পুরনো প্রেমিকারা ফিরে এসো

পুরনো প্রেমিকারা ফিরে এসো
ধানের গোছার উপর শেষ বিকালের সূর্যের নরোম আলোর মত-
মায়াবী হরিণীর চকিত চাহনি 
উল্লাসে ফেটে পড়া বুকের ভেতর---
শত কথা বলব বলে ঠিক করা! 
প্রকাশিত হয় না তার কিছু; 'বুক ফাটে তো মুখ ফােটে না'। 

প্রেমিকা---শত স্মৃতি, জীবনানন্দ---উচ্ছ্বাসে-উৎসব মুখর বেলা
রোদ গড়িয়ে যাওয়া সকালের জানালা
লুটুপুটি খাওয়া ধূলোবালির ওপর তপ্ত দুপুর বেলা
উচ্ছ্বাসে মুখর সন্ধ্যা!

দুরন্ত কিশোরীর ছুটে চলা গতির চে' থ্রিজি
তার চে' বেশি দ্রুত ঘূর্ণনে---
চলে যাচ্ছে - সময়- স্মৃতি। 

ওহ হো! সময়-- তোমাকে আর বেঁধে রাখা গেলো না; 
হাওড়ের জল তর তর করে নেমে যাওয়ার পর--- 
কই মাছের মত তড়ফানো কিছু সময়
তারপর আবার? মনযোগি সময়চক্র-ঋতুচক্র-প্রথম যৌবনবতী নারীর উজ্জ্বল মুখ

পুরনো প্রেমিকারা ফিরে এসো মনের আঙ্গিনায় গোপনে- 
!!!

'খালেদা পাকিস্তানে যা' এবং যুদ্ধ শিশুর মনোয়ারার আবেদন!

'খালেদা পাকিস্তানে যা' তে উদ্বুদ্ধ প্রজন্ম যুদ্ধ শিশু মনোয়ারাদের বিষয়টাও বিবেচনায় রেখো। মনোয়ারারা এখানে কেবল 'ভোটের অধিকার' চায়। অগুণতি দিন যারা বিদেশে 'দত্তক' নেয়া পরিবারে কাটিয়েছে,কাটাচ্ছে, কাটাবে; যাদের মা নরাধমদের ভোগে-বেয়নেটের খোঁচায় তিলে তিলে রক্ত ঝরিয়ে শহীদ হয়েছেন- কেবল একটি নতুন ভোরের জন্য; একটি স্বাধীন দেশের জন্য--- তাদের হিসাব কী তোমরা রেখেছো?  নাকি তাও হিসাব করা যাবে না। করলে আবেগে ঘাটতি হবে। দয়া করে আওয়াজ তোলো। প্রাপ্য অধিকারের জন্য যেনো কোনো মুক্তিযোদ্ধা, কোনো যুদ্ধ শিশু, কোনো বীরাঙ্গনা কিম্বা শহীদ পরিবারকে 'রাজনীতির' উপর নির্ভর করতে না হয়।  প্লিজ! তাদের অধিকার-প্রাপ্য বুঝিয়ে দাও বাংলাদেশ।  

মনোয়ারার আবেদনের খবর লিঙ্ক--http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article1078156.bdnews



'খালেদা পাকিস্তানে যা'- বাক্য সূত্র---


কিস্তি ::৮০:: মেরুদণ্ড



ট্যুরিস্ট সোসাইটিকে মেরুদণ্ড সম্পন্ন একটা সংগঠনে রূপান্তরে আমার নিরন্তর চেষ্টা ছিল এবং আমার সময়ে এটি প্রতিষ্ঠিত ছিল। যার কারণে  সংগঠনের সাধারণ সদস্য এবং এক্সিকিউটিভ বডির কেউ উপলব্ধি করতে পারেনি যে সংগঠন চালানো কতটা কঠিন হতে পারে। আমার একটা সিম্পল ব্যাক্তি ইমেজ ছিল, এখনো সম্ভবত আছে। সম্ভবত বলছি এ কারণে যে এখন ক্যাম্পাসে আমার যাওয়া হয় কম, তবে মানুষ মনে রাখছে।  তারপরও নিজের ওপর আস্থাটা কমছে , কারণ বয়স হচ্ছে। তেত্রিশ পার করে ৩৪ এ চলছে তো। তাই এখন আর বলতে পারি না- ‌'কেউ কথা রাখবে'।

আমি দায়িত্ব ছেড়ে আসি সামীমের কাছে। বাবু মৌ এর কাছে। সেই দায়িত্ব নেবার পর তারা কতটা সফল ভাবে চালিয়েছে, সেটি আমার জানার সুযোগ হয়নি, বা আমি জানতে চাইনি।
বাইরে থেকে যে টুকু দেখা তাতে মনে হয়েছে, বেশ  সমস্যা ওদের ফেস করতে হয়েছে। একটা বিষয় বলি ওরা একটা অনুষ্টানে ভিসি স্যারকে আনতে গেছে। স্যারের পিএস আমাকে ফোন করলেন, যাবেন কিনা। আমি   যাবার বিষযে স্যারকে সবিনয় অনুরোধ করতাম।
একই সাথে স্যারকে কৃতজ্ঞতা জানলাম- এ সংগঠনটির সাথে তার সহযোগিতার জন্য। যেটি অন্য কেউ হলে হয়তো করতো না। তার মানে বিষয়টা এ নয় যে আমি খুব মহান।  আমি আসলে নতুন কমিটির ওপর ক্ষিপ্ত  হতে পারিনি। এটাও আমার বদান্যতা নয়। সহজাত।
তবে আমার দায়িত্ব পালনকালে বছরে কমপক্ষে ১০ টি করে ট্যুর করানোর সুযোগ নিয়েছি। তার পরে এটি সম্ভবত আর হয়নি। হয়নি এটা জোর দিয়ে বলছি এ কারণে যে, ডাটসের ফেসবুক পেজটা আমি খেয়াল করি। সেখানে এ সংক্রান্ত  তথ্য পাওয়ার ছিল  না।

আমি যে কারণে এ প্রসঙ্গটা উত্থাপন করলাম সেটি হলো - আমি যখন দায়িত্বে- তখন অল মোস্ট সব সংগঠনের নেতারা আমার সাথে  দেখ করতে আসতেন। আড্ডায় মাততেন। কিন্তু আমি দায়িত্ব ছাড়ার  পর যে সব সংগঠনকে ডাটস খুব গুরত্ব দিচ্ছিলো। জনি মং একটা ট্যুর করিয়েছে ওর সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালনকালে, সেটি করেছে আরেকটি সংগঠনের সাথে। যেটা ডাটসের সম্মানের সাথে ঠিক যায় না।

সুন্দরবনে একটা ট্যুর  করে ওরা সমস্যায় পড়েছিল। সক্কালবেলায় ফোন করলো বাস সরবরাহকারী মফিজ। বললেন, মামা একটু আসেন। আমি বলতে পারলাম না-আমাকে ওরা মানবে না। তবুও মফিজ মামার অনুরোধে গেলাম।
অবশ্য আমাকে সবাই চিনে। তবে সেটি নেতিবাচকভাবে। কিন্তু সমস্যা সমাধানে কোনো সমস্যা হলো না। মফিজ মামা হ্যাপি। হ্যাপি ডাটসও। তারপর আর ডাটসের কোনো প্রয়োজনে আমাকে লাগেনি।

যারা ডাটস নিয়ে অনেক ভাবেন, নিজের অনেক দেবার আছে বলে জানিয়ে গেছেন- তারা আর খবর রাখেন না। টাকা পয়সা তো পরের কথা। একটা সংগঠনের অনেক ব্যয়। এ ব্যয় আমি আমার বেতনের টাকা দিয়ে মেটাতাম বলে আমার সময়টাতে সমস্যা হয়নি। একই সময় আমি ডাটসের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বরাদ্দ ৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩৫ হাজার টাকা করেছিলাম। এ জণ্য আমাকে সবচেয়ে বেশি হেল্প করেছেন  ভিসি  অধ্যাপক ফায়েজ  স্যার এবং ট্রেজারার অধ্যাপক রাশিদুল হাসান স্যার। তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।


২৬ ডিসেম্বর ২০১৩ ।।

কিস্তি ৭৯।। শেষ দৃশ্য !

কিস্তি ৭৯:  শেষ দৃশ্য!

আমার ক্যাম্পাস জীবনের বন্ধুদের মধ্যে সাংবাদিক শামীম অন্যতম। ওকে আমার বরাবরই বুদ্ধিদীপ্ত ও যৌক্তিক মনে হয়েছে। বিশ্বাস করতাম যে কোনো ক্রাইসিস উতরে যাওয়ার ক্ষেত্রে ওর  পরামর্শ আমার জণ্য সুবিধের হবে। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন।  আমিও ভুল করেছি। ভুলে গেছি প্রেম-নারী বন্ধুদের নিয়ে ভাবনা এব সময়কে ধারণ করে যৌক্তিক জায়গায় পৌছানোর সঠিক পথ থেকে মানুষকে দূরে রাখে।
মীর জাফর সাহেবদের আচরণে আমি ভেঙে পড়ার পর কি করণীয় সেটি নির্ধারণে আমি  সর্বোচ্চ নির্ভর করেছি শামীমের ওপর। কিন্তু বিষয়টা গুরুত্ব ঠিক সেভাবে উপলব্ধি করেনি শামীম, যেভাবে করা উচিৎ ছিল। বরং ওর কিছু  কিছু সিদ্ধান্ত ছিল শিশুতোষ। যেটি আমি পরে বুঝতে পেরেছি। তখন আর কিছু করার ছিল না।
শামীম তখন সাংবাদিক সমিতির সেক্রেটারি, তার অনেক ক্ষমতা। কিন্তু ক্ষমতা দিয়ে সব হয় না। আর  পেশি শক্তি প্রয়োগ করলে আমিই করতে পারি, তার জন্য ওর দরকার পড়ে না। আমি সেটি চাইলাম না বলে বিষয়টা তালগোল পাকালো।
এর একটি হলো- আমি কমিটি ভেঙ্গে দিলাম । এ সিদ্ধন্তটি আমার সঠিক ছিল না। কিন্তু  নৈতিক মানদণ্ডে এটি উত্তীর্ণ ।  কারণ আমি যখন সব ডকুমেন্ট দেখলাম, তখন  মনে হলো নির্বাচনটা প্রহসনের পর্যায়ে ছিল। বাবু কোনো  রেজুলেশনই লেখেনি।  তার ওপর  অফিস থেকে অনেক ডকুমেন্ট সরিয়ে ফেলা হয়। এটি কে সরিয়েছে আমি নিশ্চিত নই। ডাটসের সব ধরণের  নিউজ ক্লিপিং সরিয়ে ফেরা হয়।  এতে আমি ক্ষুব্ধ হই। এই ক্ষুব্ধ হওয়াটা অসঙ্গত বলে আমি মনে করিনি, এখনো করি না।
আর্থিক দিক থেকে আমার সততা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো সুযোগ আছে কিনা জানি না। টাকার স্পর্শটা আমি বাবুকে দিতাম নিজে কখনো নিযেছি বলে মনে পড়ে না। আমার সময় গ্লোরিয়াকে অর্থ সম্পাদক করেছিলাম।  ডাটসের কাজে আমি নিজে কিছু টাকা খরচ করেছিলাম, যা পাওনা ছিল আমার। কিন্তু সেটি আমি নিতাম না। আগেও নিইনি।
আমি চেয়োছলাম টাকা পয়সার সব হিসাব রেডি করে আমার কাছে বুঝিয়ে দেয়া হোক। অফিস খরচ বাদ দিয়ে বাকি  টাকা নতুন কমিটির কাছে তুলে দেবো। কিন্তু কোনো এক অজানা কারণে গ্লোরিয়া  আমার কাছে হিসাব দিতে গড়ি মসি করে। এতে আমি ভীষণ কষ্ট পাই। কারণ হলো গ্লোরিয়াকে আমি আলাদাভাবে দেখি- নিজের বোনের মতই। কিন্তু  সেই সময় ওর এ আচরণ আমার ভালো লাগেনি। একইভাবে আমার আচরণও তার ভালো লাগার কথা নয়।  আমি  নব নির্বাচিত কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে নতুন আহবায়ক কমিটি ঘোষনা করি। একই সাথে বেশ কয়েকজনকে বহিষ্কার করি। এটি একেবারেই একটা অপরিপক্ক সিদ্ধান্ত ছিল।  তবে ডাটসের সে সময়কার গঠনতন্ত্র মতে এর ভিত্তি ছিল।
অফিস ডকুমেন্ট খোয়া যাবার কারণে আমি অফিসের তালা বদল করার নির্দেশ দিই। এবং এটি জানিয়ে নোটিশ দেয়া হয়। কিন্তু এটাকে ভিন্ন চোখে দেখেছেন অনেকে। দেখতেই পারেন।  সবার দেখার অ্যাঙ্গেল একই রকম হবে না।
 তালা খোলার ব্যবস্থাও আমি করেছি।  কিন্তু তার আগে বাপ্পী বিদ্রোহ করে, এফ রহমান হল থেকে ছেলেপুলে নিয়ে মহড়া দিচ্ছে। আমার কাছে জহু হলের পুলাপাইন বলে যাই মাইরা আসি। কিন্তু আমি সে অনুমোদন দিতে পারিনি।
অথচ  বাপ্পীকে হলে তোলা এবং তার আগে তাকে এসএম হলে রাখার ব্যবস্থাটা আমার সাতৈ সম্পর্কের খাতিরে শামীমই করেছিল।

যেই মৌ ও রিমিতে আমি ডাটসে পেতামনা, নানা অজুহাতে তারা আসতো না।  তাদের সাথে নিত্য দেখা হতে লাগলো।  আমি গিয়েছি বেশ কয়েকদিন। সমস্যার সমাধানে অনেক রকম তদ্বির হয়েছে। শাহেদ নামে একজন লোক আছেন, যিনি নিজেকে  ডাটসের অনেক বড় কাণ্ডারি মনে করেন, তাকে ডেকে আনলেন  হেলাল ভাই। সাবেক সভাপতি ও সম্পাদকদের জড়ো করলেন। আলমগীর ভাইয়ের (টিএসসির পরিচালক) রুমে বসে আমরা সমস্যার সমাধানে আমি নিঃশর্তভাবে সব অন্যায়কে মেনে নিতে অনুরোধ  উপেক্ষা করতে পারিনি।  এটা আমার চরিত্রের সাথে যায় না, তবুও করতে হয়েছে, কারণ নতুন কমিটির কোনো দোষ নেই। দোষ আমার বন্ধূ বাবু ও আমার আস্তিনের নিচে লুকিয়ে থাকা মীর জাফরদের। যারা প্রকাশ্য বিরোধী তাদের আমি কোন কারণে কষ্ট দেবো।
নিজেই পরাজয় মেনে নিয়ে ডাটসের শেষ মিটিংটা করেছিলাম  মুনীর চৌধুরী কনফারেন্স হলে। সেখানে দেখি ডাটসের উপদেষ্টা আর  সহকর্র্মীর অভাব নাই। মঞ্চে লম্বা লাইন। আমি সবাইকে অভিনন্দন জানিয়ে সুন্দর ভবিষ্যত কামনা করে বক্তব্য শেষ করেছিলাম।  সাধারণ সদস্যরা তখনো বিষয়টা সম্পর্কে ক্লিয়ার কোনো পিকচার পায়নি। তাই ওরা আমাকে সহমর্মিতা প্রকাশ করতে এগিয়ে এলো। বক্তব্যের পর আমি আর সেখানে যাইনি।
ডাটস ছেড়ে যাওয়ার পর মনে হতে লাগলো আমি অক্সিজেনের অভাবে ভুগছি। আমার মন খারাপ করা রোগ হলো। সব সয়ে নিলাম, কিন্তু  নাটকের শেষ দৃশ্যটা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারলাম না। কিন্তু না মানলে কি ,যা হবার তা হয়েছে। ভাগ্য বলে মেনে নিয়ে আমি সামনে তাকালাম। ভাবলাম- এটা একটা দুর্ঘটনা। এটা কম কিসে, ডাটসের শত শত ছেলে মেয়ে আমাকে মনে রেখেছে। দেখা হলে ছুটে আসে, সে আমার বিরোধি হলেও।  আমরা খুবই ভালো লাগে। আপ্লুত হই। এখানে আমি ছিলাম। আমি আছি মানসিকভাবে। সামনেও থাকবো।


২৫ ডিসেম্বর ২০১৩।।




তোমাদের মত 'বন্ধু-সুহৃদ-স্বজন লইয়া আমি কি করিব?'

প্রকাশ করি না বলে ধরে নিওনা; আমি জানি না কিছু!

কিম্বা বুঝি না; বুঝি!
তবে বোঝাতে চাই না!

বার বার মনে হয়---
কেনো দুটো কিম্বা তারো বেশি রূপ; তোমার-তোমাদের

কী লাভ বলো
দিন শেষে তো জানো ---
আশ্রয় নিয়েছো শঠতার!

নিজেকে প্রশ্ন করলে
নিজের কাছেই হেরে যাও
তারপরও কী লাভ বলো---

তোমার-তোমাদের মত 'বন্ধু-সুহৃদ-স্বজন লইয়া আমি কি করিব?'

তবুও তো নগরে জমাত ভারি করতে লোক লাগে
লোক গোনার মত; আমিও গুনি।

হিসাব তো মিলে যায়--- সেই শৈশব থেকে যুব জীবনে কারা ছিল;
কারা আছে নির্মোহ আনন্দ-উল্লাসে-সুখে দুখে
নির্ভেজাল!

জানি- নিশ্চিত করেই

তবুও চোখ; চোখের উপরের আস্তরণ, আমাকে সব ভুলিয়ে দেয়!
লজ্জায় নত হয়ে যাই, থাকি--- বলতে পারি না।

তুমি কিম্বা তোমরা যে লুকোচুরি খেলো এটুকু জেনো, আমি তা জানি!

এও জেনো, আমি একজন ছাড়া কারো ওপর নির্ভর করি না!
করিনি কখনো!
সে আমার স্রষ্টা!
আমরই একমাত্র আপনজন!

ধন্যবাদ জেনো প্রিয় মানুষেরা।
জিতে যদি যাও, শঠতা করে
তবে আফসোস থাকবে না

হেরে গেলে কষ্ট পাবো
তোমাদের দ্বি-মুখিতায় তোমরা যদি টিকে যাও; ভালো থাকো
অখুশী হবো না!
ভালো থাক। থালো কাটুক তোমাদের!

খালেদার বক্তব্যের সাথে দ্বি-মত করার মত পরিসংখ্যান কেন আমাদের থাকবে না

খালেদার বক্তব্যের সাথে দ্বি-মত করার মত পরিসংখ্যান কেন আমাদের  থাকবে না। শুধু আবেগ দিয়ে কেন, আমরা জাতির এত বড় একটা অবদানকে তর্কের মধ্যে রেখে বিভাজন তৈরি করবো। প্রশ্নটা ঘুরপাক খাচ্ছে।

খালেদার বক্তব্যের খণ্ডিতাংশ নিয়ে তর্ক হচ্ছে।  বিডিনিউজ জানাচ্ছে--- খালেদা গতকাল বলেছেন, '“আজকে বলা হয়, এতো লক্ষ লোক শহীদ হয়েছেন। এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে যে আসলে কত লক্ষ লোক মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন। নানা বই-কিতাবে নানারকম তথ্য আছে।”

খবরটিতে আরো জানাচ্ছে, খালেদা বলেছেন,  “সরকার নানারকম মুক্তিযোদ্ধা তালিকা তৈরি করছে। যাদের অন্যায়ভাবে মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে; আমরা ক্ষমতায় আসলে সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধার তালিকা করে তাদের যথাযথ সন্মান ও সন্মাননা দেব।”

একাত্তরে আওয়ামী লীগ স্বাধীনতা নয়, ক্ষমতা চেয়েছিল দাবি করে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার জেনারেল জিয়াউর রহমানের স্ত্রী বলেন, “তিনি (জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ চাননি।”

বিস্তারিত লিঙ্কে http://bangla.bdnews24.com/politics/article1075602.bdnews

মুক্তিযুদ্ধে শহীদের পরিসংখ্যান কম বেশি হলে আমাদের স্বাধীনতা প্রশ্ন বিদ্ধ হবে না। হতে পারে না। জাতি সম্মিলিতভাবে একটা  স্বাধীন দেশ নির্মাণে ঐক্যবদ্ধ-মনোবল আর  বঙ্গবন্ধুর প্রেরণা নিয়ে যুদ্ধ করেছে।

এর পরেও সংখ্যার হিসাবটা কেন তুললেন খালেদা? এর আগে সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যান ও ভারতীয় গবেষক শর্মিলা বসুও একই রকম বলছেন। আমার ধারণা খালেদা বিষয়টি তুলেছেন, মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা, শহীদ পরিবারে ভাতার নামে হয়রানি-বঞ্চনার বিষয়টি সামনে  আনতে।  নিশ্চয় তিনি বা তার দল এটার মূল ব্যাখ্যাটা দিতে পারবেন।

একটা পরিসংখ্যান নিয়ে কথা উঠলে, আমরা সেটার যৌক্তিক প্রতিবাদ না করে 'আক্রমণ' করার সংস্কৃতি কতটা গ্রহণযোগ্য সেটা আবেগের কাছে বিবেচ্য নয়; তবে বিবেক তাড়িত মানুষ এটি বুঝতে পারবেন, নিশ্চয়!
 
তবে এ রকম প্রশ্ন সামনে আরো উঠতে পারে। সে শঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায় না।  সংখ্যা ভিত্তিক প্রশ্নের উত্তর নিশ্চয় আবেগ নয়; সংখ্যা দিয়েই দেওয়া উচিৎ।

দেশে বিদেশে যারা  গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধি অপরাধ নিয়ে গবেষণা করেছেন, করছেন এবং সামনে করবেন তাদের জন্য এটা খুবই জরুরি। যদিও  আমাদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে পড়াশোনার জন্য এখনো দেশে কোনো্ বিশেষায়িত ইন্সটিটিউট গড়ে উঠেনি; সামনে নিশ্চয় উঠবে;  তখন এ সব তথ্যের দরকার পড়বে।

মনে রাখা দরকার, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কিন্তু 'রাজাকার বান্ধব' খালেদার করা। যেটি করার কারণে সরকারি লোকজন বিদেশিদের সম্মাননা জানানোর সোনা চুরিও করতে পেরেছিলেন।  খবরের লিঙ্ক  http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/185914/%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A3%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A7%A7%E0%A7%A8-%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%87-%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%9B%E0%A7%87


খালেদা বক্তব্যটা দিয়েছেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সামনে । যারা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন, তারা যদি তার বক্তব্য অসঙ্গত মনে করতেন -তাহলে তারা প্রতিবাদ করতেন। যেহেতু সংখ্যা তত্ত্ব এখানে অচল; আবেগ তত্ত্ব হিসাব করলেও মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশ নেয়াদের বীরদের চে আমাদের আবেগ নিশ্চয় বেশি নয়। হলে , সেটাকে গ্রামবাংলার প্রবাদ---' মা'র চে মাসির দরদ বেশি' গণ্য হতে বাধ্য।

খালেদার অনুষ্ঠান থেকে কি কেউ তার বক্তব্যের প্রতিবাদ করে নীরবে চলে গেছেন? এমন কোনো তথ্য সরকারি জনসংযোগ-গণমাধ্যমেও খুঁজে পেলাম না।

খালেদা যে, একই সমাবেশে  মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাপ্য মর্যাদা ও সম্মান নিশ্চিত করার কথাও বলেছেন। সেটা নিয়ে কথা হচ্ছে না। ৪৪ বছর পরেও মুক্তিযোদ্ধারা অসহায়; তা নিয়ে কেউ ভাবছে না। খবর হলো,  ২০১৩ সালেই বিদেশে পাচার হয়েছে ৭৫ হাজার কোটি টাকা। সূত্র http://www.bonikbarta.com/2015-12-10/news/details/58878.html

কোটার দাক্ষিণ্য মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অপমানের। এ দেশ তাদের রক্ত, শ্রম- জীবন-বাজিতে স্বাধীন। সে স্বাধীনতা রক্ষার দায়িত্ব যাদের হাতে অর্পিত, তারা বিভেদ বিসম্বাদ  নিয়ে ব্যস্ত! সে বিকারগ্রস্থতার মাঠে আমরাও সরব-কিম্বা নীরব দর্শক।  

গ্যালারির দর্শখ হিসাবে আমার ব্যক্তিগত মত, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা থাকলে কিন্তু সরকারি সুবিধা থেকে সরকার ভেদে বঞ্চনার ঘটনা ঘটতো না ।

খালেদা রাজাকার বান্ধব মেনে নিলাম; কিন্তু তার বিপরীত জন? গেলো ১৬ ডিসেম্বরও ইনডিয়া ইন্দোপাকওয়ার৭১ হ্যাশ ট্যাগে বিজয় উৎসব শেয়ার করেছে, ফেসবুক ও টুইটারে । ইন্ডিয়ান সেনাবাহিনীর ভেরিফাইড পেজ থেকে । চেতনার সর্বস্ব উজাড় করা সরকার তার প্রতিবাদ করার সাহস পেলো না । আর ফেসবুকে এখন যারা হাউকাউ করছে তারা তখন কেন চুপ ছিল; কেন রে ভাই। বঙ্গীয় দালাল হও। ভারত-পাপিস্তানের নয়।

সূত্র ---

পঙ্কজ দা'র বঙ্গীয় মিশন সম্পন্ন

নায়ক পঙ্কজ দা'র বঙ্গীয় মিশন সম্পন্ন। এবার রাশিয়ায় গিয়া খাঁটি রেড ওয়াইনে মজো দাদা। অনেক খাঁটুনি গেছে গত ক'টা বছর। বঙ্গীয় রাজনীতিতে তোমার অবদান, উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দিতে  চেষ্টা,  বিরোধী মত দমনে থেরাপি, গুমের মত মহৌষধের সমর্থক, তিস্তার জল লইয়া তেলেসমাতিতে সফল পঙ্কজ দা।

যাওয়ার আগে দাদা আমাদের জন্য রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র করতে অনেক কষ্ট করেছো; সুন্দরবন পুড়িয়ে সামনে তোমরা বিরান করে আমাদের ঘর তোলার জমি বাড়ার পরিকল্পনা করেছো--- আমাদের জন্য তোমাদের এ অবদান জাতি চিরদিন স্মরণ রাখবে।

অনেক বড় অবদান রেখেছো সীমান্তে, প্রতিদিন গুলি করে 'গরু বেপারি' মেরেছো; ফালানীকে পাখির মত গুলি করে মেরে কাঁটা তারে ঝুলিয়ে রেখেছো, কুয়াশা কেটে গেলে বাঁশের সাথে ঝুলিয়ে নিয়ে গেছো। বিএসএফ'র পশুত্বকে প্রভুত্বে রূপান্তর করে ফালানী খুন থেকে দায়মুক্তির ব্যবস্থা করেছো; তোমার অবদান দাদা বলে লিখে শেষ করা যাবে? এমন সাধ্য কার!

এবার একটু  জিরিয়ে নাও। রাশান লাল পিয়ো, লাল চাখো। শান দাও নিজেকে । গণতন্ত্র ও উন্নয়ন অব্যাহত রাখার জন্য  পরবর্তী মিশন ঠিক করে ফেলো দাদা । তোমাদের বসে থাকতে নেই । তোমরা বসে থাকলে নিরীহ মানুষগুলো জঙ্গী হয়ে যাবে!  তোমরা বসে থাকলে বিশ্ব অনেক রাজনৈতিক বিনোদন থেকে বঞ্চিত হবে!

তোমার বিদায় দিবসে আজ রামপাল কানছে। কানছে বঙ্গীয় উন্নয়ন। কানছে বিএসএফ। কানছে তোমার কাছে হাঁটু গেঁড়ে বসে থাকা লোভাতুর ক্ষমতা!  তোমার দীর্ঘায়ু কামনা করি। দাদা মাঝে মাঝে আসবেন। আমাদের দেখে যাবেন। যেমন রেখে গেছেন সেখান থেকে আমরা আরো কতটা এগিয়েছি। তা না দেখলে কেমনে হবে দাদা। আপনি ছাড়া আমাদের কে আছে বলেন। ভালো থাকবেন।


বাংলা ব্লগের সাত ও মূলধারার মিডিয়া

ব্লগ নিয়ে নেতিবাচক ভাবনা; প্রচারণা এমনকি ব্লগ ঘিরে হত্যাকাণ্ড ঘটছে দেশে। সাত বছর বয়সী শিশু এ বাংলা ব্লগের দুনিয়াতে বিদ্বেষ আছে- এটা স্বীকার করে নিয়েই বলছি--- প্রচলতি সংবাদ মাধ্যম আর প্রাজ্ঞ কলামিস্টদের বন্দকী বিবেকের সময়ে ব্লগ এক অনন্য উন্মুক্ত  জনমত তৈরির ক্ষেত্র। যেখানে  গণ মানুষের গণকণ্ঠ এক সাথে উচ্চারিত হয়।

অত্যন্ত আনন্দিত যে, এ রকম একটি ব্লগিং জগতের সাথে বছর ৪ বছর ৭ মাস ধরে আছি। এবং কেবল সামুতেই লিখছি ৭৭৮ টি। অন্য সব ব্লগ মিলিয়ে এ লেখার সংখ্যা হাজার হবে। এর মধ্যে শ খানেক লেখা আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের স্মৃতিচারণ।

ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা হলো ব্লগে অনেক ভালো লেখা  পাঠকের নজরে আসে না। নির্বাচিত লেখার তালিকায়ও যায় না। তবে ইদানিং চটুল লেখা, যৌনতাপূর্ণ লেখার প্রতি ব্লগারদের আকর্ষণ বেশি।  যৌনতা সমৃদ্ধ লেখার বিপক্ষে আমি নই।  মূলত মানবজমিনে কাজ করার সময় যৌনাধিকার, যৌনাবচয় বিষয়টি আমার কাছে  গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। সেটি আমি এখনো উপলব্ধি করি। তাই বলে যৌনতা নির্ভর ব্লগিং কিংবা সবাইকে আরজ আলী মাতুব্বুর হওয়ার চেষ্টাটা আমার কাছে সঠিক বলে মনে হয় না।  এটা আমার সীমাবদ্ধতা।

ব্লগের একটা গুণগত পরিবর্তনও হয়েছে--- এখানে প্রচুর তথ্য বহুল ও মূলধারার গণমাধ্যম যে সব খবর এড়িয়ে যায় বা  দলদাসত্বের কারণে চেপে যায়, তা বেরিয়ে আসে। এটাই এর সবচে বড় সাফল্য বলে মনে মানি।

 আজ ১৯ ডিসেম্বর;বাংলা ব্লগ সাত বছরে।
সবাইকে বাংলা ব্লগ দিবসের শুভেচ্ছা।   

পরিমলের মত কুখ্যাত ধর্ষকের পক্ষেও আদালতে কেউ দাঁড়ায়!

পরিমলের মত কুখ্যাত ধর্ষকের পক্ষেও আদালতে কেউ দাঁড়ায়! তার নাম 'আইনজীবী'। তাও আবার বলে আমার 'মক্কেল' সঠিক বিচার পায়নি; উচ্চ আদালতে চ্যালেঞ্জ করবো। 


সত্যি সেলুকাস--- !

পরিমল ভিকারুননিসার যে ছাত্রীকে ধর্ষণের জন্য দণ্ডিত হয়েছে, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এ; এটা হয়ত চূড়ান্ত বিচারে টিকবে না। আমার ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ--- পরিমলের সাজার রায়টা; তাকে বন্দী জীবন থেকে অবসরে পাঠানোর ছোট্ট একটা পদক্ষেপ। 

চারদেয়ালের হাঁসফাঁস(!) থেকে জামিন নিয়ে বেরিয়ে আসবে--- পরিমল। 

বিচারক সালেহ উদ্দিন--- ত্রিশ পৃষ্ঠার রায়টা পড়ে শোনার সময় বলেছেন, মামলার তদন্তে নিয়োজিত দুই কর্মকর্তা শাহাদাত ও মাহবুব ' চরম গাফিলতি' দেখিয়েছেন। (সূত্র বিডি নিউজ)। এটা জানার পর আর বোঝার বাকি নেই মামুরা অত্যন্ত রোমান্টিক! তারা পরিমলকে 'নায়ক' হিসাবে দেখেছেন। 

নিশ্চিতভাবেই জানি--- আমাদের সমাজ ব্যবস্থা--- বল প্রয়োগে নারীর শরীর উপভোগ, সন্ত্রাস এবং খুনের বিষয়গুলো প্রশ্রয় দেয়। যারা এ সবের সমঝোতা করেন-- তারা খুব নির্বিকারভাবেই বলেন-- 'যা গেছে, তা কি আর পাবি। মেনে নাও। কিছু টাকা পয়সা রাখো।' এ মধ্যস্থতা যারা করেন, বা যারা এটাকে মেনে নিতে যুক্তিখাড়া করেন, আমি তাদের অত্যন্ত নিচু মানের নরাধম। এ রকম বহু মানুষকে আমি চিনিও! 

তাদের যুক্তি (!) সোসাইটিতে মিউচুয়াল সেক্স হচ্ছে--- অগুনতি হচ্ছে। সেটাও সমাজের চোখে অপরাধ। সে অপরাধ তো দমন করতে পারছে না কেউ। তাহলে কেউ বল প্রয়োগ করলে এমন কি হয়ে গেলো.... !! 

কিন্তু সমাজ যেহেতু আপসের লীলার রাশ টানতে পারছে না; তাই বলে ধর্ষণের রাশ টানতে পারবে না--- তা হতে পারে না। এটা কি মেনে নেয়া যায়? যায় না। কারণ--- সমাজ যদি এ সব মানতে থাকে তাহলে অনিরাপদ সমাজে নারীর শিক্ষা, চাকুরী, সংসার , সমৃদ্ধি সব তুড়িতে আটকে যাবে! 

আমাদের কেবল এ সব নিয়ে পড়াশোনা করলেই হবে না। প্রতিবাদ-প্রতিরোধ করতে হবে। 

২০০২ সালে ২৩ জুলাই শামসুন্নাহার হলে পুলিশ ঢোকা নিয়ে হাঙ্গামা হয়েছিল। সে সময় ক্যাম্পাস বন্ধ করেছিল সরকার। ক্যাম্পাসে আন্দোলনকালী, পুলিশ ও ক্যাম্পাস রিপোর্টাররাই ছিলেন। অলস সময়ে বহু পুলিশ অফিসার ও কনস্টেবলের সাথে আড্ডা দেয়ার সুযোগ হয়েছিল--- তাদের আচরণ-- মমতা--- উপরের নির্দেশ (!) থাকার পরেও নিজেদের সংযত রাখা আমাদের মুগ্ধ করেছে। --- মনে আছে, স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরের সামনে পুলিশ আন্দোলনকারীদের হটিয়ে দিতে আসছিলো--- তার আগেই আমাদের ডেকে বললো--- উনাদের কিছু সময় দূরে থাকতে বলেন--- বোঝেন তো , নির্দেশ আছে; তুলে দিতে হবে। কিন্তু 'এরা তো আমাদেরই ছেলে মেয়ে!' 

বিস্ময়ে বয়স্ক সেই পুলিশ কর্মকর্তার দিকে তাকালাম--- মানবিকতা এখনো অবশিষ্ট আছে! এ রকম স্বস্তির সাথে অস্বস্তিও ছিল। কারণ ওই ঘটনার দু'দিন আগে পুলিশ আমাদের ক' সহকর্মীকে পিটিয়েছিল। 

তবে এ কথা তো সত্যি সব-- পুলিশ এক নয়, তবে সব আইনজীবি সম্ভবত এক। টাকা হলে এদের আর কিছু লাগে না! আমি অত্যন্ত বিনয়ের সাথে কথাটা বলছি; কারণ আইন ব্যবসা যারা করেন; তারা নিজের সন্তানের মত কন্যা ধর্ষকের পক্ষে ওকালতিও করতে হয়। করেন; কিন্তু মিডিয়ায় মুখ হা করে; নিজের পেশাটাকে কলঙ্কিত করবেন না; প্লিজ। 

পরিমলরা সব স্কুলেই আছে; কলেজে আছে; বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজ চোখে দেখে এসেছি। কেউ ধরা পড়ে; কেউ পড়ে না! এই আর কি! --- বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের কাছেই শুনেছি সেক্স মামুলি। বিনা পয়সার দুগ্ধ পেলে গাই পুষবো কেনো। 


তবে কেউ জোর করলে আমরা এটা অত্যন্ত ঘৃণা ভরে প্রতিরোধ করবো--- এটাই তো হয়। হওয়ার কথা। কিন্তু সেটি কেন হলো না পরিমল জয়ধর কিম্বা পান্না মাস্টারের ক্ষেত্রে। 

পরিমলের শাস্তি উচ্চ আদালতে চ্যালেঞ্জে টিকবে না--- এটা পুরনো মামলাগুলোর অভিজ্ঞতায় বলা চলে। কেন বলছি--- কারণ ট্রাইবুনালের বিচারক কিন্তু বলেছেন--- মামলার তদন্তে চরম গাফলিতি করা হয়েছে। এ রকম গাফেল তদন্ত দিয়ে 'শাস্তি' নিশ্চিত করা সম্ভব ? মনে হয় না। তবুও আমরা হাল ছাড়ছি না। 

মজার একটা কৌতুক আদালত প্রাঙ্গনে বিডি নিউজকে পরিমল নরাধম বলেছে, 'আমি ইনোসেন্ট'! হোয়াট এ জোকস! 

ধর্ষিতার বাবার করা ২০১১ সালের মামলায় ভিকারুননিসার তৎকালীন অধ্যক্ষ হোসনে আরা এবং বসুন্ধরা শাখার প্রধান লুৎফর রহমানকেও আসামি করা হয়। ২০১৩ সালের ৭ মার্চ আদালতে অভিযোগ গঠনের সময় অধ্যক্ষ ও লুৎফর অব্যাহতি পায়।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ওই ছাত্রীকে প্রলোভন দেখিয়ে ২০১১ সালের ২৮ মে প্রথম ধর্ষণ করেন পরিমল। ওই সময় ছাত্রীর নগ্ন ভিডিও চিত্র মোবাইলে ধারণ করা হয়। এরপর ওই ভিডিও প্রকাশের ভয় দেখিয়ে ১৭ জুন আবারও ধর্ষণ করা হয়।

বিষয়টি প্রকাশ হওয়ার পর ভিকারুননিসার ছাত্রীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তখন পরিমলকে বরখাস্ত করে।

এরপর ৫ জুলাই ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এই মামলা দায়ের করেন।

২৫ নভেম্বর ২০১৫ আদালত মামলাটির রায় দিয়েছে। যেখানে তাকে যাবজ্জীবন কারদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং সেটি অনাদায়ে আরো ৬ মাসের জেল দিয়েছে আদালত।


স্বামীর বুকে মাথা রেখে জোছনা দেখতে চেয়েছিল মেয়েটি!



স্থির হয়ে থাকা চোখের পাতা নামিয়ে দেয় মেয়েটি
সলজ্জ হাসি- কুড়ি বছরের যৌবন--
পুড়িয়ে গেছে বহু পুরুষের হৃদয়---হাসি
কাম-কামনা সব একসাথে
গলে গেছে মোমের শরীর-- নুয়ে পড়েছে উন্নত বুক ---বক্ষ বন্ধনীও টেনে তুলতে পারছে না!

 ---হাসিটা তবুও বেশ টিকে আছে! সে কি সুখের? নাকি অসুখে!

বিস্ময় বালিকা চোখে----
চোখের পাতা মুড়ে পুড়তে থাকে---
লজ্জাবতী---লজ্জায় নুয়ে পড়া---গুটিয়ে নেয়া স্পর্শের সকালের মতই--- পরপুরুষের করতলে মথিত হয়---

ভিজে যায় নোংরা জলে---

কাম--কামকলা--কামজ্বালার চে' তার কাছে এখন--
নগদ টাকাটাই মুখ্য---
প্রেম? সে তো দুঃস্বপ্ন! ভালোবাসা?   লুটুপুটি খায়---টাকার উপর!

বস্ত্রবালিকা হয়ে এসেছে নগরে--- এত চাকচিক্য--- এ রূপ--- এত সুধাকর এখানে---সেখানে ---সবখানে
এত কিছু--- একজীবনে এত--- সব তার চাইত না মন--- টুপ করে দরজায় লাগিয়ে সস্তা কোনো পাউডার মেখেই
স্বামীর বুকে মাথা রেখে জোছনা দেখতে চেয়েছিল মেয়েটি!

হয়নি--
হয়নি --
হবেও না কখনো

তাই এখন ---
সূর্য ডুবে গেলে সে একটি করে দিন গোনে--- সপ্তাহে চার কিম্বা তিনদিন শোয়

কত রঙ্গের পুরুষ তাকে চেখে দেখে---

ঘেন্না? আগে হতো--- এখন হয় না--- দিন শেষে কিছু টাকা জমে

তার-তাদের শরীরের ওপর ভর করে রাজনীতিক, নিরাপত্তারক্ষী---দালাল টিকে আছে!

--- কামুক কুপুরুষ---বহুগামি বহু পুরুষের ক্সুধঅ মিটছে!

বুকের ওপর হাত বোলালে শির শির করতো গা --- এখন?
এখন আর অবশিষ্ট নেই কিছু। কবে মিলবে মুক্তি!

ভাবনা---ঘোর-- সময় দ্রুত ফুরিয়ে যেতে থাকে।
আয়নায় নিজেকে দেখে মেয়েটি ---
বহু কিছু তার পাওয়ার কথা ছিল পায়নি সে!
পাবেও না! পাবেও না কিছু আর !

মওলানার দেশপ্রেম আমাদের সবার মাঝে ছড়িয়ে পুড়ুক

মওলানার জীবন যে জাতির জন্য উৎসর্গিত সে জাতি দ্বিধাবিভক্ত। তবে তার জন্ম ও মৃত্যু বার্ষির্কী ঘিরে প্রধান দুই দলই বিবৃতি দিয়ে বলেন- মওলানার আদর্শ অনুসরণ করবার জন্য। বাস্তবে কি তারা নিজেরা মওলানার আদর্শ অনুসরণ করেন? মনে বড় প্রশ্ন জাগে। আজ তার  মৃত্যুবার্ষিকী। গণমানুষের হসপিটাল ঢাকা মেডিকেল কলেজেই তিনি ইন্তেকাল করেছিলেন। কবর হয়েছে গ্রামের বাড়ি সন্তোষের আঙ্গিনায়। 

মওলানা ব্রিটিশ বিরোধি আন্দোলন থেকে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের যে প্রেরণা যুগিয়েছেন। স্বাধীনতা উত্তর কালে সে সময় যে সঙ্কট দেশে তৈরি হয়েছিল; তিনি সাধ্য মত তার যৌক্তিক আলোচনা-সমালোচনা এবং সমাধানের পথ বাতলেছেন বলে বইয়ে পড়েছি। 

তার রাজনৈতিক আদর্শ; আধ্যাত্তিক চেতনা এবং দেশপ্রেম আমাদের নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে পুড়ুক। তাহলে তার শ্রম স্বার্থক হবে। মওলানা বেহেশতবাসি হোন। আমরা দেশের স্বার্থে এক হই। আল্লাহ আমাদের দেশের জন্য এক হওয়ার তৌফিক দিন- আমীন।

প্যারিসে মানুষ মরে সাফ আপনি আইছেন চিনি লইয়া আলাপ করতে!

দেশ প্রেম দেশি মুরগিতে--- কথাটা সত্য। চরমভাবে সত্য। নইলে দেশের চিনি কলে এত চিনি জমা থাকে।! প্রথম আলোর ১৯ অক্টোবরের খবর--- সরকারি ১৫ টি চিনি কলে ১ লাখ ৩৬  হাজার টন চিনি পড়ে আছে। অথচ এ চিনির সাথে আমাদের শ্রমজীবি মানুষের জীবিকা, আখ চাষি এবং কৃষিপণ্যের বাজার জড়িত। সেখানে  বিদেশ থেকে রাখ লাখ টন চিনি আমদানি হচ্ছে।

বিষয়টা যদি এমন হতো যে বিদেশি চিনির চে আমাদের চিনির মান খারাপ তাহলে 'স্বাস্থ্য সচেতন' বাঙালদের সাথে তর্ক করা বৃথা হতো। তা কিন্তু না। চিনির মান ভালো । লাল চিনি এবং ক্যামিক্যালমুক্ত। সহনীয় মাত্রায় ক্যামিকেল দিয়ে সা্দা ধবধেবে চিনি বাজারে ছাড়ে দেশি বিনিয়োগে গড়ে ওঠা বিদেশি চিনির আমদানিকারকরা। যারা কেবল বিদেশি পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে দিনরাত খেটে যাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন আর চিনিযুক্ত মঠেল থাকে সে সব বাজার বিদেশি পণ্যের বাজার সম্প্রসারণ করা কোম্পিনির। দেশিয় চিনির তো বিজ্ঞাপন নাই। নাই  টিকিয়ে রাখার সরকারি ভাবনা। সুতরাং নে বাবা লুটেপুটে খা। আর চিনি বিক্রি না হওয়ার দোহাই দিয়ে আঁখ চাষিদের গলা টিপে ধরা সহজ। ইংরেজ গেছে; তাদের চোষণ তোষণ করা লোকেরা তো যায়নি রে বাপ।

ব্যক্তিগতভাবে  দেশি চিনি কিনি। আমি কিনি মানে-- সবাই কিনবে তাও না। তবে কিনুন না । খারাপ কি।  দামেও বিদেশি চিনির চেয়ে কম। তাহলে কিনতে অসুবিধা কোথায়। যখন দেশের প্রায় দেড় লাখ টন চিনি গুদামে পড়ে আছে---তখন আপনার দিলে যদি একটু দয়া হয়; মন্দ কি।  

অনেকে বলবেন-- প্যারিসে মানুষ মরে সাফ আপনি আইছেন চিনি লইয়া আলাপ করতে-- ভাই প্যারিসের যারা মারা গেছে তারা একসাথেই গেছে। আর আমাদের কলকারখানায় যারা কাজ করছে; শ্রমের বিনিময়ে যারা চিনি নিতে বাধ্য হচ্ছে তারা মরছে ধুঁকে ধুঁকে ---

দেশি চিনি প্যাকেটজাত করেও বিক্রি হচ্ছে। রাজধানীর সুপারশপ আগোরায় ও স্বপ্নে পাবেন--- আখের চিনি নামে প্যাকেটে। অর্গানিক পণ্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান হারভেস্টে পাবেন --- পাবেন  কাওরানবাজান, মতিঝিলে।  দাম প্যাকেট জাত কেজিপ্রতি --- ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা। আর খোলা কেজিপ্রতি ৪০ থেকে ৪৪ টাকা।

ঐশীকে ফাঁসি দিয়ে আদালত সঠিক খুনি সনাক্ত করতে পেরেছেন ?

ঐশীর ফাঁসি আইনিভাবেই রায় হয়েছে; যেহেতু আমি একজন দূর্বল চিত্তের মানুষ; হাই প্রেসারের ওষুধ খাই এবং টেনশন ফ্রি থাকার জন্যও আমার ওষুধ লাগে--- সেহেতু  এ রায় বা বিচার বিভাগ বা সরকার বাহাদুরকে উদ্দেশ্য করে আমার কিছু বলার নেই।
আমার ব্যক্তিগত বিবেচনায়--- ঘটনাটি সিনেমেটিক। আমার সিনামার ওস্তাদ জিকো ভাই এবং তানভির মোকাম্মেল ভাই---দু'জনেই বলছিলেন-- সিনেমা এমন কিছু দেখাতে চায় যা বাস্তবের চেয়ে বেশি। কিন্তু ঐশীর রায়টা দেখার পর তারা তাদের এ বার্তা প্রত্যাহার করবেন--!
ঐশীকে  যদি খুনিও মনে করি ; তারপরেও এ ফাঁসির দণ্ড এবং এর যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন থাকবেই। এ প্রশ্ন আমি করছি না। তবে গণমাধ্যমের  কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া ঐশীর মত ইংরেজি মাধ্যম পড়ুয়া একটা মেয়ে; যার গায়ের রং ফর্শা;  কৈশোরোত্তীর্ণ শরীরে প্যান্ট কেন? এ রকমের আজগুবি গল্প আমরা পড়েছি--- খবরে দেখেছি। কখনো কখনো খবরগুলোকে মনে হয়েছে ফিকশন।
মিডিয়া আজকাল বিরাট এক বিনো্দন। এ বিনোদন মাধ্যমে মজদুর হিসাবে আমিও আছি। তাই মিডিয়াকে আক্রমণ করলে আমার মন খারাপ হয়। তবে মিডিয়া যে অনৈতিকভাবে  ক্লিক, বিক্রি আর টিআরপি বাড়ানোর জন্য  কিছু গল্প তৈরি করে; সেটাকে উড়িয়ে দিতে পারছি না।  এমনকি কাকে কাকের মাংস না খেলেও মিডিয়া মিডিয়ারকর্মীদের মাংস খায়। এটা নিশ্চিতভাবে সাগর-রনি হত্যাকাণ্ডের পর লক্ষ্য করা গেছে।
ঐশী মেয়েটাকে কেন ফাঁসি দেয়া হয়েছে? এটার উত্তর সে তার বাবা মা কে খুন করেছে। বাবা মা কে খুন করা চাট্টিখানি ব্যাপার না। এ ব্যাপার টা তার ভেতরে যারা যোগান দিয়েছে; তাদের কি কোনো বিচার হয়েছে। আইন বলবে-- আমরা তা দেখি না। তাহলে কে দেখবে?  সৃষ্টিকর্তা।  হতে পারে।
-- আইন অন্ধ। আসলে আইন অন্ধ। নইলে বদি বাবা জামিনে থাকে? বাবার অনেক ক্ষমতা-- সেটা আমরা জানি।  তার চালান করা  বাবা গিলে লক্ষ লক্ষ তরুণ অপরাধী।
 টেকনাফ থেকে এক সময় লবণ আসতো--- বিদেশ থেকে এখন লবন আসে। টেকনাফ হয়েে আমাদের জন্য মায়ানমার থেকে আসে রোহিঙ্গা আর ইয়াবা।
 ইয়াবাকে পুলাপাইন আবার বাবা কয়। আসলেই বাবা। বদি বাবার আমদানি করা জিনিস তো বাবাই। যে সব সরকারি কর্মকর্তা আপনাকে আমাকে পেলে চোখ রাঙায় এমন বহু কর্মবকর্তাকে বদি থাপড়াইছে বলে খবরেই পড়ছি। কি হইছে।  কিছুই না। কারণ আইন তো ঘটনাস্থলে হাজির ছিল না। তাছাড়া আইন বানায় কারা বদি, লিটন এ রকম আরো বহু এমপি।
আমরা যখন ঢাকায় আসি ১৯৯৮ সালে-- সে সময় ডাইলে কথা শুনছি; ডাইল পাঠাতো দাদারা। গরুর গোশত হারাম কিন্তু ডাইল হালাল। বাংলাদেশ ব্যাপক চাহিদার ভিত্তিতে সীমান্তের ওপারে বহু  ডাইল কারখানা গড়ে ওঠে।
তারপর ইয়াবা আসছে--- শুনছি। বদি বাবা এটাকে শিল্পে পরিণত করেছে। এ শিল্পকে ঘিরে করে খাচ্ছে জেলে, নৌকা চালক, রাজনীতিক, পুলিশ, আমলা , কামলা আরো অনেকে।
রাস্তা নিরাপত্তা  চেকিংয়ের কালে কারো পকেটে ইচ্ছে হলে ইয়াবা  ঢুকিয়ে  হয়রানির অভিযোগ  উড়িয়ে দেওয়া যায় না।  তবে যারা এ সব  করে টাকা ইনকাম করেন; পরিবার পরিজন লালন করেন-- সে পরিবার পরিজন  কিন্তু আপনার জীবনে কাজে লাগার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
 এ লেখা যদি কোনো পুলিশ ভাই পড়ে থাকেন--- দয়া করে ক্ষমা করবেন। ইয়াবা ঢুকিয়ে দেয়া লোক যেমন আছে তেমনি বাচ্চার স্কুলের টিফিন কিনতে নিজের দু;চারটে সিগ্রেট আর পান  খাওয়ার টাকাও অনেকে বাঁচিয়ে রাখেন।
আপনাদের  দোষ দিই না--- নষ্টের মূল্যে অর্থ-- মানে টাকা। বিত্তবাসনা মানুষকে নৈতিকভাবে দেউলিয়া করছে। এ বাসনা যারা ত্যাগ করতে পেরেছেন; তারা সত্যিকারের জীবন লাভ করেছেন--- সম্ভবত। কেউ চাকুরী নেবার জন্য ;বিনিয়োগ; করেছেন। কারো আবার বিনিয়োগ না করলে রাজনৈতিক কৃতজ্ঞতা  প্রকাশের ব্যাপার আছে। আবার কারো  আমার গোড়াতেই সমস্যা-- উপরি আয় না হলে চলে না।
 ঐশীর কথা বলছিলাম--- ওর জায়গায় যদি একটা ছেলে হতো তাহলে এ হুল্লোড় হতো না। সমাজে মেয়েরা সুবিধা পায় আবার অসুবিধায়ও পড়ে। যেমন ধরেন--- একটা মেয়ে হলে একটা চাকুরি পাওয়া সহজ হয়।  আবার একটা মেয়ে হলে তাকে অরুচিকর গল্প ফেঁদে হেনস্তা করাটাও সহজ।

বলছি না-- ঐশী নির্দোষ। কিন্তু তার সাথে আর কারো দোষ ছিল না-- ভাবতে পারছি না। অন্তত আমাদের মত ক্ষুদ্র --- সীমিত জ্ঞানের মানুষের এ ভাবনা অসম্ভব। যারা বিস্তর জ্ঞান রাখেন -- যারা জ্ঞানের সমুদ্রে হাবুডুবু খান তারা হয়ত ভাবতে পারেন। ঐশীকে ফাঁসি দিয়ে আদালত সঠিক খুনি সনাক্ত করতে পেরেছেন ?  প্রশ্নটা কিন্তু থেকেই গেলো।

আর যারা শত শত ঐশী বানাচ্ছে-- এখনো প্রতি সেকেন্ডে; প্রতি মুহুর্তে  তারা ধরা ছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাবে! কারণ তাদের ;প্রতাপ;তাদের বিত্ত; তাদের উপেরর আশীর্বাদ অত্যন্ত দৃঢ়। অসহায় আমরা। তরুণ প্রজন্ম---ইয়াবা বাবা ডাইল খেয়ে মরে গেলে কি আর বেঁচে থাকলে কি!
 তবে আমাদের নিজেদের উদ্যোগেই সচেতনতার মাত্রাটা বাড়ানো খুব দরকার। পরিজনকে বুঝুন, সময় দিন এবং  এগিয়ে রাখুন। ধন্যবাদ।

শিক্ষক: উপেক্ষা ও উপহাস!

উপেক্ষা করতে পারাটাও এক ধরণের সাহসের ব্যাপার। সে সাহস সরকারি দলের আছে। শীর্ষ থেকে নিম্ন সব পদের লোকই গণমানুষের আশা আকাঙ্খাকে উপেক্ষা করছে-- উপহাস করছে। মানুষ সেটি অসহায়ভাবে দেখছে--- ভাবছে এ দিন কবে ফুরাবে। সে ফুরানোর জন্য অন্য কারো ক্ষমতায় আসার দরকার--- তার চেয়ে বড় কথা ক্ষমতাবানদের শুভ বুদ্ধির উদয় হওয়া দরকার। 

কারণ নিশ্চিতভাবে এদেশের সব মানুষ ' হিজরত ' করবেন না । এখানেই থাকবেন। থাকবেন বলেই আগামী প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য রাষ্ট্র তৈরি করার সবারই দায়িত্বের মধ্যে পড়ে--- যে যেখানেই আছেন; সেখান থেকে এর চেষ্টা হতে পারে। এ জন্য বিশিষ্ট উদ্যোগের দরকার আছে--- তবে সেটি না হলে যে কাজ মোটেও এগুবে না--- তা বিশ্বাস করতে চাই না। 

'শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড'--- ছোটবেলায় পড়েছি। বড় হওয়ার পর দেখছি এটা ভুল! কারণ মেরুদণ্ড  যদি শিক্ষাই হবে--- তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের  সর্বোচ্চ ডিগ্রি নিয়ে রাজনীতি করা লোকেরা শিক্ষকদের নিয়ে তাচ্ছিল্য করেন কীভাবে। তারা  কীভাবে বলেন-- অনেক পেয়েছেন; এবার থামেন। তিন চার জায়গায় পড়ান , সব কামাইয়ের খবর আছে। কিভাবে প্রশ্ন ফাঁস করে টাকা কামান। চাকুরীর দেওয়ার নাম করে হাতিয়ে নেন লাল লাখ কোটি কোটি টাকা।  

তিন চার জায়গায় পড়ানোর শিক্ষক আসলেই আছে--- এটা মিথ্যা নয়। তবে সেটি কত সংখ্যক ; সেটাই একটা বড় প্রশ্ন। সে প্রশ্নটাই আমার মনে ঘুরপাক খাচ্ছে। কিন্তু এটা নিয়ে কথা ভাবার লোকটি এখন শিক্ষামন্ত্রী। যিনি অত্যন্ত প্রজ্ঞাবান কলাম লেখক--- তবে সরকারের বাইরে থেকে জ্ঞান বিতরণ আর ভেতরে থেকে বাস্তবায়নের তফাৎটা তিনি এখন বুঝছেন হয়ত!

প্রশ্নপত্র ফাঁসের কলঙ্ক তার কপালে চকচক করছে। এ চককে কলঙ্ক আমাদের মেরুদণ্ড তৈরিটাকে আরো পিছিয়ে দিচ্ছে।  জাতি কিছু মেরুদণ্ড হীন কর্পোরেট দাস পাচ্ছে--- কিছু অনুগত সম্বাদিকও পাচ্ছে। কর্পোরেট দাসরা দেশের স্বার্থের চেয়ে সাময়িক প্রাপ্তিতে উত্তেজিত। আর সম্বাদিকরা ---- একটা কঠিন স্বপ্ন নিয়ে  বাম রাজনীতিকদের মত জীবন শুরু করে মাঝপথে জীবন বাস্তবতায় থমকে থাকেন; মাথা নুয়ে কথা বলেন।  রাজনীতিকদের অুনগত হন আর  সত্য প্রকাশে ভীরু হয়ে পড়েন। বলে কী লাভ জাতীয় বয়ান তাদের  মুখে। 

তবে দু ক্ষেত্রেই কিছু ব্যতিক্রম তো আছে। না হলে আমরা টিকে আছি  কীভাবে। 


 একটি সুপার স্টোরে  আজ সকালে একটা ছোটদের গল্পের বই পড়ছিলাম-- তাতে  পিতা তার মৃত্যুর আগে  তিনপুত্রকে ডাকলেন।  প্রথমজনকে আটার কল। দ্বিতীয়জনকে গাধা এবং শেষ জনকে  বিড়াল উপহার দিলেন--- বিড়াল পেয়ে বেদনাহত  ছোট পুত্র। ভাবছিলেন তিনি এ বিড়াল দিয়ে কী করবেন? বিড়াল তাকে বুদ্ধি বাতলে  রাজকন্যার সাথে বিয়ের বন্দোবস্ত করে দিল--- সে এক বিরাট ইতিহাস বটে। 

এ সব রূপকথার গল্প এখন সত্য! কখনো কখনো অতি সত্য।  কারণ জগত চলছে 'চালাকি'তে। সে চালাকি করে কে কত উপরে উঠবে সেদিকেই নজর। 

এতে দোষের কিছু  আছে বলে আমি সেটার দাবি করতে চাচ্ছি না। 

আমার কষ্টের জায়গাটা ভিন্ন। শিক্ষকদের বেতন আর আমলাদের বেতনের মধ্যে একটা ফারাক থাকছে। এতে শিক্ষকরা মর্মাহত।  প্রাথমিক শিক্ষকরা দেখলাম রাস্তায় ঘুরছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের  দুই শিক্ষক পিতা তাদের সন্তান হারিয়ে কাঁদছেন।  একজন বলছেন, 'বিচার চাই না। '  তার এ প্রতিবাদের ভাষাও বুঝতে পারেনি আমাদের অক্ষম রাজনীতি। 

আমরা সবাই বলছি--- এ অস্বাভাবিক কি হে।

নগর পুড়লে কি দেবালয় এড়ায়! এড়ায় না। তবে আমরা বিশ্বাস করতে চাই না; নগর পুড়ছে। আমরা বিশ্বাস করতে চাই শিক্ষকরা তার প্রাপ্য সম্মান পাবেন। 

সেটা যে সরকারই ক্ষমতায় থাকুক না কেন। 

বছর কয়েক আগে খাগড়াছড়ির  লক্ষীছড়ির এক চা দোকানের কোনায় বসে কথা হচ্ছিল--- দশরথ চাকমার সাথে। লম্বাটে চোয়ল আর তীক্ষ্ণ চোখ। হাসতে হাসতে বললেন-- দা্দা ছেলেপুলেকে পড়িয়ে চাকুরী দিয়ে দেন; অশান্তি থাকবে না।   এরশাদ সরকারের সময় উপজেলায় চেয়ারম্যান ছিলেন দশরথ। বললেন--- ঠিক মত পড়াতে পারিনি বলে আমার ছেলে এখন গাড়ি চালিয়ে জীবিকা অর্জন করছে। তবে আমি তাকে সুশিক্ষা দেবার চেষ্টা করেছি--- 'শ্রম দিয়ে খাও।' শ্রম না দিয়েও অনেক উপার্জনের ব্যবস্থা আছে। 

আমি আমার সন্তানদের সেটা  উপেক্ষা করতে শিখিয়েছি। 

দশরথরা দেশের আনাচে কানাছে আছেন; তাদের জাগিয়ে দিন--- শিক্ষকদের সম্মানটা দিন। নৈতিক শিক্ষা; অন্যায় অবিচার নিয়ে প্রাণ খুলে কথা বলতে দিন তাহলে চাপাতি, বন্দুক , পেট্রোলবোমা আর রক্তারক্তির অবসান হবে।  

আসুন আজ যে শিশু পৃথিবীতে এসেছে তার তরে আমরা একটা সাজানো বাগান রচনা করি। আমরা যেন নতুন প্রজন্মের কাছে না শুনতে হয় তোমরা সব লুটেছো; তার মাশুল দিচ্ছি আমরা। শুভ হোক সবার প্রতিক্ষণ।  

বিবদমান সমাজে; সঙ্ঘাত- সহিংসতায় ডুবতে থাকা দেশের চিত্র আবুল কাসেম স্যাররা আগে থেকে দেখতে পান

মুজাহিদ আর হানিফ--- মুদ্রার এ পিঠ ওপিঠ। দল হিসাবে ---আম্লীগ আর জমাতও একই। কেবল  জমাতের লেজে ইসলাম আছে। আম্লীগের  মাঝখান থেকে মুসলিম কাট হইছে।

তো হানিফ স্যার  কাসেম স্যারের ভাষা বুঝবো; তার প্রতিবাদের ধরণ অনুধাবন করতে পারবো--- এটা আমরা ভাবি ক্যামনে। এটা আমাদের ভাবনার দৈন্যতা। হানিফ স্যার তো আম্লীগের--- সঠিক ডেলিভারিটা দিছে। আম্লীগ সরকার চালায়--- তারা তো বিচারের বাঁশি বাজাবে। সে বাঁশির শেষ হবে; এটা তো উনি বলেন নি। উনি ভাবছেন, আবুল কাসেম স্যার আমাদের মত ভীরু , অসহায় 'আবুল'দের মত বুক চাপড়াবেন আর বলবেন--- 'আমি আর কিচ্ছু চাই না! খালি পুত্র হত্যার বিচার চাই।'

বিবদমান সমাজে; সঙ্ঘাত- সহিংসতায় ডুবতে থাকা  দেশের চিত্র আবুল কাসেম স্যাররা আগে থেকে দেখতে পান--- সতর্ক করেন--- বিবাদ মেটানোর জন্য লিকে যান অবিরত--- তাদের অর্থ বিত্ত গড়া--- রাজ প্রাসাদে  অবতরণের তকু স্বপ্ন ছিল না। নিশ্চিতভাবে ছিলনা বলেই তিনি একজন নির্মোহ সমাজ বিশ্লেষক; সাহিত্য পড়ান বলে তাদের 'উন্নাসিক' মনে করার কারণ নেই।  সমাজ-রাষ্ট্র-রাজনীতির  হৃদস্পন্দন শুনতে পান বলেই তিনি আবুল কাসেম ফজলুল হক। আর  মানুষের হৃদ স্পন্দন নয় ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার জন্য নিত্যকার বয়ানের জন্য  হানিফ স্যার !---

আলি আহসান মুজাহিদ যে রকম বলেছিল---  'দেশে যুদ্ধাপরাধী নেই'। একই রকম বলছেন, হানিফ--- 'সবাই বিচার চায়। কিন্তু এই শিক্ষক পিতা বিচার চাইছেন না ! তিনি তার মতের লোকদের বক্ষা করতে চাইছেন।' বলবেনই তো। তার দলের  টিকে থাকার প্রয়োজনে তিনি সব বলবেন--- এটা দোষের কিছু না।

আবুল কাসেম ফজলুল হক কমিউনিজমে বিশ্বাস করেন বলে জানি; আমার সাথে তার খুব কম কথা হয়েছে। দু চারবার রিপোর্টের প্রয়োজনে কমেন্ট চাইতে গিয়ে যা আলাপ--- এমনই।   তিনি এবং সমাজ বিজ্ঞানের সা'দ উদ্দিন স্যারকে আমার মনে হয়েছে রাজনৈতিক আদর্শ তারা যেটিই ধারণ করুন না কেন--- সমাজ বিশ্লেষণটা তারা করেন--- একেবারেই আম জনতার নাড়ির স্পন্দন শুনে।

রাজনীতিবিদদের কথা এ রকমই তো হয়! ম্যাকিয়াভ্যালি  এটাকে জায়েজ করে গেছেন বছর ৫০০  আগে।  এটা নতুন কিছু না। হয়ত ম্যাকিয়াভ্যালির সময় ফেসবুক---ব্লগ ছিল না বলে এত সমালোচনা তোলপাড় হয়নি।  তবে এ যুগে  তার চিত্রিত রাজনীতিকরা সোস্যাল মিডিয়ায় একটু সমালোচিত হচ্ছেন; এটা তেমন কিছু না!

তবে জনাব যদি ক্ষেপে যান; তাহলে ৫৭ কার্যকর করে দেবেন। তখন কিন্তু আমগো মত সমালোচনকরা সবাই লেজ গুটিয়ে বলবেন--- আ হানিফ ভাই ; মাফ করে দ্যান । ভুল অইছে। আমরাও তো মানুষ! আদতে আমরা অমানুষ!

এত রক্তপাত ; এত অনাচার আর বইতে পারছি না ---প্রভু

আলো চাই 
নি:শ্বাস নেবার মত বায়ু;
আর যে পারছি না প্রভু । 
এত হামলা ; 
এত রক্তপাত ; 
এত অনাচার আর বইতে পারছি না ---
আমরা ।
ক্ষমা করো প্রভু।।

পাকিস্তান বানাতেই এত ধ্বংস লীলা !

একাত্তরের মানুষ রক্ত দিয়েছে ‪ পাকিস্তানকে‬ পরাজিত করে স্বাধীন ‪বাংলাদেশ‬ সৃষ্টি করার জন্য । এখন ‪রক্ত‬ পিপাসু হায়েনারা দেশটাকে পাকিস্তান বানাতে যার পর নাই ধ্বংস লীলা চালিয়ে যাচ্ছে । ‪‎সরকার‬ বলছে ‪তদন্ত‬ হচ্ছে ! কবে শেষ হবে এ সব তদন্ত। কবে বিচার । কেবল হামলা-মৃত্যুর সারি লম্বা হচ্ছে ।
‪‎বিচার‬ কি ‪‎রাজনীতির‬ বাইরের মানুষের কপালে জোটে? 
‪ইতিহাস‬ সাক্ষ্য দেয়, জোটে না ।
এত রক্তের ওপর পা চালিয়ে কোন ‪‎সুখ‬ পেতে চায় নরাধমরা । জানবার বড় ইচ্ছা ।
তবে সব জানার ‪ইচ্ছা‬ প্রকাশ করাটাও বিপদের । তবুও মুখটা বন্ধ রাখা মুশকিল ।
বিপরীত মতের কথা বলে এ সব ‪হামলাকে‬ গোড়াতেই ভিন্ন পথে না ঠেলে অপরাধীদের ধরে একটা শাস্তিমুলক পদক্ষেপ দেখার জন্য আর কতদিন ‪‎অপেক্ষা‬ করতে হবে?

আত্মহত্যার জন্য তাগাদা দিয়েছে সংসদীয় কমিটি!

আত্মহত্যার জন্য তাগাদা দিয়েছে সংসদীয় কমিটি! চমকানোর কিছু নেই; ঘটনা সত্যি। রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ এগেয়ে নেয়ার জন্য  তারা এ তাগাদা দেয় বরে খবর বেরিয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনে দশম জাতীয় সংসদের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি’র ১৬তম বৈঠকে এই তাগিদ দেয়া হয়। এতে কমিটির সভাপতি মো: তাজুল ইসলামের সভাপতিত্ব করেন। (সূত্র: প্রিয় ডট কম)

রামপালে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র হলে কত রকমের ক্ষতি হবে তা নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। বার বারই বলা হচ্ছে  বিদ্যুৎ আমাদের দরকার আছে তাই বলে আমরা আত্মহত্যা করতে পারি না।

সুন্দরবন আমাদের একটাই। হাজার বছর ধরে ভাটি বাঙলার সুরক্ষা করে আসছে এই সুন্দরবন। তার কোলেই কেন এ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বানাতে হবে; তা নিয়ে আমরা কেন ভাবছি না।  এটাও একটা বিস্ময়ের ব্যাপার।

ভারত এ প্রকল্পের সহযোগি বলে কারো কারো বিরোধিতার দিকে সরকারের ইঙ্গিত আছে। তর্কের খাতিরে আমরা যদি এটাকে ঠিক বলেও মানি; তাহলেও কি প্রশ্ন আসে না---ভারত কি এমন একটা উদ্যোগ তার  সুন্দরবন অংশের কোথাও নেবে। নেবে না। নিশ্চিত করেই বলছি নেবে না।

ভারত কত ক্রিটিকালি সব কিছু চিন্তা করে--- একটা উদহারণ দেই--- নিজের দেশের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন দমাতে  তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করতে সেভেন সিস্টারে  বাংলাদেশ থেকে ব্যান্ডউইথ আমদানি করতে চুক্তি করেছে বাংলাদেশের সাথে। কিন্তু নিজ দেশের নিরাপত্তা রক্ষীদের নিরাপত্তা ছাড়পত্র না পাওয়ায় এখনো জলের দামে কেনা ব্যান্ডউইথ তারা নিতে পারছে না।

বাংলাদেশের কোনো নিরাপত্তা বাহিনী কি ব্যান্ডউইথের কারণে আমাদের নিরাপত্তা হুমকিতে পড়তে পারে এমন একটা কোশ্চেন করেছেন। করেননি। করলে হয়ত তাদের আমরা বেকুব বলাতাম!  ভারতরে নিরাপত্তা রক্ষিরা ঠিকই কিন্তু এটা নিয়ে গবেষণা করছে।

ভারতকে ফাইবার টেনে আমরা আগরতলায় ব্যান্ডউইথ দিয়ে আসবো--- তাও কম দামে। তা নিয়ে পর্যন্ত আলোচনা মানা। সেখানেও ভারত গড়িমসি করছে।

সেখানে আমাদের দক্ষিণাঞ্চলের  রক্ষাকবচ; প্রাকৃতিক দূর্যোগের কালে আমাদের সবচেয়ে বড় বন্ধু---- সুন্দরবনকে হত্যার এ কৌশল এমনি এমনি নিয়েছে ভারত? এ প্রশ্নটা  আসতে পারে।

রামপাল ছাড়া কি তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বানানোর জন্য আর জায়গা নাই। খুলনার অন্য কোথাও কি নেই। পারলে  উত্তর বঙ্গে গিয়ে আরেকটা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বানান?  ফারাক্কা বাঁধ আর গজল ডোবায় তিস্তার পানি আটকে রেখে তো পুরা উত্তরবঙ্গ মরুভূমি বানিয়ে ফেলেছেন। তো সেখানে বিদ্যুৎ কেন্দ্র হতে পারে না; তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র। হতে পারে না। কারণ হলো নদীর সব পানি আটকে নদী মেরে দিয়েছেন মনমহন, শন মহন আর মোডি কাকুরা। তা কাঁচামাল নেবেন কেমনে। রাস্তারও তেরটা বেজে আছে।

 তো রামপাল।

 ফারাক্কার প্রভাবে এমনিতেই সুন্দরবনের শিরা উপশিরার নদী গুলোর পানি নোনতা হয়ে আছে। বাড়তে আছে নোনতার আধিপত্য। তার ওপর এখানে ট্রলার চলবে, কাঁচামাল আসবে, ছাই উড়বে আর  সুন্দরবন ধীরে ধীরে আক্রান্ত হবে ক্যান্সারে। মরে যাবে চোখের সামনে। কিছু নরাধম সে জমি দখল করে ঘের বানাবে।

পরিবেশবাদিদের প্রতিবাদের মুখে সরকারের অধিদপ্তর ---ইনভায়রনমেন্টাল ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট (ইআইএ) প্রতিবেদন দিয়েছে। সে অনুযায়ী ১৩২০ মেগাওয়াটের এ প্রকল্পের জন্য বছরে ৪৭ লাখ ২০ হাজার টন কয়লা পোড়ানো হবে।

যেখানে ১ টন কয়লা পুড়লে ২ দশমিক ৮৬ টন কার্বন ডাই-অক্সাইড তৈরি হয়। সেই হিসাবে এই প্রকল্প ৮০ শতাংশ লোড ফ্যাক্টরে উৎপাদন করলেও বছরে ১ কোটি ৮ লাখ টন কার্বন ডাই-অক্সাইড উৎপন্ন হবে। যদিও সরকারের প্রতিবেদনে সুপার ক্রিটিক্যাল পদ্ধতি ব্যবহার করায় উদ্যোক্তাদের হিসাব মতেই, ৭৯ লাখ টন কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস উৎপন্ন করে বাকি কার্বন ফ্লাই অ্যাশে যোগ হবে বলে ধারণা দেয়া হয়েছে।

উদ্যোক্তাদের হিসাব সঠিক বলে ধরে নেয়া  হলেও প্রশ্ন থা্কছে--- ৭৯ লাখ টন কার্বন ডাই-অক্সাইড কী কম ক্ষতিকর! যত উঁচু চিমনিই ব্যবহার করা হোক না কেন বাতাসের চেয়ে ভারী এই গ্যাস তো এই দেশেই ফিরে আসবে, ফিরে আসবে সুন্দরবনের বুকে।

বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে প্রতিদিন প্রায় ১৪২ টন বিষাক্ত সালফার ডাই-অক্সাইড (বছরে ৫১ হাজার ৮৩০ টন) ও ৮৫ টন বিষাক্ত নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (বছরে ৩১ হাজার ২৫ টন) নির্গত হবে। বিপুল পরিমাণ বিষাক্ত গ্যাস সুন্দরবনের বাতাসে সালফার ডাই-অক্সাইড ও নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইডের ঘনত্ব বর্তমান ঘনত্বের তুলনায় কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়ে গোটা সুন্দরবন ধ্বংস করবে--- তারপরেও সন্দেহ জাগে!


হুমম । আসেন আত্মহত্যা করি।

তাজিয়া মিছিলে বোমা:: মানবতাবিরোধী এ অপরাধের বিচার হতে হবে !

ভারাক্রান্ত মন---তাজিয়ায় বোমা পড়েছে। আম্লীগ ক্ষমতায় আসলে বোমার সংস্কৃতির বিস্তৃতি--- এমন অভিযো্গ পুরনাে। ১৯৯৬ সালে ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার সহিংস আন্দোলনের মাধ্যমে দলটি ক্ষমতার দেখা পায়--- সঙ্গী গোলাম আযম;নিজামী;মুজাহিদ।  সে সময় সিনেমা হল থেকে  শ্রেণী শত্রু খতমের ডাকে সম্মিলিত মঞ্চেও বোমা পড়ে। উদিচী, রমনা বটমূল থেকে--- পল্টন--- সবখানে মুড়ি মুড়কির মত বোম ফুটে।

১৯৯৮ সালের দিকে  রাষ্ট্রের খরচায় বের হওয়া পুস্তিকায় জানান দেয়া হয়, জঙ্গীর চাষবাষ হচ্ছে। আম্লীগ জঙ্গি খতম করতে সহায়তা চায়। ক্ষমতায় টিকে থাকার সহায়তা! এর মধ্যেও ২০০১ সালে মানুষ তাদের বিদায় জানায়!

সময় বদলাতে থাকে। ২০০৭  মঈন-ফখররা  ক্ষমতায় আসে। জঙ্গির আওয়াজটা তখন কমে আসে। বিম্পির শেষ অমলে ধরা বাংলাভাই ও শায়খ রহমানের ফাঁসি হয়।  তারপর ২০০৯ । ক্ষমতার পালাবদল। আম্লীগ ও তার সহ-মিত্ররা ক্ষমতায়।  সব ভালোই চলছিল! ৫ জানুয়ারী ২০১৪। বিপুল ভোটে বিনা প্রতিদ্বন্ধীতায় মানুষ জঙ্গবিরোধী রায় দেয় বলে ঘোষণা দেয় সরকার বাহাদুর।

 ২০১৫। বয়স হচ্ছে আমাদেরও। আছে ৫৭ ধারা। আছে ভোট নয়; উন্নয়ন নিয়ে বিদেশীদের আগ্রহের মন্ত্র। এ সবে আমাদের কিচ্ছু যায় আসে না।

ভোট দিয়া কি করমু;  নিরাপত্তাটা জরুরী। তাই ৫ জানুয়ারি কেন আরো কিছু হলেও আমাদের কোনো আপত্তি নেই। জঙ্গী নির্মূল হলেই আমরা তুষ্ট-সন্তুষ্ট!  আশায় ছিলাম জঙ্গী নির্মূল হবে। এই ট্যাবলেটটা আর মানুষের জীবন-জীবিকা-ভোট-নিরাপত্তা বিপন্ন করবে না। সে আশায় গুঁড়ে বালি!

বাংলাদেশে জঙ্গিতে ভরপুর। সে শঙ্কা উড়িয়ে দেবার মত নয়। মনমহন বাবুর বিশেষ দূত হিসাবে ২০১৩ সালের শেষে সুজাতা আপা আসলেন। এরশাদ কাকুর সাথে দেখা করে কইলেন--- সমর্থন দিন। নইলে জঙ্গিরা ক্ষমতায় আসবে।

 ভালো কথা।  সমর্থন আদায়ে ব্যর্থ হলে--- কাকুর স্থান সিএমএইচ। কাকুর উপদেষ্টা লন্ডনে।  আর বিনা ভোটে  প্রায় অর্ধেক লোক এমপি বন গিয়া।

তাতে আমার মত আম পাবলিকের আপত্তি নাই।   দেশ তো আমার একার না। সবার যদি সয়--- আমার সইবে না কেরে। আমি কোন...।

সে যাউক গা--- পয়লা বৈশাখ আইলো--- টিএসসিতে কামুক কু--নরাধমরা নারীর শরীর নিয়া ছিনিমিনি খেললো।  দাড়ি তত্ত্ব আবিষ্কার হলো। চূড়ান্ত বিচারে এর কোনো ফল হলো না। ছাত্রলীগের কতিপয় 'নরাধম' আটক হয়েছে!

নারীবাদীরা ক্লান্ত--- অবসরে আছেন।  আসলে তাদের তো বয়স হয়েছে। আর কত চিল্লাবে।  তাছাড়া আম্লীগ একটা প্রগতিশীল সরকার। তাদের কোনোভাবেই ঘাটানো উচিৎ হবে না।


ভালো---

 অক্টোবর মাসে শোর উঠলো পশ্চিমে--- বঙ্গদেশে আইএস।  সরকার নাকচ করলো। এতদিন আমরা জনগণ যা বলতাম, সরকবার তাই বললো--- এখানে জঙ্গি নাই। এ ভাটি বাংলায় জঙ্গির চাষ সম্ভব না। যার পর নাই খুশী হলাম-- সরকার বাহাদুর  জণগণের হৃদ স্পন্দ শুনতে পাচ্ছেন !

তবুও ইউএস'র দূত বার্ণিকাট বললো--- আইএস আছে । দমনে সহায়তা দিতে চায় তার সরকার! তাকে সাপোর্ট করলো আমাদের নিরাপত্তা রক্ষীরা। কারণ তারাও তো সমস্যায়! সরকার বাহাদুরের ঘোষনার আগেই  নিরাপত্তা রক্ষীরা  কয়েকজনকে আইএস বলে মামলা ঠুঁকে দিয়েছে।

আর আজকাল তো ধর্মীয় কেতাব জঙ্গি গ্রন্থে রূপান্তর হয়েছে---

আমাদের  কিশোর বেলায় নিষিদ্ধ বই বলতে রসময় গুপ্ত; সচিত্র কামসূত্র, সবিতা ভাবি কমিকস।  এখন নিষিদ্ধ বই বলতে ধর্মীয় বই পুস্তক।  এ সব অনেক উস্কানিমূলক। লেখকের নাম ধরেও উস্কানিমূলক ধরা হয়।  এ রকম একটা বিতিকিচ্ছিরি অবস্থার মধ্যে যাচ্ছে সময়---।

--- আসল কথাটা বলে নিই বছর ৪শ হলো এ বঙ্গ দেশের।  এখানে কোনোদিন তাজিয়া মিছিলে বোমা পড়েছে;সশস্ত্র সঙ্ঘাত হয়েছে--- আল্লাহর কমস আমি শুনিনি।  হোসেনি দালানের পাশেই আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম এক বছর কেটেছে। বহুবার গিয়েছি। কখনো মনে হয়নি এ মানুষগুলো অশান্তি চান!শিয়া মতাবলম্বীদের উপর কারো ক্ষোভ আছে! তাও মনে হয়নি।

শিয়া-সুন্নী, আহমদিয়াদের নিয়ে বকশিবাজার। এখানে সম্প্রীতি ছিল সব সময়।  এখনো আছে। কিন্তু তাজিয়া--- নবী সা: এর নাতিদের হত্যার শোক ঘিরে মাতম---  নবী প্রেমিকদের এ শোকায়োজনে হামলা--- স্তম্ভিত হয়ে গেলাম।

মুসলিমদের ভেতর সংকীর্ণতার চাষবাস! কারা বলছে- তুমি সুন্নী, তুমি শিয়া, তুমি আহলে হাদিস , তুমি সালাফি, তুমি ওয়াবি--- আমি নিশ্চিত করে বলি এবং বিশ্বাস করি---  আমরা সবাই মুসলিম। মুসলমানের রক্ত অহিংস। মুসলমানরা কখনোই কারো ওপর হামলা করতে পারে না। হামলা করে না। হামলার ইতিহাস নাই।

তাহলে কেউ বলবেন-- বিন লাদেন, জাওহারি তারা কে? তারা কুরআনের বর্ণনা মানলে  মুমিন-মুসলিম নয়।  মুসলিম কখনো  হত্যা--রক্তপাত --- সহিংসতায় বিশ্বাস করে না। প্রাকটিসও করে না। যারা ইসলামের নামে ধর্মের নামে এ সব করে তাদের ইসলাম নিজের বলে কবুল করে না।

কেবল নাম মুসলিমের হলে তো মুসলিম হওয়া যায় না।

'কুরআন বিশ্বাসীদের জন্য পথ নির্দেশক'--- কুরআনেই এ কথা বলা হয়েছে। যারা বিশ্বাসী নয় তাদের জন্য এ নিয়ে আলাপ নেই। তাই মুসলিম হওয়ার প্রথম কথা হলো  আল্লাহ, তার নবী সা: , ফেরেশতা; শেষ বিচার ও জান্নাত এবং জাহান্নামে বিশ্বাস স্থাপন  করতে হবে।

শিয়া সম্প্রদায়ের তাজিয়া মিছিলের এ শোকের মাতম --- তাজিয়ায় হামলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এটা কোনোভাবেই মানুষের কাজ  করতে পারে না।

 আমরা পাকিস্তান নই, আফগান নই, ইরাক নই, সিরিয়া নই--- কিন্তু আমরা সে পথে হাঁটছি। আমাদের এখন এ সব দেশের সাথেই তুলনা করা হচ্ছে।

এ ভাটি বাংলায় বেড়ে ওঠার মানুষের মন  মনন এবং মেধা কুপথে চচির্চত নয়। খুব অল্প কিছু ব্যতিক্রম থাকতে পারে। ব্যতিক্রম কখনো উদাহরণ নয়। তাজিয়া মিছিলে বোমা হামলায় অপরাধীদের ধরে শাস্তি নিশ্চিত করা জরুরী। এটা মানবতাবিরোধী ঘৃণ্য অপরাধ। এ অপরাধের বিচার হতে হবে।

আইএস, উবামা, পুটিন এবং কামুক কমিক




কামরস সমেত আইএস যখন মিডিয়ায় খুব প্রচার পাচ্ছে তখন আমার গা শির শির করছিলো। বয়স ছত্রিশ কিন্তু আইএস 'যোদ্ধা'রা তার চে কম বয়সে অল্প বয়সী তরুণীর  কুমারিত্ব হরণ করছে--- সেটা আবার আম্রিকান টিভি চ্যানেলে বর্ণণা সমেত প্রচার পাচ্ছে। শুনতে, দেখতে এবং পড়তে সবারই  ভালো লাগছিল।

আইএস নামটাও দুর্দান্ত। মোছলমানদের জন্য খেলাফত তরিকা লইয়া হাজির হলো। এ হাজিরায় অনেক অর্থকড়ি ও অস্ত্র সমেত 'মুজা হিদ 'রা  ধর্মের 'খেদমত' করতে  শুরু করলেন। সে খেদমতের কখসারতে মুছলমান নাম আছে এমুন লোকজনের অবস্থা এখন এমুন যে, তারা বারেক হুসেনের মত নাম ধর্ম বদলায়া ফেলতে পারে বাঁচে অবস্থা!

লাদেন কিচ্ছা খতমে উবামা মুষড়ে পড়ার পর  তার চেলাচামুণ্ডারা চিন্তিত অইয়া গেলো; আরে এই আধুনিক জামানায়, সুখ পেতে ইচ্ছুক তরুণদের মধ্য থেকে মোছলমান তরুণদের দিয়ে নতুন একটা প্লট তৈরি করতে হবে না--- নয়া জঙ্গি জন্মাতে বেশি সময় নেয় না। কারণ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধটা দীর্ঘ না করলে ব্যবসা পাতি নাই।

যৗেনতা, রূপবতী তরুণী আর আইএস এর  নিত্য নতুন  দখলদারিত্ব, সব ছিড়ে তাল করার গল্প মিডিয়া প্রপাগাণ্ডায় বিশ্বের আনাচে কানাছে ছড়িয়ে যেতে থাকে।

'ইসলামে'র ঝাণ্ডা উড়াইবার আইতাছে আইএস। সুতরাং তাদের সাফল্য কামনায় কিছু বিভ্রান্ত তরুণও যুক্ত হয়।  যুক্তরাজ্য থেকে কিছু ভার্জিন তরুণী  আইএস যোগ দিতে গেছে; সেটা বিবিসি'র খবর মারফত জেনেছেন অনেকে। আইএস' এ তরুণীদের আগ্রহ  নিয়ে রসময় বিবিসি বাংলার রিপোর্ট্ও এ বঙ্গীয় পাঠক পড়েছে।

 রুট হিসাবে তুরস্ককে দেখিয়ে তাদের চাপে রাখা; মধ্যপ্রচ্যের ক্ষমতার পালাবদল এবং ইজিপ্টে নয়া কৌশল মিলিয়ে আমেরিকা আধিপত্য বাদ বেশ ভালোই সময় পার করছিলো।

 সেই সাথে বঙ্গীয় জঙ্গী জপ গোষ্ঠী আইএস খুঁজে পেয়েছে। ধরেছে জনা কয়েক। কিন্তু যখন সব পশ্চিমা এক সাথে রা করলো বঙ্গদেশে জঙ্গি। তখন জঙ্গিতে আরাম পেতে থাকা সরক্কার বাহাদুর নড়ে চড়ে বসলো।  না এখানে জঙ্গি নাই। কিন্তু নিরাপত্তারক্ষীরা  এটা মানতে নারাজ। জঙ্গি আছে।

 এমনকি  মহামান্য প্রেসিডেন্ট থেকে প্রধানমন্ত্রী সবাই এক বাক্যে কইলো দেশে আইএস তো দূরের কথা জঙ্গিবাদ নিশ্চিহ্ণ। সুতরাং এ অভিযোগ ভুয়া।  তারপরেও খবর হলো আইএস আছে। জঙ্গি আছে-বঙ্গে।

আমি ব্যাক্তিগতভাবে এর সাথে একশত ভাগ একমত এবং বিশ্বাস করি বঙ্গ দেশে জঙ্গি চাষ সম্ভব না।

কেন সম্ভব না; তা লইয়া আমার একখান পুরনো লেখার লিঙ্ক এখানে---http://www.somewhereinblog.net/blog/neelgiree/30016295


যে কথা কইতে আইলাম তাই তো কওয়া অইলো না।

সবাই ভাবছে রাশিয়ান ভদকা আর রেড ওয়াইনের মেয়াদ শেষ ---ঘটনা এ টুকু হলে ঠিক ছিল। কিন্তু ভদকায় ঝিম মেরে থাকা রাশানরা যে নড়ে চড়ে বসবেন তা বুঝি উবামার তথ্যের বাইরে ছিল? সেটাও অবিশ্বাস্য। তবে পুতিন মামা কামটা ভালোই করছেন। চুদির ভাই আইএসকে  মারার কামটা শুরু করছেন।

 মুসলমান মারলে সওয়াব আছে--- এ ফরমুলায় আমেরিকা আর রাশিয়া এক। কোনো সন্দেহ নাই। কিন্তু ফাগুনেরই আগুন দিয়া তিলে তিলে আমরিকানদের মোছলমান মারার কামটা দীর্ঘদিন জারি রাখার বদলে রাশিয়ার কারণে কামডা তাড়াতাড়ি অইয়া যাচ্ছে বইলা চিন্তায় আছে উবামা।

তাই এ বঙ্গে বারনিকাট সরকার প্রধানের আইসএস নাই বক্তব্যের পরেও তা দমনে সহায়তার কথা বলেন।

আহা মরি মরি---

 এত রস কুতায়।  এখানে আইএস এর  শরীর গরম করা তরুণী নাই বার্ণিকাট হয়ত জানেন। তার তথ্য অফিসাররাও তাকে সঠিক তথ্য দিতে পারেন না।  কারণ জঙ্গির ট্যাবলেট বিক্রি বন্ধ হয়ে গেলে ব্যবসা থাকে না। বড় মন্দা যায় রে পাগল!