঙ্গীর চাষবাষ হচ্ছে। আম্লীগ জঙ্গি খতম করতে সহায়তা চায়। ক্ষমতায় টিকে থাকার সহায়তা! এর মধ্যেও ২০০১ সালে মানুষ তাদের বিদায় জানায়!

সময় বদলাতে থাকে। ২০০৭  মঈন-ফখররা  ক্ষমতায় আসে। জঙ্গির আওয়াজটা তখন কমে আসে। বিম্পির শেষ অমলে ধরা বাংলাভাই ও শায়খ রহমানের ফাঁসি হয়।  তারপর ২০০৯ । ক্ষমতার পালাবদল। আম্লীগ ও তার সহ-মিত্ররা ক্ষমতায়।  সব ভালোই চলছিল! ৫ জানুয়ারী ২০১৪। বিপুল ভোটে বিনা প্রতিদ্বন্ধীতায় মানুষ জঙ্গবিরোধী রায় দেয় বলে ঘোষণা দেয় সরকার বাহাদুর।

 ২০১৫। বয়স হচ্ছে আমাদেরও। আছে ৫৭ ধারা। আছে ভোট নয়; উন্নয়ন নিয়ে বিদেশীদের আগ্রহের মন্ত্র। এ সবে আমাদের কিচ্ছু যায় আসে না।

ভোট দিয়া কি করমু;  নিরাপত্তাটা জরুরী। তাই ৫ জানুয়ারি কেন আরো কিছু হলেও আমাদের কোনো আপত্তি নেই। জঙ্গী নির্মূল হলেই আমরা তুষ্ট-সন্তুষ্ট!  আশায় ছিলাম জঙ্গী নির্মূল হবে। এই ট্যাবলেটটা আর মানুষের জীবন-জীবিকা-ভোট-নিরাপত্তা বিপন্ন করবে না। সে আশায় গুঁড়ে বালি!

বাংলাদেশে জঙ্গিতে ভরপুর। সে শঙ্কা উড়িয়ে দেবার মত নয়। মনমহন বাবুর বিশেষ দূত হিসাবে ২০১৩ সালের শেষে সুজাতা আপা আসলেন। এরশাদ কাকুর সাথে দেখা করে কইলেন--- সমর্থন দিন। নইলে জঙ্গিরা ক্ষমতায় আসবে।

 ভালো কথা।  সমর্থন আদায়ে ব্যর্থ হলে--- কাকুর স্থান সিএমএইচ। কাকুর উপদেষ্টা লন্ডনে।  আর বিনা ভোটে  প্রায় অর্ধেক লোক এমপি বন গিয়া।

তাতে আমার মত আম পাবলিকের আপত্তি নাই।   দেশ তো আমার একার না। সবার যদি সয়--- আমার সইবে না কেরে। আমি কোন...।

সে যাউক গা--- পয়লা বৈশাখ আইলো--- টিএসসিতে কামুক কু--নরাধমরা নারীর শরীর নিয়া ছিনিমিনি খেললো।  দাড়ি তত্ত্ব আবিষ্কার হলো। চূড়ান্ত বিচারে এর কোনো ফল হলো না। ছাত্রলীগের কতিপয় 'নরাধম' আটক হয়েছে!

নারীবাদীরা ক্লান্ত--- অবসরে আছেন।  আসলে তাদের তো বয়স হয়েছে। আর কত চিল্লাবে।  তাছাড়া আম্লীগ একটা প্রগতিশীল সরকার। তাদের কোনোভাবেই ঘাটানো উচিৎ হবে না।


ভালো---

 অক্টোবর মাসে শোর উঠলো পশ্চিমে--- বঙ্গদেশে আইএস।  সরকার নাকচ করলো। এতদিন আমরা জনগণ যা বলতাম, সরকবার তাই বললো--- এখানে জঙ্গি নাই। এ ভাটি বাংলায় জঙ্গির চাষ সম্ভব না। যার পর নাই খুশী হলাম-- সরকার বাহাদুর  জণগণের হৃদ স্পন্দ শুনতে পাচ্ছেন !

তবুও ইউএস'র দূত বার্ণিকাট বললো--- আইএস আছে । দমনে সহায়তা দিতে চায় তার সরকার! তাকে সাপোর্ট করলো আমাদের নিরাপত্তা রক্ষীরা। কারণ তারাও তো সমস্যায়! সরকার বাহাদুরের ঘোষনার আগেই  নিরাপত্তা রক্ষীরা  কয়েকজনকে আইএস বলে মামলা ঠুঁকে দিয়েছে।

আর আজকাল তো ধর্মীয় কেতাব জঙ্গি গ্রন্থে রূপান্তর হয়েছে---

আমাদের  কিশোর বেলায় নিষিদ্ধ বই বলতে রসময় গুপ্ত; সচিত্র কামসূত্র, সবিতা ভাবি কমিকস।  এখন নিষিদ্ধ বই বলতে ধর্মীয় বই পুস্তক।  এ সব অনেক উস্কানিমূলক। লেখকের নাম ধরেও উস্কানিমূলক ধরা হয়।  এ রকম একটা বিতিকিচ্ছিরি অবস্থার মধ্যে যাচ্ছে সময়---।

--- আসল কথাটা বলে নিই বছর ৪শ হলো এ বঙ্গ দেশের।  এখানে কোনোদিন তাজিয়া মিছিলে বোমা পড়েছে;সশস্ত্র সঙ্ঘাত হয়েছে--- আল্লাহর কমস আমি শুনিনি।  হোসেনি দালানের পাশেই আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম এক বছর কেটেছে। বহুবার গিয়েছি। কখনো মনে হয়নি এ মানুষগুলো অশান্তি চান!শিয়া মতাবলম্বীদের উপর কারো ক্ষোভ আছে! তাও মনে হয়নি।

শিয়া-সুন্নী, আহমদিয়াদের নিয়ে বকশিবাজার। এখানে সম্প্রীতি ছিল সব সময়।  এখনো আছে। কিন্তু তাজিয়া--- নবী সা: এর নাতিদের হত্যার শোক ঘিরে মাতম---  নবী প্রেমিকদের এ শোকায়োজনে হামলা--- স্তম্ভিত হয়ে গেলাম।

মুসলিমদের ভেতর সংকীর্ণতার চাষবাস! কারা বলছে- তুমি সুন্নী, তুমি শিয়া, তুমি আহলে হাদিস , তুমি সালাফি, তুমি ওয়াবি--- আমি নিশ্চিত করে বলি এবং বিশ্বাস করি---  আমরা সবাই মুসলিম। মুসলমানের রক্ত অহিংস। মুসলমানরা কখনোই কারো ওপর হামলা করতে পারে না। হামলা করে না। হামলার ইতিহাস নাই।

তাহলে কেউ বলবেন-- বিন লাদেন, জাওহারি তারা কে? তারা কুরআনের বর্ণনা মানলে  মুমিন-মুসলিম নয়।  মুসলিম কখনো  হত্যা--রক্তপাত --- সহিংসতায় বিশ্বাস করে না। প্রাকটিসও করে না। যারা ইসলামের নামে ধর্মের নামে এ সব করে তাদের ইসলাম নিজের বলে কবুল করে না।

কেবল নাম মুসলিমের হলে তো মুসলিম হওয়া যায় না।

'কুরআন বিশ্বাসীদের জন্য পথ নির্দেশক'--- কুরআনেই এ কথা বলা হয়েছে। যারা বিশ্বাসী নয় তাদের জন্য এ নিয়ে আলাপ নেই। তাই মুসলিম হওয়ার প্রথম কথা হলো  আল্লাহ, তার নবী সা: , ফেরেশতা; শেষ বিচার ও জান্নাত এবং জাহান্নামে বিশ্বাস স্থাপন  করতে হবে।

শিয়া সম্প্রদায়ের তাজিয়া মিছিলের এ শোকের মাতম --- তাজিয়ায় হামলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এটা কোনোভাবেই মানুষের কাজ  করতে পারে না।

 আমরা পাকিস্তান নই, আফগান নই, ইরাক নই, সিরিয়া নই--- কিন্তু আমরা সে পথে হাঁটছি। আমাদের এখন এ সব দেশের সাথেই তুলনা করা হচ্ছে।

এ ভাটি বাংলায় বেড়ে ওঠার মানুষের মন  মনন এবং মেধা কুপথে চচির্চত নয়। খুব অল্প কিছু ব্যতিক্রম থাকতে পারে। ব্যতিক্রম কখনো উদাহরণ নয়। তাজিয়া মিছিলে বোমা হামলায় অপরাধীদের ধরে শাস্তি নিশ্চিত করা জরুরী। এটা মানবতাবিরোধী ঘৃণ্য অপরাধ। এ অপরাধের বিচার হতে হবে।

আইএস, উবামা, পুটিন এবং কামুক কমিক




কামরস সমেত আইএস যখন মিডিয়ায় খুব প্রচার পাচ্ছে তখন আমার গা শির শির করছিলো। বয়স ছত্রিশ কিন্তু আইএস 'যোদ্ধা'রা তার চে কম বয়সে অল্প বয়সী তরুণীর  কুমারিত্ব হরণ করছে--- সেটা আবার আম্রিকান টিভি চ্যানেলে বর্ণণা সমেত প্রচার পাচ্ছে। শুনতে, দেখতে এবং পড়তে সবারই  ভালো লাগছিল।

আইএস নামটাও দুর্দান্ত। মোছলমানদের জন্য খেলাফত তরিকা লইয়া হাজির হলো। এ হাজিরায় অনেক অর্থকড়ি ও অস্ত্র সমেত 'মুজা হিদ 'রা  ধর্মের 'খেদমত' করতে  শুরু করলেন। সে খেদমতের কখসারতে মুছলমান নাম আছে এমুন লোকজনের অবস্থা এখন এমুন যে, তারা বারেক হুসেনের মত নাম ধর্ম বদলায়া ফেলতে পারে বাঁচে অবস্থা!

লাদেন কিচ্ছা খতমে উবামা মুষড়ে পড়ার পর  তার চেলাচামুণ্ডারা চিন্তিত অইয়া গেলো; আরে এই আধুনিক জামানায়, সুখ পেতে ইচ্ছুক তরুণদের মধ্য থেকে মোছলমান তরুণদের দিয়ে নতুন একটা প্লট তৈরি করতে হবে না--- নয়া জঙ্গি জন্মাতে বেশি সময় নেয় না। কারণ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধটা দীর্ঘ না করলে ব্যবসা পাতি নাই।

যৗেনতা, রূপবতী তরুণী আর আইএস এর  নিত্য নতুন  দখলদারিত্ব, সব ছিড়ে তাল করার গল্প মিডিয়া প্রপাগাণ্ডায় বিশ্বের আনাচে কানাছে ছড়িয়ে যেতে থাকে।

'ইসলামে'র ঝাণ্ডা উড়াইবার আইতাছে আইএস। সুতরাং তাদের সাফল্য কামনায় কিছু বিভ্রান্ত তরুণও যুক্ত হয়।  যুক্তরাজ্য থেকে কিছু ভার্জিন তরুণী  আইএস যোগ দিতে গেছে; সেটা বিবিসি'র খবর মারফত জেনেছেন অনেকে। আইএস' এ তরুণীদের আগ্রহ  নিয়ে রসময় বিবিসি বাংলার রিপোর্ট্ও এ বঙ্গীয় পাঠক পড়েছে।

 রুট হিসাবে তুরস্ককে দেখিয়ে তাদের চাপে রাখা; মধ্যপ্রচ্যের ক্ষমতার পালাবদল এবং ইজিপ্টে নয়া কৌশল মিলিয়ে আমেরিকা আধিপত্য বাদ বেশ ভালোই সময় পার করছিলো।

 সেই সাথে বঙ্গীয় জঙ্গী জপ গোষ্ঠী আইএস খুঁজে পেয়েছে। ধরেছে জনা কয়েক। কিন্তু যখন সব পশ্চিমা এক সাথে রা করলো বঙ্গদেশে জঙ্গি। তখন জঙ্গিতে আরাম পেতে থাকা সরক্কার বাহাদুর নড়ে চড়ে বসলো।  না এখানে জঙ্গি নাই। কিন্তু নিরাপত্তারক্ষীরা  এটা মানতে নারাজ। জঙ্গি আছে।

 এমনকি  মহামান্য প্রেসিডেন্ট থেকে প্রধানমন্ত্রী সবাই এক বাক্যে কইলো দেশে আইএস তো দূরের কথা জঙ্গিবাদ নিশ্চিহ্ণ। সুতরাং এ অভিযোগ ভুয়া।  তারপরেও খবর হলো আইএস আছে। জঙ্গি আছে-বঙ্গে।

আমি ব্যাক্তিগতভাবে এর সাথে একশত ভাগ একমত এবং বিশ্বাস করি বঙ্গ দেশে জঙ্গি চাষ সম্ভব না।

কেন সম্ভব না; তা লইয়া আমার একখান পুরনো লেখার লিঙ্ক এখানে---http://www.somewhereinblog.net/blog/neelgiree/30016295


যে কথা কইতে আইলাম তাই তো কওয়া অইলো না।

সবাই ভাবছে রাশিয়ান ভদকা আর রেড ওয়াইনের মেয়াদ শেষ ---ঘটনা এ টুকু হলে ঠিক ছিল। কিন্তু ভদকায় ঝিম মেরে থাকা রাশানরা যে নড়ে চড়ে বসবেন তা বুঝি উবামার তথ্যের বাইরে ছিল? সেটাও অবিশ্বাস্য। তবে পুতিন মামা কামটা ভালোই করছেন। চুদির ভাই আইএসকে  মারার কামটা শুরু করছেন।

 মুসলমান মারলে সওয়াব আছে--- এ ফরমুলায় আমেরিকা আর রাশিয়া এক। কোনো সন্দেহ নাই। কিন্তু ফাগুনেরই আগুন দিয়া তিলে তিলে আমরিকানদের মোছলমান মারার কামটা দীর্ঘদিন জারি রাখার বদলে রাশিয়ার কারণে কামডা তাড়াতাড়ি অইয়া যাচ্ছে বইলা চিন্তায় আছে উবামা।

তাই এ বঙ্গে বারনিকাট সরকার প্রধানের আইসএস নাই বক্তব্যের পরেও তা দমনে সহায়তার কথা বলেন।

আহা মরি মরি---

 এত রস কুতায়।  এখানে আইএস এর  শরীর গরম করা তরুণী নাই বার্ণিকাট হয়ত জানেন। তার তথ্য অফিসাররাও তাকে সঠিক তথ্য দিতে পারেন না।  কারণ জঙ্গির ট্যাবলেট বিক্রি বন্ধ হয়ে গেলে ব্যবসা থাকে না। বড় মন্দা যায় রে পাগল! 

রস- আদিরস

বন্ধু মহলে কুখ্যাতি ছিল।  খ্রাপ কতা কই। আমার মুখ খ্রাপ। কিন্তু আমার আইডল কে? আমি জানি না। তবে আমার গুরু স্থানীয় কায়সার ভাই (উনি এক সময় মানবজমিনের স্পোর্টস এডিটর ছিলেন)। 'চোদনা' ছাড়া উনি খুব কম কতা কইতেন!  আমার দোস্ত বুজর্গ অভি (বিশিষ্ট বিসিএস কম্মকত্তা)' বাইনচোত' ছাড়া কতা কইতে পারতো না। এখন পারে কি-না জানি না। আমি কিন্তু এ ধরণের  কতা কম কইতাম না।

আমার কতায় একটু রস আছিলো, আদি রস, কামরস। এ ই আপনি যেভাবেই দ্যাখেন না। আমি মানবজমিনের রিপোর্টার ছিলাম বইলা এট্টু বেশি। এটাও এক ধরণের প্রচারণা!

আমার সংবাদ গুরুদের একজন মিলান ফারাবী (মানবজমিনের এক সময়কার চিফ রিপোর্টার) তার কাছে রসময় লেখা শেখা। সম্ভবত সেটা একটা পরিধেয় অন্তর্বাস নিয়ে! ফারাবী ভাই পরে সেটা নিয়ে একটা উপন্যাসও লিখে ফেলেছিলেন। নাম দিয়েছিলেন--- চামেলি হলের কয়েকটি মেয়ে!

সে যাউক গা।

রস আদিরস ও কামরস নিয়ে কতা কওয়ার ব্যাপারে আমাকে যারা অভিযুক্ত করতেন--- তারা এখন সেখান থেকে  আমাকে নিষ্কৃতি দিবেন? আশা করি!
কারণ এ নাজায়েজ কিছু না। এমনকি ফর্মাল প্রোগ্রামেও এটা জায়েজ!  বুইজ্জনি আমার বন্ধু, ছুডু ভাই, বড় ভ্রাতা এবং ত্রাতারা।


মরু দুলালের রওজার ওপর প্রশান্তিময় সবুজ গম্বুজ

তেতে ওঠা রোদ্দুরের দুপুরেও মরু দুলালের রওজার ওপর মাথা তুলে থাকা সবুজ গম্বুজের দিকে তাকালে অসাধারণ প্রশান্তিতে মন ভরে যায়। সৌদি আরব যখন তুরস্কের শাসনে ছিল সে সময় রাসূল (সাঃ)-এর রওজা মুবারকের ওপর এ সবুজ গম্বুজ তৈরি করা হয়। পরে মসজিদুন নবীর স্থাপত্য নকশায় খানিকটা পরিবর্তন আনা হলেও এটি ঠিক রাখা হয়েছে।
অক্টোবরের শেষ সপ্তাহের এক দুপুরে হাজির হলাম মসজিদুন নবীতে। সারা জীবন কেবল এ মসজিদের ইতিহাস পড়েছি, প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) এখানে তাঁর জীবনের একটা বড় অংশ কাটিয়েছেন। মদিনাতুন নবীকে শান্ত শহর বলা হয়, এখানকার মানুষ নবী করিম সা:কে সাদর সম্ভাষণ জানিয়ে গ্রহণ করেছিলেন।
যে বড় পথ পাড়ি দিয়ে আমরা বাসে চড়ে এসেছি সেখানে নবী (সাঃ) তাঁর সাথীদের নিয়ে হিজরত করেছেন উটের পিঠে চড়ে। মরুর বুকে সূর্যের তপ্ত রোদ; নাক দিয়ে রক্ত পড়ার উপক্রম; সে সময় আল্লাহর নবী তাঁর প্রিয় সৃষ্টিকর্তার নির্দেশ মেনে ছুটে এলেন মদিনায়।
মদিনাতুন নবীতে রাতে পৌঁছার কারণে তাহাজ্জুদ ও ফজর নামাজ পড়ে হোটেলে ফিরে গিয়েছিলাম। দুপুরের দিকে নবী করিম (সাঃ)-এর রওজা মুবারক জিয়ারত করার জন্য ছুটলাম। সে অনুভূতি আর আকুতির কোনো বিবরণ দেয়ার সক্ষমতা কারো নেই। তামাম দুনিয়া থেকে মুসলমানরা হজ পালনের জন্য মক্কা মুয়াজ্জমায় আসেন। হজের বাধ্যবাধকতা না থাকলেও কেউ মদিনাতুন নবী (সাঃ) না গিয়ে ফেরেন না। এত কাছাকাছি এসে নিজের চোখে নবী করিম (সাঃ)-এর রওজা মুবারক দেখার সুযোগ হাতছাড়া করার ভাবনা কারো মাথায় আসতে পারে না। আসেও না বলে সবাই ছুটে আসেন সেখানে।
উম্মতের জন্য জীবন বিপন্ন করা এবং সব সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য ত্যাগ করে নিজ দায়িত্ব পালনের যে অসাধারণ দৃষ্টান্ত নবী করিম (সাঃ) স্থাপন করেছেন, সেটি বিশ্বের ইতিহাসে অনন্য উদাহরণ হয়ে আছে।
তপ্ত পথ পাড়ি দিয়ে মসজিদুন নবী নববী চত্বরে পা রাখলে প্রশান্তি। বাবুস সালাম দিয়ে আমরা ঢুকতে লাইনে দাঁড়ালাম। এত মানুষ তবুও কোনো রকমের হুড়াহুড়ি নেই। প্রথমবার যাচ্ছি। তাই সব কিছু চিনতে পারছি না। সামনে এগোলে রওজাতুম মির রিয়াজুল জান্নাহ। নবী করিম (সাঃ)-এর সময় খুৎবা দেয়ার মিম্বর। একটু এগোলেই প্রথমে নবী করিম (সাঃ)-এর রওজা মুবারক।
দেয়াল দিয়ে ঢেকে রাখা নবী করিম (সাঃ)-এর রওজা; কিন্তু বাইরে থেকে দেখা যায়। সবুজ রঙে ঢেকে রাখা রওজার উপরিভাগ লাল রঙের আবরণ। কবরের গায়ে ক্যালিগ্রাফি। প্রথম দর্শনে এত বিমোহিত জীবনে আর কিছুই করতে পারে বলে মনে হয় না।
আল্লাহর রাসূল (সাঃ)-এর রওজার সামনে দাঁড়ানোর পর মনে হবে, ‘এ জীবন আল্লাহর গোলামির বাইরে আর কিছু চাইতে পারে না।’
শত সহ¯্র মানুষ পেছন থেকে এগিয়ে আসছে। পুলিশ সদস্যরা হাত বাড়িয়ে সামনে এগিয়ে দিচ্ছেন। রাসূল (সাঃ)-এর রওজা মুবারকের পাশেই হজরত আবুবকর রা:-এর রওজা, তাঁর পাশেই হজরত ওমর ফারুক রা:-এর রওজা। কবর তিনটি রাসূল (সাঃ)-এর স্ত্রী আম্মাজান আয়েশা রা:-এর ঘরের জায়গায় হয়েছে। রাসূল (সাঃ)-কে এখানেই দাফন করা হয়। তারপর তাঁর প্রিয় দুই সাহাবীকে।
বাবুস সালাম দিয়ে বের হয়ে আল্লাহর দরবারে হাত তুলে মুসলমানরা সবাই নিজের বিচ্যুতির জন্য ক্ষমা চাইছেন। তার পেছনেই বাবে জিবরাঈল আ:। এ দরজা দিয়ে ফেরেশতা হজরত জিবরাঈল আ: নবী (সাঃ)-এর কাছে ওহি নিয়ে আসতেন। আল্লাহর পক্ষ থেকে মানবজাতির জন্য পথ নির্দেশনা আসার সেই গেটের দিকে তাকালে যে কারো মনটা ভালো হয়ে যাবে। তার পাশেই আসহাবে সুফফার। স্থান নবী করিম (সাঃ)-এর ধর্মীয় জ্ঞান দেয়ার এ অঙ্গনটি সারা বিশ্বের মানুষের কাছে পরিচিত। মুসলমানদের ধর্মচর্চা এবং জীবন পরিচালনা শুরু হয়েছিল জ্ঞানচর্চার মাধ্যমে। 


।। হজ শুরু হয়েছে।  গত বছর এ সময়টায়  সেখানেই ছিলাম। এর একটা স্মৃতিকথা।।

প্রতারকচক্রের ফাঁদে বিকাশ গ্রাহকরা

মোবাইলফোনের মাধ্যমে আর্থিক লেন দেন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশের গ্রাহকরা হয়রানি ও প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। ক্ষুদে বার্তা (এসএমএস) কারসাজি করে এ ধরণের প্রতারণা হচ্ছে। যেটাকে মূলত ‘মাস্কড’ এসএমএস বা কল বলা হয়।
প্রযুক্তির অপব্যবহার করে অপরাধীচক্র গ্রাহকদের কিভাবে প্রতারিত করছে তা জানতে চাইলে বিকাশের সিনিয়র ম্যানেজার (জনসংযোগ) মোহাম্মদ জাহেদুল ইসলাম ইনডিপেনডেন্টকে বলেন, অর্থ লেনদেনের সময় গ্রাহকদের প্রতারিত করতে বিকাশের শর্টকোড দিয়ে মাস্কড এসএমএস বা কল করা হচ্ছে।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকুরে মাহবুব জানান, ৪ আগস্ট তিনি এক ব্যক্তির কাছ থেকে একটি ফোনকল পান। তাকে বলা হয়, তার বিকাশ একাউন্টে ভুলক্রমে ওই ব্যক্তির কিছু টাকা চলে গেছে। টাকাটা ফেরত দেয়ার অনুরোও জানান অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিটি।
ফোন রেখে জনাব মাহবুব মোবাইলফোনের ম্যাসেজ অপশনে গিয়ে দেখেন ঠিকই তার মোবাইল ওয়ালেটে ১৫৩০ টাকা ঢুকেছে। গ্রামীনফোনের ০১৭ ৬৬৬৮১১৫৯ নম্বর থেকে তার নম্বরে আসা টাকাটি তিনি ফেরত পাঠান। বিকাশ প্ল্যাটফর্ম থেকে টাকা ফেরতের বিষয়টি নিশ্চিত করে এসএমএস দেয়া হয়। এ জন্য বিকাশের নির্ধারিত চার্জ ৫ টাকা কেটেও রাখা হয়।
কিন্তু টাকা পাঠানোর পর পরই ফিরতি এসএমএসএ দেখা গেলো মাহবুবের মূল ব্যালেন্স থেকেই এই টাকা চলে গেছে। অর্থাৎ মাহবুবের একাউন্টে টাকা আসার এসএমএসটি ছিলো ভুয়া এবং প্রতারকচক্র তার কাছ খেকে কৌশলে এই টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
বিকাশ কর্মকর্তাদের দাবি, এটি টেলিযোগাযোগ শিল্পের বহু পুরনো সমস্যা। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি এ সম্পর্কে অবহিত এবং তারা এটি রোধ করার কাজ করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশের ব্র্যাক ব্যাংক এবং যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানি ইন মোশন এলএলসির যৌথ উদ্যোগে গড়ে ওঠা বিকাশ লিমিটেড দেশের মোট মোবাইল আর্থিক সেবা বাজারের ৫৮ শতাংশের অংশীদার। বিশ্ব ব্যাংকের সদস্য ইন্টারন্যাশনাল ফাইনান্স করপোরেশন (আইএফসি) বিকাশ লিমিটেডের ইকুইটি পার্টনার। এতে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডশনেরও বিনিয়োগ রয়েছে।
গ্রাহকদের প্রযুক্তি নির্ভর প্রতারণার ঝুঁকি সম্পর্কে জানাতে অনিচ্ছুক বিকাশ। এ ধরণের সমস্যার কোনো সমাধান গ্রাহককে বাতলাচ্ছে না তারা। এসব সমস্যা সমাধানে উল্লেখযোগ্য কোনো উদ্যোগও নেয়নি প্রতিষ্ঠানটি।
এ বিষয়ে বিকাশের বক্তব্য, এ ধরণের লেনদেনের আগে গ্রাহকদের একাউন্ট ও ব্যালেন্স চেক করে নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। এতে করে গ্রাহকরা প্রতারণা থেকে রক্ষা পেতে পারেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোবাইলফোনে আর্থিক লেনদেন প্লাটফর্ম প্রতারণাকারীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থালে পরিণত হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকে এক চিঠিতে এ ধরণের প্রতারণা রোধ করার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে বলেছিল। চিঠিতে বলা হয়, বিকাশের মাধ্যমে বহু গ্রাহক প্রতারণার শিকার হচ্ছেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিঠি পাওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংক ২ আগস্ট একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে। এ বিজ্ঞপ্তিতে ৫ হাজার টাকার উপরে লেনদেনের ক্ষেত্রে টাকা পাঠানো ও গ্রহণ করা ব্যক্তির ছবি তুলে রাখার কথা বলা হয়।
পরে তা পরিবর্তন করে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেনের জন্য নিবন্ধিত সিম পুনরায় নিবন্ধন করা এবং গ্রাহকের পরিচয় সনাক্ত করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নমুনা আদেবন অনুসারে তথ্য মেলানোর নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এর পাশাপাশি ব্যাংকগুলোর গ্রহণ করা ব্যবস্থা সম্পর্কে ৩০ সেপেটম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংককে জানানোর নির্দেশ দেয়া হয়। এ ছাড়া পরবর্তী কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রতি মাসের প্রতিবেদন পরের মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে জমার নির্দেশও দেয়া হয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহি পরিচালক মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘মোবাইল ব্যাংকিং নিরাপদ করার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উদ্বেগ যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে বিচেনা করে মোবাইল ব্যাংকিং নিরাপদ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
কৌশলে টাকা হাতিয়ে নেয় ছাড়াও বিকাশের নাম ব্যবহার করে লটারির নামেও প্রতারণা করা হচ্ছে। খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার কবাখালী শান্তিপুর গ্রামের মৃতসঞ্চয় চাকমার ছেলে বিপু চাকমা প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়েছিলেন। চলতি বছর জুলাই মাসে এ ধরণের প্রতারণার শিকার হন তিনি। তার মতে, বিকাশেরে নম্বর থেকেই এসএমএস এসেছে। তাই অবিশ্বাস করার উপায় ছিল না।
আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিশ্চিত করছে, বিকাশের শর্টকোড ব্যবহার করে এ ধরণের অপরাধ চলছেই। কিন্তু মোবাইল ফোনে আর্থিক লেনদন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো ‘মাস্কড’ এসএমএসকে দায়ী করে দায়িত্ব শেষ করছে।

bKash customers at risk

Customers of the country’s largest mobile financial services provider #bKash are often becoming victims of fraud and harassment and are losing money to scammers, who are sending masked SMSs (Short Message Service). bKash Limited, a joint-venture between Bangladesh’s BRAC Bank Limited, and US-based Money in Motion LLC, which has 58 per cent market share of the country’s mobile financial services, attributed the problem to tech-savvy criminals who are cheating clients.
Mohammad Zahidul Islam, Senior Manager, PR, bKash, sent a statement over the matter to The Independent stating: “Fraudsters by impersonating the bKash short code may send masked SMS or make call to our customers, tricking them to conduct transactions.”   It seems bKash for now has no solution to tackle this kind of fraud. The bKash statement only said, “Masked call/SMS has been an issue around the telecommunications industry for long. The regulators are aware of it and are working on it to restrict it.”
By using masked SMS, fraudsters are able to send anonymous SMS to a mobile phone, but the recipient will see the name or number selected by the criminals instead of the original mobile number. But bKash Ltd, in which the International Finance Corporation (IFC), a member of the World Bank Group, has become an equity partner and Bill & Melinda Gates Foundation has invested, is shy to let its customers know about the risks involved in transacting through its system. There has been no noticeable effort on part of the company to find a solution to the problem.  The company statement only said, “We request our customers to remain aware of this kind of fraudulent activities. We ask them to check their account balance before and after making any transaction to avoid these kinds of fraudulent activities.” All cases of fake SMSs that The Independent checked carry bKash numbers.
The fraud involving the mobile financial service provider has prompted the Ministry of Home Affairs to generate an internal report, which says that the money transfer platform has become a safe haven for fraudsters. The Ministry of Home Affairs also asked the central bank to make some changes to stop the fraudulent activities that are being carried out using the bKash mobile financial service platform. According to a report of the Ministry of Home Affairs, many bKash customers have been duped by fraudsters, who are using fake SMSs to cheat people.
Following the home ministry reports, the central bank issued a circular on August 18, asking that all mobile financial service providers need to verify and register or re-register SIMs with Know Your Customer (KYC) information and submit a progress report to Bangladesh Bank by September 30. Also, a report on the activities of the previous month needs to be submitted by the 15th of the next month, said the circular.
Mahfuzur Rahman, Executive Director of Bangladesh Bank, said, “The central bank’s effort to keep mobile financial services safe is going on. We have given top priority to the concerns of the law enforcement agencies for providing safety.”
Mahbub Hossain, an employee of a private firm, received a phone call on August 4. “The caller told me that some money has been mistakenly credited to my bKash account. It would be nice if I could return the amount,” said Mahbub.
After the call, he received an SMS sent from bKash that said he had a balance of Tk 3160.12, indicating that Tk. 1,530 extra was added to his mobile wallet that previously had Tk 1635.26, said Mahbub.
“The money was sent from a Grameenphone number 01766681159 at 8:45 pm on August 4. I sent the extra money back at 8:54 pm. Then, I received an SMS from bKash confirming that the money had been transferred and a transaction fee of Tk 5 deducted from my account,” he said.
But, after transferring what he thought was the extra money that mistakenly got credited to his wallet, Mahbub discovered that Tk 1,530 had actually been deducted from his previous balance of Tk 1635.26, leaving him with just Tk 105.26.
Immediately, Mahbub called the bKash call-centre for help, but they refused to provide any help to recover the money. The law enforcements agencies confirmed that this kind fraud has been going on using the bKash short code, but the mobile financial service provider blamed it on masked SMSs. Another common financial fraud being committed using bKash is the lottery. Bipu Chakama of Shantipur village in Kabakhali upazila of Khagrachhari, was a victim of a lottery scam in June. “The SMS was sent from bKash. Why should I not trust it?” he said.
In Bangladesh, the total value of monthly transactions made through mobile phones was $1.42 billion, or Tk. 11,104 crore, in February this year, according to a study called Mobile Financial Services in Bangladesh. The number of registered clients increased more than five-fold from 5 million to over 25 million between January 2013 and February 2015, according to the survey. At present, twenty banks in the country are offering mobile financial services with bKash holding the lead at 58 per cent market share, followed by DBBL having 16.6 per cent of the market.

http://www.theindependentbd.com/post/16546

নক্ষত্র বাড়ি: হতাশা যে সব কারণে!



গাজীপুরের নক্ষত্র বাড়ির নাম অনেকে শুনে থাকবেন। ক্যাবলা অভিনেতা তৌকির তার বোনের টাকা মেরে দেবার পর খবরের কাগজ এর প্রচারণা বাড়িয়েছে। তাছাড়া ফেসবুকে মোহনীয় ছব্বিও আপনাদের চোখে পড়ে থাকবে। তবে ছবির সাথে বাস্তবের মিল নেই।

১০ ও ১১ সেপেটম্বর সেখানে যাওয়া ও থাকার সুযোগ হয়েছিল। সেখানকার একটা সুইমিং পুলে আমার একটা ছব্বি পোস্টাইছিলাম। তা দেখে অনেকেই জানতে চেয়েছেন এটি কেমন, সুবিধা কি? তারা যেতে চান। আমার মতামত কি।

এক কথায় আপনাকে সেখানে পারিবারিক আবহ-আনন্দ উপভোগ করার জন্য যাওয়ার  জন্য  উৎসাহ দিতে পারছি না----

কারণ

১. এর রুম গুলো খুবই ছোট, শ্যাওলা জমা ওয়ার্ডরোব। বিশ্ববিদ্যালয় হলের মত খাট। এ পাশ ও পাশ হতে গেলে আপনি নীচে পড়তে পারেন।
২. কিচেন ঘরে তেলাপোকার ছড়াছড়ি--- এবং গন্ধ। সেখানকার খাবারই আপনাকে খেতে হবে।
৩. প্রাণ খুলে নিঃশ্বাস নেবার জন্য সেখানে গেলেও এর বাণিজ্যিক ভাবনা এতটাই প্রকট---যে দিকে তাকাবেন সেদিকেই কেবল ঘর, দালান কোঠা।
৪. সুইমিং পুলটি চৌবাচ্চা সমতুল্য। শিশুদের সুইমিং পুলটি নোংরা। শেষ কবে পরিষ্কার করা হয়েছে ওরা ভুলে গেছে!
৫. বোটিং এর কথা বলা আছে। তবে বোটে পানি জমে হেজে মেজে আছে। এতে পা রাখতে গেলে আপনি নিশ্চিত ডুবে মরবেন।
৬. পুকুরের কোল ঘেঁষে যে সব রিসোর্ট রুম করা হয়েছে; তার আশপাশে শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নেই।
৭. সেবার তুলনায় সেখানকার ভাড়া অত্যন্ত বেশি। বিল্ডিংয়ের রুম ভাড়া ৬ হাজার টাকার উপ্রে। কটেজের ভাড়া ১০ হাজার টাকার উপ্রে। সে তুলনায় সেবা খুবই কম এবং নিম্ন। গরম পানির কোনো ব্যবস্থা নেই। ওয়াশরুমে পা দেবার জন্য কল পর্যন্ত নেই!
৮. ফিশিং এর সুবিধা নেই।
৯.  নিম্ন মানের টেবিল টেনিস  বল ও ব্যাট।
১০. কনফারেন্স রুমের সাউন্ড সিস্টেম অত্যন্ত নিম্ন মানের এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ অবস্থা খুবই নাজুক। 

ভ্যাট :: চ্যাটে নাই; মাঠে

ভ্যাট এখন চ্যাটে নাই। মাঠে গড়িয়েছে। গরমের এ মরসুমে, রাস্তায় ঠাডা রইদের মইধ্যে পুতু পুতু পোলাপাইন স্লোগান তুলছে।
বারগার, স্যান্ডুইচ, ইয়াম্মি জুস, পিৎজা, মুরগি ভাজা আর রুট বিয়ার--- যত কিছু্রই আমদানি হোক না ক্যান দেশে; বুকের উপ্রে লাত্থি লাগলে রাস্তায় আমরা খরায়া যামুই। এটা আবারো প্রমাণিত।
রাস্তায় খারাইলে, কিম্বা রাস্তায় আন্দোলন কইরলে তার দাবি মানবে ক্যাডা! উত্তর। সক্কার বাহাদুর। সক্কার ক্যাডা? তার চরিত্র কি-- রাজনীতিক।
কপ্পোরেট হাউস, টেলিকম কুম্পানি, বহুজাতিক খাইদ্য খানা আইনা দেশটারে ডিজিটাল জুস বা ডিজুস আসক্ত করা হইছে। চিন্তক ফরহাদ মজহার এটাকে কইছেন--' বিরাজনীতিকরণ প্রক্রিয়ার অংশ।' অনেকেরই মনে থাইবে--- গাঁইয়া ফোন তাদের ডিজুস প্যাকেজে রাতভর মাগনা কথা কইতে দিয়া কত পুলা মাইয়াকে মানসিক রোগী বানাইছে। সেই সাথে কাম-ক্ষুধা-যৌনতা ও বাসনার ভিত্রে ডুবায়া রাখছে। কেবল রাজনীতি বাদে সব করো থিওরি--- আর কি।
একদল রক্ষণশীল সুশীল আছে। তারা কইবো- রাজনীতি সচেতন হও। আরেক ভাগ কয়- রাজনীতি করে 'নষ্ট' হওনের কাম নাই। দুপক্ষেই দোষারোপ করনের কাম নাই । তবে রাজনীতির জ্ঞান থাকন জরুরি। নইলে যোগাযোগের ভাষাও বদলে যাইতে পারে। যেমনটা কয় দিন ধরে একটা স্লোগান নিয়ে আলোচনা হচ্ছে---' দেহ পাবি ; মন পাবি; ভ্যাট পাবি না।'
বিজ্ঞাপন--- 'এক ঢিলে মেনি পাখি' তখন প্রতিবাদ করি না। রস করি। আদি রস। 'জানু আহা' বলে চিক্কুর মারা মঠেলকে আমরা কিছু বলি না। ডায়মন্ড গলায় চড়িয়ে উদোম করা মাইয়্যা মাইনষের শরীর লইয়া আমগো কোনো বাৎ চিৎ নাই। ফর্শা না অইলে 'সফল' হওন যায় না এ থিওরি আমরা মাইনা লই! কারো মনে অয় না তখন---এটা অশ্লীল। হঠাৎ ভ্যাটের দাবিতে এ রকম একটা চিক্কুর ক্যান যে, তাতো অনেকেই বোঝেন।
এটা পুরো রাজনৈতিক।
সরকার দলীয় বন্ধুরা ফেসবুকে ব্লগে নানান জায়গা কইতাছে ভ্যাট তো দিবো ভার্সিটি; তুমার চিন্তা কি? তুমি আন্দোলনে আইছ ক্যারে। বাড়ি যাও!
রাজনীতি একটা চর্চার ব্যাপার। এইডারে এড়িয়ে যাওনের সুযোগ নাই। আমগো কিছু লোক বলে আরে, বাপু রাজনীতি করবে 'বস্তি'র পুলাপাইন। তুমি খাবে দাবে মাস্তি করবে। যা ইচ্ছা তাই করবে।
কিন্তু এইডা যে ভুল --- নিশ্চিতভাবে এ ভ্যাট প্রত্যাহারের আন্দোলন প্রমাণ কইরলো।
ভ্যাট নিয়ে অধিকতর ব্যাখ্যাও পইড়লাম। এনবিআর কইছে এটা বেতনের ভিত্রে আছে। আরে বাপ ভ্রিতে যেটা আছে হেইডা কি ভার্সিটি তার বাড়ি থেইকা আইনা দিব। ভাবখানা এমুন।
বাঙ্গবাসির ভোগের বাজারে সরকার নত অইয়া পইড়ছে। এখনো দোকানিরা প্যাকেজ ভ্যাট দেয়। সেইখানে বিশ্ববিদ্যালয়--- যেখানে পড়াশোনা হয়; সেখান থেকে কেনো ভ্যাট নেয়া হবে? তাও আবার সাড়ে পার্সেন্ট! এটার কারণ সম্ভবত দেশে এখন ইনডিয়া, মালয়শিয়া, চায়না, থাইল্যান্ড এডুকেশন ফেযার করে-- তাদের সরকারের একটা সমঝোতা থাইকতে পারে।
শিক্ষা খরচ বৃদ্ধি বড় রকমের বোকামি। প্রাইভেট ভার্সিটি মানুষ ক্যান পড়ে! পাবলিকে চান্স না পাইয়া। আর অল্প কিছু পুতু পুতু পুলাপাইন আছে তাগো মা বাপ ভার্সিটির বারান্দায় ড্রপ করতে চায় আবার পিক মারতে চায়। তারা । কিন্তু এ অল্প সংখ্যক পুলাপাইনের কথা মাথায় আইনা কি ভার্সিটি ভ্যাটের আওতায় আনন ঠিক? অবশ্যই না।
তাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস ফ্যাকাল্টি কিম্বা আইবিএ অবশ্যই ভ্যাটের আওতায় আইসতে পারে। সাহস থাইকলে সক্কার সেখানে গিয়া ১০ টাকা বেতন বাড়ায় দেখুক না।
দুব্বলের উপ্রে সব--- এইডা সইত্য । এটাও তো সইত্য প্রাইভেট ভার্সিটি পড়ুয়া পুলাপাইন নিজেদের দুব্বল করে রেখেছে। তাদের কাছে হাসিনা খালেদা এরশাদ মানে কৌতুক। এ কৌতুক কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হইতে পারে না।
বিপদে পড়লে এ সব নেতা নেত্রীর অনুসারির কাছেই যেতে হয়। কারণ এরাই সমাজ চালায়। আমরা সমাজ চালানোর মত লোক পাই না বইলাই তো এরা চালায়। যাদের আমরা 'বস্তির লোক' বইলা নাক সিটকাই; হেরাই আমগো নেতা। এটার দায় কার? আমার আফনের সক্কলের!
রাজনীতি আফনে কইরবেন কিনা সিদ্ধান্ত আফনার। কিন্তু আফনাকে রাজনীতি সম্পর্কে জাইনতে হবে। সচেতন মানুষ হিসাবে আফনার একটা মতামত থাকন জরুরি।
বাঙালির রক্তে সিরাজ উদ দৌলা যেমন আছে। মীর জাফরও আছে। সুতরাং সাধু সাবধান।
ভ্যাট মুক্ত শিক্ষার দাবি যৌক্তিক। এটা সরকারকে বুইঝতে হবে। সে বোঝানোর দায়িত্বতটা 'জ্ঞানী' শিক্ষক রাজনীতিকদের নিতে হবে।

জলালের গল্প :: আদি রস ও নৃশংসতা

বস্তাবন্দী করে শিশু ফেলে দেয়ার  জন্য ট্রলারে তোলার নজির বিহীন নৃশংস দৃশ্য জলালের গল্প সিনামাকে প্রশ্ন বিদ্ধ করতে বাধ্য!  এটা  সমাজে ঘটে থাকতে পারে, তবে সেটা কোটিতে ১ টা ঘটনা। কোটিতে একটা ঘটনা কোনো সিনামায় উদাহরণ হতে পারবে না, সেটা আমি বলছি না। তবে অব্যাহত শিশু নির্যাতন, খুন এবং সে খুনের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেবার বিকৃত সময়ে---- এমন একটি দৃশ্য শিশুদের জন্য একটা খারাপ খবর।

পরিবারে নতুন শিশু প্রত্যাশি চেয়ারম্যানের আবেগকে পুঁজি করে ভণ্ড কবিরাজের কুকর্মের সাক্ষী জালালকে 'কুফা' ঘোষণা করে সেই কবিরাজই।  কবিরাজ তাকে বেঁধে রেখে সবার জন্য যে ধোঁয়া ওঠা পাত্র  নিয়ে মন্ত্র পাঠ করছে, সেই একই রকমের কর্ম চালিয়ে জিন তাড়ানোর নামে শিশুটিকে বেঁধে রাখে গাছের সাথে ।

পরে তাকে বস্তাবন্দী করা হয়, সেটা নিশ্চিত ভাবে অগ্রহণযোগ্য। আমরা নিশ্চিতভাবেই জানি বিবাহ বহির্ভূত যৌবনজ্বালা মেটাতে গিয়ে অনেক সন্তান রাস্তায়-ডাস্টবিনে ঠাঁয় পায়। খুন হয়।

সে  গল্পও সিনামায় আসতে পারে। সেটা জালালের  গল্পের শুরু ও শেষের দৃশ্যটা হয়ত সিনেমাটিক বিবেচনায় মেনে নেবার মত। হাঁড়িতে করে একটা শিশুকে নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হচ্ছে।  কিন্তু এ রকম ঘটনা কোটিতে একটা বা  দুইটা। তর্কের খাতিরে আমরা এটাকে লাখে ১ টা ২ টা হিসাব করতে পরি!

গল্পটা সেকেলে, আবল তাবল বক্তৃতায় ঠাসা। সম্ভবত বিদেশের বাজারে এর কাটতি ভালো। সমাজ যে অনেক এগিয়েছে জালালের গল্প তার প্রমাণ বহন করে না। একটা স্থবির সমাজের গল্প সিনামায় ঠাসা।

আদি রস আছে। তবে সেটির উপস্থাপনা বাড়াবাড়ি ও বোকার মত।

জালালের সামনে পুরুষ মানেই নারীর শরীর ভোগ-মত্ত-উন্মাদ।
অপাপবিদ্ধ এক শিশুকে ঘিরেই যে গল্প সূচনা করেছে  নির্মাতা আবু শাহেদ ইমন; সেটির বহু শব্দ অশ্লীল। বহু শরীরি ভাষা যৌনতায় ঠাসা। বহু প্রশ্ন উত্তর নিয়ে দর্শকের দুয়ারে আসতে পারেনি।

যেমনটা জালালরা কি পরিচয়হীনভাবে বেড়ে উঠে আবার পরিচয়হীনকে বাঁচাতে নদীতে ডুবে যায়! এটাই কি সিনামার মূল বার্তা।

নাকি স্থবির সমাজ কুসংস্কারে ডুবে আছে। সে সমাজে নারীর শরীর উপভোগের আয়োজনই একমাত্র অনুষঙ্গ। এটা আসল খবর!

ভিন্ন প্রশ্নও হতে পারে কারো জন্মের জন্য কাউকে মরে যেতে হয়। এটি কি কোনো্ সমাজ বাস্তবতা। এটাই কি সিনামার বক্তব্য!

কোনোটাই পরিষ্কার হয়ে ওঠেনি!

সিনামার শুরুতে সমাজের 'পানি পড়া' জাতীয় কৌতুক কৌতুহল বাস্তবতার সফল চিত্রায়ন  আছে। নদীর পাড়ে পাওয়া একটা শিশু সন্তান ঘিরে গল্পের শুরুতেই  কৌতুহল। শিশুটির পা ধোয়া পানি খেয়ে সবাই সুস্থ হচ্ছে। যে তাকে লালন করছে সে 'সদকা' তুলছে। সে সদকার টাকা নিয়ে প্রভাবশালীদের সাথে বিরোধের পর শিশুটির ভাগ্য একই--- নদীতে ভাসিয়ে দাও। তার পর নদীর ঢেউ তাকে তাড়িয়ে নিয়ে যে ঘোটে ভেড়ায়----সেখানে সে আবার বড় হতে থাকে এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর  বাড়িতে। চেয়ারম্যান প্রার্থীকে নির্বাচনে জিতলে হলে 'পুত্র' সন্তান দরকার।  সে সন্তান আগমনের জন্য কুফা জালালকে তাড়াতে হবে--- পরামর্শ কবিরাজের!  সে জন্য যে নোংরা এবং নৃশংস ঘটনার চিত্রায়ণ সিনামাটিতে তা  মানা অসম্ভব।

চেয়ারম্যানের স্ত্রীর জন্য 'দুধ' সরবরাহ করেন বাড়ির কাজের ছেলে। সিনামায় 'দুধ' ঘিরে অহেতুক আলাপ দীর্ঘ--- 'দুধ' শব্দটার উচ্চারণ এবং ব্যবহার যে পুরো মাত্রায় অশ্লীল এবং  যৌনতার ইঙ্গিত---তা যে সব বাণিজ্যিক সিনামা অশ্লীল বলে বঙ্গ সিনামার দর্শক মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে সেটাকেও হার মানায়!

আনমনে থাকা সদ্য ঘরে আসা চেয়ারম্যানের তৃতীয় বধূর সামনে যখন 'দুধ' শব্দটা উচ্চারণ করা হলে; 'নববধু'র মিচকা হাসি এখানে কৌতুহল জাগায়। ইঙ্গতটা এ রকম যে চেয়ারম্যানের স্ত্রী বহু পুুরুষের ডাকে সাড়া দিতে ইচ্ছুক!

চেয়ারম্যানের স্ত্রীর ঘরে  ঢুকে ঠুসঠাস দরজা বন্ধ করে এগিয়ে আসাটা অনেকটা কনডমের বিজ্ঞাপনের মতই। চেয়ারম্যানের আগের দু স্ত্রীর খবর নেই। তৃতীয় স্ত্রী নিয়ে চেয়ারম্যান ঘাটে নৌকা ভেড়ান!

সন্তান জন্মদানে অক্ষম চেয়ারম্যানের শেষ চেষ্টা হিসাবে  কবিরাজ আনা্ হলো। এ কবিরাজকেও দেখা গেছে ভণ্ড সাধুর চরিত্রে। বলা হচ্ছে কবিরাজ, কিন্তু সে ধুপ জাতীয় ধোঁয়া তুলে মন্ত্র জপে।  হাঁস রঙ করে একটা টোটকা বানায়।  এতে বেশ বিরক্ত চেয়ারম্যান স্ত্রী! তাচ্ছিল্যও তার চোখে!

 এ সবের একফাঁকে  কবিরাজকে দেখা যায়, চেয়ারম্যানের স্ত্রীর সাথে বাগানে। ধোঁয়া উঠছে পাত্র ভেদ করে। ঘটনার পূর্বাপর না দেখে গাঁজা চলে আসে। কবিরাজ  দু'টান দিয়ে তা চেয়ারম্যানের তৃতীয় স্ত্রীর হাতে দিলে সে বেশ 'আরাম' করেই ২/৩ টান দিলো। একদিকে দেখানো হচ্ছে কবিরাজের চিকিৎসায় বিরক্ত চেয়ারম্যান পত্নী। আরেক দিকে দেখানো হচ্ছে  উৎফুল্ল হয়ে গাঁজা নিচ্ছে। টানছে; হাসছে।

 
আরেকটি দৃশ্যও খুবই অসঙ্গত। সেটি হলো বাইরে  চেয়ারম্যান স্বামীকে রেখে ভিতরে কবিরাজ তার স্ত্রীকে চিকিৎসা দিচ্ছে! চেয়ারম্যানরে মুখের উপর দরজার খিল এঁটে দিলো কবিরাজ। বাইরে অপেক্ষা করছে চেয়ারম্যান স্বামী। এমন দৃশ্য হয়ত গাঁজা আসক্তি থেকে তৈরি।

 আগেকার মানুষ 'বেক্কল' ছিল; তবে এতটা না। এটা নিশ্চিত করেই বলা চলে।

সিনামাটিতে দিনের পর দিন সন্তান দেবার নাম করে কবিরাজ চেয়ারম্যান পত্নীকে ভোগ করছে। এতে আবার  অতিষ্ঠ  চেয়ারম্যান স্ত্রী।  শেষ বার গেলে সে বলে-- 'এভাবে আর কতদিন। আপনি আটকুইরা।'  প্রতি উত্তর কবিরাজের---' পুত্র সন্তান পাইবি। আরো সময় লাগবে। '
এ সব দৃশ্য জালাল জানালার ফাঁক গলিয়ে দেখে।

 লক্ষণীয় বিষয় হলো---
চেয়ারম্যান পত্নীর ও কবিরাজের নোংরামি একটা শিশুর চোখে দিয়ে দেখানো কতটা সঠিক! সেটা সম্ভব্ত পরিচালক  ভাবেননি।  উনি হয়ত শিশু সামিউলের কথা ভেবেছেন। তার মায়ের কুকীর্তি দেখার কারণে খুন হওয়া সামিউলের মত আরো অনেকের জীবন বিপন্ন হোক---এটাই সম্ভবত পরিচালকের প্রত্যাশা।

চেয়ারম্যান পত্নীর ওপর কবিরাজের নিপীড়নটা 'জায়েজ' করে দেখিয়েছে পরিচালক। সন্তান পাবার জন্য এমন নিপীড়নে চেয়ারম্যান মেনে নিচ্ছে। চেয়ারম্যান পত্নীও।

অনেকে হয়ত বলবেন---সমাজ বাস্তবতা কোনো এককালে কিংবা নব্বুই ও শূণ্যের দশকেও এমন থেকে থাকবে হয়ত। হুজুর সায়দাবাদীর মার্কেটিং করার  সিনামটা যথোপযুক্ত। হুজুর সায়দাবাদীর ডিম পড়া খেয়ে নারী মা হয়েছেন। তার একটা গল্প সে সময়কার যায়ায়দিনে পড়েছিলাম।  যে তাগড়া জোয়ান পোলাপাইন দিয়ে হুজুর ডিম থেরাপি দিতো।

সেটা ধরে আলাদা সিনামা হতে পারতো। এ সিনামায় চটুল সুড়সুড়ি দেবার জন্য এ রকম অসভ্য ঘটনার অবতারণা অসঙ্গত।

শেষ দৃশ্যে মোশরফ করিমকে আমরা ভিন্ন চরিত্রে দেখি। তবে এখানেও বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ।  সংলাপেও একটা অশ্লীল ধারা। যাত্রার নতর্কীকে বিয়ে করাটা অসঙ্গত সে কথা  উঠে আসে মোশরফের কণ্ঠে।  একটা নারীকে আটকে রেখে দিনের পর দিন ধর্ষণ এবং সন্তান সম্ভাবনা হওয়ার পর কুৎসিত প্রশ্ন ---  বাচ্চা কার? আমার (মোশারফ করিম), জালালের না অন্য কারো।

বাস্তবতা 'নরম' না 'শক্ত' সেটায়ও একটা অশ্লীল ইঙ্গিত!

 মজার ব্যাপার হলো সিনামাটি  বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে জোড়াতালি দিয়ে একটা কিছু দাঁড় করানোর চেষ্টা।  এ দাঁড়ানোটা অশ্লীলতা আর নৃশংসতার উপর ভর করে। এ ভর কোনোভাবেই সুস্থ সিনামার জন্য ভালো খবর নয়।

বিম্পি; জিয়ার আদর্শ এবং


দেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রার শুরুটা যার হাত ধরে; যাকে ঘিরে আম্লীগ ও তাদের বৈঠা ধরে নিজেদের অবস্থান জানান দেয়া নাম সর্বস্ব খুচরা দলগুলোর বিরামহীন কুৎসা আর অন্তহীন বিকৃত অভিযোগ; সেই মানুষটি দেশের থেমে যাওয়া সময়ে গতি সঞ্চার করেছেন; একটি দলের নেতা থেকে দেশের নেতা হিসাবে রূপান্ততির হয়েছেন- তিনি জিয়াউর রহমান।
সেই মানুষটির প্রতি শ্রদ্ধা। তার রাজনীতির দুরদর্শিতা; প্রজ্ঞা এবং বিচক্ষণতা নিয়ে দুরমুখেরা নানা রকমের কথা বলবেন- কিন্তু চূড়ান্ত বিচারে- তিনি অনন্য। আজ তার প্রতিষ্ঠিত দলটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।
এ কথাও সত্যি বিম্পি জিয়ার আদর্শ এবং তার ভাবনার দলের চেয়ে অনেক দূরে চলে গেছে। সাধারণত বুর্জুয়া রাজনৈতিক দলে চাটুকার থাকে, আছে। এবং এ সব চাটুকররা এতটাই শক্তিশালী যে তাদের চাপার জোর; ক্ষমতার কাছে নিরীহ কর্মীরা হারিয়ে যেতে থাকে।
বিম্পিও তার ব্যাতিক্রম কোনো উদাহরণ নয়। তবে একথা সত্যি বিম্পির কোটি সমর্থক এখনো দেশের স্বার্থে বিম্পির সাথে আছে। বিম্পি তাদের আবেগ ও অনুভূতির প্রতি সম্মান জানিয়ে দেশ ও মানুষের পদতলে নিজেদের উৎসর্গ করার বদলে চাকচিক্যময় ক্ষমতার দিকে নজরবন্দী করেছে; জনগণকে উপক্ষো করছে দলটি কথিত নেতারা। আসলে এরা দলের আসল নেতা নয়; পদ ভাগিয়ে অন্যের চামচামি করা লোক। এদের থেকে যে দূরত্ব বজায় রাখার কথা বিম্পির; সেটি নানা কারণে অসম্ভব না হলও দলটির প্রতি মানুষের আস্থা কমেনি।
তবে একথা চরমভাবে সত্যি দলটির অনেক নেতাই সরকারি দলাল; সুবিধাভোগি; বিশেষ বিশেষ রাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার অনুগতদের এজেন্ট হিসাবে কাজ করছে। অনেকে নিজের বিত্ত বৈভব রক্ষায় আবার কেউ কেউ আম্লীগের মামলার কাতুকুতুতে ক্লান্ত।
একথাও সত্যি- চূড়ান্ত বিচারে এরা ঝরে না পড়লেও নৈতিকভাবে মাথা তুলে কথা বলতে পারবে না। তাদের জন্য করুণা; ত্যাগি নেতাকর্মীদের জন্য শুভ কামনা। দেশকে এগিয়ে নেবার অভিযাত্রার নেতৃত্ব দিতে হেঁসেল থেকে বেগম জিয়া বেরিয়ে এসে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে যে নতুন মাত্র যুক্ত করেছেন ; তাকে ঘিরেই জেগে থাক আশা।

প্রেম---তুমি জাফর স্যারের আবেগের মত ;)

প্রেম 
তুমি জাফর স্যারের আবেগের মত 
সব নিজের মত চাও! 
অন্যরা কি চায়, সেটা ভাবার সময় তোমার নাই ।।

প্রেমপত্র 
তুমি জাফর স্যারের পদত্যাগ পত্রের মত 
বার বার জমা হও। কথা রাখো না ।। 

প্রেমাভিমান 
তুমি চেতনার নামে বিভক্ত
তোমার প্রিয় মানুষের হেনস্তার পর বৃষ্টিতে ভেজো।। 

অতি প্রেম
তুমি ব্যর্থ হতে ভালোবাসো
তাই গরুর রশি নিজের গলায় নিতে চাও! 

প্রেম-পরকীয়া 
তুমি জাফর স্যারের জন্য অনলাইনে শোক করো 
কষ্ট পাও। শাহবাগে দাঁড়াতে পারো না এক সাথে ।

প্রেম আত্মা 
তুমি কল্পকাহিনীর চরিত্র। রোবটিক প্রতিক্ষণ।
বাস্তবতা বোঝো না ;) 

জাফর ইকবাল স্যার!! বিবেক কাকে বলে?

জাফর ইকবাল স্যার 'লাঞ্ছিত' হওনের পর সবার ক্রিয়া প্রতিক্রয়া আমাকে মুগ্ধ করেছে। আমি অত্যন্ত আশান্বিত এ কারণে যে, এ দেশে শিক্ষক লাঞ্ছিত করলে বিচার চাওয়া হয়। 'ছি' পড়ে। এটা দেখে খুবই ভালো লেগেছে।
তবে শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনা এটাই প্রথম -- তা কিন্তু নয়। গত বছরের শেষের দিকে প্রজন্ম লীগ 'অস্থিতিশীলতা' করতে পারে এমন আশঙ্কায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের পিটিয়েছে। সে সব শিক্ষককে 'সাদা' বলে বিম্পি জমাতের ঘাটে ভিড়িয়ে আমরা সবাই নিশ্চুপ ছিলাম। এবং আম্লীগ ঘরাণার 'নীল' শিক্ষকরা এটাকে 'জায়েজ' বলেই কবুল করেছেন। এর আগে বিএনপিপন্থী অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ মার খেয়েছেন--- তখনও এটাকে 'জায়েজ' ঘোষণা করা হয়েছে।
যারা স্যার জাফর ইকবালের হেনস্তার কারণে ক্ষুব্ধ এবং বিক্ষুব্ধ--- তাদের সবার প্রতি আমার শ্রদ্ধা। একজন শিক্ষক পুত্র হিসাবে যে কোনো মতেরই শিক্ষকের ওপর নিপীড়ন আমি অত্যন্ত ঘৃণার সাথে প্রত্যাখ্যান করি।
বাস্তবতা খুবই নির্মম যে এখন শিক্ষক নয়, ব্যাক্তি বিবেচনায় আমরা শ্রদ্ধা বা ঘৃণা নির্ধারণ করে থাকি। এর জন্য আমাদের নষ্ট রাজনীতি, ভ্রস্ট নীতি আর নিত্য বেড়ে যাওয়া ভোগের যোগানও একটা কারণ হতে পারে।
মনে করার চেষ্টা করছি--- সময়টা ছিল বিম্পির। জাফর স্যার শাবিপ্রবি'র হলের নামকরণ নিয়ে রাস্তায় বসে পড়লেন। সঙ্গে তার ভাই কিংবদন্তীর কথাশিল্পী হুমায়ুন স্যার। পরিবার পরিজন তো ছিলই । বিম্পি নতি স্বীকার করলো। এ সফলতার পর জাফর স্যার শাবিপ্রবির সে সময়কার ভিসি তারেক স্যারকে হটানোর আন্দোলন শুরু করলেন। তাতেও সফল তিনি।
স্যার যে রকম কল্পকাহিনী লিখে সফল হয়েছিলেন, হুমায়ূন আহমেদের ভাই হিসাবে প্রথম ব্রেক পেয়েছিলেন এবং জনপ্রিয় একজন লেখক হিসাবে নন্দিত হয়েছিলেন, সেই স্যারই তার নিজের মতের দলটির হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন। বার বার হয়েছেন। অত্যন্ত বেদনার সাথে আমরা তা দেখছিও। কিন্তু অক্ষম আমরা অনলাইট ফাটিয়ে রক্ত বের দিয়েছি, বাস্তবতে স্যারের প্রিয় গণজাগরণমঞ্চকেও একটা সমাবেশ ডাকতে দেখিনি।
সম্ভবত বৃষ্টির কারণে, সিজন বদলের এ সময়ে জর জারির ভয়ে এটা করা হয়নি। যাদের জরের প্রতি সমীহ, তারা তো অনলাইনে স্যারের জন্য সহানুভূতি জানাবেন--- এটাই সম্ভবত ঠিক।
জাফর ইকবাল স্যার খুব বোকা টাইপের মানুষ। এটা আমার ব্যাক্তিগত ধারণা। কারণ আম্লীগের সময় তার নতুন নতুন কিছু কল্পনা- পরি যুক্ত করে ওড়ানোর চেষ্টা করে তার প্রিয় মন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও নুরুল ইসলাম নাহিদের কাছ থেকেও সহায়তা পাননি। যার জন্য যবিপ্রবি ও শাবিপ্রবির যৌথ ভর্তি পরীক্ষাটি নেয়ার পর সিলেটি আবেগের কাছে হার মেনে বাতিল করতে বাধ্য হন ।
সে সময় আমি ছোট্ট একটা রচনা লিখেছিলাম। অনেকটা ধরেন গরুর রচনা আর কি। তার লিঙ্ক Click This Link
স্যার সম্ভবত যে ভুলটা করছেন, সেটি হলো আমাদের আগ্রাসী রাজনীতির কঠোর, রূঢ় এবং ভয়ঙ্কর ষণ্ডামির রূপটা তিনি ধরতে পারেননি।
নিজেকে সমাজ সংস্কারক, আদর্শ শিক্ষক গুরু হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে তিনি যে শাবিপ্রবিতে একের পর এক সমস্যা তৈরি করছেন সেটিও তিনি উপলব্ধি করেননি।
আমি নিশ্চিতভাবে তার সাথে একমত এবং মনে করি একটি বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক নিয়মেই চলবে। কিন্তু রাজনীতি যেখানে পঁচন ধরেছে, আমাদের সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে রাজনীতির বিষ সেখানে কীভাবে সম্ভব। তবে চেষ্টা থাকতে পারে। সে চেষ্টার সাথে আমি দ্বিমত করি না। বরং সহমত পোষণ করি ।
স্যারকে নিয়ে অনেকে উপহাস করেন। কেউ আবার তার চরম ভক্ত। তবে আমি মনে করি স্যার এক চোখা। স্যার যে তাবিজ বিক্রি করে থাকেন, সেটির চেয়ে এ জাতিকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা এখন জরুরী। সে জন্য তার নির্দেশনা, দল মত এবং কূটনীতির উপরে ওঠার সময়। সেটি তিনি করতে পারেননি।
আরো অনেকে পারেননি। যেমন আমরা সম্বাদিকরা। জাতির কাছে যারা 'বিবেক' নামে পরিচিত। অথচ এদের কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া বাকিদের দিকে তাকালে মনে হয়--- বিবেক কাকে বলে? একই কথা শ্রদ্ধেয় জাফর স্যারের জন্য প্রযোজ্য!

এ মুহুর্তে পর্যটকদের থানছি ভ্রমণ বাতিল করাটাই যুক্তিসঙ্গত

থানছি -বড় মোদক পর্যটন আকর্ষণ। এ মুহুর্তে পর্যটকরা থানছি, তিন্দু, রেমাক্রি, বড় মোদক, বড় পাথর এবং নাফাখুম ভ্রমণ বাতিল করাটাই যুক্তিসঙ্গত।


আপনার জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে, থানছি সীমান্তে বাংলাদেশী সীমান্তরক্ষীদের সাথে মায়ানমারের বৌদ্ধ বিদ্রোহী বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী  আরাকান আর্মির  সঙ্ঘাতপূর্ণ  অবস্থান বিরাজ করছে।

আরাকান আর্মি ----বৌদ্ধ বিদ্রোহী এই সংগঠনটি চীনের উত্তর-পূর্ব ও মিয়ানমারের সর্ব উত্তরে বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে কাচিন রাজ্যের স্বাধীনতার জন্য সরকারি বাহিনীর সাথে যুদ্ধ করছে। এদের মূল অবস্থান কাচিন রাজ্যের আরাকানে।

২০০৯ সালের ১০ এপ্রিল সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ২০১২ সালে এক ঘোষণায় আরাকান আর্মি দাবি করে আরাকানে তাদের ৪০০-৫০০ সদস্য রয়েছে। তাদের স্লোগান হলো আরাকানি মানুষের জন্য আত্মনিয়ন্ত্রণ।


চ্যানেল আইয়ের খবরে বলা হচ্ছে--- আজ বুধবার সকালে বান্দরবানের থানচির বড়মদক এলাকায় বিজিবির টহল দলের উপর আরাকান আর্মির সন্ত্রাসীরা হামলা করলে বিজিবি পাল্টা গুলি চালায়। সেসময় বিজিবির নায়েক জাকির আহত হন।

বিজিবির ১০ সদস্যের এবং সেনাবাহিনীর ১০ সদস্যের আরেকটি দল টহল দেওয়ার সময় পরস্পরকে পেরিয়ে যাওয়ার সময় মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী আরাকান আর্মির সদস্যরা অতর্কিত হামলা করে।

এর আগে মঙ্গলবার বিজিবির একটি দল সন্ত্রাসী গ্রুপের ছয়টি ঘোড়া আটক করে। আরেকটি দল আটক করে আরো চারটি ঘোড়া।

‘এর সূত্র ধরেই হামলার ঘটনা ঘটেছে,’ বলে বিজিবি মহাপরিচালক জেনারেল আজিজ ধারণা করছেন।

বান্দরবানের সীমান্ত এলাকা এতটাই দুর্গম যে, ৪৩৯ কিলোমিটার এলাকায় কিছু ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির মানুষ বাস করলেও সরকারিভাবে কোনো স্থাপনা নেই। গতবছর পর্যন্ত এরকম অরক্ষিত সীমান্ত ছিলো ৫৩৯ কিলোমিটার। তবে এক বছরে ১০০ কিলোমিটার এলাকায় বিজিবি তার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে।

পাহাড়ের জিইয়ে রাখা সমস্যা ও গণমাধ্যম

 পাহাড়ে সঙ্কট নিয়ে  সবচেয়ে সরব যে সব গণমাধ্যম --তারা দু'ভাগে বিভক্ত। একভাগ  পাহাড়িদের 'আদিবাসী' হিসাবে চেনে। তারা মনে করে, সেখানকার বাঙালিদের 'কুত্তাপেটা' করে বের করে দেয়া উচিৎ।

আরেকভাগ মনে করে, পাহাড়ে বাঙালিরা থাকবে। পারলে কিছু করিস।

এ দু'ভাগের মাঝামাঝি কোনো ভাগ থাকতে পারে।  তবে তারা খুবই সীমিত। সেটা হয়ত আমার অজ্ঞতার কারণে জানা হয়নি।

তবে কিছু ব্যক্তি সম্বাদিক আছেন যারা মনে করেন, পাহাড়ের জিইয়ে রাখা সমস্যার একটা আশু সমাধান জরুরী। তাদের মধ্যে আমি কয়েকজনকে চিনি। এর মধ্যে একজনকে অত্যন্ত বিনয়ের সাথে মনে রাখি- তিনি মাসুমুর রহমান খলিলী। তার বক্তব্যটা খুব পরিষ্কার।

তিনি আমাকে বহুবার বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম রাষ্ট্রেরই অংশ। তাই এখানে  কাউকে প্রশ্রয় দেয়া বা বিতাড়ন নয়। যে যার অধিকার বুঝে নিয়ে বসবাস করবেন। সন্ত্রাসীরা তাদের জিম্মি করে কোনো খারাপ কাজ করবে না। এটাই চাওয়া ।

তার কথায়, তুমি তাদের বাদ দিয়ে পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না। সবার সম্মলিত অংশগ্রহণই পাহাড়ে শান্তি ফিরিয়ে আনতে পারে।

আরেকজনের সাথে আমার কিছুটা দ্বিমত থাকলেও তার বিশ্লেষণ মনে ভয় ধরিয়ে দেয়। তিনি ফরহাদ মজহার। তার মতে, পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হতে বাধ্য।  কনফেডারেশন ফরমেট বহুকাল থাকতে পারে না।

মজহার ভাই  বলছেন, রাষ্ট্র কার সাথে চুক্তি করেছে?  এ চুক্তির কারণেই কনফেডারেশনের স্বীকৃতি মিলেছে।

এ সবই  তাদের নিজস্ব মত। তবে আমি মনে করি পাহাড়ে ভূমির একটা সমাধান করা গেলে, বেকারত্ব গোছানো গেলে এবং সন্ত্রাসীদের বিদেশি ফান্ডিং বন্ধ করা গেলে সেখানে একটা শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব।

এত বড় ভূমিকা দিলাম একটা কারণে। সেটি হলো সমতলের কিছু সম্বাদিক, গবেষক, এনজিও দোকানদার---সুবিধাবঞ্চিত পলিটিক্যাল পার্টির খুচরো লিডাররা  নিজেদের খুবই মানবিক এবং নীতিনির্ধারক হিসাবে তুলে রাষ্ট্রের সাথে সাংঘর্ষিক অবস্থান নিয়ে থাকেন। আমার ব্যাক্তিগ বুঝ বিবেচনা এবং চাওয়া পাওয়া সব সময় গণমানুষের পালস অনুধাবন করতে পারবে, এটা বোঝা খুবই মুশকিল।  যদি মুশকিল না হতো, তাহলে আমরা নিশ্চিতভাবে  সুখী জাতি হতে পারতাম।

বাংলাদেশের সবচেয়ে আমলযোগ্য পত্রিকা এবং যেটি আমি আমার  কষ্টার্জিত অর্থের  বিনিময়ে খরিদ করি--- সে খবরের কাগজ আজকে (১৭ আগস্ট ২০১৫) বলছে, তারা 'আদিবাসী' বলতে নিরীহ কাউকে বোঝাননি।  তারা এও বলছেন, তারা পাহাড়ের মানুষদের আদিবাসী বলছেন, সংবিধান যাদের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী বলে থাকে।

খবরের কাগজটির বক্তব্য  অনুযায়ী সংবিধান যা বলছে, তারা তা বলছেন না। তারা  বিপরীতটা বলেছেন। যেটা রাষ্ট্র স্বীকার করে না। এবং তাদের চাহিদা মাফিক শব্দটি  যে অযৌক্তিক তা প্রধানমন্ত্রী নিজেই ব্যাখ্যা করেছেন, ২০১১ সালে। সংবাদ সম্মেলন ডেকেই তিনি বলেছিলেন, পাহাড়ি মানেই আদিবাসী নয়।

ব্যাক্তিগতভাবে আমি আম্লীগের নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের সমালোচক এবং তাদের সমর্থকও নই। তবে কিছু জায়গা আছে যেখানে আমি আম্লীগ বিশেষ করে দলটির সভানেত্রী  শেখ হাসিনার প্রতি প্রচণ্ড রকমের অনুরক্ত। বিশেষ করে পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় তার প্রচেষ্টা মনে রাখতে হবে--- সে আমরা যে দলকে সমর্থন করি না কেন।

সাধারণত  গণমাধ্যমের সম্পাদকীয় একটা নীতি থাকে।  সেটির প্রতিফলন হয়ে থাকে সম্পাদকীয় বিভাগে। এখন খবরের কাগজটির  আজকের ক্লারিফিকেশনকে সঠিক ধরলে-- তারা এর প্রকাশ রিপোর্টেও করছে।  রাষ্ট্রের নির্দেশনা এখানে উপেক্ষত।  সেটা তারা করতেই পারেন এবং তা দেখার জন্য রাষ্ট্রের লোকজন আছেন।

আমার ব্যাক্তিগত মত হলো-- আমরা বলে থাকি  তথ্য ভিত্তিক নির্মোহ ঘটনার বয়ানই সংবাদ। অন্তত আমার কাছে তাই। তাহলে  সেখানেকোনো গণমাধ্যমের স্ব-উদ্যোগে কোনো জাতি গোষ্ঠীর পরিচয় নির্ধারণ করা কতটা  সমর্থনযোগ্য এবং দায়িত্বশীলতার প্রমাণ সে বিষয়ে আমার জ্ঞান শূণ্য।

খবরের কাগজটি প্রথম দিনই  রিপোর্টে বড় গণ্ডোগোল পাকিয়েছে। বলেছে গুলিতে মারা যাওয়া 'আদিবাসী'রা  ইউপিডিএফ ও জেএসএস (এম এন লারমা) সদস্য। এ তথ্য তারা ভালো করেই জানেন, পাহাড়ে কখনোই  এ দু'টো ধারা এক সাথে মেশেনা।  মেশেনা মানে এক সাথে কোনো আস্তানা গড়ে না। দাবি অভিন্ন হতে পারে।  কিন্তু এক সাথে ট্রেনিং বা সশস্ত্র কর্মকাণ্ড্ এখনো শুরু করেনি। এটা আমি অনেকটা নিশ্চিত হয়ে বলছি।

খবরের কাগজটির  রিপোর্টারদের যে দু'জন--- তারা পাহাড়ি। তাদের সাথে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ থাকার কথা। কারণ এক দশকেরো বেশি সময় ধরে তারা সেখানে সম্বাদিকতা করছেন। কিন্তু খবরটিতে  নিরাপত্তা রক্ষীর বরাতে  ইউপিডিএফ ও জেএসএস  সদস্য মারা যাবার  তথ্য উল্লেখ করার পর--- বড়াদমের বাসিন্দা বিনয়জ্যোতি চাকমার উদ্ধৃতি দিয়ে ওই খবরেই বলা হচ্ছে ,  তারা সন্ত্রাসী। ওরা এসে  অস্ত্র দেখিয়ে বলেছিল, তাদের থাকতে দিতে হবে।

.... কিন্তু আজকের কাগজটির ব্যাখ্যা আমার কাছে খুবই শিশুসুলভ মনে হয়েছে। তাই এ লেখাটার অবতারণা করলাম।  এ সুযোগে বলে রাখি পাহাড়ে যারা সম্বাদিকতা করেন তারা খুবই দায়িত্বশীল। আমি তাদের শ্রদ্ধা করি।

হজ ফ্লাইট শুরু

হজ ফ্লাইট শুরু হলো আজকে। আল্লাহর অতিথিরা বিমানে চড়ছেন। মনোরম দৃশ্যটা দেখে চোখে পানি চলে আসলো। আবার কবে যাবো। মনটা মানছে না। আবার যেতে চাই। বাচ্চাদের নিয়ে উমরায় যাবার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু সরকার বাহাদুর সৌদি সরকারের সাথে সমস্যার সমাধান করতে পারেনি। তাই উমরার দরজা খোলেনি সে দেশের সরকার।  আমাদেরো যাওয়া সম্ভব হয়নি।

পৃথিবীর বহু জায়গায় গেছি। বার বার গেছি।  কিন্তু হজে যাওয়ার মত এত প্রশান্তি জীবনে দ্বিতীয়বার  স্মৃতিতে জমা হয়নি। আল্লাহ যেনো আমাদের হজের জন্য আরো বহুবার কবুল করেন, আমীন।

যারা হজ যাত্রা করছেন সে সেব সৌভাগ্যবানদের জন্য শুভ কামনা। সঠিকভাবে তারা যেন হজ পালন শেষে ফিরে আসতে পারেন। আল্লাহ নিশ্চিতভাবে  হজ যাত্রীদের হজের কাজকে সহজ করে দিয়ে থাকেন।  আশা করি বাংলাদেশের হজ যাত্রীরা আল্লাহর সে নেয়ামত উপলব্ধি করতে পারবেন। 

পাহাড়ে আর একটি গুলিও নয় !

পাহাড়ে গুলি হলে আমার বুক কাঁপে। ক্যান কাঁপে জানি না। কাঁপে। স্থানীয় রাজনীতি এতটাই প্রতিশোধ পরায়ন যে, কে কারে কখন মারবে, কে মরবে সেটি এক অনিশ্চিত।
এটা খুবই দুর্ভাগ্যের বিষয় যে, সেখানে দাতা সংস্থা থেকে সরকার, কথিত গবেষক থেকে সহমর্মি সবাই কোনো না কোনো পক্ষ নিয়ে থাকেন। আর সম্বাদিকরা তো আরো এক কাঠি সরস। কে কার কাঁচা ধরবে সে নিয়ে ব্যস্ত।
বাস্তবতা খুবই নির্মম। আজ শনিবার (১৫ আগস্ট ২০১৫)খবর এলো রাঙ্গামাটিতে একটি আস্তানায় পাহাড়ি ও নিরাপত্তা রক্ষীদের মধ্যে গুলি বিনিময়ের। নিহত হয়েছেন ৫ জন। গুলিবিদ্ধ ১।
এটা খুবই উদ্বেগের খবর।
দু'টি কারণে--- ১. শান্তি চুক্তির এতগুলো বছর পরেও সেখানে ফের বিচ্ছন্নতাবাদী আস্তান।
                ---২. খুন হওয়া মানুষগুলো জনসংহতির সংস্কারপন্থী গ্রুপের।
সংস্কারপন্থী নেতাদের মধ্যে মিস্টার সুধা সিন্ধু খীসাকে চিনি। তিনি খুবই কট্টরপন্থী কিন্তু যৌক্তিক মানুষ।
মুল অংশের একক কাণ্ডারী সন্তু লারমা কৌশলী।
যেহেতু জনসংহতির মূল পতাকার মালিক সন্তু। তাই তার সহচররা খুব সুবিধা পেয়ে থাকে। রাষ্ট্র থেকে শুরু করে জাতিসঙ্ঘ তাদের বেশ গুরুত্ব দেয়।
সুধা সিন্ধু সংস্কারপন্থী বলে পরিচিতি। সন্তুর অপকর্মের বিপক্ষে তাদের অবস্থা কঠোর।
আর ইউপিডিএফ সেখানকার এলিট পলিটিক্যাল পার্টি। সাধারণত তারা বৃহত জনগোষ্ঠীর মধ্যে জনপ্রিয়। নেতৃত্বও তারা অভিজাতদের মধ্য থেকে নির্বাচন করে থাকে।
পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্র যতটা না পার্ট তারচে বড় পার্ট দাতা সংস্থা গুলো। দাতা দেশ ও সংস্থার পোষ্য কিছু বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক আছেন, যাদের বেশ কিছু গবেষণা 'দোকান' আছে, যারা পাহাড়িদের মধ্যে বিরোধকে কাজে লাগিয়ে দেশ বিদেশে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ করছেন।
এর সবই সরকার জানে। কিন্তু ব্যবস্থা নিতে পারে না। কারণ এখানকার মুধুকররা নানা রকমের প্রশ্রয় পেয়ে থাকেন ---বিভিন্ন দেশ, আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং স্থানীয়দের কাছ থেকে।
তারা ইচ্ছে মত, বকে যান নিরাপত্তা বাহিনীকে। বাঙালিদের গোষ্ঠী উদ্ধার সেখানে ফ্যাশন। ক্ষুদ্র গোষ্ঠীর উন্নয়নের নামে তারা গবেষণা করেন--- যার ফল শূণ্য।
কান নিয়েছে- চিলে। কানে হাত না দিয়ে; পাহাড়ে বিরোধ টিকিয়ে রাখতে অনেকেরই অবস্থান খুবই ধোঁয়াশা। এ ধোঁয়ার মধ্যে পাহাড়ে এখন প্রতিপক্ষের হাতে খুন, বাঙালি ও পাহাড়ি সঙ্ঘাত এবং আস্তানা ঘেঁড়ে সেখানে পরিবেশ বিপন্ন করছে অল্প কিছু মানুষ। এদের সাথে পাহাড়ের গণ মানুষের সম্পর্ক নেই বল্লেই চলে ।
নিরাপত্তা রক্ষীরা পাহাড়ে খুব একটা সুবিধা করতে পারেন না। এটা ভৌগলিক কারণে। রাষ্ট্র যন্ত্রও। কারণ রাষ্ট্রকে তার গতিতে চলতে বাধা দেয় কথিত স্বঘোষিত বুদ্ধিজীবি নামের কিছু আগাছা। যারা আসল ঘটনাটা না জেনেই কাজ করছেন।
আমার ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষন হলো--এত জানের ক্ষতি, সাধারণ পাহাড়িদের হয়রানির ভেতর সেখানে নানা রকমের বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যক্রম মাথা ছাড়া দিচ্ছে। সেটি কেবল রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তাকে হুমকিতে ফেলছে না; একই সাথে পাহাড়ি নিরীহ মানুষের জীবন-জীবিকা এবং সামনের আলোর দিনগুলোর সামনে অন্ধকারে পর্দা টেনে দিচ্ছে।
আমার মনে হয় পাহাড়ে আর একটি গুলিও নয়। আর একটি দাওনা যেন রক্ত ঝরানোর জন্য না ওঠে। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সবাই কাজ করবেন নিজের জন্য, পরিবারে জন্য রাষ্ট্রের জন্য।
বিচ্ছিন্নতবাদীদের ফান্ডিং করা সংস্থা ও দেশকে বুঝতে হবে--- ক'টা টাকা আর ক'জন নিরীহ নারীর শরীরের জল ঢেলে নিজের শরীর শীতল করে রাষ্ট্রের সাথে যারা বৈরিতার সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে সহায়তা করছে তারা ঠিক কাজটি করছে না।
আশা করি এটা কারো বুঝতে অসুবিধা হবার কথা নয়। রাষ্ট্রকে আরো দায়িত্বশীল হবার সময় এসেছে। সেখানকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম কঠিনভাবেই মনিটর করারও সময় এখন।।

জোছনায় ডুবে থাকা বিল, ধেয়ে চলা রিছং, সাজেক ভ্যালি কিম্বা তিন্দুর একটা রাত

ভরা জোছনায় সাঙ্গু ঘোলা জল 
কিম্বা চেঙ্গির বহমান ঢেউয়ের মত
বয়ে যাচ্ছে রাত্রি-দিন 

অবসর, আনন্দ -উৎসব
কবে আসবে --অপেক্ষা।।

ডিঙ্গা সাজে, চাঁন্দের গাডি, পাহাড়ের চুড়া।

অপেক্ষায় থাকে সিস্টেম--ব্যাম্বো চিকেন
লবস্টার, ফ্লাইং ফিস, চিনি চম্পা কলা।।

তোমাদের আনন্দঘন হাসির সাথে মিশে যায়
ঝর্ণার টানা সুর ।। নীরবতা ভেঙ্গে পাহাডি গান ধরে কেউ ।।

সবুজের সাথে মেঘের আডি 
মন ভালো হয়ে যাওয়া রাত্রি সকাল ।।

জোছনায় ডুবে থাকা বিল, ধেয়ে চলা রিছং, সাজেক ভ্যালি কিম্বা তিন্দুর একটা রাত ।।

অমানিশায় জ্বলে ওঠা সেন্টমারটিন্সের উচ্ছ্বল জলোৎসব
কচিখালির জঙ্গলে ফণা তোলে শঙ্খচুড।।

তবুও জীবন সুন্দর ।। ভালোবাসি
প্রিয় পুত্রদ্বয়।।


নোট--

সাঙ্গু : বান্দরবানের নদী
চেঙ্গি : খাগড়াছড়ির নদী
ডিঙ্গা : নৌকা
চান্দের গাড়ি : জিপ
সিস্টেম : খাগড়াছড়ির রেস্তোরাঁ
ব্যাম্বো চিকেন: বাঁশের ভেতর রান্না করা মুরগি
লব স্টার: সামুদ্রিক বড় চিংড়ি। এক কেজি পর্যন্ত খাওয়ার সুযোগ হৈছে।
ফ্লাইং ফিস: সমুদ্রে পাওয়া বাটা মাছের মত এক ধরণের মাছ।
রিছং: খাগড়াছড়ির ঝর্ণা।
সাজেক: দেশের সর্বোচ্চ পর্বত ভ্যালি
তিন্দু: থানছির একটি গ্রাম। 
কচিখালি: সুন্দরবনের একটি ফরেস্ট স্টেশন
শঙ্খচূড়: দেশের সবচেয়ে বিষাক্ত সাপ। সুন্দরবনেই তার বসত। 

মাই চয়েস--- হিজাবি:: দীপিকার মোহনীয় শরীর বয়ান

মাই চয়েস নিয়ে হৈ চৈ এর পর এখন হিজাব নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। শুনছি। শুনতে ভালো লাগে। হিজাব বলে আর খোলামেলা পোশাক বলেন --- দু বিষয়েই আলোচনায় রস আছে। আদি রস।  সে রস ওপেনে বা গােপনে 'সবাই' উপভোগ করছেন।   দীপিকার ফুলে ওঠা বুকের  দিকে তাকিয়ে অনেকে বলেছেন,' ইয়েস, মাই চয়েস।' এটাই ঠিক। ফেসবুকের টাইম লাইন ঘুরতে ঘুরতে বাথরুমে-কল্পনায়ও অনেকের কাছে পৌছে গেছিল 'মাই চয়েস'।

দীপিকার ঘোরলাগা কণ্ঠে তার শরীর, মন--- মাই চয়েস। কিম্বা সেক্স আফটার ম্যারেজ, সেক্স বিফোর ম্যারেজ-- মাই চয়েস শুনতে ভালো লাগে। হই হই করে পড়ি মরি করে ছুটি। কারণ মনের ভেতর সুপ্ত বাসনার সাথে এগুলো মিলে যায়। বিশ্ব জুড়ে পণ্য বাজারে এখন পর্যন্ত কামরসই সবচেয়ে বেশি প্রত্যাশিত!

আগে রাস্তার পাশে ক্যানভাসাররা আদি রসের বয়ানে কাস্টমার ভাগাতেন। এখন দীপিকারা। বিশ্ব সংসার তন্ন তন্ন করে ১০১ টি নীল পদ্ম জোগাড় করার সুনীলিয় চেষ্টা এখন মাই চয়েসের উত্তর আধুনিক খােলসের তলে লুটোপুটি খাচ্ছে। দারুণ। তো আপনি আপনার মাই চয়েস লইয়া থাকেন না। মানা করছে ক্যাডা। কিন্তু হিজাব আর বোরকা আপনারে এত চুলকায় ক্যান। হিজাবের ভিত্রে কি এটা নিয়ে আপনার এত কৌতুহল ক্যান রে ভাই।

কিন্তু 'মাই চয়েস 'মানে দীপিকার উত্তপ্ত নিশ্বাস ভাঙ্গ আর বুকের ওঠা নামা নয়।  সেই সাথে আরো অনেক কিছু। আসলে আমিই সিদ্ধান্ত নিবো আমি কি করতে চাই, কীভাবে চলতে চাই।  এটাই 'মাই চয়েসে'র মেইন ম্যাসেজ বলে আমি আন্দাজ করি।

বোরকা পরা মেয়েদের নিয়ে আবার এলার্জি নেই। আবার এটা নিয়ে অতি উৎসাহ নেই। আমি ব্যাক্তিগতভাবে মনে করি আপনি যদি আপনার কিছু দেখাতে চান, দেখান, যার রুচি হয় তিনি দেখবেন। যার রুচি হয় না তিনি দেখবেন না।  জগতের সব লোককে আপনি রুচিবান মনেও বা করবেন কেন। যদি তাই হতো তাহলে রাজধাণীর  পথে ঘাটে থাকা পাগলির পেটে বাচ্চা আসে ক্যামনে।

এই ধরণের এই তথ্য দিয়ে আপনাদের আদি রসের জগতে নিয়ে গেলাম। আপনারা ভাবতে থাকেন।  আমাদের রসময় দা সম্পর্কে অনেকেই ওয়াকিবহাল। দাদার নামে লিখেন, যাদের রুচিতে বাঁধেনা তারা্ এটা বছরের পর বছর পড়ে যাচ্ছেন।  যাদের বাধে তারা পড়েন না। আবার অনেকে 'ধারণা' নেবার জন্য  পড়েন। সে যাই হোক যে কোনো ফরমেটেই এটা চলছে।

হিজাব পরা মেয়েদের তাচ্ছিল্য করে অনেকে হিজাবি বলেন। বোরকা পরা মেয়েদের  অনেকে আবার বোরকা ওয়ালী, বোরকার নিচে শয়তানি  কিম্বা কেউ আরেকটু আগ বাড়িয়ে  বলে থাকেন যৌনকর্মীর পোশাক।  হিজাব কিম্বা বোরকা পরাদের প্রায় ৯০ শতাংশেরও বেশি নিজের পছন্দে তা  পরে থাকেন বলে জানি।  তাহলে তার পছণ্দকে  তাচ্ছিল্য করার মত 'প্রগতি' কোত্থেকে আসলো, জানবার মুনচায়।

ইদাংনি কিছু ডিজিটাল মও্লানার আবির্ভাব হয়েছে। কুরআন হাদিসের ব্যাখ্যা দিয়েও এরা  হিজাব বা বোরকা পরা  নারীদের আক্রমণ করে থাকে।  এবং সেটি দেখে আমরা দাঁত কেলিয়ে হাসি। এদের আবার অনেকের প্রেমিকা বা গার্লফ্রেন্ড বা স্ত্রীর ঝুলন্ত বুকের দিকে তাকালে  নিশ্চিতভাবে  হুমায়ূন আজাদ স্যারের ' মিসেস হামিদুল্লাহ' গল্পের কথা মনে হবে।  বমি করে নিশ্চিতভাবে হুমায়ূন আজাদ স্যারের নায়কের মত বেসিন ভরিয়ে ফেলবেন।

এরা তারাই যারা আবার 'মাই চয়েস' শেয়ার করে নিজেকে মহা 'প্রগতিশীল' হিসাবে  প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেন।  ভাবি--- আমার পছন্দ বা মতের বাইরে গেলেই  খারাপ।  জঙ্গি। এ সব ধারণা থেকে বেরিয়ে আসার সময় হয়েছে।

অনেকেই বলে থাকেন হিজাবিরা শরীর দেখানোর কসরত করে থাকেন।  তাকে নিন্দা জানান। হিজাব কি তাকে বলেছে, তুমি আমাকে জড়াও আর বক্ষ উন্মুক্ত করে ছুটে চলো। কিম্বা ধর্ম কি আপনাকে বলেছে--- বোরকা পরে  নাচো।  এটাও তার নিজম্ব চয়েস।  যার যেটা পছন্দ সেটা তাকে করতে দিন। এক সময় সে তার আসল ভুলটা বুঝতে পারবেন।

যে সব বাবা মা প্রেম করে বিয়ে করেছেন--- তাদের কিছু ব্যাতিক্রম ছাড়া সন্তানদের চোখের বাইরে যেতে দিতে চান না। কারণ নিজের কৃতকর্ম নিয়ে তার বা তাদের অস্বস্তি। সেখানে সন্তান একই পথ যাক তারা চান না।

 যে কথা বলতে এ সব  টানছি সেটি হলো হিজাব, হিজাবি  কিম্বা বোরকা , বোরকাওয়ালী। এ শব্দ গুলো 'মাই চয়েসে'র নারীদের তাচ্ছিল্য করে। তার স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে। একজন মানুষ কি খাবে, কি পরবে, কি করবে তার রুচি কেমন হবে সেটি ঠিক করে দেবার দায়িত্ব আমার  বা আপনার নয়। সবার সব কিছু আপনার ভালো লাগতে হবে, ভালো লাগা উচিৎও নয়।

তবে আপনি এমন একটা শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারেন, যার মাধ্যমে আপনি চাহিদাগুলো সমাজে ঢুকিয়ে দিতে পারেন।  ধীরে ধীরে ।

যেমন ধরেন, আমরা এক সময় রাসায়নিক সার , বিষ এ সব ব্যবহার না করে চাষাবাদ করতাম। এখন সেটি বদলে আমরা এর ব্যবহার করছি। এর শুরু হয় আরো দশক  তিনেক আগে। এখন আমরা হসপিটালগুলোতে ক্যান্সার  বিভাগ খুলেছি। ক্যান্সার-কিডনির জন্য আলাদা ইন্সটিটিউট খুলেছি। তারপরেও রােগ সারানো যাচ্ছে না।

তো সহজ কথা হলো ওই প্রবাদের মত--- যেমন কর্ম তেমন ফল। সেটা হিজাব পরা না পরা সবার জন্যই!ল। সেটা হিজাব পরা না পরা সবার জন্যই!

ম্যাকআপের নিচে ঢাকা থাকে কিছু অসুখের গল্প, সুখের তীব্র অত্যাচারের অভিনয়!

'প্রেম'ই সব 'অপ্রেম' বানায়
প্রেমিকের হাত ধরে 'বেশ্যালয়' থেকে
'রাজনীতি'---
রাজনীতি থেকে বেশ্যালয়!!

পুরনো প্রেম, নতুন করে ফিরে আসে
শরীরে গন্ধে--- চোখের চাহনিতে।
লোলুপ শীরের ঘাম ধেয়ে আসে,
দরদরে ঘাম---নোনতা জলে খিস্তি!

বৃষ্টি ভেঝা চোখের উপর আলতো করে ছুুঁয়ে থাকা কাজল

লেফটে যায়, লেফটে থাকে লিপস্টিক--- প্রেমই অপ্রেম বানায়!
অমানুষ বানায়, চরম অমানুষ।

ক্ষমতা, লুটেরা সমাজের বিত্তবাসনা, আর প্রতিদিনকার  অসংখ্য কষ্ট ঢাকতে পেয়ালায় লাল নীল খয়েরি জল গড়ায়---
উপচে পড়ে সমাজতন্ত্র,গণতন্ত্র আর ধর্ম তন্ত্র। সব ককটেল হয়ে ফুটে ওঠে মগজে

মুখ ফুটে বেরিয়ে আসে সবই তো সেই!

ম্যাকআপের নিচে ঢাকা থাকে কিছু অসুখের গল্প, সুখের তীব্র অত্যাচারের অভিনয়!
আহা জীবন এত নীচে নেমে আসো ক্যানো, ভুলিয়ে দিয়ে যাও প্রেম বলে কিছু নেই।

ফাঁদ আর কষ্ট ধুয়ে নোনা বালির উপর পুড়তে থাকতা শরীরটা তামাটে থেকে কালচে হোক

 জীবনটা নয়।
প্রেম, সে তো অপ্রেমের আরেক নাম।