রোহিংগা সংকট সমাধানে জাতিসংঘের জরুরী হস্তক্ষেপ চেয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতিকে প্রফেসর ইউনূস ও আরো ২২ জনের খোলা চিঠি

রোহিংগা সংকট সমাধানে জাতি সংঘের জরুরী হস্তক্ষেপ চেয়ে জাতি সংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতিকে প্রফেসর ইউনূস ও আরো ২২ জনের খোলা চিঠি
প্রিয় নিরাপত্তা পরিষদ সদস্যবৃন্দ,
আপনারা অবগত আছেন যে, জাতিগত নিধন ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধতূল্য একটি মানবীয় বিপর্যয় মিয়ানমারে বিস্তৃতি লাভ করছে।
গত দুই মাসে মিয়ানমার সেনাবাহিনী কর্তৃক রাখাইন প্রদেশে যে সামরিক আগ্রাসন চালানো হচ্ছে তাতে শত শত রোহিংগা নাগরিক হত্যার শিকার হচ্ছে। ত্রিশ হাজারেরও বেশী মানুষ এর ফলে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। বাড়ীঘরে অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে, নারীদের ধর্ষণ করা হচ্ছে, বেসামরিক মানুষদের নির্বিচারে আটক করা হচ্ছে, শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে। আরো ভয়ের ব্যাপার, মানবিক সাহায্য সংস্থাগুলোকে সেখানে প্রবেশ করতে বাধা দেয়া হচ্ছে, যার ফলে আগে থেকেই চরম দরিদ্র এই এলাকাটিতে মানবীয় সংকট ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। হাজার হাজার মানুষ নিকটবর্তী বাংলাদেশে পালিয়ে যাচ্ছে যেখান থেকে তাদের ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। কোন কোন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ ঘটনাটিকে গণহত্যাতুল্য বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। নিকট অতীতে রুয়ান্ডা, দারফুর, বসনিয়া ও কসোভোয় সংগঠিত গণহত্যাগুলোর সকল বৈশিষ্ট্য এখানে দৃশ্যমান।
জাতি সংঘ রিফিউজি হাইকমিশনের বাংলাদেশ কার্যালয় প্রধান জন ম্যাককিসিক মিয়ানমার সরকারকে জাতিগত নিধন পরিচালনার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন। মিয়ানমারে জাতি সংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ দূত ইয়াংহি লী রাখাইন রাজ্যে প্রেেবশের উপর বিধিনিষেধ আরোপকে “অগ্রহণযোগ্য” বলে অভিযোগ করেছেন।

রোহিংগারা পৃথিবীর সবচেয়ে নির্যাতিত ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীগুলোর একটি যারা দশকের পর দশক পরিকল্পিত প্রান্তিকীকরণ ও অমানবিক আচরণের শিকার। ১৯৮২ সালে তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়া হয় ও তাদের রাষ্ট্রহীন করে ফেলা হয়, যদিও তারা বংশপরম্পরায় মিয়ানমারে বসবাস করে আসছে। তাদের চলাচল, বিবাহ, শিক্ষা ও ধর্মীয় স্বাধীনতার উপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। মিয়ানমারের সরকার, সামরিক বাহিনী ও মিয়ানমার সমাজের অনেকেই এই দাবী করেন বটে, কিন্তু বাংলাদেশ তাদেরকে তার দেশের নাগরিক বলে কোনদিন স্বীকার করেনি।
তাদের দুর্দশা নাটকীয়ভাবে ঘনীভূত হয় ২০১২ সালে যখন দু’টি ভয়াবহ সহিংসতার ঘটনায় লক্ষ লক্ষ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয় এবং পাশাপাশি অবস্থিত মুসলিম ও বৌদ্ধ রাখাইনদের বর্ণবৈষম্যের ভিত্তিতে আলাদা করে ফেলা হয়। এরপর থেকে তারা চরম পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে দিনাদিপাত করে আসছে।
সর্বশেষ সংকটটির সৃষ্টি হয় ৯ অক্টোবর মিয়ানমার বর্ডার পুলিশের উপর আক্রমণের একটি ঘটনায়, যাতে মিয়ানমার বর্ডার পুলিশের ৯ জন সদস্য নিহত হন। এই আক্রমণ কারা, কিভাবে ও কেন করলো সে সত্য এখনো উদ্ঘাটিত হয়নি, তবে মিয়ানমার সামরিক বাহিনী রোহিংগাদের একটি গ্রুপকে এজন্য দায়ী করছে। এই অভিযোগ যদি সত্য হয়েও থাকে, এতে সামরিক বাহিনীর প্রতিক্রিয়া একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। এজন্য সন্দেহভাজনদের আটক, জিজ্ঞাসাবাদ ও বিচারের মুখোমুখি করা এক জিনিষ, আর হাজার হাজার নিরীহ বেসামরিক নাগরিকের উপর হেলিকপ্টার গানশিপ দিয়ে গুলিবর্ষণ করা, নারীদের ধর্ষণ করা এবং শিশুদের আগুনে নিক্ষেপ করা সম্পূর্ণ ভিন্ন জিনিষ।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের কাছে প্রদত্ত সাক্ষাৎকারে একজন রোহিংগা বলেন, পলায়নরত মানুষদের উপর তারা গুলিবর্ষণ করে। তারা গ্রামটি ঘিরে ফেলে এবং ঘরে ঘরে তল্লাশী চালাতে শুরু করে। তারা গালিগালাজ করছিল এবং নারীদের ধর্ষণের হুমকি দিচ্ছিল।
আরেকজন প্রত্যক্ষদর্শী নারী জানান কিভাবে তাঁর দুই ছেলেকে কোন কারণ ছাড়াই আটক করা হয়: “তখন সবেমাত্র ভোর হয়েছে। সামরিক লোকজন আমাদের বাড়ী ঘিরে ফেলে। কয়েকজন ঘরে ঢোকে এবং আমাকে ও আমার সন্তানদেরকে টেনে-হিঁচড়ে বাইরে বের করে আনে। তারা আমার দুই ছেলেকে বেঁধে ফেলে। তাদের পিঠমোড়া করে বাঁধা হয়, এরপর বেধড়ক পেটানো হয়। মিলিটারীরা তাদের বুকে লাথি মারে। আমার সামনেই এটা ঘটে, আমি চিৎকার করে কাঁদতে থাকি। আমি কাঁদতে থাকলে তারা (মিলিটারী) আমার দিকে বন্দুক তাক করে। আমার অন্য সন্তানরা মিলিটারীদের কাছে হাতজোড় করে তাদেরকে না পেটাতে অনুরোধ করে। তাদের নিয়ে যাবার আগে প্রায় ৩০ মিনিট এভাবে মারধোর করা হয়।” তিনি তাঁর ছেলেদের এরপর আর দেখেননি।
দও অং সান সু’কি’র কাছে বারবার আবেদনের পরও তিনি রোহিংগাদের পূর্ণ ও সম-নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করতে কোন উদ্যোগ না নেয়ায় আমরা হতাশ হয়েছি। দও সু’কি মিয়ানমারের নেত্রী এবং দেশটিকে সাহস, মানবিকতা ও সমবেদনার সাথে পরিচালনা করার দায়িত্ব তাঁরই।
মিয়ানমার সরকারকে মানবিক সহায়তার উপর সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবার জন্য উদ্বুদ্ধ করার জন্য সম্ভাব্য সকল উদ্যোগ নিতে আমরা জাতি সংঘের নিকট সনির্বন্ধ অনুরোধ জানাচ্ছি, যাতে মানুষ জরুরী সহায়তা পেতে পারে। সাংবাদিক ও মানবাধিকার পর্যবেক্ষকদেরও সেখানে প্রবেশের অনুমতি দেয়া উচিত এবং বর্তমান পরিস্থিতি বিষয়ে প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটনের উদ্দেশ্যে একটি নিরপক্ষে, আন্তর্জাতিক তদন্ত পরিচালিত হওয়া প্রয়োজন।

একই সাথে জাতি সংঘ নিরাপত্তা পরিষদের একটি জরুরী এজেন্ডা হিসেবে সংকটটিকে উপস্থাপনের জন্য আমরা নিরাপত্তা পরিষদকে বিশেষভাবে আহ্বান জানাচ্ছি এবং জাতি সংঘ মহাসচিবকে জরুরী ভিত্তিতে সামনের সপ্তাহগুলোতে মিয়ানমার পরিদর্শণ করতে অনুরোধ করছি। বর্তমান মহাসচিবের পক্ষে এটা সম্ভব হলে আমরা তাঁকেই সেখানে যেতে অনুরোধ করবো; অন্যথায় নতুন মহাসচিবকে জানুয়ারীতে দায়িত্ব নেবার পরই এ বিষয়টিকে তাঁর কর্ম-তালিকায় অন্যতম অগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচনা করতে অনুরোধ জানাবো।
আন্তর্জাতিক কমিউনিটিকেও এখন এ বিষয়ে সমি¥লিতভাবে আরো বেশী সোচ্চার হতে হবে। রুয়ান্ডার পর বিশ্ব নেতারা বলেছিলেন, “আর কখনো নয়।” আমরা এখনই ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হলে মানুষ গুলি খেয়ে না মরলেও অনাহারে মারা যাবে এবং আমরা মানবতা বিরোধী এসব অপরাধের নিরব দর্শক হয়ে আরো একবার “আর কখনো নয়” বলার জন্য বিলম্বে হাত কচলাতে থাকবো।
স্বাক্ষরকারীদের নাম:

প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস
নোবেল শান্তি পুরস্কার ২০০৬ জয়ী
হোসে রামোস-হরতা
নোবেল শান্তি পুরস্কার ১৯৯৬ জয়ী
আর্চবিশপ ডেসমন্ড টুটু
নোবেল শান্তি পুরস্কার ১৯৮৪ জয়ী
মেইরিড মাগুইর
নোবেল শান্তি পুরস্কার ১৯৭৬ জয়ী
বেটি উইলিয়াম্স
নোবেল শান্তি পুরস্কার ১৯৭৬ জয়ী
অসকার অ্যারিয়াস
নোবেল শান্তি পুরস্কার ১৯৮৭ জয়ী
জোডি উইলিয়াম্স
নোবেল শান্তি পুরস্কার ১৯৯৭ জয়ী
শিরিন এবাদী
নোবেল শান্তি পুরস্কার ২০০৩ জয়ী
তাওয়াক্কল কারমান
নোবেল শান্তি পুরস্কার ২০১১ জয়ী
লেইমাহ বোয়ি
নোবেল শান্তি পুরস্কার ২০১১ জয়ী
মালালা ইউসাফজাই
নোবেল শান্তি পুরস্কার ২০১৪ জয়ী
স্যার রিচার্ড জে. রবার্টস
চিকিৎসা শাস্ত্রে ১৯৯৩ সালে নোবেল পুরস্কার জয়ী
এলিজাবেথ ব্ল্যাকবার্ন
চিকিৎসা শাস্ত্রে ২০০৯ সালে নোবেল পুরস্কার জয়ী
এমা বোনিনো
ইতালির প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
রিচার্ড কার্টিস
এসডিজি সমর্থক, চলচ্চিত্র কাহিনীকার, প্রযোজক ও পরিচালক
আলা মুরাবিত
এসডিজি সমর্থক, লিবীয় নারী অধিকার প্রবক্তা
পল পোলম্যান
ব্যবসায়ী নেতা
মো ইব্রাহীম
উদ্যোক্তা ও সমাজসেবী
জোকেন জাইট্জ
ব্যবসায়ী নেতা ও সমাজসেবী
কেরী কেনেডী
মানবাধিকার কর্মী
রোমানো প্রদি
ইতালির প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী

যৌন হয়রানি যদি সত্য হয়, তাহলে চাকরী খাওয়া ফরজে আইন

ঢাকা ভার্সিটির এমরান একটা বোক চোদ টাইপের মাস্টর আছিলো, আমগো ডিপার্টমেন্টের। মানে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের মাস্টর । ও  যে কোন মেয়েকে হয়রানি, তাও আবার যৌন হয়রানি করতে পারে, এটা কেন জানি বিশ্বাস করতে পারছি না।
আমার মনে হয়, বলদাটা পলিটিক্সের প্যাচে পড়েছে। নীলদলের প্রধান সেনাপতির  রাজনীতি বোঝা মুশকিল। স্যার নিজের দলের মাস্টরদের এখানে ওখানে চালান করেন, সেখানে ও তো নস্যি, সাদা দলের পোলা।

স্যারের ডিপার্টমেন্টের সালাম স্যারের বিরুদ্ধে  যৌন হয়রানির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পর চাকরী যায়নি।  সরকার পাল্টানোর পর স্যার তাকে ব্যাপক সুবিধা দিছে। এরকম আরো অনেকে আছে। মেসবাহ স্যারের বিরুদ্ধে একটা মেয়েকে হয়রানির রিপোর্ট রোকেয়া হলের প্রভোস্ট অফিসে থাকার কথা, যদি না নষ্ট না করা হয়। কারণ হয়রানির শিকার মেয়েটি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল, বাংলাদেশ মেডিকেলে নিয়ে গিয়ে তার পেটে চালান করা ঘুমের বডি পরিষ্কার করেছিল হল কর্তৃপক্ষ। সে সময় খবরের কাগজের রিপোর্টও হইছে। সেই মেসবাহ স্যার এখন অনেক বড় ইতিহাসবিদ। ব্যাপক জ্ঞান বিতরণ করে যাচ্ছেন।

 সে যাক যৌন হয়রানি যদি সত্য হয়, তাহলে তাকে  অবশ্যই চাকরী খাওয়া জায়েজ। কারণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ অনুসারে এই একটা আকামের জন্য চাকুরী খাওয়া  ফরজে আইন।  সুতরাং এইটা ঠিক আছে।  তবে অন্যদের কি খবর?  আইনের শাসন সবার জন্য সমান হওন দরকার। কি বলেন!!  

খবরের লিঙ্ক http://www.bbc.com/bengali/news-38448322

মত প্রকাশের স্বাধীনতা একটি বিলাস পণ্য

শ্রাবণ প্রকাশনীর রবিন আহসানরা ভাবছিল, এটা বিম্পি সরকার। আন্দোলন করে দৌড়ের উপ্রে রাখা সম্ভব হপে।  সরকার যে বদল হয়, নতুনি আঙ্গিকে চালু হইছে, সেটাও তারা মনেও রাখে না।

গত ৮ বছরে নগরে কোন প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক আয়োজন নাই, অপকর্মকের দলিলের প্রকাশনা নাই,  পথ নাটক নাই, সাংস্কৃতিক জোটের সাংস্কৃতিক উৎসব এখন তেলের উপ্রে ভাসে--- সেখানে  দুই একটা চিক্কুর মাইরা তারা ভাবতাছিলো--- অধীন মত প্রকাশের স্বাধীনতাতো ভালোই চলতাছে।  তাদের গায়ের উপ্রে তো পড়ে নাই। এখন যখন পড়লো--- তখনো হুক্কাহুয়া-- বাক স্বাধীনতা নাই। মানুষ বাঁচতাছে না, গুম হইয়া আছে বছরের পর বছর---উনারা আইছে বিলাস পণ্য - বাক স্বাধীনতা ফেরি করতে। 

একটা কথা শুনতে খ্রাপ লাগলেও বলি---খালি সরকার বদল হয় নাই;  সরকারের মগজ ব্যবায়িক হয় নাই।  পুস্তক বেপারীরা, নিজেরাও বদল হইছে।  বই দোকান থেকে কাপড়ের দোকান খোলে,  কাপড়ের দোকানের বিস্তারে বইয়ের মূল আকর্ষণ প্রচ্ছদ শব্দও ব্যবহার করে। এ এগুলান বইয়ের বিকাশে ছোটখাটো আগ্রাসন।  আজিজ মার্কেট বইয়ের দোকান থেকে কাপড়ের দোকানে রূপানস্তর হইছে, কই বাক স্বাধীনতার রক্ষকরা  কি করলেন! 

তা যাই হোক , যে কোন বিচারেই শ্রাবণের স্টল নিষিদ্ধ করা ঠিক হয়নি। এটা কোন মতেই সমর্থণযোগ্য না। 

একাডেমি যদিও বলছে,  সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন সভায়  সংস্কৃতিমন্ত্রী  নিজেও ছিলেন। মন্ত্রী নিজে একজন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব।   আশা করি শ্রাবণ প্রকাশনীকে তাদের স্টল ফেরৎ দেওনের ক্ষেত্রে  সরকার উদার হবে। 

তবে ও বুঝতে হবে সরকারে কখন কে থাকে, কীভাবে কার সাথে কথা বলতে হয়।  সবাইরে ফাঁপর দেওন যায় না। এটা স্বাধীনতা, অধীনতা যে নামেই হোক, বাপু। 


খবরের লিঙ্কটা দিলাম---http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article1263020.bdnews

হুররাম সুলতান আশেকান পরিষদ




এখনো হুররাম সুলতান আশেকান পরিষদ হয় নাই ;) আহারে.. বেচারি... দীপ্ত টিভির খবর খুঁজতাছে। নিশ্চিত মামুন ভাই ব্রান্ড প্রমোটর। দীপ্ত খবরের লিঙ্ক (https://youtu.be/awaBh1BHpD0) ।
দীপ্ত টিভির টিআরপি আর পরিচিত বাড়াতে মামুনুর রশীদ কাজ করছেন। এটা নিশ্চিত করেই বলা যায়, নইলে বেচারা বাংলা নাটকের মানোন্নয়নে মন না দিয়ে সেই   রাস্তায় মিছিল করতেছেন।
প্রতিবাদের অনন্য সংস্কৃতি মঞ্চ--- পথ নাটক... মঞ্চ নাটক ... পালা নাটক... সব থুইয়া মিছিলে নামছেন। সরকার বাহাদুরের সাথে লেয়াজো করতে করতে আর পথ নাটক মঞ্চ নাটক  নিয়ে আগাইতে পারেন নাই।  তাই  এখন কাম লইছেন --  ব্রান্ড প্রমোটরের কাম। কত রকমের  ব্রান্ড প্রমোশন আইডিয়া যে আছে, জগতে... !!
তবে  আশেকানদের বলি,  দেশীয় টিভি-অনুষ্ঠান নির্মাতাদের কষ্টটাও উপলব্ধি করতে হবে। ইনডিয়ার গুণ্ডা আগ্রাসন আর  বিদেশী সিরিয়ালের থাবা থামাতে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে। নইলে সত্যি করে বলছি...  শিল্পটা টিকবে না।
ভালো বলে সব বাইরেরটা দেখবেন তা কিন্তু হয় না, জনাব।
নিজের একটা আত্ম পরিচয়, আত্ম অহঙ্কার  আত্ম মর্যাদার  বিষয় আছে! সে বিষয়টাই আসল।  ভালো সিরিয়াল ভালো নাটক তৈরিতে সরকারকে পৃষ্ঠপোষকত হতে হবে।  আর্ট ফিলিম বাদ দিয়া কমার্শিয়াল ফিলিমের দিকে নজর রাখতে হবে। কারণ ব্যবসা.. বিনোদন একসাথে না চললে... কোন  কিছুই টেকে না। 

অজ্ঞাতনামা: চেনা সমাজের চেনা গল্প

'আমি ক্রিতদাস নই, মানুষ!'--- ঘোষণা দিয়ে গানে গানে সিনেমাটির শুরু হলেও চলমান প্রবাস-কর্মসংস্থানের নামে মানুষের জীবন কিনে নেয়া চক্রের ঘেরটোপে হারানো মানব জীবনের গল্প--- অজ্ঞাতনামা। 

তৌকির আহমেদ দক্ষ অভিনেতা। দক্ষ পরিচালকও বটে। কিন্তু এ রকম একটি জীবন ঘনিষ্ঠ-বাস্তব ভিত্তিক কাহিনী 'অজ্ঞাতনামা' সিনেমার চিত্রনাট্যে হাজির করেছেন, সেটি নিঃসন্দেহে কেবল প্রশংসা নয়, সমাজের প্রতি তার দায়বদ্ধতার একটা ভালো উদাহরণ হিসাবে মূল্যায়ন করতে হবে। 

নরীর শরীরের প্রতি দুর্নিবার আকর্ষণ পুরুষ মাত্রই অনূভব করে থাকেন... সাধু-সন্নাসীরা ব্যতিক্রম। সিনেমাটিতে সেটিও এসেছে পরিশীলিতভাবে। 

মাত্র ২ হাজার টাকায় জাল পাসপোর্টের মামলা থেকে রেহাই পাওয়া দালাল রমজান এখানে শেষ পর্যন্ত বিজয়ী। কারণ সিনেমাটি জ্ঞান বিতরণের বদলে বাস্তব অবস্থাই দৃশ্যমান । বিশ্লেষণধর্মী বয়ান। 

বাস্তবেও মানব পাচারকারী- প্রবাসী কর্মী পাঠানো প্রতারক দালাল চক্র খুবই শক্তিশালী এবং তারা সব সময় ধরা ছোঁয়ার বাইরেই থাকে... রমজান এখানে সেই চরিত্র।  অত্যন্ত সফলতার সাথে চিত্রিত। 

হাতে সোনালী-রূপালী রঙ্গের ঘড়ি,  সাইকেলে টুংটাং শব্দ তুলে গ্রামের রাস্তা- যে বালকরা দাবড়ে বেড়ায়..., বিদ্যুৎহীন গ্রামে ব্যাটারি দিয়ে টেলিভিশন চালিয়ে যে বালিকারা আকাশ থেকে পাওয়া  অনুষ্ঠান উপভোগ করে... যাদের পুকুরে কচুরি ফেনার মত ভাসে শ্যাম্পুর দুধসাদা ফেনা ...তাদের প্রবাসী স্বজনরা কেমন আছেন?  সেটি তাদের প্রায় সবারই ভাবনায় নেই! 

মাস শেষে টাকা আসে দেশে... সে টাকা আনার  হুন্ডি, মানি ট্রান্সফার এজেন্সী  কিম্বা ব্যাংকগুলো মেলা করে... মানুষ বিক্রির লোকের সে সব দেখিয়ে নতুন কাউকে পাঠিয়ে দেওয়ার ধান্ধা করে... এভাবেই চলে প্রবাস-চাকুরী-জীবন চক্র। 

রিজার্ভ বাড়ে...কল্যাণ মন্ত্রী হয়... কিন্তু আধপ্লেট ভাত, দিনভর কাজ আর নেতিয়ে আসা শরীরটা টেনে তুলে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষগুলোর দায়িত্ব কার? রাষ্ট্র! পরিবার নাকি অন্য কারো! নাকি তার নিজেরই! সেটিও, অজানা!! 

অজ্ঞাতনামা সিনেমার গল্পটা  আমাদের প্রতিদিনের দেখা ঘটনারই একটা ! রমজান দাললের খপ্পরে পড়ে বসত বাড়ি মহাজনের কাছে বন্ধক রেখে গলা কাটা পাসপোর্টে আরব আমিরাত পাড়ি জমায় আছির উদ্দিন প্রামাণিক। সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার পর তার লাশ দেশে পাঠানো হয়.... পাসপোর্টের নামানুসারে... আছিরের লাশ আসে শেখ আবদুল ওয়াহাব প্রামাণিকের নামে... সে লাশ গ্রহণ করার জন্য প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রকের ফোন যায় থানায়। সুকগাছা গ্রামে মধ্যরাতে সে খবর নিয়ে যায় পুলিশ। 

... জালাল মেম্বারকে সাথে নিয়ে শেখ আবদুল হাকিমের বাড়ি যায় থানার ওসি ও ডিউটি অফিসার... জানা যায়, শেখ আবদুল ওয়াহাব এখন ইতালীতে।  
ইতালী যাওয়ার সময় ওয়াহাবের পুরনো পাসপোর্টটা রেখে দেয় রমজান দালাল। সেই পাসপোর্টে গলা কাটা ছবি লাগিয়ে  রমজান দালাল আছির উদ্দিন প্রামাণিককে পাঠিয়েছে আজমানে। মারা গেছে আছিরই! 

নিজের বসত ভিটে বন্ধক বাকি ছিল... সেটিও মহাজনের কব্জায় দিয়ে একজন পিতা ছুটে চলেন লাশ গ্রহণের জন্য .. সে লাশ আনা হয়... লাশের গোসলের সময় আবিষ্কার হয়, লোকটি আছিরও নয়। তাহলে... সে লাশ কার? ধারণা করা হয় সাউথ ইনডিয়ান। 

আছিরের বাবার ইচ্ছা সাউথ ইনডিয়ান লাশটা লাশের বাবা মায়ের কাছে ফেরৎ পাঠানো দরকার।  ওসি কুদ্দুস সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে আসে। ডিউটি অফিসার ফরহাদকে সিভিল ড্রেসে লাশ নিয়ে রমজানদের সাথে ঢাকায় পাঠানো হয়।সরকারি অফিসে অফিসে ঘুরতে থকেন কেফায়েত , পুলিশের এসআই ফরহাদ এবং দলাল রমজান। লাশ ফেরৎ পাঠানো কার দায়িত্বে পড়ে? সবাই নিজের দায়িত্ব এড়িয়ে যায়! 

প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য, ডিএমসি হয়ে এয়ারপোর্ট... লস্ট এন্ড ফাউন্ড ডিপার্টমেন্টে অভিযোগ করার বানী শুনে অবশেষে ওসি কুদ্দুসের ফোন... আছির সত্যি মারা গেছে। তাকে আমিরাতেরবাংলাদেশ দূতাবাস কনফার্ম করে। কিন্তু লাশের চেহারা বোঝা না যাওয়ার কারণে এ লাশটি বাংলাদেশে...কেফায়েত প্রামাণিক নিজের সন্তানের লাশের মতই অজ্ঞাতনামা লোকের লাশটি নিয়ে সুকগাছায় ফেরৎ আসেন। সেখানেই তার দাফন হয়... কেফায়েত প্রামাণিকের সংলাপ... 'একটা মানুষের বড় পরিচয় হলো- সে মানুষ, সৎকারের অধিকার তো তার আছে।'

এটাই সিনেমার কহিনী!

সিনেমাটিতে দালালের বহুরূপ উঠে এসেছে... বিউটি বিদেশ যেতে চায়--- নানার ভাষায় 'পোড়া কপাইল্লা মেয়ে'... এ মেয়ের জন্মের পর দিনই তার বাবা মারা গেছে। বিউটির ছেলের জন্মের এক বছর পর স্বামী। তাই বিদেশ গিয়ে সে পরিবারে অভাব -চাহিদা মেটাতে চায়। লাগবে তিন লাখ টাকা। পুরুষের কাছে এ টাকার জন্য দালালের পরামর্শ- জমি জিরাত মহাজনের কাছে বন্ধক রেখে টাকা আনা! তবে বিউটির জন্য ছাড় তার... পাঠাবে... বিনিময়ে.. বাধা পড়ে বিউটি! কিন্তু একটা পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য আটকা পড়ে তার ভিসা ... দালাল রমজান আছিরের বউ করে বিউটিকে বিদেশ পাঠানোর বন্দবোস্ত করবে বলে আশা দেয়। সে আশা পূরন পর্যন্ত বাধা বিউটি! 

নারীরে চোখে দালাল পুলিশ সবই সমান! সবাই তাকে লুটে... তার শরীরের উপর চোখ রেখে কাজ করে দেবে বলে আশ্বাস দেয় এবং বাস্তবতাও অনেকটা এ রকমই!! 

থানার ডিউটি অফিসার ফরহাদ যখন বিউটিকে বলে আমি তোমাকে চাই... তখন বিউটির সংলাপ দুর্দান্ত সত্যটা তুলে আনে---''..মাগনা কেউ কিছু করে?... এই যে আমি তোমার কাছে গেলাম (পুলিশ) ক্লিয়ারেন্সের জন্য... তুমি কি দিছ... কেউ দেয় না ... আগে কিলিয়ারেন্স নিয়া আস... তারপর আমারে পাবা...'' 

ফরহাদ মুখে যদিও বলে আমি তোমাকে ভালোবাসি কিন্তু বাস্তবেও তো সেই ক্লিয়ারেন্স নিয়ে আসো... বিছানায় তা হস্তান্তর করে... কিন্তু বিউটির আর বিদেশ যাওয়া হয়না। কারণ এ ফাঁকেই জানা যায় আছির উদ্দিন প্রামাণিক মারা গেছে... 

সিনেমাটি সমাজে বিদ্যমান মিথকে চ্যালেঞ্জ করেনি। সম্ভবত একটা চলমান সময়ের চিত্র আঁকতে চেয়েছেন তৌকির। যেখানে মিথ মিথই। অন্তত পোড়া কোপাইল্লা হিসাবে নানার স্বীকৃতি দিয়ে বলা সংলাপ এখানে প্রমাণিত--বিউটি পোড়া কপাইল্লা। নিজের বাপ স্বামীর পর যার বউ হয়ে বিদেশ পাড়ি জমাতে চেয়েছে সেও মারা গেছে...! 

সিনেমাটিতে গানের ব্যবহারও অসাধারণ... সন্তানের জন্য কেফায়েত প্রমাণিকের বুকের ভেতরে আর্তনাদ --- '
''আমার সোনা জাদুর মুখ/ জগতের সবচেয়ে সুন্দরআমার সোনা জাদুর কথা/ জগতের সবচেয়ে মধুর ... ক্ষমা কইরা দিও বাজান ক্ষমা কইরা দিও/ কেমন কইরা তোমার দেহ মাটি চাপা দেবে!!''

কিম্বা টাইটেল সং 'অজ্ঞাতনামা' গানটিও তুলে এনেছে প্রবাসের যন্ত্রণা কাতর সময়ে প্রতিচ্ছবি। 

সিনেমাটি এ সমাজ রাষ্ট্র এবং সামাজিক অর্থনীতির ভেতর নষ্ট লোকেরা কীভাবে টিকে থাকে, সেটা খুব চসমৎকার ভাবে তুলে এনেছেন তৌকির। বলেছেন, কষ্টের এক অনবদ্য গল্প। 
কেফায়েত প্রমাণিকের চরিত্রে ফজলুর রহমান বাবুর অভিনয় এতটাই বাস্তবত যে, যে কারো দেখা অঘটনের শিকার মানুষের সাথে এর অমিল পাওয়া যাবে না। রমজানের অভিনয়টা একটা বেশি সিনেমেটিক মনে হয়েছে... দালালরা এতটা প্রতিভ থাকেন না, অন্তত পুলিশের সামনে।

অস্বীকার! অসম্মান।




গতবছরও বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবসে ইনডিয়ান আর্মির ভ্যারিফাইড ফেসবুকে পেজে  আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধকে  ইন্দো পাক ওয়ার ৭১ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছিল। চলতি বছরও একই ঘটনা।  একই হ্যাশট্যাগ (#IndoPakWar71) । 
পাকিস্তানের মত ইনডিয়াও যদি আমাদের মুক্তি সংগ্রামী মানুষ, দু'লাখ বা তারো বেশির নারীর সম্ভ্রম, তিরিশ কিম্বা তারো বেশি লাখ মানুষের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার ন্যায্যতা অস্বীকার করে, তাহলে আমরা অসম্মান বোধ করি।  কারণ মুক্তির সংগ্রামে তারা আমাদের বন্ধু ছিল। তারা আমাদের প্রতি হাত বাড়িয়েছিল। আমাদের লাখ লাখ  শরণার্থীর প্রতি তাদের সহায়তার হাত প্রসারিত ছিল। 
সেই দেশের এ অস্বীকারের অসম্মান বইবার মত জাতি আমরা ছিলাম না। এটা নিশ্চিত। এখন সম্ভবত আমরা তাতেও রাজি! নইলে এত বড় একটা ঘটনার কোন প্রতিবাদ হয় না। রাষ্ট্র তো প্রতিবাদ করেই না! কোন রাজনৈতিক দলও।  এমনকি সংবাদ মাধ্যমও।  অথচ বহু সম্বাদিক দেশের চেয়ে কোন কোন সময় তার আদর্শিক নেতাদের বড় করে দেখেন, তারাও তাদের নেতাদের   কৃতিত্ব লুট হয়ে যাওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করেও প্রতিবাদ-আওয়াজ তোলেন না। প্রতিবাদ করেন না। সবাই কেবল চেতনার ফেরি করেন, সে চেতনার কিসের? নিজের স্বার্থ উদ্ধারের!!  আফসোস।

তোমার হাসি, একটা শব্দ-বাবা-, আমার পূর্ণ যৌবন-পর্যটন






দুধ জোছনায় ডুবে থাকে টাঙ্গুয়ার হাওর
ছেড়াদ্বীপ কিম্বা হরিণটানা
উদ্ভিন্ন তরুছায়ায় ঘেরা রাতারগুল-উচ্ছ্বল
মাধবপুর লেকে শেষ বিকালে 
মাছরাঙার ঠোঁটে কাতর 'বাছা'
অনিন্দ্য অপরূপ দুধকুমার নদীর জলের উপর
ছলাৎ ছলাৎ শব্দ তুলে বয়ে যাওয়া নৌকার মতই
প্রতিদিন তুমি বেড়ে ওঠো, জেগে থাক; পিতৃ চোখে ।
ভালবাসা প্রিয় পুত্র । তোমার বাবা ডাক
দুধ জোছনা, উচ্ছ্বল বুনো সবুজের মায়া ---
সব তুচ্ছ ।
কেবল তোমার হাসি,
একটা শব্দ-বাবা-
আমার পূর্ণ যৌবন-পর্যটন।।

আমার বিশ্বদ্যিালয়ের সম্ভ্রম লুট হয়ে যায়!

আমি সেই উজ্জ্বল  রিপোর্টারদের মুখগুলো কল্পনা করি আর হাসি---ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস-অহঙ্কার- লুণ্ঠন করা বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের  পাপ লুকাতে তারা কতটা ব্যস্ত। তাদের অনেকেই এখন গণমাধ্যম-নিউজ ম্যানেজার।

আবার তাদের কেউ  জ্ঞান বিতরণ করেন এখানে ওখানে। অনেকে মাস্টর এবং  আমলা। সবাই এখন-- আছি, টিকে আছি-- আমি টিকতে চাই! এতেই মগ্ন।

আমরা সবাই টিকে আছি। আর দিনে দুপুরে আমার বিশ্বদ্যিালয়ের সম্ভ্রম লুট হয়ে যায়। প্রশ্নপত্র বিক্রি হয়, সেটি কিনে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ভর্তি হয়, অথর্বরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়, রাজনীতি করে এরা শিক্ষকও হবে! --- আর আমরা একটা সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্নে বিভোর--- ।

এত বড় একটা কেলেঙ্কারির পরেও কারো পদত্যাগের আওয়াজ ওঠে না। কেউ নিজ থেকে নৈতিক  দায়িত্ববোধ থেকে সরেও দাঁড়ান না। কী অদ্ভূত এবং ষণ্ডামির ভেতর দিয়ে যাচ্ছে সময়!

এ ভাবেই প্রতিদিন লুট হয়ে যাওয়া আমার স্বপ্ন- রাজনীতির কাছে-  মাথা নোয়াতে নোয়াতে মেরুদণ্ড বাঁকা হয়ে  গেছে--- তখনো অসহায়ভাবে চেয়ে দেখে ক্যাম্পাস-- সে সব বিশ্ববিদ্যালয় রিপাের্টাররা তখনো নতুন যুক্তি খাড়া করায়--- লিখে কি হবে। বলেও কিছু হবে না।

অথচ এরাই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ভিসিকে বলেছিল ' জানোয়ার'। এরাই  একজন শিক্ষককে বলেছিল 'হামাস'। এরাই একজন শিক্ষিকাকে বলেছিল 'ডাইনি'।  ভালো করেই এরা জানে। এরা  শিক্ষক সমিতিতে দলীয় কুস্তিকে বাহবা দিয়েছে। এরাই  প্রগতির কথা বলে ক্যাম্পাসে নুইসেন্সকে জায়েজ ঘোষনা করতে বাধ্য করেছে। আর এখন এভাবে  শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা লুট হয়ে যায়, প্রশাসন নীরব হয়ে থাকে, তাকেও সমর্থন করে যায়, নিয়তই যায়।


আমি জানি এ লেখা আমার সাথে তাদের দূরত্বকে দীর্ঘতর করবে। তাতে কি--- তবুও আমি সত্যের পক্ষে ছিলাম, আছি এবং থাকবো--- এটাই আমার জীবনের এক এবং একমাত্র অবলম্বন। সব তকমা সয়ে আমি ছিলাম অন্যায়ের বিপক্ষে-- আছি-- জেগে আছি।

আমাদের একবার মানুষ ভাবো-- প্লিজ-- একবার



বর্মার ষণ্ডা রক্ষির গুলিতে নিহত শিশু! ছবি ফেসবুক থেকে নেয়া!


আমাদের একবার মানুষ ভাবো-- প্লিজ-- একবার
আমরাও মানুষের মত জন্মেছি---মায়ের পেটে...

আতঙ্কিত রাত কেটেছে মায়ের... দৌড়ে পালিয়েছে পুরো পরিবার
মায়ের পেটে, মায়ের কোলে আমরাও পালিয়েছি...

জন্ম-ভাগ্য আমাদের রাখাইন রাজ্যে নিয়েছে!
কোন হাত ছিল না আমার! তবুও ... বুকে পিঠে গুলি...
বহু মানুষের রক্ত বয়ে নাফ নদী মিশে যায়

তোমরা তখনো.. তখনো আমাদের মানুষ ভাবতে পারো না!

ইচ্ছে করে তো আমরা জন্মাইনি! এখানে...
আমাদের একবার মানুষ ভাবো! প্লিজ, একবার! একবার!!

নাফের জলে ডুবে মরে যাওয়া আমাকে দেখো--
আমি রোহিঙ্গা! আমিও মানুষ ছিলাম!

নিজেই নিজের জন্য যে পৃথিবী সে সাজিয়েছে... সেখানেও ... দীর্ঘশ্বাস!

শহরে রাত নেমে এলে বুকটা মোচড় দিয়ে ওঠে, এখন যেতে হবে, ক্লান্ত শরীরটা এলিয়ে দিতে--
সেই ইচ্ছা এখন আর হয় না, বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের মত--  তাহলে কাটিয়ে দেয়া যেত, রাত বিরাত- বহুরাত না ঘুমিয়েই-- সে তো কাটিয়েছে! এখন পারে না।

হয়ে ওঠে না, শরীর কুলায় না, চোখের পাতায় নেমে আসে রাজ্যের ক্লান্তি... নির্ভার হতে একটা ঘুম তার দরকার-- সেটিও হয় না!

 দুঃস্বপ্ন, জেগে থাকা কষ্ট তার মাথার ভেতর ঘুরে ফিরে আসে--

 ভালই কাটছিলো, শৈশবের দিনগুলো... সে সব ফিরে পেতে ইচ্ছে করে.. পারে না

 অথচ এক  সময় ভাবনায় ছিল-- যত দ্রুত সম্ভব, বড় হতে হবে! বড় হলে সংসার হবে, সন্তান- জীবন

তার সবই হয়েছে! সুখ  হয়নি, সুখ সে চায়ও নি! চেয়েছে ঝামেলাহীন একটা জীবন-- তাও হয়নি। শরীরের উপর শরীর থুয়ে নিজেকে আরেকবার দেখে নেয় সে...

উত্তরের বাতাস বইছে, শীত ঝেঁকে বসেনি নগরে.. শীত যায়.. বসন্ত আসে..গ্রীষ্ম... বর্ষা.. তার জীবনের সেই একই হাল...
তবুও তার বাঁচার প্রচণ্ড রকমের লোভ-
সেই লোভে, পাপে .. পাকে নিজে ডুবতে থাকে.. এবং এভাবে জীবন ক্ষয়ে যায়...

একেকটা রাত নিয়ে আসে তার কাছে জীবনের প্রচণ্ড  কষ্ট--- সীমাহীন উৎসবহীনতায় ডুবে থাকে একেকটা দিন।
তবুও সন্তানের মুখের উপর চোখে রেখে ভাবে- এ জীবন; এ জনম- এ টিকে থাকা -- সবই স্বার্থক!

একেকটা সকাল, একেকটা ভোর ওদের গালের উপর দুপুরের কড়কড়ে রোদ্দুরের মতই উচ্ছ্বল আনন্দ নিয়ে আসে! আসবে! এমন ভাবনাগুলোও যখন তার মিথ্যে হয়ে যায়!
তখনো সে ভাবে... আরেকটি নতুন দিন আসবে.. পরিচ্ছন্ন.. সাজানো ... সুন্দর .. উচ্ছ্বল আনন্দে মগ্ন!

আসে না, তাতেও কষ্ট নেই তার !! তবুও ... কিছু একটা নেই ... কিছু একটার অপেক্ষা করে জীবনের কয়েকটা দশক... হাঙরের বুকে গেছে... তবুও টিকে থাকার লড়াই। টিকে থাকা ... টিকতে চাওয়া --- জীবনের প্রতি এত মমতা তার কবে জন্মেছে ... নিজেরই মনে নেই!

জীবনের প্রতি এত মমতা... মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দিচ্ছে... নিজেকে আবিষ্কার করছে টিকটিকির মত... আবিষ্কার করছে হাঁসের মত... পাতি হাঁস কিম্বা ভোরের খোয়াড়ে হুঙ্কার দেয়া মোরগের মত...
তবুও বাঁচতে... টিকতে নিরন্তর লড়ে যাওয়া!
কী অদ্ভূত...কী অদ্ভূত...
এমন তো হবার কথা ছিল না!

নিজেই নিজের জন্য যে পৃথিবী সে সাজিয়েছে.. সেখানেও ... দীর্ঘশ্বাস!
ভাবনা-- সবার সব হয় না। অনেক কিছু হয় না । তাহলে মেনে নাও! মানিয়ে নাও!
এভাবে.. মিশে যাচ্ছে .. মিলিয়ে যাচ্ছে...! নিজের সব টুকু!

সুলতান সুলেমান ও বিনোদন শিল্প


বহুল দর্শিত ডাবিং করা  টিভি সিরিয়াল সুলতান সুলেমানের কারণে নাকি নাটক পাড়ার অবস্থা এফডিসি'র মত মৃত হবে! এমন খবর পড়ছি, বিবিসি বাংলার অনলাইনে। তাহলে বাপু স্টার জলসা আর জিটিভি'র কারণে কি হাল হয়েছে, বলো না, তুমি বলোনা।
একমাত্র সুলেমান দর্শক হিসাবে বিষয়টা মানতে পারলাম না। আজেবাজে সিরিয়ালের ফাঁকে সুলতান সুলেমান খুব ভালো গল্প না হলেও খারাপ না। ফ্যামিলি পলিটিক্স রাজা বাশ্শাদের অন্দর মহলের রা্জনীতি নিয়ে জমছে বেশ।
তবুও আমি ব্যক্তিগতভাবে আমাদের বিনোদন শিল্পের পক্ষে। যদি আমরা  সুলতান সুলেমান বন্ধ করে, ভারতীয় টিভি চ্যানেলের আগ্রাসন থামিয়ে দিতে পারি,  বাংলাদেশ থেকে টাকা দিয়ে ভারতীয় টিভিতে বিজ্ঞাপন প্রচার আটকাতে পারি- তাহলে আমিও আছি। আপনাদের সাথে।  আন্দোলন চলুক। আছি। সাথেই আছি।    

রাজনীতির বিষবাষ্পে শিক্ষকের মূল্যহীন জীবন!!

আহ হা, জীবন। এভাবেই, এভাবে একজন শিক্ষকের জীবন চলে যাবে! এ ভাবেই  রক্ষীদের হাতে জীবন দিতে হবে! ফুলবাড়িয়ায় কলেজের শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ স্যার কি  কখনো দুঃস্বপ্নেও ভেবেছেন!

এ দেশে, সমাজে, রাষ্ট্রে, নোংরা রাজনীতির বিষবাষ্পের ভেতর- শিক্ষার যে আলো শিক্ষকরা ছড়াতে চাইছেন, পারেননি! পারলে শিক্ষক পেটানো, হত্যা কিম্বা হয়রানির মত ঘটনা এত মামুলি হতো না!

এর আগেও  শিক্ষকদের পেটানোর বহু ঘটনা  আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। এ সব যেন সয়ে যাচ্ছে। বিচার হয়নি। নিশ্চিত করে বলছি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফুলবাড়িয়া কোন ঘটনার বিচার হবে না!!

লাশের উপর দাঁড়িয়ে যে দেশের নিরাপত্তা রক্ষীরা দায় মুক্তি নেয়, সে দেশ- কোন দেশ-- যে দেশটি স্বাধীন করার জন্য  তিরিশ লাখ কিম্বা তারো বেশি মানুষ শহীদ হয়েছিলেন, সেই দেশ! শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্ন-শোষনহীন-বঞ্চনামুক্ত স্বদেশ কি অধরাই থাকবে!

সমাজ-রাষ্ট্র-রাজনীতি-রক্ষীরা দিনে দিনে অসহিষ্ণু থেকে অহিষ্ণুতার দিকে যাচ্ছে!  এ অহষ্ণিুতার শেষ কোথায়!  কারো জানা নেই। কেবল দিন যায়, অগুনতি মানুষের আহাজারিতে বাতাস ভারি হয়---আমরা কোথায় দাঁড়িয়ে! ভাবছি!


প্রথম আলোর আজকের অনলাইনে প্রকাশিত খবরে বলা হচ্ছে, 'ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় কলেজ জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী-শিক্ষক ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে গতকাল রোববার পুলিশের সংঘর্ষ হয়। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার একপর্যায়ে পুলিশ লাঠিপেটা করে ও রাবার বুলেট ছোড়ে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এতে কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক আবুল কালাম আজাদসহ কয়েকজন শিক্ষক আহত হন। কলেজের ভেতর আহত শিক্ষকেরা অনেক সময় ধরে আটকে ছিলেন। হাসপাতালে নেওয়ার পরে শিক্ষক আবুল কালাম আজাদের মৃত্যুর খবর আসে। সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের ধাওয়ায় নিহত হন সফর আলী নামে আরও একজন। পুলিশের দাবি, শিক্ষক আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন। আর অপর ব্যক্তি ঘটনাস্থলের কিছু দূরে মারা গেছেন।' 

সফল রাষ্ট্রনায়ক ফিদেলের জীবনাবসান!





বন্ধু চে'র সাথে ফিদেল


পর্যটক থেকে বিপ্লবী চে'র বন্ধু, সফল রাষ্ট্রনায়ক ফিদেলের জীবনাবসান হয়েছে।  মজদুরের  স্বার্থ রক্ষা আর  সমান চোখে মানুষকে দেখার যে বিরল দৃষ্টান্ত ফিদেল কিউবায় প্রতিষ্ঠা করেছেন, সেটি  অনন্য। 
ফিদেলের শাসনামলে কিউবায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। দেশটির প্রতিটি নাগরিকই বিনামূল্যে উন্নত চিকিৎসা সেবা পায়। বিশ্বের বহু উন্নত  দেশের তুলনায় কিউবায় শিশুমৃত্যুর হারও কম।  
কিউবার সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টির নেতা ফিদেল কাস্ত্রোর জীবনাবসানের খবর দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে,  ৯০ বছর বয়সে জীবনাবসান হওয়া ফিদেল ২০০৮ সালে ভাই রাউল কাস্ত্রোর হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। এর আগে প্রায় অর্ধশতক জুড়ে এক দলীয় কিউবা শাসন করেছিলেন।
তার সমর্থকেরা মনে করেন তিনি জনগণের কাছে কিউবা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।  বিরোধীদের চোখে, তিনি ছিলেন বিরুদ্ধ মতের প্রতি নিষ্ঠুর। গত এপ্রিল মাসে কিউবার কমিউনিস্ট পার্টির সম্মেলনের শেষ দিনে বিরল এক ভাষণ দেন ফিদেল কাস্ত্রো। 

পরকালীন জীবন মঙ্গলময় হোক ফিদেল কাস্ত্রো । লাল সেলাম। 

আয়ানাবাজি:: 'আপনারা তো রসিয়ে রসিয়ে লেখেন---!! '

গল্পটি আহামরি কিছু নয়, তবে চরিত্রায়নে নতুনত্ব রয়েছে, আয়ানাবাজির। টাকার জন্য অন্ধকার জগতে নায়ক--- এটা বাংলা সিনেমার বহু পুরনো ধারণা। তবে সেটি ষণ্ডামির মধ্যেই আটকে থাকলেও এখানে ভিন্ন রকমের একটা চরিত্র হাজির করেছেন অমিতাভ।
মি. অমিতাভ সম্ভবত বলতে চেয়েছেন, মুখ ও মুখোশের গল্প --- এ টুকু অন্তত আমার কাছে মনে হয়েছে। মায়ের চিকিৎসার জন্য টাকা জোগাড় করতে আয়না গাউসের খপ্পরে পড়ে। গাউস বদলি জেল খাটার ঠিকাদার। এ টুকুই সিনেমা --- বাংলা সিনেমা। তবে সব প্রথাগত ছক উতরে গেছে আয়নার অভিনয়, নিজে একেকটি চরিত্রের ভেতর ঢুকিয়ে আয়না নতুন একটা জগত তৈরি করেছে।
রাজনীতি একটা অভিনয়-- এ রকম কঠোর আলাপ-সংলাপ যেমন আছে, আবার বাঘের জন্য কচি হরিণের মাংসের ব্যবস্থা হচ্ছে---এমন আদি রসের সংযোগও সিনেমাটি টেনেছে। এসেছে পুরুষ শরীরের ব্যবহারের ভিন্নতা। সাধারণত সিনামায় নারীর শরীর উপস্থাপন করা হলেও এখানে পুরুষ কেন্দ্রিক-শরীর গদ্য আছে-- তবে সেটি সমকাম নয়।
ক্যামেরা অসাধারণ কাজ আছে সিনেমাটিতে, নগর জীবনের প্রতি দরদ আছে, পঙ্কিলতার গল্প আছে। আছে কার্ল মার্কসের থিওরির গল্পও ।
ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমেই গল্পটি শেষ করেছেন, অমিতাভ । সিনেমায় খুব শক্তি নিয়ে আছে সাংবাদিকের একটি চরিত্র।
তবে সাংবাদিকের সংলাপ অপরিপক্ক, সাধারণ সাংবাদিকরা যেভাবে তথ্য উদ্ধার করে থাকেন, সেটা থেকে অনেকটা দুরে !
একই সাথে পত্রিকার কর্তাদের চাকুরী হারানোর ভয়, সাহস করে আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অনীহা সিনমোটিতে বেশ ভালো করেই তুলে ধরেছেন, অমিতাভ।
বাংলাদেশের প্রথাগত ছকের বাইরে না গিয়ে সিনেমায় একজন যাত্রার নায়িকার সন্তানকে নিয়ে এগিয়ে যায় আয়নাবাজি--- মূল চরিত্র আয়না-- শরাফত করিম আয়না।
তার মায়ের ক্যান্সার ধরা পড়ার পর মিস্টার আয়নার টাকার প্রয়োজন, নগরে তাকে কে দেবে এত টাকা। বদলি জেলের অফার পায় আয়না... শুরু হয় নতুন অধ্যায়, আয়নার সাথে প্রথম কন্টাক্ট ছিল ৩ মাস জেল খাটতে হবে, টাকা যা লাগে পাওয়া যাবে।

কিন্তু তিন মাসের জায়গায় ৩ বছর পর বেরিয়ে আয়না তার মা-হীন জীবনে ঢুকে! সেখান থেকেই তার বদলি জেলের জীবন--- নারী নির্যাতন মামলায় তাকে জেলে দেখা যায়, দেখা যায় বড়লোকের আদুরে গেম পাগল পুত্রের মানুষ খুনের মামলায় জেল খাটতে।
তবে শেষবার একজন রাজনীতিকের জন্য জেলখাটতে গিয়ে ফেঁসে গেলেও জেলের রক্ষীকে ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করে আয়না বেরিয়ে আসে!
আয়নার জীবনে প্রেম আসে, আয়না হৃদির সম্পর্কও গড়াতে চায়! কিন্তু শেষবার জেলে যায়, আয়না। তবে সেটি নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে। তার যাওয়ার কথা হৃদির সাথে, সিলেট। এখানে খোলামেলাভাবেই হৃদির জীবনে আয়নাকে একটা সম্পর্কের মাত্রাকে প্রশ্নের মধ্যে রেখেছেন পরিচালক।
কারণ হৃদি তার বাবাকে বলে সিলেট যাচ্ছে, একা। কিন্তু সে যাবে আয়নার সাথে--- আয়নার একা ঘরে হৃদির উপস্থিতি কিম্বা আয়নার নিজের চালানো স্কুলে না গিয়ে --- হৃদির সাথে রুম ডেট এবং এর বডি ল্যাংগুয়েজ অনেকটা 'কাম' ছড়িয়ে যায় সিনেমায়!
শেষ পর্যন্ত আয়না তার প্রেমিকাকে ফিরে পায়, সাংবাদিককে তথ্য দেয়, একজন রাজনীতিক পালিয়ে আর হলিউড স্টুডিও'র আড়ালে বদলি জেলের ঠিকাদার গাউস খুন হয়।
সব মিলিয়ে একটা পরিণত ইংগিত সিনেমাটিতে কি হবে পরে? এমন আক্ষেপ আর রাখেনি!
সিনেমার শুরুটা খুবই সুন্দর-- নগরের একটা ভোরের যত্ন করে আঁকা ছবি এতে তুলে ধরা হয়েছে। গানের ব্যবহারও খুবই ভালো হয়েছে। বিশেষ করে চিরকুটের গানটি--- 'আয়নায় আয়নায় ভিন্ন কেউ সাজে, তারে তুমি দেখিতে চাওনা! লুকুচুরিতে নিজেরে পাওনা!' কিম্বা প্রেমের গান--' ধীরে ধীরে যাওনা সময়...আরো ধীরে বও!' ভালো লেগেছে।
তবে সিনেমায় বেশ কিছু খিস্তি আছে। আছে রম্য সংলাপও। সাংবাদিকের চরিত্রে পার্থ বড়ুয়া পুরো দস্তুর একজন মাদকাসক্ত । সারাক্ষণ পানির মত মদের বোতল মুখে নিয়ে ঘোরে। কিছুক্ষন পর চুকচুক মদ খান-- অনেকটা মনে হতে ক্রাইম রিপোর্টার মানে মাদকাসক্ত।
সাংবাদিকদের প্রতি লাঞ্ছিত নারী পরিবারের ঘৃণাও এখানে উঠে এসেছে... একটি সংলাপেই। তবে সেটি বেশ তীব্র! 'আপনারা তো রসিয়ে রসিয়ে লেখেন---!! '
হয়ত তাই.. হয়ত নয়... এ রকম সাংবাদিক সাবের নন, সে আর্গুমেন্টও শুনতে চায়না লাঞ্ছিতের পরিবার! এটাই তো ... সত্য!
আয়নাবাজির চূড়ান্ত ম্যাসেজ কি? টাকা হলে- ক্ষমতা থাকলে সব সম্ভব! দৃশ্যত তাই মনে হলেও আমার কাছে মনে হয়েছে, প্রতিটি মানুষই মুখোশ পরে থাকেন। ... মুখোশের আড়ালের একেক জন মানুষ একজন দক্ষ অভিনেতা-অভিনেত্রী। দুনিয়াটাই একটা অভিনয় মঞ্চ!
সিনেমার মূল চরিত্র চঞ্চল করলেও পার্থ বড়ুয়ার অনুসন্ধান প্রক্রিয়ার চেয়ে কোন সত্য প্রমাণে লেগে থাকাটা প্রশংসনীয়। 

নরাধমরা ---বিলাতি কুত্তার বাচ্চার মত আদর চায় ---

একেকটা অমানুষ
রাতের আঁধারে শুয়রের বাচ্চার মত ফাল পাড়ে---
পাক খায়- গু খায় ---


নোংরা আবর্জনায়---ডুবে থাকে-- ভালো কোন চিস্তা-- সুন্দর কোন সকাল
 কখনো ভাবতে পারে না-- অমানুষগুলো---

মানুষকে তাদের মানুষ মনে হয় না---
অমানুষগুলো কাদা পাক থেকে পাক দিয়ে উঠে সে দাঁড়াতে চায়---

দাঁড়াতে চায় নগরের তকতকে চকচকে ঘরে!
সায়েবি সুট আর কেতাবি বার্তায় মাততে চায়!


নরাধমরা ---বিলাতি  কুত্তার বাচ্চার মত আদর চায় ---
শুয়রের মত কাম--- পায়  না বলে সে অন্যকেও কষ্ট দেয়!
খুবলে খায় মানব শরীর-- পুড়িয়ে দেয়-- বসত ঘর - জমি জিরাত আর নারী ও শিশু!

নাসির নগর থেকে
গাইবান্ধা

রামু থেকে দিনাজপুর!

হিন্দু থেকে সাঁওতাল
মুসলমান থেকে বৌদ্ধ
প্রান্তিক মানুষ---রোহিঙ্গা--- পুড়িয়ে মেরে ফেলে কিছু নরাধম!

 কেউ নিস্তার পায়না!
না পুরুষ, না নারী, না শিশু

 শাদা শুয়র তামাটে শুয়র
 কালা কুত্তা
 ---মিলে  নরক বানিয়েছে ; দেশ---সীমানা--- অঞ্চল আর  বিশ্ব!

টেরাম্পের তাৎক্ষণিক সাক্ষাৎকার---হিলারির আইডল ইনুস! আমার ডিপজল!




ছবি :গুগল সার্চ থেকে প্রাপ্ত!!


 তম পেসিডেনট হওনের পর আপনার অনুভূতি কি?

অনুভূতি আবার কি, তুমার বাড়ি কৈ সম্বাদিক! গাট্টি গোছাও! 

স্যার আপনার প্রিয় গান কি?

গান, ওটা আবার কি!

না মানে স্যার সঙ্গীত...

ও কইবা তো--- ওরে ও মাইনকা কি বাত্তি জালাইলি! 

কি কইলেন স্যার  ... এই গান তো বাংলাদেশের, আপনি তো কৈছেন আউটসোর্স করবেন না, তাইলে!

শোন সম্বাদিক, বঙ্গদেশে আমার কিছু আইডল আছে। তোমগো হিলারির যে রকম আইডল ইনুস!

স্যার আফনের আইডল ...

আমার আইডল হইলো ডিপজল! চিন নাই... বাঙলা সিনামা করে... সানডে মানডে কোলজ কইরা দিমু... ওই, তরে আমি চিবায়া খায়ালাইমু তরে!


স্যার না মানে... 

ওরে সম্বাদিক ডরাইছো... ডরাইও না... এইডা ডিপজলের ডায়লগ

ও আচ্ছা ...

স্যার আপনি আম্রিকাকে ভবিষ্যতে কোতায় দেখতে চান


ক্যান আম্রিকা আম্রিকায় থাকবো---


না মানে ধরেন... উন্নতি অগ্রগতি

উন্নতি অনেক হৈছে, বুড়ি মহিলারা যাতে পর্ণোগ্রাফি দেখতে না পারে সেই ব্যবস্থা করতেচি! দেখ নাই তোমাগো হিলারি বিতর্কের মাঝখানে... করতে বাথরুমে চলে যায়! এসব হইলো পর্ণোগ্রাফির প্রভাব!


তা স্যার আপনারো কি সে দিকে আসক্তি আছে!

ও আর বলো না, বয়স বেড়েছে, তাই একটু সমস্যা অয়! ওটা কিছু না! তা আবার বউ কিন্তু সিরাম মঠেল ছিল! 
শোন, আম্রিকায় পুরুষের জন্য সব জায়েজ! মহিলার জন্য সব হারামা! কেবল ভোগ-- বােঝ নাই ব্যাপারটা! ভোগ ম্যাগাজিন না! কিন্তু! 

তা তোমার বাড়ি যেন কোথায়?

স্যার আমি নু ইয়র্কে থাকি! 

আসছো কোত্থেকে ... 

ইনডিয়া স্যার!

যাক ভালা... তোমাদের নায়িকা আছে না মল্লিকা... আমার ভাল লাগে মার্ডার দেখছিলাম... মার্ডার সিনামা... ভিগে হোঁটে তেরে... সিরাম ছিল---

স্যার এখন আরো ভালো নায়িকা আছে... দীপিকা... ক্যাটরিনা...
ও সব থাক... আর কত বেচবা! বেইচা বেইচা তো  বঙ্গদেশের  জীবন সাঙ্গ কৈরা ফালাইছো! ওইটা আর এখানে আউটসোর্স কইরো না ! আমার যৌবন পড়তির দিকে... 


তা শোন, বুশ  একবার তাজমহলে গিয়া তোমাদের নায়িকার কোমর ধইরা ঝাঁকাইছিল.. তারপর থেকে তোমগো দেশের লগে আমগো সম্পর্ক ঐশ্বরিয়ার কোমরের মতই মেদহীন!আমি ভেবে দেখি... তুমি যেহেতু বলচো... তুমি চিন্তা কইরো না!

আমি ইনডিয়ার লগে আছি, মিষ্টি খাইবা... তোমর মন খারাপ তো তাই জিগাইলাম! 

না স্যার.. 

তাহলে এখন আস!! মানে যাও...

ব্যাক ড্রপে গান চলে... ওরে ও মাইনকা কি বাত্তি জালাইলি! 


ইহা একটি কাল্পনিক সাক্ষাৎকার!

বিপন্ন নাসির নগর

অত্যন্ত বিপন্নবোধ করছি- নাসিরনগরে  সনাতন ধর্মাবলম্বীদের  উপর নিপীড়ন, উৎপীড়ন এবং চলমান হামলা  হয়েছে। এখনো হামলার শঙ্কা আছে।  মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত পরিবার!

গণমাধ্যমগুলোর খবর থেকে জানা যাচ্ছে, ফেসবুকে পোস্ট নিয়ে এ কাণ্ডকারখানা ঘটলেও এখন মসজিদে পাওয়া যাচ্ছে -মূর্তি! সংবাদ লিঙ্ক http://www.theindependentbd.com/post/67071 আর সনাতন ধর্মপল্লীতে নারী-সম্ভ্রম নিয়ে শঙ্কা খবরের লিঙ্ক http://www.bbc.com/bengali/news-37887606?post_id=10206717003385193_10210997640238439#_=_

ধর্ম-রাজনীতির এ নোংরা খেলার  মধ্য দিয়ে যাচ্ছে নাসির নগরের ঘটনাপ্রবাহ। এর আগে রামুকাণ্ডের পর একজন গণমাধ্যমকর্মী হিসাবে সেখানে গিয়ে একই রকমের ধর্ম-রাজনীতি দেখেছি।  সুতরাং  নাসিরনগরের ঘটনা সম্পর্কে যতটা জানছি, এটিও ধর্ম-রাজনীতির বাইরের কোন ঘটনা বলে দৃশ্যত আমার কাছে অন্য কিছু মনে হচ্ছে না।

ধারা ৫৭, মাঝরাতে দরজায় কেউ ঠক ঠক করা রক্ষী, চাপাতিঅলা অথবা এক সম্বাদকর্মী স্বামীর লেখালেখির কারণে  রাস্তায় বড় ভাইয়ের ষণ্ডারা তার গর্ভবতী স্ত্রীর গায়ে  হাত তোলার ঘটনা (http://banglamail71.com/open-talk/news=448)-- এ সব জানার পরেও চুপ করে  নাসির নগরে এ হামলার ঘটনা চোখ বুঝে সইবার চেষ্টা করছিলাম!

শেষ পর্যন্ত পারলাম না।

একটা স্বাধীন দেশে, সংখ্যাগরিষ্ঠ মোসলমান  দেশে, হিন্দু-বৌদ্ধ এবং খ্রিস্টানরা আক্রান্ত হবেন--- এটা আবার আমাদের মেনেও নিতে হবে, সেটার কোন কারণ খুঁজে পেলাম না।

শাহরিয়ার সাহেবের শরীরে হয়ত অবসাদ ভর করেছে, হালাকা শীতের আমেজের কারণে সুশীলরা কম্বল খুঁজছেন, কিন্তু নাসিরনগরে  আতঙ্ক-হামলা জেগে আছে।

ঘটনা ঘটার পরও  আমরা  আইন শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য  দায়িত্বপ্রাপ্ত  রাষ্ট্রীয় কর্তার  যে বক্তব্য শুনছি, সে রকম বক্তব্য আমরা রামুর ঘটনার পরেও শুনেছি।

রাজনীতির নিকাশটা কেবল লাভ লোকসানে! সেখানে মানুষের জীবন, তাদের নিরাপত্তা, সম্পত্তি এবং সম্ভ্রমের সুরক্ষাটা হয়ত মুখ্য নয়, কিন্তু মানুষ হিসাবে কিছু লো্ককে স্বীকার করে নেয়ার পর এটা সুরক্ষা করতে না পারাটা  চরম ব্যর্থতা।  সে ব্যর্থতার জন্য শাস্তি পাওয়ার উচিৎ, কার শাস্তি পাওয়া উচিৎ সেটা  রাষ্ট্রই নির্ধারণ করুক।

কিন্তু নাগরিক হিসাবে, প্রবাসে বা দেশে আমরা খুবই ছোট হয়ে যাই যখন  এ রকম নোংরা ধর্ম-রাজনীতি  তাণ্ডব চলে। আর আমাদের রাজনীতিকরা এ থেকে কী ফায়দা তোলেন, সেটাও ষ্পষ্ট নয়, তাদের ফায়দা, কাদা ছোঁড়াছুড়ির শেষ পরিণাম কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে দেশের জন্য; ধর্মের জন্য; আমার সামাজিক-সম্প্র্রীতির জন্য--  সেটি তারা মোটেও ভাবেন  কিনা সন্দেহ!  হয়ত ভাবেনও।

তবে এটা তাদের কাছে একটা খেলা হতে পারে ! ধর্ম-রাজনীতি খেলা+ধর্ম-ধর্ম খেলা= জঙ্গি রাষ্ট্র!!  এ সরল সমীকরণের দিকে এগুচ্ছে রাষ্ট্র-চরিত্র!!

বেড়াতে যাওয়ার আগে যে বিষয়গুলো জেনে নেয়া উচিৎ



বেড়াতে যাওয়ার আগে যে বিষয়গুলো অবশ্যই জেনে নেয়া উচিৎ---
১. লোকাল নিরাপত্তা,
২. পর্যটন স্পটের নিরাপত্তা,
৩. খাবার দাবার, 
৪.থাকার ব্যবস্থা,
৫.যানবাহন,
৬. পর্যটকের জন্য স্বাস্থ্য সুিবিধা
৭. সাইট সিয়িংএর ঝুঁকি
এবং
৮. প্রযুক্তি ও সময় সমন্বয়।
এ সব না জেনে হুট করে কোথাও যাওয়াটা ঠিক নয়। আমরা ভ্রমণ করি আনন্দের জন্য। রবীন্দ্রনাথ তার শেষের কবিতায় স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য হাওয়া বদলের কথা বলেছেন।
হাওয়া বদল বা ভ্রমণ আমাদের স্বাস্থ্য, প্রতিদিনকার জীবন এবং বন্ধু-বান্ধব-আত্মীয়-স্বজন-পরিবারের সাথে সম্পর্ককে মজবুত করে। একই সাথে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের মাধ্যমে নিজের মনে প্রাণে অসাধারণ অনুভূতি ও অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের সুযোগ করে দিয়ে থাকে।

পর্যটনের মাধ্যমেই বৈচিত্রময় সংস্কৃতি, লোকজ মেলা-পরিবার ও নতুন পর্যটন স্পটের সাথে পরিচয়ের সুযোগ ঘটে।

রোহিঙ্গা :: দেশহীন মানুষ কতটা বিপন্ন!




ছবি: বিবিসি'র সৌজন্যে!

শান্তিতে নোবেল পাওয়া 'সঙ' সুচির শাসনে রোহিঙ্গা নিধনের যে যজ্ঞ চলছে, তাও আমরা জায়েজ করে নেব!
কিছু লোককে দেখবেন- এর পক্ষ নিতে---
ধরেন এক গ্রুপ আছে, তারা কবে- রোহিঙ্গা? ও আবার মানুষ নাকি! বঙ্গে রোহিঙ্গা ? ও তো জমাত-জঙ্গি।
বর্মায় রোহিঙ্গা-- অনুপ্রবেশকারী। আর মানবপাচারকারীর কাছে রোহিঙ্গা, সে তো লোভনীয়- টাকা নিবে, ইজ্জত নিবে---মেরে নদীর জলে ভাসাইলেও কেউ জিগাইবো না।
এ কেমন মানবজীবন, এ কেমন জীবন তাদের।
ভাবছি, আর ভাবছি :( দেশহীন মানুষ কতটা বিপন্ন, কতটা কষ্ট, অনাচর সয়ে নিঃশ্বাস নেয়, বেড়ে ওঠে।

নিউজ লিঙ্ক http://www.bbc.com/bengali/news-37759220